নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তোমাদেরই

আশমএরশাদ

শিশিরের শব্দের মত

আশমএরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুরু করি লিফলেট আন্দোলন-শাহবাগের ভুল নিয়ে সমালোচনা পরেও করতে পারবেন।লিফলেট এর টেক্স এবং লে আউট তৈরীর আহবান।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

আমরা কি ফেসবুকের গন্ডিতে শেয়ার করবো সব? এতেই কি অপপ্রচার বন্ধ হবে? গ্রামে গঞ্জে বিভিন্ন জায়াগায় ওরা যে ভাবে লিফলেট দিতেছে । আমার দেশ গংরা যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছে সেখানে বাংলাদেশে অল্প নেট ব্যবহারকরীদের মধ্যে আমাদের সত্য তথ্য গুলা শেয়ার করে কতটা লাভ হয় সেটাতে আমার সন্দেহ হয়।

আমাদের এখন শুরু করতে হবে লিফলেট অন্দোলন- লিফলেট করতে পারি –জামাত নেতাদের নেতাদের ছেলে মেয়েকে বাংলা ইংলিশ মাধ্যমে শিক্ষিত করা নিয়ে; লিফলেট করতে পারি মওদুধীর ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ গুলা নিয়ে; লিফলেট করতে পারি গোলাম আযম গংদের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী উক্তি সমগ্র নিয়ে ; আরো বিভিন্ন ভাবে আমরা লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে এই প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধকে মাস পিপলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারি। তারা 2 তিন জন ব্লগারের কথা বলে বলে সমস্ত ব্লগারদেরকে নাস্তিক বানিয়ে ফেলছে। আমরা হাদিসের আলোকে বলতে পারি -যে মুসলমান একবারও কলেমা অথবা আল্লাহু আকবর বলেছে তাকে নাস্তিক বলা ইসলামে সম্পুর্ণ না জায়েজ- এই সমস্ত বিষয় গুলা আমাদেরকে আনাচে কানাছে ছড়িয়ে দিতে হবে ।



শাহবাগের মোড়ে এবং ফেসবুক ব্লগের সিমীত গন্ডিতে এটাকে রাখলে আন্দোলনকে শত্রুরা ভিন্নখাতে নিয়ে যাবে । তারাওতো বসে নেই ; 17 দিন ধরে তারা ভেবেছে এই আন্দোলনে কিভাবে কালিমা লেপন করা যায়। যেই ভাবা সেই কাজ। তারা নিয়ে এনেছে সেই পুরনো অস্ত্র। ধর্ম নিয়ে আঘাত করলেই বাংলাদেশে কেল্লাফতে। লালসালুর মজিদেরা জানে “ঐ মিয়া দাড়ি কই” বললেই তরুনদের উদ্যোগ থেমে যায়। চুপসে যায়। আসুন এবার শুরু করি লিফলেট আন্দোলন- সেটা মেগা সিটিতে নয় ; সেটা ইউনিয়নে ,ইউনিয়নে। আমরা প্রত্যেকে এক হাজার করে লিফলেট করতে পারি; লিফলেটের কন্টেন্ট লে আউট বানিয়ে শেয়ার করতে পারি। আমি সময়ের অভাবে একটা ভালো লিফলেট বানাতে পারছি না। কেউ আমাকে ভালো কন্টেন্ট সাজিয়ে দিলে আমি শুরু করবো। লিফলেট গুলা হতে হবে কম কথায় বেশী আবেদনের, অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সত্য উচ্চারণ। পিসির সামনে বসে থাকার সময় নয় এখন। এখন সময় নয় শাহবাগ নিয়ে, তার সংশয় নিয়ে, তার ফল্ট নিয়ে সংশয়বাদীতা নিয়ে জ্ঞান জাহিরের। এ সব নিয়ে পরেও করা যাবে। এই যুদ্ধে হারলে কেমন হবে ভাবুন? ওরা আসছে মরণ কামড় নিয়ে। আমরা শ্লোগান দিচ্ছি আর ওরা প্রেক্টিকেলী সেই জবাই শুরু করে দিয়েছে । সবচেয়ে দরকার জনমত তৈরী। তাদের অপপ্রচারে জনমতের যে নাড়া সেটাকে এখন সংহত হতে হবে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০২

নায়করাজ বলেছেন: এই লিংকটা থেকে সহায়তা পাবেন।

জামাত শিবিরের অর্থনৈতিক শক্তি ভেঙ্গে দেন। ওদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বয়কট করুন। ওদের প্রতিটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানুন। ওদের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করবেন না। বরং বিনিয়োগ বা অংশীদারিত্ব থাকলে প্রত্যাহার করুন। ইসলামী ব্যাংক থেকে সকল টাকা তুলে নিন। আপনার টাকা দিয়ে ওদের দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালাতে দেবেন না।

নিচের লিংকে গিয়ে লেখাটা কপি/পেস্ট করুন। শেয়ার করুন, ছড়িয়ে দিন। সবার সামনে ওদের মুখোশ খুলে দিন। জামাত শিবির পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য পাবেন এখানে : Click This Link

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

নায়করাজ বলেছেন: এই পোস্টগুলো থেকে হেল্প নিতে পারেন।

ইসলামের সেবক বলে দাবীদার জামায়াত শিবির রাজাকার যুদ্ধাপরাধী চক্রের মিথ্যার বেসাতি পাবেন নিচের লিংকে। তাদের মিথ্যার বেসাতি দেখে অবাক হয়ে যাবেন।

Click This Link


ইসলামের সেবক বলে দাবীদার জামায়াত শিবিরের নেতা মওদুদীর ভ্রান্ত আকিদা সম্পর্কে বলেছেন বিভিন্ন আলেম উলামাগণ। সরাসরি নিচের লিংকে চলে যান : Click This Link

জামাতে ইসলাম প্রকৃত ইসলাম নয়। বিস্তারিত পাবেন এখানে : Click This Link


ইসলামের কোথায় লেখা আছে গণহত্যাকারী, গণধর্ষণকারী, লুণ্ঠনকারীদের বিচার চা্ওয়া যাবে না ?

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

আশমএরশাদ বলেছেন: @ নায়ক ভাই ধন্যবাদ
আমি চাইতেছি এ৪ সাইজের ভালো কন্টেন্ট সমৃদ্ধ একটা লিফলেট যেটা আমি প্রিন্ট করবো।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

নায়করাজ বলেছেন: লিফলেটে নিচের পয়েন্টগুলো রাখতে পারেন।

ক) কেন গণজাগরণ মঞ্চ ?

উত্তর : গণহত্যা, গণধর্ষণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের দায়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে।

খ) কী বলছে গণজাগরণ মঞ্চ ?

উত্তর : গণজাগরণ মঞ্চ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে।

৬টি আলটিমেটাম:

১) ঘাতক জামাত শিবিরের হামলায় শহীদ রাজীব হায়দার, জাফর মুন্সী, বাহাদুর মিয়া, কিশোর রাসেল মাহমুদ হত্যাকান্ডে জড়িতদের আগামী ৭দিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।
২) ২৬ শে মার্চের পূর্বে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক সন্ত্রাসী জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যায় নেতৃত্বদানকারী জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সুশোধনী আইনের অধীনে অভিযোগ গঠন এবং নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
৩) অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধী সংগঠনগুলোর আর্থিক উৎস, যেসব উৎস থেকে সকল প্রকার জঙ্গিবাদী, এবং দেশবিরোধী তৎপরতার আর্থিক জোগান দেয়া হয়, সেগুলো চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
৪) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া গতিশীল ও অব্যহত রাখতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালকে স্থায়ী রূপ দিতে হবে।
৫) গণমানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস ও তান্ডব বন্ধে অবিলম্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সকল সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ গোপন আস্তানা সমূহ উৎখাত করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এদের ভয়ংকর রূপ প্রকাশ করে দিতে হবে।
৬) যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষক এবং হত্যা ও সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতা গণমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।

গ) এটা কি ধর্মবিরোধী আন্দোলন ?
উত্তর : না, ৬ দফার কোথাও ধর্ম বিরোধী কিছুই বলা হয় নি। এমনকি প্রতিদিন গণজাগরণ মঞ্চ থেকে বলা হচ্ছে এটা কোন ধর্ম বিরোধী আন্দোলন নয়।

ঘ) জামাত শিবির যে বলে এটা ধর্মবিরোধী আন্দোলন ?

উত্তর : ১৯৭১ সালে খুন, ধর্ষণ, লুটসহ সকল অপরাধের সময়েও জামাত-শিবির মুক্তিযোদ্ধাদের নাস্তিক, ধর্মবিরোধী, ভারতের দালাল এবং দুস্কৃতিকারী বলত। এটা তাদের মিথ্যা অপপ্রচার। এখন তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করার জন্য ব্লগারদের নামে মিথ্যাচার করছে।

ঙ) জামাত তো একটি ইসলামী দল ?

উত্তর : না, জামাত কোন ইসলামী দল নয়। এরা ধর্ম ব্যবসায়ী দল। এদের নেতা আবুল আলা মওদুদী ইসলাম বিরোধী কথাবার্তা বলেছেন। এরা কেবল একটা ফেতনা ছাড়া আর কিছু নয়। জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী ইসলাম বিরোধী কথাবার্তা বলতেন। তার কিছু নমুনা : ১. মওদুদী বর্ণিত ইসলামে আল্লাহ পাক সম্পর্কে ভ্রান্ত আক্বীদাঃ
“যে ক্ষেত্রে নর-নারীর অবাধ মেলামেশা, সেক্ষেত্রে যেনার কারণে (আল্লাহ পাকের আদেশকৃত) রজম শাস্তি প্রয়োগ করা নিঃসন্দেহে জুলুম।” (নাঊযুবিল্লাহ)। - (তাফহীমাত, ২য় খণ্ড, ২৮১ পৃষ্ঠা)।

২. মওদুদী বর্ণিত ইসলামে ফেরেশতা সম্পর্কে ভ্রান্ত আক্বীদাঃ
“ফেরেশতা প্রায় ঐ জিনিস যাকে গ্রীক, ভারত ইত্যাদি দেশের মুশরিকরা দেবী-দেবতা স্থির করেছে।” (নাঊযুবিল্লাহ) - (তাজদীদ ও ইহইয়ায়ে দ্বীন, ১০ পৃষ্ঠা)।

৩. মওদুদী বর্ণিত ইসলামে নবীদের সম্পর্কে ভ্রান্ত আক্বীদাঃ কয়েকটি উদাহরণ -
৩.১. আম্বিয়া আলাইহিমুছ ছালাত ওয়াস সালাম সম্পর্কে কুফরী আক্বীদাঃ “নবীগণ মা’ছূম নন। প্রত্যেক নবী গুনাহ করেছেন।” (নাঊযুবিল্লাহ)। - (তাফহীমাত, ২য় খণ্ড, ৪৩ পৃষ্ঠা)।

৩.২. হযরত মুসা আঃ সম্পর্কে কুফরী আক্বীদাঃ
৩.২.১. যে নিজের অধীনতদের নির্দেশ দেয়া ছাড়াই মার্চ করতে করতে চলে যায়, আর পিছনে জংলার অগ্নির মত বিজিত এলাকায় বিদ্রোহ ছড়িয়ে যায়। (নাউজুবিল্লাহ)।-(রেসালায়ে তরজুমানুল কুরআন-২৯/৪-৫)।

৩.২.২. “নবী হওয়ার পূর্বে মুসা আলাইহিওয়াস সাল্লাম দ্বারা একটি বড় গুনাহ হয়েছিল। তিনি এক ব্যাক্তিকে কতল করেছিলেন।” - (রাসায়েল ও মাসায়েল, ১ম খণ্ড, ৩১ পৃ.)।

৩.৩. হযরত দাউদ আঃ সম্পর্কে কুফরী আক্বীদাঃ
৩.৩.১. হযরত দাউদ আঃ তার এলাকার ইসরাইলীদের সাধারণ রেওয়াজের বশবর্তী হয়ে উরিয়ার কাছ থেকে তালাকের আবেদন করেন। (নাউজুবিল্লাহ)। - (তাফহীমাত-২/৪২, দ্বিতীয় প্রকাশ, তাফহিমুল কোরআন (উর্দু):৪র্থ খণ্ড, সুরা সাদ, ৩২৭ পৃ. ১ম সংস্করণ, অক্টোবর ১৯৬৬ইং)।

৩.৩.২. হযরত দাউদ আঃ যে কাজটি করেছিলেন তাতে প্রবৃত্তির কামনার কিছু দখল ছিল, শাসন ক্ষমতার অসংগত ব্যবহারের সাথেও তার কিছু সম্পর্ক ছিল, এবং তা এমন কোন কাজ ছিল যা কোন ন্যায়নিষ্ঠ শাসকের জন্য শোভনীয় ছিল না। -(তাফহীমুল কুরআন-১৩/৯৫, আধুনিক প্রকাশনী, ১১শ প্রকাশ)

৩.৪. হযরহ আদম আলাইহিওয়াস সাল্লাম সম্পর্কে কুফরী আক্বীদাঃ “হযরহ আদম আলাইহিওয়াস সাল্লাম মানবিক দূর্বলতায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি শয়তানী প্রলোভন হতে সৃষ্ট তরিৎ জযবায় আত্মভোলা হয়ে নিজ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ফলে আনুগত্যের উচ্চ শিখর হতে নাফারমানীর অতল গহ্বরে গিয়ে পড়েন।” - (তাফহিমুল কোরআন (উর্দু): ৩য় খণ্ড, ১২৩ পৃ.)

৩.৫. হযরত নূহ আলাইহিওয়াস সাল্লাম সম্পর্কে কুফরী আক্বীদাঃ “হযরত নূহ আলাইহিওয়াস সাল্লাম চিন্তাধারার দিক থেকে দ্বীনের চাহিদা হতে দূরে সরে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে জাহিলিয়াতের জযবা স্থান পেয়েছিল।” - (তাফহিমুল কোরআন: ২য়খণ্ড, ৩৪৪ পৃ. ৩য় সংস্করণ, ১৯৬৪ ইং)।

৩.৬. হযরত ইব্রাহীম আলাইহিওয়াস সাল্লাম সম্পর্কে কুফরী আক্বীদাঃ “এখানে আর একটি প্রশ্নের উদ্রেক হয় যে, হযরত ইব্রাহীম আলাইহিওয়াস সাল্লাম যখন নক্ষত্র দেখে বলেছিলেন, এটা আমার প্রতিপালক এবং চন্দ্র-সূর্য দেখে এগুলোকেও নিজের প্রতিপালক হিসাবে আখ্যা দিয়েছিলেন, তখন সাময়িকভাবে হলেও কি তিনি শিরকে নিপতিত হননি?” - (তাফহিমুল কোরআন ১মখণ্ড, ৫৫৮ পৃ.)।

৩.৭. হযরত ইউসুফ আলাইহিওয়াস সাল্লাম সম্পর্কে কুফরী আক্বীদাঃ ‘আমাকে মিসরের রাজকোষের পরিচালক নিয়োগ করুন’- এ কথাটি বলে শুধু অর্থমন্ত্রী হওয়ার জন্যই প্রার্থনা করেননি। কারো কারো ধারনা, বরং তিনি এ বলে ডিকটিটরীই চেয়েছিলেন মৌলিকভাবে। এরই ফলশ্রুতিতে বর্তমান ইতালীর মুসোলিনির যে মর্যাদা তিনিও এর কাছাকাছি মর্যাদার অধিকারী হয়েছিলেন।” -
(তাফহীমাত: ২য় খণ্ড, ১২২ পৃ. ৫ম সংস্করন এবং নির্বাচিত রচনাবলী (বাংলা) ২য় খণ্ড, ১৫১ পৃ, আধুনিক প্রকাশনী, ১ম সংস্করন ১৯৯১ইং)।

৩.৮. হযরত ইউনুস আলাইহিওয়াস সাল্লাম সম্পর্কে কুফরী আক্বীদাঃ “হযরত ইউনুস আলাইহিওয়াস সাল্লাম এর দ্বারা রিসালাতের দায়িত্ব আদায় করার ব্যাপারে কিছু ত্রুটি হয়ে গিয়েছিল। সম্ভবত তিনি ধৈর্যহারা হয়ে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই আপন স্থান ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন।” -(তাফহিমুল কোরআন: ২য়খণ্ড, সূরা ইউনুস (টিকা দ্রষ্টব্য) ৩য় সংস্করণ, ১৯৬৪ ইং)।

৩.৯. হযরত ঈসা আলাইহিওয়াস সাল্লাম সম্পর্কে কুফরী আক্বীদাঃ “হযরত ঈসা আলাইহিওয়াস সাল্লাম মারা গেছেন একথাও বলা যাবেনা, বরং বুঝতে হবে ব্যাপারটি অস্পষ্ট।” -(তাফহিমুল কোরআন ১মখণ্ড (সুরা নিসা), ৪২১ পৃ.)।

৩.১০. মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ
৩.১০.১. “আল্লাহ তা’য়ালার নিকট কাতর কন্ঠে এই আবেদন করুন, যে কাজের দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হয়েছিল তা সম্পন্ন করার ব্যাপারে আপনার দ্বারা যে ভুল ত্রুটি হয়েছে কিংবা তাতে যে অসম্পূর্ণতা রয়ে গেছে তা যেন তিনি ক্ষমা করে দেন।” - (তাফহিমুল কোরআন (বাংলা) ১৯শ খণ্ড, ২৮০পৃ. মুদ্রনেঃ ওরিয়েন্টাল প্রেস, ঢাকা ১৯৮০ ইং এবং কোরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা (বাংলা) ১১২পৃ. ৮ম প্রকাশ, আধুনিক প্রকাশনী: জুন ২০০২)।

৩.১০.২. “মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানবিক দূর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। অর্থাৎ তিনি মানবিক দূর্বলতার বশীভূত হয়ে গুনাহ করেছিলেন।” - (তরজমানুল কোরআন ৮৫ তম সংখ্যা, ২৩০পৃ. ও তরজমানুস্ সুন্নাহ, ৩য় খণ্ড, ৩০৫ পৃষ্ঠা)।

৩.১০.৩. “মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে মনগড়া কথা বলেছেন এবং নিজের কথায় নিজেই সন্দেহ পোষণ করেছেন।” -(তরজমানুল কোরআন, রবিউল আউয়াল সংখ্যা, ১৩৬৫ হিজরী)।

৩.১০.৪. হযরত মুহাম্মদ (সা.) রিসালাতের দায়িত্ব পালনে ত্রুটি করেছেন, তাকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।-(তাফহীমুল কুরআন, সুরায়ে নসর এর তাফসীর)।

৪. সাহাবা কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম সম্পর্কে ভ্রান্ত আক্বীদাঃ
ইসলাম বলে–
ক) আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বিদা হল-সাহাবায়ে কেরাম সমলোচনার উর্দ্ধে। তাদের দোষ বর্ণনা করা হারাম ও কবিরা গুনাহ”। -(শরহুল আকায়েদ পৃষ্ঠা ৩৫২)।
খ) মহান রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করিয়াছেন -আমি তাদের (সাহাবাদের)প্রতি সন্তুষ্ট আর তারাও আমার অনুগত। -(সূরা তাওবা-১০০)।
গ) রাসূল সাঃ সাহাবাদের সম্পর্কে বলেন -আমার সাহাবীরা তারকাতুল্য। তোমরা যারই অনুসরণ করবে হেদায়েত পেয়ে যাবে। -কানুযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১০০২, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-২৪৩৫৫)।

মওদুদী বলে-
ক) “সাহাবায়ে কেরাম সমলোচনার বাহিরে নন। তাদের দোষ বর্ণনা করা যায়। সাহাবাদের সম্মান করার জন্য যদি ইহা জরুরী মনে করা হয় যে, কোনভাবেই তাদের দোষ বর্ণনা করা যাবে না তবে আমার (মওদুদী) দৃষ্টিতে ইহা সম্মান নয় বরং মূর্তি পূজা। যার মূলোৎপাটন এর লক্ষ্যেই জামাতে ইসলামীর জন্ম”। -(তরজুমানুল কুরআন ৩৫শ’ সংখ্যা, পৃষ্ঠা ৩২৭)।
খ) “সাহাবায়ে কিরাম অনেকে মনগড়া হাদিস বর্ণনা করেছেন।” -(তরজমানুল কোরআন ৩৫ সংখ্যা) ঙ/৩)।
গ) “সাহাবাদের মধ্যে জাহেলিয়াতের বদ-স্বভাবের পুনরাবৃত্তি ঘটে।” -(তাফহীমাত ২য় খণ্ড, ১৫৫ পৃষ্ঠা)।
ঘ) “হযরত আবু বকর রাযিয়াল্লাহু আনহু খিলাফতের দায়িত্ব পালনে সম্পুর্ণ অযোগ্য ছিলেন”। -(তাজদীদ ও ইয়াহইয়ায়ে দীন: পৃষ্ঠা ২২,)।
ঙ) “নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওফাতের সময় ব্যাক্তিসম্মানের কু-মনোবৃত্তি হযরত উমর (রঃ)কে পরাভূত করেছিল। -(তরজুমানুল কুরআন, রবিউস সানি ৩৫৭ হিজরী)।
চ) “হযরত উসমান রাযিয়াল্লাহু আনহু এর মাঝে সজন-প্রীতির বদগুণ বিদ্যমান ছিল। -(খেলাফত ও মুলকিয়াত, পৃষ্ঠা ৯৯)।
ছ) “হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু স্বীয় খেলাফতকালে এমন কিছু কাজ করেছেন যাকে অন্যায় বলা ছাড়া উপায় নেই।-(খেলাফত ও মুলকিয়াত, পৃষ্ঠা ১৪৬/১৪৩)।
জ) “হযরত মুয়াবিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহু স্বার্থবাদী, গনিমতের মাল আত্মসাৎকারী, মিথ্যা সাক্ষ্যগ্রহকারী ও অত্যাচারী ছিলেন”। -(খেলাফত ও মুলকিয়াত, পৃষ্ঠা ১৭৩)।

৫. পবিত্র কুরআন শরীফ সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ কোরআন করিম হেদায়েতের জন্য যথেষ্ট, কিন্তু নাজাত বা মুক্তির জন্য নয়।” -(তাফহিমাত, ১ম খণ্ড, ৩১২ পৃষ্ঠা)।

৬. হাদীস সম্পর্কে মওদুদীর ঔদ্ধত্বপূর্ণ বক্তব্যঃ “হাদীস কিছু লোক থেকে কিছু লোক পর্যন্ত অর্থাৎ মানুষের মুখে মুখে বর্ণিত হয়ে আসছে। এসবকে বড়জোর সঠিক বলে ধারণা করা যেতে পারে কিন্তু দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করার কোন অবকাশ নেই। আর একথা স্পষ্ট যে, আল্লাহর দীনের যে সকল বিষয় এতো গুরুত্বপূর্ণ যে, এগুলোর দ্বারা ঈমান ও কাফেরের মাঝে পার্থক্য নির্ণীত হয় সেগুলো গুটিকয়েক লোকের বর্ণনার উপর নির্ভর করে মানুষকে বিপদগ্রস্ত করা আল্লাহ তায়ালা কখনো পছন্দ করতে পারেন না।” -(রাসায়েল ও মাসায়েল, ৬৭ পৃষ্ঠা)।

৭. মওদূদীর পবিত্র ইসলাম বিরোধী কয়েকটি ভ্রান্ত মতবাদঃ

৭.১. পোশাক পরিচ্ছদ, চাল-চলন ইত্যাদি সম্পর্কেঃ
ইসলাম বলে -ইসলামী পোশাক-পরিচ্ছদ-প্রকৃতি চাল-চলন ইত্যাদি গ্রহণ করবে। এসব ব্যাপারে বিধর্মীদের অনুকরণ করবে না। (এমদাদুল মুফতিয়ীন, ২য় খণ্ড, ১৫৪ পৃষ্ঠা)।

মওদুদী বলে -“পোশাক পরিচ্ছদ, চাল-চলন, আকৃতি-প্রকৃতি চুল কার্টিং ইত্যাদির ব্যাপারে বিধর্মীদের অনুকরণ করতে কোন দোষ নেই”। -(তরজুমানুল কুরআন, ছফর সংখ্যা, ১৩৬৯ হিজরী)।

৭.২. দাড়ি কাটা ও রাখা ইত্যাদি সম্পর্কেঃ
ইসলাম বলে –
ক) ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-তোমরা গোফ খাট কর আর দাড়ি লম্বা কর। -(তিররমিযী শরীফ, হাদিস নং-২৭৬৩)।
খ) এছাড়া অন্য হাদিসে এসেছে -পুরুষদের স্বাভাবিক প্রকৃতি হল সে তার দাড়ি লম্বা রাখবে। -(আবু দাউদ শরীফ, হাদিস নং-৫৩)।
গ) দাড়ি লম্বা করার কথা হয়েছে হাদিসে। কাটার কথা কোথাও নেই। তাই সাহাবায়ে কিরামের আমলই আমাদের একমাত্র ভরসা এই ক্ষেত্রে যে, দাড়ি কতটুকু বড় রাখতে হবে? মুসান্নাফে ইবনে শাইবাতে এসেছে-হযরত ইবনে ওমর রা. এর আমল ছিল-তিনি দাড়ি এক মুষ্টি পরিমাণ রাখতেন। সুতরাং দাড়ি এক মুষ্টি পরিমাণ রাখা ওয়াজিব। এর চে’ কম দাড়ি রাখা আর চেছে ফেলার মাঝে কোন পার্থক্য নাই। যেমন জোহরের ফরজ নামায চার রাকাত। দুই রাকাত সারা জীবন পড়লেও যেমন জোহর কোনদিনও আদায় হবেনা। তেমনি এক মুষ্টির কম দাড়ি রাখলে তা কোনদিনও দাড়ি রাখা বলে সাব্যস্ত হবেনা।

মওদুদী বলে -“দাড়ি কাটা ছাঁটা জায়িয। কেটে ছেঁটে এক মুষ্টির কম হলেও ক্ষতি নেই। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে পরিমাণ দাড়ি রেখেছেন সে পরিমাণ দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলা এবং এর অনুসরণে জোর দেয়া আমার মতে মারাত্মক অন্যায়”। -(রাছায়েল মাছায়েল, ১ম খণ্ড, ২৪৭ পৃষ্ঠা)।

৭.৩. সুন্নতে রাসূল সম্পর্কে মওদুদীর ভ্রান্ত মতবাদঃ
ইসলাম বলে –হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদত,আখলাক ও স্বভাব-চরিত্র আমাদের অনুকরণের জন্য উত্তম নমুনা বা সুন্নত। মহান রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন-তোমাদের জন্য নবীজীর মাঝে রেখেছি উত্তম আদর্শ। (সূরা আহযাব, আয়াতঃ ২১, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৫৪৪)।

মওদুদী বলে -“হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদত, আখলাককে সুন্নত বলা এবং তা অনুসরণে জোর দেয়া আমার মতে সাংঘাতিক ধরনের বিদয়াত ও মারাত্মক ধর্ম বিকৃতি। -(রাছায়েল মাছায়েল, ২৪৮ পৃষ্ঠা)।

৭.৪. দ্বীনের আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভ্রান্ত মতবাদঃ
ইসলাম বলে -দ্বীনের আসল মকছুদ নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি কায়েম করা। ইসলামী হুকমত উক্ত মকছুদ অর্জনে সহায়ক। -(শরহুল আকায়েদ, ৩০৪ পৃষ্ঠা)।

মওদুদী বলে -“দ্বীনের আসল মকছুদ হলো ইসলামী হুকুমত। নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি সমস্ত ইবাদত হলো উক্ত মকছুদ অর্জনের মাধ্যম”। -(আকাবেরে উম্মত কী নজরমে, ৬৪ পৃষ্ঠা)।


চ) জামাত শিবির সম্পর্কে আলেমদের মতামত কী ?

উত্তর : মুফতীয়ে আজম, মাওলানা ফয়জুল্লাহ সাহেব (রহ.)
১৩৮৬ হিজরী সনের ৫ই জিলকদ এক লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মওদূদী ফাসেকী চিন্তাধারা ও ফাসেকী আকীদাসম্পন্ন একজন ব্যক্তি। তাঁর লেখনী ও বক্তৃতার মধ্যে শুধু সলফে সালেহীন, সাহাবায়ে কিরাম, তাবেঈন, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন, আওলিয়ায়ে কিরামদের সম্পর্কে অত্যন্ত বাজে কথা আছে। একারনে তাদের থেকে দূরে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা ফাসেক। আর ফাসেকের পেছনে নামাজ আদায় করা মাকরূহে তাহরিমী। এই মন্তব্যে স্বাক্ষর প্রদান করেছেন মাওলানা আব্দুল ওয়াহাব, মুহতামিম, দারুল উলুম হাটহাজারী, মাওলানা আব্দুর রহমান, মুহাদ্দিস, মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, মুহাদ্দিস, জিরি মাদ্রাসা, মাওলানা শামসুল হক, মুহাদ্দিস, মাদরাসায়ে আলীয়া, ফেনী, মাওলানা আব্দুল হামিদ ও মুফতী আহমদ শফী সাহেব, হাটহাজারী মাদ্রাসা, মাওলানা আব্দুল জলিল, মুহতামিম, কাছেমুল উলুম চারিয়া।
সূত্র: জামায়াতে ইসলামী ছে মুখালেফাত কিউ? :১১৯

আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী (রহ.)
সম্মানিত আলেমে দ্বীন, বাঙলার কৃতী সন্তান মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী (রহ.) এর পরিচয় নতুন করে দেয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি সর্বজন সম্মানিত একজন আলেম। ইসলামের বৃহত্তর স্বার্থে তিনি দীর্ঘদিন জামায়াতে ইসলামীর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখেন। হাজার হাজার লোক তাঁর দেখাদেখি দেখে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন। অতঃপর জামায়াত-শিবিরের প্রকৃত রূপ তাঁর সামনে উন্মোচিত হয়। তৎক্ষণাৎ তিনি জামায়াত ছেড়ে দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভন্ডামীর কথা জাতির সামনে উন্মোচিত করেন। তিনি জাতিকে মওদূদী ফিতনার ভয়াবহতা থেকে সতর্ক করার জন্য অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত ও প্রামান্য গ্রন্থ ‘ভুল সংশোধন’ রচনা করেন। এই বই লেখার কারন কী? এর জবাবে তিনি বলেন, যে কেও একজন মুসলমানের উপর আঘাত হানবে, সে হামলা প্রতিরোধের জন্য যেই মুসলমান পাশে দাঁড়াবে, আল্লাহ তাঁর জন্য দোজখের আগুন হারাম করে দেবেন। একজন সাধারণ মুসলমানের বেলায় এরূপ বলা হয়েছে। সাহাবীদের মর্যাদা একজন সাধারণ মুসলমানের চেয়ে অনেক বেশি। একজন সাহাবীর উপর কেও মিথ্যা কুৎসা রটানো অথবা যেকোনো উপায়ে হামলা করলে যে ব্যক্তি তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, আল্লাহর কাছে তাঁর ফজিলত আরও বেশি। এ ফজিলতের সওয়াব হাসিল করা আমার অন্যতম উদ্দেশ্য। মওদূদী সাহেব যদি তাঁর কৃতকর্মের কথা নিজে না স্বীকার করেন, তাহলে তাঁর গঠিত দলে যোগদান করা জায়েজ হয় কিভাবে? অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের স্বীয় অপকর্ম স্বীকার না করেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো মুসলমানের জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করা জায়েজ হবে না। যারা সাহাবীদের দোষ চর্চায় লিপ্ত, তাদের পেছনে নামাজ আদায় করা নাজায়েজ।
সূত্র: ভুল সংশোধন

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের প্রাক্তন খতিব মাওলানা মুফতী আব্দুল মুয়ীজ সাহেব(রহ.)
মওদূদী সাহেব প্রকৃতপক্ষে কোনো আলেম নন। কোরআন ও হাদীস সম্পর্কে কোনো সঠিক জ্ঞান তাঁর নেই। দ্বীনের আকায়েদের অপব্যাখ্যা করে মুসলিম সমাজকে গোমরাহ করাই তাঁর মূল লক্ষ্য। তাঁর প্রবর্তিত ফিতনা থেকে দূরে থাকা সকল মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব।
সূত্র: মওদূদীর নতুন ইসলাম

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের সাবেক খতীব মাওলানা ওবায়দুল হক (রহ.)
একথা সত্য যে, নিজের মধ্যে হাজারো দোষত্রুটি থাকা ষত্বেও অন্য কোনো ব্যক্তি বা তাঁর কাজকে সমালোচনার বস্তবে পরিণত করা ঠিক নয়। তথাপি তাঁর ভ্রান্তিপূর্ণ পুস্তকাদি দ্বারা সাধারণ ও নব্য শিক্ষিত লোকদের মধ্যে গোমরাহী বিস্তার লাভ করছে এমন মুহূর্তে হক কথা না বলে চুপ করে থাকাও অপরাধ। সাধারণত যখন এবিষয়ে মতামত চাওয়া হয়, তখন নিরবতা অবলম্বন করলে কিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। প্রশ্ন উঠতে পারে, এব্যাপারে তো অনেক পুস্তকই প্রকাশিত হয়েছে। আরো কি দরকার? জবাব হলো প্রত্যেক পুস্তকেরই বিশেষ বৈশিষ্ট থাকে যা অন্যটায় পাওয়া যায়না। তাছাড়া যখন মওদূদীর পুস্তকাদী সংগঠিত জামায়াতে ইসলামীর মাধ্যমে সদা-সর্বদা প্রকাশিত হয়ে চলেছে এবং সেগুলো কর্মীদের অবশ্যকীয় পাঠ্যসূচীতে বেঁধে দেয়া হচ্ছে তখন সাময়িক ভাবে কিছু পুস্তকাদি বা বিবৃতি প্রকাশ করেই এর মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। কারন গুটিকয়েক দিনে এগুলো নিঃশেষ হয়ে যাবে। ধীরে ধীরে। তাই ক্রমাগত সতর্কতা স্বরূপ ব্যাপক পর্যায়ের কর্মসূচী গ্রহন করা প্রত্যেক হক্কানী আলেমের ঈমানী দায়িত্ব।
তিনি দৈনিক যুগান্তরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এই বিষয়ে আমাদের সকল হক্কানী আলেম একমত যে, মওদূদী তাঁর তাফসীর ও বিভিন্ন গ্রন্থে এমন সব মন্তব্য করেছেন, যা সাধারণ ইসলামী মতবাদ কখনই সমর্থন করেনা। যা আমরা কখনই সমর্থন করিনি, এখনও করছিনা।
সূত্র: মওদূদী ফিতনা, দৈনিক যুগান্তর: ১২-১২-০৩ ইং

শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক(রহ.)
বাঙলা ভাষায় অনূদিত বোখারী শরীফের সপ্তম খন্ডের পরিশিষ্টে তিনি বলেন, আবুল আ’লা মওদূদী ও তাঁর দল জামায়াতে ইসলামীকে খারেজীদের অনুরূপ একটি ফেরকা হিসেবে দেখা যায়। তারা সাহাবায়ে কিরাম, পূর্বাপর মুসলিম মনীষীবৃন্দ ও হক্কানী আলেমদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেছেন। তিনি মুসলিম সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করেছেন।
সূত্র: বোখারী শরীফের বঙ্গানুবাদের সপ্তম খন্ডের পরিশিষ্ট

আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব, মহাপরিচালক, হাটহাজারী মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম।
জামায়াত-শিবিরের সাথে আমাদের বিরোধ কোনো রাজনৈতিক বিরোধ নয়, এই বিরোধ আকীদাগত। এতে বিশ্বের সকল হক্কানী আলেম একমত। আমরা বহুবার মওদূদীপন্থী তথা জামায়াত-শিবিরের ধারক-বাহকদের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকীদা পরিপন্থী লিখাসমূহ পরিহার করে বাংলাদেশের মতো শান্তিকামী মুসলিম জনগোষ্ঠীর কাতারে আসার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তারা বারবার ঐক্যের ডাক দিয়েও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকীদা পরিপন্থী মত ও পথ অনুসরন করে নবী-রাসূল, সাহাবা প্রেমিকদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি করে অনৈক্য বাড়িয়েই চলেছে। আমরা তাদের এহেন ধৃষ্টতামূলক আচরনের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নায়েবে রাসূল হিসেবে হক কথা বলা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।
সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব, ৯ই অক্টোবর ২০০৩ ইং

হযরত সুলতান আহমদ নানুপুরী সাহেব (রহ.)
নিশ্চয়ই মওদূদীবাদ একটি ভ্রান্ত মতবাদ। তারা সাহাবায়ে কিরামদের সত্যের মাপকাঠি মনে করেনা। আর তাদের পুস্তকের দ্বারা কোরআনের আয়াতেরও অস্বীকার করা হয়। তারা নবীদের শানেও বেয়াদবী করেছে।
সূত্র: মওদূদীর তাফসীর ও চিন্তাধারা

মাওলানা আহমদ সাহেব (রহ.), পটিয়া
মওদূদী সাহেব আম্বিয়ায়ে কিরাম, সাহাবায়ে কিরাম, আকাবীরে দ্বীন ও মুজাদ্দিদে দ্বীনের সমালোচনা করে আপন পুস্তকাদি কালো করে দিয়েছে। আল্লাহই ভালো জানেন, কিয়ামতের দিন তাঁর হাশর কার সাথে হবে। মওদূদীপন্থীদের উচিৎ স্বীয় আকীদাসমূহকে ঠিক করা এবং লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে খালেস দিলে তাওবা করা।
সূত্র: মওদূদীর তাফসীর ও চিন্তাধারা

আল্লামা নূরুল হক সাহেব, শাইখুল হাদীস, জিরি মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম
মওদূদীবাদ ভ্রান্ত হওয়ার দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য একটি ফেরকা। ইসলামের মুখোশ পড়ার কারনে সাধারণ মানুষ তাদের দলে চলে যাচ্ছে।
সূত্র: মওদূদীর তাফসীর ও চিন্তাধারা

আল্লামা হারুন ইসলামাবাদী(রহ.), পটিয়া
নবীগন নিষ্পাপ, এক্ষেত্রে মওদূদী সাহেব ভ্রান্ত মতবাদ পেশ করেছেন। তাঁর অনুসারীরা ভুল পথে অগ্রসর হচ্ছে।
সূত্র: মওদূদীর তাফসীর ও চিন্তাধারা

মুফতী আহমুদুল হক, মুফতীয়ে আজম, দারুল উলুম হাটহাজারী
বর্তমানের মওদূদী ফিতনা পূর্বেকার খারেজীয় মু’তাজিলা ফিতনার চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।
সূত্র: ফতোয়ায়ে দারুল উলুম হাটহাজারী

ফখরে বাঙ্গাল মাওলানা তাজুল ইসলাম (রহ.)
আমি মওদূদীবাদ তথা জামায়াত-শিবির সম্পর্কে হাটহাজারী মাদ্রাসার মুফতী ফয়জুল্লাহ সাহেবের মন্তব্যকে সমর্থন করি। প্রকৃতপক্ষে মওদূদী ফিতনা কাদীয়ানী ফিতনার চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।
“ঘোর কুয়াশা দূর হলে দেখিবে পরিস্কার
ঘোড়ায় তুমি সওয়ার কী গাধাতে সওয়ার।”
সূত্র: মওদূদী ফিতনা -৩৫ স্বাক্ষর সহ ১৩-১১-১৩৮৬ হিজরি

হযরত মাওলানা ইউনুস সাহেব (রহ.)
মওদূদী জীবিত অবস্থায়ই উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত আলেমগন বারবার সতর্ক করেছেন। যখন সে তাফসীর, হাদীস, ফিকাহ ও আকায়েদ সংক্রান্ত মাসায়েলে ভ্রান্ত কথাবার্তা ও পুস্তক প্রকাশ করছিলো। কিন্তু আফসোস, বুজুর্গদের কথার মূল্যায়ন না করে সে তো দুনিয়া থেকে চলে গেলই, মুসলিম উম্মাহর জন্য পথভ্রষ্টের আসবাব রেখে গেল। তাই বর্তমানের আলেমদের উপর এই দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে যে, তারা তাঁর ভ্রান্ত কথাবার্তাকে চিহ্নিত করে বাঙালি মুসলমান সমাজকে ভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।
সূত্র: মওদূদীর তাফসীর ও চিন্তাধারা

আল্লামা হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)
মওদূদী মতবাদ এবং জামায়াত-শিবির সম্পর্কে ‘সতর্কবাণী’ শিরোনামে একটি বই লিখেন। তাতে তিনি মওদূদীর ভ্রান্ত মতবাদ ও জামায়াতে ইসলামীকে মুসলমানদের ঈমান ও ধর্মবিশ্বাস ধ্বংসকারী ফিতনা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি মুসলমানদেরকে ইসলামের মুখোশধারী এই দল থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) এর এই পুস্তকে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় চার শতাধিক আলেম অভিন্ন মত প্রকাশ করে স্বাক্ষর করেন।

আল্লামা সিরাজুল ইসলাম সাহেব, মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস, জামিয়া ইউনুসিয়া
বর্তমান যুগের বিভিন্ন ফিতনা, বিশেষ করে মওদূদী ফিতনা ও কাদীয়ানী ফিতনা থেকে খুবই সতর্ক থাকবে। মওদূদীবাদ তথা জামায়াত-শিবির সাহাবায়ে কিরামদেরকে সত্যের মাপকাঠি মানেনা। যাদের ব্যাপারে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
“আমি তাদের প্রতি সন্তষ্ট তারাও আমার প্রতি সনষ্ট”
-স্বরণিকা ৯৭ ইং, জামিয়া ইউনুসিয়া

তিনি দৈনিক যুগান্তরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মওদূদীর চিন্তাধারা কোনো দ্বীন নয়। এইটা ওরিয়েন্টালিস্ট একজন রাইটারের প্রতিষ্ঠিত, মানুষকে গোমরাহ করার একটা অস্ত্র।
দৈনিক যুগান্তর, ১৯-৯-২০০৩ ইং

এইভাবে দেশের হাজারো আলেম জামায়াত-শিবিরের সৃষ্টিলগ্ন থেকেই তাদের ভন্ডামীর কথা জাতির সামনে তুলে ধরছেন। তারা বুঝাতে চাচ্ছেন, জামায়াতে ইসলামী কোনো ইসলামী দল নয়। তারা ধর্মের মুখোশ পরে, ধর্মের বারোটা বাজিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়।
জামায়াত-শিবিরের বিরোধীতা করা বাঙলার সাধারণ মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব।


ছ) জামাত শিবিরের কোন প্রতিষ্ঠানগুলো কি বর্জন করতে হবে ?
উত্তর : হ্যা, কারণ এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে তারা অর্থ উপার্জন করে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে। তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা নিম্নরুপ :

ব্যাংক বীমার তালিকায় রয়েছে- ইসলামী ব্যাংক, ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোরাল রীফ মিশন ডেভেলপারস, আবাসন সিটি, লালমাটিয়া হাউজিং ও ওয়ান সিটি।

শিবির পরিচালিত কোচিং সেন্টারগুলো হলো- ফোকাস (বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি), রেটিনা (মেডিকেল ভর্তি), কনক্রিট, কনসেপ্ট ও অ্যাক্সিলেন্ট (ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি)।

সংবাদমাধ্যমের মধ্যে রয়েছে- নয়াদিগন্ত, সংগ্রাম, আমার দেশ ও দিগন্ত টেলিভিশন।

হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে রয়েছে- ইবনে সিনা, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক, ইবনে সিনা ফার্মসহ ইবনে সিনা পরিচালিত সব প্রতিষ্ঠান।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় আছে- ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি (আইআইইউসি), মানারাত স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়, লাইসিয়াম কিন্ডার গার্টেন।

প্রকাশনাগুলো হল- প্রফেসর’স, কারেন্ট নিউজ, আধুনিক, কিশোর কণ্ঠ, ফুলকুঁড়ি ও মদিনা পাবলিকেশন।

সাংস্কৃতিক সংগঠনের তালিকায় রয়েছে শহীদ মালেক ফাউন্ডেশন, কিশোর কণ্ঠ ফাউন্ডেশন, ফুলকুঁড়ি সাহিত্য পরিষদ, সাইমুম, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, সিএনসি ও স্বদেশ সাংস্কৃতিক পরিষদ।

জ) এখন আমাদের কী করতে হবে ?

উত্তর : বাংলাদেশের অস্তিত্ব অস্বীকারকারী জামাত শিবির এবং তাদের সমর্থকদের মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত হবেন না। গণহত্যাকারী, গণধর্ষকারী, লুণ্ঠনকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে একাত্ম হোন। জামায়াতে ইসলাম কোন ইসলাম নয়। তাদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে আজই যোগ দিন এবং বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলুন - যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি চাই।




(অনেক বড় হয়ে গেল। আপনি কাটছাট করে কমিয়ে নিন। অথবা ইচ্ছে করলে একটা বুকলেট আকারেও প্রকাশ করতে পারেন। )

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৯

মনোজ মুকুট বলেছেন: যোগ করতে পারেন আল্লাহ বানাইছে ‌‌'ইসলাম' আর শয়তান বানাইছে 'জামায়াতে ইসলাম'...

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাদের।

৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

আশমএরশাদ বলেছেন: নায়ক রাজ ভাই আপনার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে লিফলেট খুব বড় হয়ে গেলে কেউ পড়তে চাইবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.