![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
“লাইলীর প্রেমে মজনু পাগল, আমি পাগল লাইলা’র (লাইলাহা’র=তাওহিদ)”
নজরুলের এই বানীটি আমার হৃদয় দিয়ে খুব বেশি উপলব্ধি করছি। হ্যাঁ আমি পাগল। আমি ক্ষ্যাপা। আমি বিদ্রহী। আমি মানছি আমি উম্মাদ। কিন্তু আমি আমার আল্লাহ্ কে এক মুহূর্তের জন্যও ভুলে যাই না। তাই আমি সর্বদা আশাবাদি। আমার প্রিয়তম মুন কে আমি ভালোবাসি। অনেক অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি। আমি আমার প্রিয়তমকে সারা জীবন আমার পাশে পেতে চাই। এই চাওয়া আমার বিশ্বাসের চাওয়া। যিনি প্রেম সৃষ্টি করেছেন তিনিই তার মহান সৃষ্টির সম্মান রক্ষা করবেন। আমি শুধু মাধ্যম মাত্র। তাঁর সৃষ্ট্রি প্রেমকে আমার সমস্ত হৃদয় দিয়ে আকঁড়ে ধরে আছি। আমি চেষ্টা করছি আমার প্রিয়তমকে আমার কাছে নিয়ে আসতে। আমার প্রেমের মধ্য থেকেই আমার সৃষ্ট্রি প্রকাশ পাচ্ছে। আমার ইচ্ছাকে আমার আল্লাহ্ পূর্ণ করবেন- এ আমার বিশ্বাস।
আমি যখন অন্যের দ্বারা কষ্ট পাই তখন দেখি আমার স্রষ্টা আমার সাথেই আছেন। তিনি আমাকে কখনও ন্যায় ছাড়া অন্যায়ের পথে যেতে দিতে পারেন না। আমি মোটেও দুর্বল নই কারণ আমার আল্লাহ্ আমাকে দেখছেন। আমি আমার স্রষ্ট্রাকে ভালোবাসি বলেই সমস্ত সৃষ্টিকে ভালোবাসতে পেরেছি।
অনেক মানুষকে আমি দেখি, যারা তাঁদের মিথ্যে বাসনায় মত্ত হয়ে নিজের জীবনের বিশাল ছায়া দেখে দেখে মহাখুশির ভাব নিয়ে থাকেন। ঐ মানুষগুলো কি একবারও বোঝে না যে, সাঝের বেলায় যখন ছায়া খুব লম্বা হয় তারপর সেই ছায়া হারিয়ে যায়। এটা তো প্রকৃতির নিয়ম। এই বিধির বিধানটুকুও যদি অনেক মানুষ ঠিক মতো বুঝতে পারলেও হয়তোবা আমাকে এতো কষ্ট দিতে পারতেন না।
একজন মুন যে আমার জন্য কতো বেশি দামি তা আমি অন্যদেরকে আজও হয়তোবা বুঝাতে পারি নি। কালের প্রবাহে একদিন হয়তো এই আসিফ সম্বন্ধে মানুষ অনেক কিছু বলবে। আজ আমার যে কথাগুলোকে মানুষের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে তা যখন স্পষ্ট সত্য হয়ে চোখ-মন-প্রান আলোকিত করে দিবে তখন কত কি বলবে আমাকে নিয়ে! সেই দিনের সেই মানুষগুলোকে আমি নমস্কার করে বলছি, “বন্ধু! জীবনে কোনোদিন নিজের মনের মধ্যে মোনাফেকি ঢুকাবে না, এরচেয়ে খারাপ কিছুই নেই, মোনাফেকির রাস্তা হয়তোবা সহজে পাওয়া যায় কিন্তু এই মোনাফেকি মানুষকে স্রষ্টার সান্নিধ্য থেকে একদম দূরে নিয়ে যায়।”
আল্লাহ্ আমাদের চরম সুন্দর একটি অন্তর দিয়েছেন। এই অন্তরকে বিকাশিত করে যারা রেখে যেতে পারেন তারা কখনও হারিয়ে যান না। নিজ অন্তরকে খুলে রাখতে হয়। অন্তরকে অন্যের হাতে তুলে দিতে হয়। তাহলে সেই অন্তরে মোনাফেকি, কপটতা, ভন্ডামি থাকে না বরং সেই দিল খোলা বাগানের সৌরভ নিতে অন্যেরা ছুটে আসেন। আমি প্রিয়হারা বলে যে বাঁধন হারা তা কিন্তু না। আমার মধ্যে প্রেমের রশি আছে বলেই নিজেকে বাঁধনহারার মতো করেও সবাইকে হৃদয়ের কাছে নিয়ে আসতে পারি। এই গুন সব মানুষের মধ্যেই থাকে। কেউ কাজে লাগায় কেউ কাজে লাগায় না। যখন মানুষ তার অন্তরের শক্তিকে অনুভব করে তাওহিদের উপর নিজেকে স্থির করে রেখে সামনে এগিয়ে যায়, তখন কার এমন সাধ্য যে ঐ অন্তরকে স্তব্ধ করে দেবে- এই তাওহিদ ভরা অন্তরে দ্বারাই সৃষ্ট্রিকর্তা তার মহিমাকে প্রকাশ করে দেখান। তাইতো মনিষিরা বলেন, তাওহিদের আল্লাহ্’র সর্বোউৎকৃষ্ট প্রকাশ ঘটে মানুষের অন্তরে। এই কথা সব ধর্মগ্রন্হের ভাবের সাথে চিরন্তন হয়ে প্রকাশ হয়ে ওঠে।
এই প্রেম পাগল তরুনটি আপনাদের যতটুকু কষ্ট দিয়েছে বলে আপনারা মনে করেন, তার থেকেও স্পষ্ট ভাবে আমি বলছি যে এই কষ্টটুকুর দরকার ছিলো। আমি মোরগ হয়ে হলেও আপনাদের ঘুম ভাঙাতে চেয়েছি। আমি চেয়েছি এই সুন্দর মানুষগুলো তাদের নিজেদের অন্তরদেবতাকে বুঝে নিয়ে নিজেদের অসীম ক্ষমতাকে কাজে লাগাতে শিখবে। যারা সমাজে, দেশে, মহাদেশে, পৃথিবীতে বড় বড় অবস্থান নিয়ে সাধারণ মানুষের উপরে নিজেদের নিয়ে বসিয়েছেন, তারা যেনো আমার কাছ থেকে অন্তত কিছু একটা শুভ কল্যানকর কর্ম বুঝে নিয়ে, নিজেদের কাজকে সহজ ও সুন্দর করে তুলতে পারে। তাই আমার দর্শন একজন সাধারণ মানুষকে যে সরাসরি বুঝতে হবে এমন কথা নেই বরং যারা আমাকে জানেন ও বোঝেন তারা যেনো তাঁদের দ্বায়িত্ব ঠিকমত পালন করে সামনের দিকে এগিয়ে চলেন।
আমি চেয়েছি মানুষ যেনো নিজের অন্তরের মুনি-ঋষিকে নিজেই প্রকাশ করতে জেনে যায়। মানুষ যেনো বুঝতে পারে এই মহালোকের সবকিছুকে নিজের মন থেকে চাওয়ার মতো চাইতে জানলে নিজেই এর কন্ট্রোল নিজদের কাছে নিয়ে আসতে পারেন।
অনেকে হয়তো ভাববেন, এতো গরিবি হালের মধ্যে আমি লিখি কি করে! না আছে অঢেল ধনসম্পত্তি, না আছে বিশাল কোনো প্রতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট, না আছে আসেপাশের মানুষগুলো দ্বারা বিশাল কোনো অনুপ্রেরনা, না আছে নিজের কাছে কোনো অভিধান, না আছে নিজস্ব কোনো লাইব্রেরী, না আছে পরিবেশ পরিস্থিতি তারপরও এতো কথা কিভাবে বলছি। তাহলে কি স্বরসতী আমায় তার পদ্মফুল আর বীনা দিয়ে সাহায্য করছেন? আমার এই তিরিশোর্ধ বয়সের প্রায় পুরোটাই আমি এই সব বিষয়ে চিন্তা করেছি। আমি চেষ্টা করেছি। এই চেষ্টার ফলেই নিশ্চিত ভাবে আলৌকিকও লৌকিক হয়ে ওঠে। আল্লাহ্ আমাদরে চেষ্টা করতে বলেছেন। আমি শুধু চেষ্টাই করে চলছি এর বাইড়ে কিছুই না। আমি দেখতে চেয়েছি গবেষনা কাকে বলে। আমি বুঝতে চেয়েছি একা থেকেও কিভাবে সব মানুষকে একত্র করে একটি কঠিন বিপদ থেকে নিজের জাতি ও জন্মভূমিকে কিভাবে বক্ষা করা যায়। আমি জানতে চেয়েছি এই মহাবিশ্বের কোথায় কি হচ্ছে। এগুলো সবই আমার চেষ্টা। একজন মানুষ শুধু মাত্র ভালোভাবে চেষ্টা করতে জানলেই হয়। একজন মানুষের চেষ্টা কোনোদিন বিফলে যায় না।
কঠিন অভাব দারিদ্রর মধ্য থেকেও একজন কার্ল মার্কস কে চেষ্টা করতে হয়েছিলো। একজন ভ্যানগগকে চেষ্টা করতে হয়েছিলো। মুজাফফর-চিত্তরঞ্জন-সুবাস-গান্ধীজি-মুজিব সহ হাজারো মনিষিকে শুধু চেষ্টা করতে হয়েছিলো। তাঁদের চেষ্টা করি বিফলে গেছে। একজন নজরুল কে সারাজীবন কষ্ট করে হলেও আমাদের কথা বলে যেতে হয়েছিলো। এই ভাবেই সভ্যতার ধারাবাহিকতা থাকে।
শেলী-কিটস কে আজও পুরোপুরি মানুষ বুঝতে পারে নি। মানুষ এই দু’জনকে শুধু কবি জ্ঞানেই দেখে এসেছে। এর বড় কারণ এদের খুব অল্প বয়সে বিদায় নিতে হয়েছিলো। শেলী-কিটস যদি আরো বেশ কিছু কাল বেঁচে থেকে মানুষকে সেবা করার সুযোগ পেতেন তাহলে আজকের এই সভ্যতার চেহারাই পাল্টে যেতে পারতো। তারা শুধু সত্য ও সুন্দরের কবিই ছিলো না তারা ছিলেন অসম্ভব সুন্দর দার্শনিক ও সমাজ সংস্কারক।
যাই হোক, আমি এখনও কিটসকে খুব ঈর্শা করি কারন ছেলেটা তাঁর প্রিয়ার কোলে মাথা রেখে মৃত্যুর দরজা দিয়ে নিজ দেশে চলে গিয়েছিলো। ইস! আমার যদি এমন ভাগ্য হতো যে, প্রিয়তমর কোলে মাথা রেখে চিরবিদায় নিয়ে চলে যেতে পারতাম!
বন্ধু! এই দারুন সুন্দর অভাব, অনাটন, দারিদ্র আমাকে আজ খুব বেশি কিটসের সাথে মিলিয়ে দিয়েছে। আমি যখন অনেক বড় বড় মনিষিদের বইপত্র পড়েছি তখন অনেক সময় মনে হয়েছে এই লেখা বুঝি আমার লেখাই। জানি না, এমন কেনো হয়? তারপরও আমি জানি প্রিয় মানুষটির প্রেমকে পায়ে ঠেলে বিদায় নেয়া অনেক বেশি অন্যায় ও কষ্টের। মানুষের সুন্দর ভাবে বাঁচার সব থেকে বড় আশ্রয় হলো নিজের প্রেমকে কাছ থেকে উপলব্ধি করে নিজের কাছে পরম যত্নে আগলে ধরে রাখা। যত ঝর ঝাপটা আসুক প্রেম থাকবে, যত আঘাত আসুক প্রেম থাকবে, যত অশুভ আসুক প্রেম থাকবে। এই প্রেমাঞ্জলী যিনি নিজের মনদেবতাকে দিতে জেনেছেন তিনিই দেবতা হয়ে অসুন্দর ধরায়ও নিজের সৌন্দর্য্যকে স্থায়ী ভাবে রেখে দিতে পেরেছেন।
কে তুমি শুনছো আজ, আমার লেখা এই গান,
দেখো কতকাল আগে আমি মিশিয়ে দিয়েছিলাম,
তোমার প্রানে আমার প্রান।।
একপাশে সাগর অন্য পাশে গিরি মাঝখানে নদী,
এমনি করে নিয়ে চলে যেতে নিজেকে তুমি যদি,
তবেই আমাকে পেয়ে যেতে তোমার স্মরনে।
বলো আমি কি হারিয়ে গেছি সময়ের বাঁকে,
চেয়ে দেখো ঐ মেঘ ভরা আকাশের ফাঁকে,
আমি হেসে উঠি চাঁদ হয়ে তোমার বাঁকা নয়নে।
ছয় ঋতুর ছয় রঙের মাঝে আমি আছি এই দেশে,
কখনও কাঙ্গাল, কখনও প্রেমিক, কখনও তোমার বেশে,
তোমার ঘুমের মাঝখানে সুন্দর কোনো স্বপনে।
(গান)
০৯-০৫-২০১৪
©somewhere in net ltd.