![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
জনপ্রিয় উপস্থাপক ও মিডিয়া কর্মি নুরুল ইসলাম ফারুকীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে আমি আমার অন্তর থেকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি ও তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। সেই সাথে মনে পড়ছে একই এলাকায় মার্ডার হওয়া মিডিয়া কর্মি সাগর-রুনির অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা। দেখুন- মিডিয়া কর্মিদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি বেশ কয়েকবার সমস্ত মিডিয়াকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম।
এখন মিডিয়ার প্রতি আক্রমন হতে পারে। এর কারণ রাজনৈতিক। এমন কোনো ভালো আদর্শ পাওয়া যাবে না যেখানে মানুষকে মার্ডার করতে বলা হয়েছে। সব প্রকার মার্ডারই ইসলামে নিষিদ্ধ শুধু মাত্র ডিফেন্সিভ অবস্থানে থেকে দুর্ঘটনা বশত কিছু হয়ে গেলে তা ভিন্ন ব্যপার। আমাদের বাংলাদেশের এখন যে অব্স্থা তাতে মিডিয়া কর্মীদের সাবধানতা ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় দেখছি না।
মনে রাখবেন, একজন মিডিয়া কর্মিকে মেরে ফেললে মিডিয়ায় তা ফলাও করে প্রকাশ ও প্রচার হয়। আর এর ফলে দেশবাসী আতঙ্কে ভোগে। এই আতঙ্কটুকু দেবার জন্যই কোনো গোষ্টি বা দল এরকম মার্ডার গুলো করে থাকে। এসব ক্ষেত্রে পুরো দোষ সরকারকে দেয়া যাবে না।
আমি আপনাদের সাবধান করে বলেছিলাম কাওরন বাজার এলাকায় যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যার প্রমান পেয়েছেন পুরোনো এয়ারপোর্ট বিজয় স্মরনী এলাকায় সাংবাদিক অপহরন করার প্রচেষ্টা ও রাজাবাজারে ফারুকী সাহেবের নির্মম মার্ডার দেখে।
তাই আমি একটি আলাদা মিডিয়া পাড়া বা মিডিয়া ভিলেজের কথা বলছি। যেখানে এক বা একাধিক এলাকায় শুধু মিডিয়া কর্মিরা থাকবে। আর সেই এলাকার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিধান করবে সরকার। যেখানে প্লট ও ফ্লাট পাবেন শুধু মাত্র মিডিয়া কর্মিরা। উক্ত সব এলাকায় চেকপোস্ট বসানো থাকবে। যাতে কোনো অযাচিত ব্যক্তিদের হাত থেকে উক্ত এলাকা নিরাপদ থাকবে।
ঠিক এই মুহূর্ত থেকে আমি সব মিডিয়া ফেস ভ্যালু মানুষদের নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে বলছি। টিভি চ্যানেল ও মিডিয়া পাড়া কাওরন বাজার এলাকা সহ সব এলাকার সব মিডিয়া অফিসে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে থাকতে অনুরোধ করছি। দেশের বর্তমান থমথমে সময়টি খুব খারাপ। এরকম পরিস্থিতিতে যে কোনো কিছু ঘটে যেতে পারে।
সরকারকে বলছি আপনারা পুলিশ, RAB সহ অন্যান্য শান্তিরক্ষা আধা সামরিক বাহিনিকে ক্রসফায়ার ও এনকাউন্টারের অর্ডার দিয়ে দিন। যাতে সন্ত্রাসীরা সবসময় আতঙ্কগ্রস্থ থাকে ও নতুন কোনো জঙ্গি বা সন্ত্রাসী বাহিনী জন্ম নিতে না পারে।
বাংলাদেশের প্রতিটা মিডিয়াকর্মি আমাদের দেশের সম্পদ। তাঁদের রক্ষা করা আমাদের দ্বায়িত্ব। এমনিতেই দেশে প্রকৃত বুদ্ধিজিবির সংখ্যা কম তার উপরে যদি মার্ডার ও নির্জাতন চলতে থাকে তাহলে তো পুরোদেশই অকেজো হয়ে যাবে।
আজ আর কোনো গড়িমসি চলবে না। মিডিয়ার উপর আক্রমন কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। মিডিয়া কর্মিরা এক হয়ে নিজেদের একতা নিশ্চিত করুন।