![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
যারা নিরাশায় ভোগে তাদের ভালোবাসার যোগ্যতা নেই। আমি তুমি একসাথে প্রেম করেছি। দু’জন দুজনাকে প্রাণ সপে দিয়েছি। অযাচিত ঝামেলা বোঝাই কষ্ট সহ্য করেছি। অপেক্ষা করেছি। ধর্য্য ধরেছি। চেষ্টা করেছি ও করি। তাহলে কেনো আমরা দু’জন নিরাশা হবো বলো?
এই রহস্যে ঘেরা জীবনের মধ্যে তুমিই তো আমার প্রধান আশ্রয়। আর কার কোলে শুয়ে আমি গল্প শুনবো বলো? যে প্রেম করতে জানে না সে মৃত, জীবন আছে কিন্ত সেই জীবন অকেজো। আরও ভয়ংকর হলো তারা যারা জীবন পেয়েও, বোঝে না। অবহেলা নামক ডাস্টবিনে নিজের জীবনকে বিষর্জন দিয়ে অনুতাপে ভোগে। বিরহের শেষ হয় মিলনে আর অনুতাপের শেষ হয় বাজে মরনে। আমি আর তুমি বিরহী ঠিকই তাই বলে মৃত নই। আমরা দু’জন তো একসাথে থাকবোই, সেই সাথে পুর মহাবিশ্বকে আমাদের প্রেম দিয়ে নাচিয়ে মাতয়ারা করে রাখবো। সবার জীবনের মধ্যে আমাদের জীবনকে ভরে দেবো। সবাই প্রেমসুখে দিশেহারা হয়ে যাবে। যা আমি মুখে বলছি না, করে দেখিয়েছি। এখন শুধু দু’জন একসাথে জীবন কাটানো না বরং উপভোগ করার পালা।
যে নিজের প্রেমকে শ্রদ্ধা করতে জানে না, সে পৃথিবীর জঞ্জাল। জঞ্জালের মধ্যে মানুষ কিভাবে বাঁচে বলো? নিজের জান কে জান বলে ডাকতেও ভয় পায়, তারা কিভাবে বেঁচে থাকার যোগ্যতা রাখে?
তোমার আমার কোনো প্রফেশন এর পরিচয় দরকার নাই। আমরা প্রেমিক ও প্রেমিকা। দুজন দুজনের জান। এর থেকে বড় পরিচয় আর কি হতে পারে?
বিশ্বাস করো আমি নিরব থাকতাম। আমার এতো স্বাদ ছিলো না যে, এত বড় বড় বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। তারপরও তোমাকে দেবী সম প্রতিষ্ঠিত করতে আমার প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে। আজ আমাকে দেখো জান, আমি তোমার প্রেমিক এটাই আমার বড় পরিচয়। পলিটিশিয়ান, ইত্যাদি ইত্যাদি হ্যান-ত্যান খ্যাতি দিয়ে কি প্রেম কেনা যায়? তার থেকে তোমাকে এক নজর দেখতে পারলেই হলো।
যে তার নিজের প্রেম কে প্রকাশ করতেই ভয় পায়। যে তার নিজের প্রিয় মানুষটিকে চিৎকার করে বিশ্বকে জানিয়ে দিতে পারে না। কোন যোগ্যতায় তারা মানুষের সেবা করার কথা বলে?
আমার প্রেম দরকার নাই। আমার দরকার আমার জান মুনকে। আমি প্রেম কি জানতে চাই না। আমি চাই তোমাকে। তুমি কাছে না থাকলে, সে প্রেম দিয়ে আমি কি করবো? আমার কোন এমন পজিশন আসবে যা দিয়ে আমি আমার প্রেম কে অস্বীকার করার সাহোস রাখি? আমার পোস্ট পজিশন দরকার নেই, আমার দরকার তোমাকে। পোস্ট পজিশনের সাথে মনের কথা বলা যায় না। পোষ্ট পজিশনকে সেবা করা যায় না। নিজের মানুষটিকে কাছে পাওয়াই আসল পজিশন। সেই পজিশন নিজেকে তৈরি করে নিতে হয়। তাহলে সব পোষ্ট পজিশন এমনিতেই দৌড়ে আসে। পোস্ট পজিশন মানব সেবার জন্যই আসে। সেই মানব সেবায় যদি মানব প্রেমই না থাকে তাহলে সে তো একটি ফাঁকা মোরক ছাড়া কিছু না। এমন এক সমাজে আমাকে জন্মাতে হয়েছিলো যেখানে প্রেম নামটি মুখে আনাও অন্যায়ের মতো করে অন্যরা দেখতো। সবার অন্যায়কে আমি ন্যায় না বানিয়ে কিভাবে তোমাকে কাছে টানবো বলো? তোমার কাছ থেকে অন্যরা শিখবে। আমি জাত প্রেমিক আর তুমি জাত প্রেমিকা। আমাদের জাত চিনিয়ে দিলাম মাত্র।
দেখো আজ বিশ্ব কিভাবে তোমার প্রেমে কেঁপে কেঁপে ওঠে। এতোকাল মানুষ এগুলোকে গাঁজাখোরি ভেবেছিল। আমি তার প্রমান দিয়ে দিলাম। যার মধ্যে প্রেম আছে সে কখনও অন্যের অমঙ্গল চাইতে পারে না। আমি জানি, আমি যদি তোমাকে এভাবে আগমন না করাতাম তাহলে খুব দ্রুত হয়তো অনেক বড় কিছু হয়ে যেতাম। সেই বড় মোটেও বড় না। তোমাকে কাছে পেয়েছি তাই আমি এমনিতেই বিরাট বড় মানুষ। আমি আমাদের প্রেম কে বড় করে তুলিনি। আমাদের প্রেম আমাদের মহাবড় করে স্থায়ী ভাবে রেখে দিবে। মানুষ বোঝে না বলেই দুঃখ পায়। সেই বাজে দুঃখ থেকে আমরা তাঁদের মুক্ত করে দিলাম। যাতে তাঁরা বোঝে প্রেম ছাড়া কোনোদিনও সত্যের পথে থাকা যায় না।
আমি তোমাকে পাবার জন্য সবার দুঃখে নিজেকে ডুবিয়ে দেই নি। আমি তোমাকে পাবার জন্য অন্যদের দুঃখের স্থায়ী সমাধান দিয়ে দিয়েছি মাত্র। যতো কিছু দিতে হয় দিবো তারপরও দু’জন একসাথে জীবন কাঁটাবো। আমার প্রেমই তোমাকে আমার কাছে নিয়ে আসবে। আমার যাবার দরকার নাই। এ আমার অভিমান নয়। এ আমার অপারগতা। এই সমাজ আমাকে বোঝে না, তাই বলে তুমি বুঝবে না কেনো। প্রয়োজনে পৃথিবীতে যতো মানুষ বাস করে সবাই তোমাকে বোঝাবে, তবুও দু’জন একসাথে থাকবো। বিরহ নিয়ে আসার জন্য দু’জন প্রেম করি নি। একে অন্যকে সম্মান দেয়া ও মিলনের জন্য প্রেম করেছি। আমি বিরহ নামক দোহাই দিয়ে তোমাকে কখনও দুরে রাখতে চাই নি। তুমিও চাওনি। কিন্ত আমরা এই বাজে সমাজের, বাজে মানুষের, বাজে মনমানুষিকতার স্বীকার। এজন্যই বাজে মনমানুষিকতার মানুষগুলোকে আমি কখনও শত্রু ভাবি নি। তাঁদের বাজে মনমানুষিকতাকে রিপেয়ার করে ভালো করতে চেয়েছি। এখন যারা রিপেয়ারেরও যোগ্য না, তাঁদের আমি কি করে সত্যের পথে ফেরাবো বলো? তারা তো বোঝে না।
মিথ্যাকে সত্য বলে প্রচার করা যতটা না অন্যায় তার থেকেও বড় অন্যায় সত্য কে মিথ্যা বানিয়ে রাখা। এতো গান, এতো প্রেমের নিদর্শন থাকা স্বত্তেও মানুষ কেনো প্রেম নামক মহাসত্যকে অস্বীকার করার সাহোস পায়? ধর্ম সত্য। সেই সত্যের ভিতরের সত্য প্রেমকে কেনো মিথ্যা ও বাজে ভাবে উপস্থাপন করা হয়? প্রেম এমন এক সত্যের প্রকাশ যা খারাপের মধ্যে কোনোভাবেই থাকতে পারে না। তাইতো তোমাকে আগুনের সুর্য সম তাপে পুরতে হয়েছিলো। আমিও সেই আগুনে কম পুরি নি। সুর্যের দিকে তাকিয়ে, চোখে চোখ রেখে আগুনও ঠান্ডা করে দিয়েছিলাম যাতে তোমার অসুবিধা না হয়। আরো কেনো পুরবো? আমি কি পৃথিবীকে কিছু দেই নি? মানুষ যা চেয়েছে আমি তাই দিয়েছি। এখন কেনো মানুষ আমার জন্য এগিয়ে আসবে না? এটা খোটা না, এটা কর্তব্যের প্রকাশ।
আমি আমার চেষ্টা থামাই নি। প্রেম করতে জানলে চেষ্টা এমনিতেই এসে যায়। আর সেই চেষ্টায় আর যাই হোক না কেনো, কোনো মানুষের ক্ষতি হতে পারে না। বরং এটাই মঙ্গলের হাতিয়ার হয়ে ধরা দেয়। আমার জীবনে প্রেম ছাড়া অন্য কোন সম্পদই কিছু না। “শুধু তুমি আমার।“ এ আমার বড় পরিচয়।
এই সমাজ বিয়ের পরে প্রেমকে এটকু সামান্য হলেও সমর্থন করে। তাই তুমি আমি বিয়ে করবো। অন্য কোনো কারণে না, শুধু নিজেরা নিরাপদ থাকার জন্য। প্রয়োজনে পৃথিবীর সব কাজী, সব পুরহিত, সব ফাদার আমাদের বিয়ে পড়াতে বাধ্য হবে। তারপরও আমার প্রেম দিয়ে সবাইকে কাছে টেনে হেচরে সুন্দর ভাবে নিয়ে আসবো। তোমার আর আমার ভয় কিসের? আমরা প্রেম করেছি। প্রেম যেখানে থাকে তার আশেপাশেও পাপ আসতে পারে না। যদি আসেও প্রেমের লাথি খেয়ে পাপ পালিয়ে যায়। এ লাথি জীবন পাবার লাথি। এই লাথি পুন্যের লাথি। আমার প্রধান অস্ত্র তোমার প্রেম। প্রিয়তম আমি তোমার। এই উপলব্ধির সামনে আর কোন উপলব্ধি আমাকে আনন্দ দিতে পারে।
যারা কম জিনিস নিয়েও তৃপ্তি পায়, আর কোনদিনও তৃপ্ত হয় না, তারাই বাঁচার মতো বাঁচতে পারে। যারা অনেক পেয়ে তৃপ্ত হয়ে যায়, তারা তৃপ্তি পায় না। আমাদের তৃপ্তি দরকার নেই আমাদের প্রেম আছে। প্রেম থাকলে তৃপ্তি প্রেমের গোলাম হয়ে ছুটে আসে।
অনেকে হয়তো ভাববেন আমি সুন্দর করে কথা বলতে পারি। আসলে আমার প্রেম আছে বলেই আমি পারি। যার প্রেম নাই সেই কাঙ্গাল। আমার মুনের প্রেমিক আমি কি করে কাঙ্গাল হবো বলুন? আমি তো চিরতৃপ্ত ও সদানন্দ।
অনেকে বলবেন, আমার ভাষা শক্তিশালি। আসলে আমার প্রেম এতো শক্তিশালি যে তার সামনে আমি যা প্রকাশ করি তা খুব বেশি ছোট। আমি আমার প্রিয়তমকে ভালোবাসি বলেই শক্তিশালি আমার দাস হয়ে পাশে দাঁড়ায়। আপনি প্রেম করেন আপনিও পাবেন। প্রেম অভয় মহাশক্তি।
দেখুন আমি কিন্ত প্রেম নিয়ে আলোচনা করছি না। আমি আমার প্রিয়তমর সামান্য একটু কাছে না পাবার অভাব প্রকাশ করছি। আর তাতেই কত শক্তি নিয়ে প্রেম এসে হাজির। এর নাম সত্য। এর নাম সুন্দর। এর নাম জীবন।
যে ভালোবাসতে জানে না, সে কি করে মানুষের উপকার করবে? যে প্রেম করতে জানে না সে কি করে মানুষ কে বাঁচাবে? যে ভালোবাসতে জানে না, সে ধ্বংস করতে জানে। যে প্রেম করতে জানে, সে সৃষ্টি করতে জানে। তাইতো আমি নতুন নতুন আইডিয়া সৃষ্টি করে পরিবেশন করছি। আমার প্রেমের সম্পদ কি কখনও মিথ্যা হতে পারে?
আজকের মিডিয়া সব থেকে বেশি প্রেমময় হবার কথা। মানব জাতির অগ্রগতি প্রেমে। আর মানব জাতির মুখপাত্র মিডিয়া। সেই মিডিয়াকে প্রেমহীন দেহের কঙ্কাল বানিয়ে রেখেছে কোন জানোয়ার? সেই জানোয়ারকে বলে দিচ্ছি, মানুষ সেরা। কারণ মানুষ তাঁর প্রেমের সাথে আপোষ করে না। এজন্যই জানোয়ার মানুষের কতৃত্ব মেনে নিতে বাধ্য হয়। হয়তো কোনো বনের কোনো জানোয়ারকে শক্তিশালি মনে হতে পারে, আর তা সাময়িক ব্যাপার মাত্র। যখন মানুষ সেই জানোয়ারের দিকে চোখ গরম করে তাকায়, তখন জানোয়ার কিছু করতে পারে না। এই শক্তি প্রেমের। প্রেম জানোয়ারকেও জয় করে নেয়। প্রেম কাউকে মারতে চায় না। তুমি আর আমিও তা চাই নি। তাইতো এতো জ্বালা সয়েও, এই আবর্জনার মধ্যে বেঁচে আছি। আমরা আমাদের প্রেম দিয়ে আবর্জনাকে কনভার্ট করে সুন্দর করে তুলেছি। আমরা আমাদেরই থাকি। কোনদিন হারাই না। যারা প্রেম করে তাঁদের সাথে কে পারবে?
আমার তুমি আছো বলেই এতো কনফিডেন্স আছে। এই কনফিডেন্স কোনো সস্তা প্রেমের ডায়ালোগ না। আসলে প্রেম কখনও সস্তা না। মানুষ যেটাকে সস্তা মনে করে সেটা কোনভাবেই প্রেম না।
তুমি শুধু দেখে যাও। আমি তোমাকে দেখানোর জন্য এতো কিছু বলি না। আমি সবার মনে প্রেমের পরশ দিয়ে দিলাম। আর সেই অবদান তোমার। আমার অবদান এটুকুই যে, তোমার পাশে থেকে, তোমাকে সেবা করতে পারবো। তোমার থেকে আমার কোনো বড় পাওয়া হতে পারে না। তুমি আমার সব। আমার অন্তর তুমি। মানুষ পলিটিক্সকে বড় ভাবে বলেই আমি ঐ রাস্তা থেকে আসতে বাধ্য হয়েছি। তা না হলে আমাকে গোনায় ধরতে চাইতো না।
তোমাকে কাছে পাবার জন্য আমি পলিটিক্স করি নি। তোমাকে পাবার জন্য তোমার প্রেমই যথেষ্ট। শুধু সামাজিক অনাচার ছিলো বলেই আমাকে এরকম ভাবে প্রকাশ করতে হয়েছিলো। যা সর্বোচ্চ পারফেক্ট।
প্রেম মানুষকে পারফেক্ট করতে বাধ্য করে। এই পারফেক্টের কাছে বাধ্য হওয়াই সত্যিকারের জীবন। আমার সব কথার থেকে তুমি অনেক বেশি দামি। আমি দামি কথা বলতে চাই না, আমি শুধু তোমাকে চাই। তুমি থাকলে সবকিছু এমনিতেই দামি হয়ে ওঠে। তুমি হৃদয়ে আছো বলেই আমি অনেক হৃদয়ে ঠাঁই পেয়েছি। তোমার আগে আমি কি নিয়ে গর্ব করার যোগ্যতা রাখি? সবার আগে তুমি তারপর অন্যকিছু। তোমি ছাড়া আমি থাকবো কোথায়? অন্যকিছু ছাড়া থাকা যায়। তুমি ছাড়া আমি থাকতে পারি না। এজন্যই আমার এই অভিযান রচিত হলো। যা মহাকালের স্থায়ী সম্পদ। এটাই সর্বকালের সেরা প্রেমকাহিনী। যার মধ্যে সবার মঙ্গল নিহিত করে রাখা আছে। আই লাভ ইউ।