নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সরল বচন

ধাতবগোলক

জন্মেছি যখন চিহ্ন রেখেই যাবো....

ধাতবগোলক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশেষ দিবসে হরর গল্পঃ"কিউট টেডি" B-))

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১

"ওয়াও!! আল্লাহ কত্ত কিউট একটা টেডি!!"



মেয়েটা বক্সটা খুলেই চেঁচিয়ে উঠলো। ছেলেটা কানে আংগুল দিল।



"ইশশ কত্ত নরম আর সুন্দর!! এত্ত গুলা থ্যাংকু বাবুটা"



বলেই চকাস করে একটা চুমু খেলো মেয়েটা তার গালে। ছেলেটা গাল মুছে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল- "পছন্দ হয়েছে?"



"পছন্দ মানে? আমি তো চিন্তাই করিনাই সত্যি-সত্যি টেডি-ডে তে তুমি আমাকে একটা টেডি দিবা!!"



সে শুকনো হাসল একটু। কেউই চিন্তা করে না।



"কত্থেকে কিনসো এটা বল না" মেয়েটা জড়িয়ে ধরে আছে পুতুলটা



"আর্চিস থেকে" নিষ্প্রাণ গলায় মিথ্যে বললো সে



"ওয়াও! কত্ত ভালো তুমি!!"



মেয়েটার চুল এলোমেলো করে দিল সে। "রোজ ডে তে দেওয়া সাতটা গোলাপ আমি যেভাবে রাখতে বলসি সেভাবে রাখসো তোমার রুমে?"



"হ্যা বাবু"



"আর চকলেট টা খেয়েছিলা রাত ঠিক বারোটায়?"



"হুম ... অনেক মজা ছিলো ... কি চকলেট ছিলো এইটা?"



"বিদেশি চকলেট। ১৪ তারিখের প্ল্যান মনে আছে তো?"



"হুম" মেয়েটা লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। বড় ভালো লাগে দেখতে।



... ...



আজ চৌদ্দ তারিখ। নিলয় তার ঘরে বিছানায় বসে আছে। গায়ে কোন কাপড় নেই তার। মেয়েটা ওয়াশরুমে গেছে। তার গায়ে অল্প অল্প ঘাম। মেয়েটার তৃপ্তিকর চিৎকার এখনো কানে বাজছে। সে ক্রুর হাসি দিল। এখন পর্যন্ত সব কিছু ঠিক ঠাক মতই হয়েছে। এই মেয়েটা বড় সহজ সরল। যা বলা তাই শুনে। ৭তারিখ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত প্রতিটা দিনের নিয়ম গুলো ধারাবাহিক ভাবে পালন করেছে মেয়েটা। এইসব রিচুয়াল গুলো পালন করতেই হয় ... কিস ডে তে অবশ্য ঠোঁট কেটে ফেলায় ভয় পেয়েছিলো। তবে এখন আর কিছু ভয় নাই। এখন শুধু রাতের অপেক্ষা!



... ...



রাত ১১টা ৫৮ মিনিট ... মিলি মেয়েটা তার রুমে বসে ফেসবুকিং করছে ... তার মনটা একটু খারাপ ... বাসায় পৌঁছে দেয়ার পর নিলয় হঠাৎ করে চুপচাপ হয়েগেছে আজ বিকাল থেকে ... তাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না ... ফেসবুকেও রিপ্লাই নাই ... মিলির মনে চাপা ভয় ... আজ নিলয়ের বাসায় তারা যা করলো তাতে তার খুব একটা ইচ্ছা ছিলো না কিন্তু সে নিলয়কে এত্তবেশি ভালোবাসে আর ছেলেটাও এত্ত ভালো সে না করতে পারে নি ...



হঠাৎ খট করে শব্দ হওয়ায় মেয়েটা বাম পাশে তাকিয়ে জমে গেলো। নিলয়ের গিফট করা টেডিটা তার পাশে বিছানার উপর দাঁড়িয়ে আছে।আশ্চর্য! এটাতো তার ড্রয়ারে ছিলো! এখানে এলো কিভাবে? তাকে মোটেও কিউট লাগছে না এখন। নিষ্প্রাণ বোতামের চোখ গুলোর নিচে মুখটা খুলে গেছে ... সেখানে এক সারি নোংরা ধারালো দাঁত ... হাতের নরম তুলো ছিড়ে নখ বের হয়ে এসেছে সেখানে শুকিয়ে যাওয়া রক্ত মাখা ...টেডিটা মেয়েটার উপর জীবন্ত প্রাণীর মত ঝাঁপিয়ে পড়তেই সে ভয়াবহ চিৎকার দিলো একটা গলা ছিড়ে...



... ...



মিলিকে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় সেদিন রাতে যখন তার রুমে আবিষ্কার করলেন তার বাবা, রক্তে ভেজা টেডিটা পরেছিলো মেয়েটার নিথর দেহের পাশেই। গভীর রাতে এলাকা এম্বুলেন্স-পুলিশের সাইরেনে সয়লাব হয়ে গেলো। এত কিছুর ভীড়ে একজন সুদর্শন ছেলে এসে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে রক্তে ভেজা টেডিটা কিভাবে সরিয়ে নিয়ে গেলো কেউ টের পায় নি।



সাদা টেডিটা টকটকে লাল হয়ে গেছে। রক্তের তৃষ্ণা মিটেছে পিচাশটার। এর আবার ‪#‎তৃষ্ণা‬ পাবে একবছর পর। তার ভেতরই ছেলেটাকে নতুন কোন শিকার খুঁজে বের করতে হবে পুতুলটার গায়ে ভর করে থাকা এই অপ-আত্মার জন্য নইলে ছেলেটাকেই মেরে ফেলবে পিচাশটা ... মজা করে ব্ল্যাকম্যাজিক প্র্যাকটিস করার মূল্য হাতে নাতে দিতে হচ্ছে তাকে...



অভিশপ্ত ছেলেটা জনশূণ্য রাস্তায় শিস দিতে দিতে হেঁটে যায়, তার এক হাতে জড়িয়ে আছে কিউট একটা লাল টেডি!!



মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: মজা পাইছি।

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

খাদিজা ফাল্গুন বলেছেন: কেমন জানি লাগলো। টেডির সাধ মেটানোর জন্যে মেয়েটারে টেডি গছায়ে দিলেই তো হইতো। আলাদা করে শুইতে হবে কেন?
কেন যে সুড়সুড়ি মিশায়ে ভালো ভালো প্লটগুলো নষ্ট করেন আপনারা...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.