নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্যান কার্ভ

ডিসক্লেইমার: মন্তব্য করুন নিজের মতই, কিন্তু তাতে আমার হৃদয়ের কাছাকাছি খুব প্রিয় মানুষদের কষ্ট পাওয়ার সম্ভবনা থাকলে সাথে সাথে ডিলিট হবে।

আস্তমেয়ে

হে প্রভু, তুমি আমাকে অকল্যাণ বয়ে আনা এবং অর্থহীন কথা ও কাজ থেকে রক্ষা করো! [link|http://www.somewhereinblog.net/shondhabatiblog|Ges Avwg]

আস্তমেয়ে › বিস্তারিত পোস্টঃ

বড় হওয়া, বুড়ি হওয়া

২০ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ৮:৫৪

পাশের বাসার সাত্তার আন্টি খুব সুন্দর করে সাজাতে পারতেন। তিন বছরের আমি প্রতিদিন বিকেলে আন্টির কাছে চলে যেতাম আমার লাল শাড়িটা নিয়ে। আন্টির কাছ ঘেষে দাঁড়াতেই আন্টি মতলব বুঝে যেতেন। এর ঘন্টাখানেক পরে রীতিমত বউয়ের সাজে সজ্জিত আমি বাসায় ফিরে মা বাবাকে বলতাম, 'দেখ, আমি শ্বশুড় বাড়ি যাই গা।'



আরেকটু বড় হয়ে বুঝলাম, বউ সাজাটা আসলে লজ্জার ব্যপার, শ্বশুড় বাড়ি যাওয়ার কথা এভাবে বলতে নেই। তখন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মায়ের সিল্কের স্কার্ফটাকে চুল বানিয়ে ইয়া বড় খোপা বানাতাম। ঘুরে ঘুরে দেখতাম মায়ের মত বড় হয়েছে কি না। কখনও একই ওড়না দিয়ে নিকাব দিয়ে হিজাব পড়ে কল্পিত স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিতাম। আমি তখন স্কুল টিচার।



রিকশায় মায়ের সাথে উঠতে খুব অসহ্য লাগত। কেমন করে সামনে আড় করে হাত দিয়ে রাখত, কিচ্ছু দেখতে পেতাম না। দম বদ্ধ হয়ে আসতে চাইত। হাত সরাতে বললেই বলত, 'পড়ে যাবা তো মা।' আরে আমি ছোট নাকি? মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিদিন মাপতাম কতটুকু লম্বা হয়েছি। আর মাত্র অত্তটুকু!



নাটক দেখা নিষিদ্ধ ছিল। হুমায়ূনের আজ রবিবারের মত কিছু কিছু নির্দোষ নাটক দেখার ডাক পেতাম বটে। মাঝে মাঝে অন্য রুমের নাটকের শব্দে কি যে কষ্ট হত! 'বড়দের' বইগুলোও পড়া যেত 'বড়' হয়ে। বড় হওয়ার জন্য এর বেশি আর কি কারণ চাই?



দুপুরে ঘুমানো ছিল ফরজ। বাসায় নানু বা খালামনিরা আসলেও ওই নিয়মের হের ফের নেই। অন্য রুমের সবাই বসে বসে গল্প করছে আর আমার কিনা শুয়ে থাকতে হচ্ছে জোড় করে চোখ মুদে? কবে যে বড় হব!



আর রাতে ঘুমানোর আগে ওই এক গ্লাস দুধ? স্রেফ আজাব। কতবার যে ঠিক করেছি, যখন বড় হব, তখন সবার আগে দুধ খাওয়া বাদ দিব। আর প্রতিশোধ স্বরুপ প্রতি রাতে মাকে এক গ্লাস দুধ খাওয়াবো! (এখন মা বলে, কতটুকু মূল্যবান উপার্জনের অংশ দিয়ে অতটুকু দৈনিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে হত, তখন তো বুঝি নি!)



ছোট বাবুদের কোলে নিতে খুব ভাল লাগত আমার। কোন বাবু দেখলেই চিল্লাপাল্লা শুরু করতাম, আমি নিব, প্লীজ! খুব সাবধানে বসিয়ে কোলে ধরিয়ে দিত। কষ্ট হত আমাকে ছোট 'ভাবছে', তাই নড়তে দিচ্ছে না, আশ্চর্য!



প্রথম যেদিন 'বড়' কাউকে ছাড়া স্কুটারে উঠেছি, সে দিনটা এখনও মনে আছে। ক্লাস সেভেনের সায়েন্স ফেয়ার থেকে রাশার গাড়ির বাসায় পেঁৗছে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু গাড়ি কোন কারণে আসতে পারে নি। আমরা শুধু বন্ধুরা স্কুটার করে বাসায় ফিরেছি। সে কি উত্তেজনা!



খুব 'বড়' হওয়ার শখ ছিল যে! বয়স ইচ্ছা করে বাড়িয়ে বলতাম। আট বছর ছয় মাস হতেই বলতাম, 'প্রায়ে নয়'।



আচ্ছা, মানুষ বড় হয় কখন? না, বায়োলোজিক্যাল বড় হওয়ার কথা বলছি না। একটা মুহুর্ত তো থাকেই, একটা ডায়নামিক মুহুর্ত, এক মহেন্দ্রক্ষণ যখন হুট করে বড় হয়ে যাওয়া হয়। সে কখন?



জানি না কখন, হঠাৎই টের পেলাম, সেই মিষ্টি অনুযোগ করার অধিকার হারিয়ে ফেলেছি, 'আমি ছোট বলে আমার কথা কেউ শুনে না।'



ক্লাস টুতে থাকতে অন্য ক্লাসে খাতা নিয়ে যাওয়া ছিল বিশাল প্রেস্টিজের ব্যপার। এতগুলো খাতা দিয়ে টিচার বিশ্বাস করছেন ভাবতেই কেমন বড় বড় লাগত।



টের পাই নি, কখন খাতার বদলে বন্ধক দেয়ার সময় আসল এক রাশ কান্না, পৃথিবী ভরা সুুখ, হৃদয় নামের অদ্ভূত বস্তুটা। হঠাৎই খেয়াল করলাম, আমার দু'টো বাক্য দিয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ হাসিটুকু কিনতে পারি। টের পেলাম আমি একটা কথা বা মৌনতা দিয়ে তীব্র কান্না কিনতে পারি। আমার চোখের দিকে তাকিয়ে জীবনকে ভালবাসা যায়। একই চোখে তাকিয়ে আবার কখনও মরে যেতে ইচছা করে।



ওই যে তিন বছর থাকতে একবার, মায়ের লিপস্টিকটা প্রথম বার হাতে পাওয়ার পরে কি নিদারুণ আনন্দে একটু একটু করে ঘুরিয়ে বড় করে খুলে ঠোঁটে নাকে মুখে লাগিয়ে শেষ করেছি, কারণ জানতাম না একবারে আস্ত লিপস্টিকটুকুই পেয়ে গেলে তা দিয়ে কি করতে হয়।



বুঝি নি সেই নিদারুণ ক্ষমতা দিয়ে কি করব। হাতে পাওয়া নিউ ফাউন্ড বস্তুটার ডেলিকেসি সম্পর্কে এক বিন্দু ধারণা ছিল না। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে, চিমটি দিয়ে, টিপে টুপে দেখতে গিয়ে দেখি লাল রঙের ছড়াছড়ি...



এর নাম কি বড় হওয়া? কি সৃষ্টি ছাড়া ব্যপাররে বাবা! কোন সে মহেন্দ্রক্ষণ যখন আমার হাতে এক সময়ের বহু আকাংখিত আলাউদ্দীনের চেরাগ ধরিয়ে দেওয়া হল? টেল মি, প্লীজ টেল মি, আমি পিছনে ফিরে ওই ক্ষণটুকু ধুয়ে, মুছে ফেলব। বিনিময়ে সব দিব! স-অ-ব! তবু ফিরে পেতে চাই আমার হারানো ইনোসেনস, অক্ষমতা!



[বড় হতে ভাল্লাগে না। এত্ত এত্ত শুভেচ্ছা উপহাসের মত শুনাচ্ছে সত্যিই।]

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৩:০৭

রাকিব হাসনাত সুমন বলেছেন: আপনার তো দেখি ছোটবেলা থেকেই বউ হওয়ার শখ---তা হতে পেরেছেন এখন পর্যন্ত?

২| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৩:০৭

রাকিব হাসনাত সুমন বলেছেন: আমার ধারনা সবার ছোটবেলা থেকে বড় হওয়ার উপাখ্যানটা একই ধাচের---তবুও আপনি কিন্তু ভাই লিখেছেন বেশ... প্রশংসনীয়

৩| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৩:০৭

আরাফাত রহমান বলেছেন: আস্ত মেয়ের জন্মদিনে
পার্টি হবে বিরাট রকম কেকে
হঠাৎ শুনি বসেন তিনি
ভীষণ রকম বেঁকে।
কী হয়েছে কী হয়েছে
থামল কেন গান
আস্তমেয়ে এমনি করে
ছোটই থাকতে চান।
হায় হায় হায় এত্তো কিছু
এখন হবে কী ?
বিশাল বড় খাশির ছানা
দুধ মাখানো ঘী।
সবাই ভাবে এখন খাবে
একটু করে চেখে
আমার সাথে একমত ভাই
হবেন বলেন কে কে ?

৪| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৩:০৭

অতিথি বলেছেন: আস্তমেয়ে, আমাকে স্বাগতম জানালেন না।মাইন্ড খাইলাম.................

৫| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৪:০৭

কালপুরুষ বলেছেন: আস্ত,
পোষ্টটা পড়ে খুব ভাল লাগলো। পোষ্টে বউ সাজার মত ছেলে মানুষীর চেয়েও বড় কিছু সত্য অন্তর্নিহিত আছে। যা এক দিন না একদিন সব মেয়েকেই ফেস করতে হয়। প্রকৃত যে সত্য তা হলো একটা মেয়ে যেদিন নিজে নিজে ফীল কওে যে সে বড় হয়েছে সেদিনই সে বড় হয়। অন্য কেউ বললেও সে বড় হয়না আর জোড় করে কেউ তাকে বড় বানাতেও পারে না। ছেলেরা না হলেও মেয়েরা বিশেষ এক সময় ঠিকই বুঝতে পারে সে বড় হচ্ছে। বড় তাকে হতেই হয়। কারণ অনেক।তার মধ্যে একটা হলো মেয়ে কোন এক সময় তার মাঝে মায়ের রূপ দেখতে পায়। আর এই মাতৃত্বের বাসনাই তাকে আরও বড় করে দেয়। বড় হতে শেখায়। বড় হতে শিখে যায়।

৬| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৪:২৩

অতিথি বলেছেন: তুমি তো দেখি একটার চেয়ে একটা জব্বর পোস্টাচ্ছো। ফ্লাডিং না কি যেন বলে?
বড় হতে না চাইলেও বড় হতে হয়।
দায়িত্ব এড়াতে চাইলে দায়িত্ব নিতে হয়।

বড় হও, অনেক বড়।
অ-নে-ক দায়িত্বই যে বসে আছে তোমার বড় হওয়ার অপেক্ষায়!

৭| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৫:৩৬

আরাফাত রহমান বলেছেন: দুরের ভাইঃ
নতুন শব্দ বানাইলেন ? "পোস্টাচ্ছো" ।

৮| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৫:৪০

অতিথি বলেছেন: মেয়ে,
আমার মনে হয় প্রত্যেকটা বাবা-মা তার ছেলে-মেয়ের দিকে অনেক খেয়াল রাখে। আমাকেও অনেক ধরা-বাধা কাজ করতে হয়েছে এক সময়। তবে একসময় আমি স্বাধীন।
আমি যখন কোথাও যাই আমার মা আমার দিকে তাকিয়ে দাড়িয়ে থাকে। আর বলে বাবা দোয়া পড়ে যা........আমিও আর কি করা....।

তবে আব্বু-আম্মুর সাথে কোথাও বেড়াতে গেলেও মজা হয় না কেন জানি। সেবার আমি যখন একা রাজশাহী যাই কখনও ট্রেনে বাদরের মত ঝুলে দেখি নাই। তাই ঐ সুযোগটা আর মিস করি নাই। বাদরের মত অনেকক্ষন ঝুলে রইলাম। কিন্তু আব্বু আম্মু থাকলে তা মনে হয় আর হত না। আমার অতীত গুলো মনে করিয়ে দিলেন।

মেয়ে....আমাগো আরাফাত ভাইয়া তো সাদী করবো........আর আপনে দেখি উনার আগেই..............আরাফাত ভাইয়া প্লিজ কাঁদবেন না। সবুরে মেওয়া ফলে........

লেখা মনে হয় অনেক বড় হয়েগেছে আস্তমেয়ের মত বড়।
সরি!!!

৯| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৫:৪৬

অতিথি বলেছেন: আস্ত আপু, আমার অতীত কাহিনী আপনি পেলেন কোথায়????
আমার বর্তমানের অনুভূতিও চুরি করেছেন ঃ(

১০| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৫:৫৪

আরাফাত রহমান বলেছেন: না ভাই,
আমি ভাই ছোট বেলায় এত দুষ্টু ছিলাম না। তবে গাছে চড়তে খুব ভাল লাগত। মাছ ধরতে ভাল লাগত। সাইকেল চালাতে ভাল লাগত। আরো অনেক কিছু।

১১| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

অতিথি বলেছেন: শুভেচ্ছা জানালাম না, তাই উফাস করছি এটা অন্তত: শুনতে হবে না
বলছি, "ইটস নেভার টু লেইট টু স্টার্ট এগেইন"।

পিছনে ফিরে সেই সময় টুলু ধুয়ে মুছে ফেলার দরকার কি? যেখানে আছেন সেখান থেকেই শুরু হোক নতুন করে পথ চলা, শুন্য থেকে শুরু।
সুযোগটাতো থাকছেই - শুধু ইচ্ছাটাই মুখ্য, কী বলেন?

ভালো থাকুন, সবসময়।

১২| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:২২

অতিথি বলেছেন: গ্লাসে করে দুধ নিয়ে কি সব মাই তার সন্তানদের পেছনে ঘোরে?

১৩| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ওয়ালী বলেছেন: আমি বড় হওয়া বুঝতে পারছিলাম। আমার বাবজান আমারে একটা ফাউন্টেন পেন গিফট কইরা বললো "বড়রা এই কলম দিয়ে লেখালেখি করে।" আম্মাকে কানে কানে কইছিলাম "আমি নাকি বড় হয়ে গেছি মা?' :(

লেখাটা ছোট বেলার অনেক স্মৃতিই মনে করিয়ে দিলো।

১৪| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০১

শাওন বলেছেন: দারূণ , মচৎকার । ভালো লেখা । :))

১৫| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

অতিথি বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে এসে তোমার লেখাটা পড়ে বেশ মজা পেলাম। সময়ের অভাবে ব্লগে ঠু মারা হয় না।
চেহারা বেশ ভাল ছিল, ছোটবেলায় বোনগুলো আমাকে মেয়ে সাজিয়ে রাখতো। ছোটবেলা থেকেই হোস্টেলের বাসিন্দা হয়ে গেলাম। প্রচন্ড কড়াকড়ি ছিল ছাত্রাবাসে। প্রতি সপ্তাহে গাড়ি এসে একবার বাসায় নিয়ে যেত। কয়েকমাস পড়ে নিজে থেকে যাওয়ার অনুমতি পেলাম। স্কুল ছেড়ে যখন কলেজে, তখন কলেজের বিরাট কেম্পাসে আড্ডা আর আড্ডা। ধীরে ধীরে পাঙ্কা গজালো। উড়তে শিখলাম। এখন ও উড়ালেই আছি।
HAPPY BIRTHDAY

১৬| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

অতিথি বলেছেন: তবুও কেমন করে বড় হয়ে গেলে তুমি নিজের অজান্তে..............
20বছরের আস্তকে আরো বেশী বড় মনে হয় ধ্যান ধারনাতে..........

১৭| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ৯:১২

সারিয়া তাসনিম বলেছেন: দুদ্ধ যন্ত্রণায় আমিও জর্জরিত ছিলাম।
ছোট বেলার সবচেয়ে ইনসালিটং বিষয় ছিল গাড়ি বা বেবি ট্যাক্সিতে সিটে বসতে না দিয়ে কোলে বসতে দেয়া , কি যে রাগ লাগতো , তখন মনে হত কবে বড় হব ?
এখন প্রাপ্তিরে দেখি আর মনে হয় আহা কি সুখে ছিলাম !!

১৮| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১০:৪৭

অতিথি বলেছেন: পড়ার জন্য সবাইকে থ্যাঙ্কুস।

আগামী তিন দিন নো ব্লগিং। বন্ধুদের সাথে পাশের স্টেইটে যাচ্ছি আরেক বন্ধুর কাছে। এই প্রথম শুধু বন্ধুরা এতটা দুরত্ব যাচ্ছি। বুড়ি হওয়া উদযাপন করব!

১৯| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১০:৫৪

ভাবনা বলেছেন: আপনার লেখা খুব ভাল হয়েছে। এ যেন আমার মনেরি কথা। কয়েকদিন পরে আমি ও যে আপনার মত 20 হতে যাচছি। সেই সময়টা আমার জন্য ও খুব ভয়ের। আপনার লেখা পড়ে আমারো েেছাট বেলার একটা কথা মনে পড়ে গেল। মনে আছে ছোট বেলায় এই দুধ খাও য়া নিয়ে প্রায় মার সাথে ঝগড়া হত। ঐ এক কাপ দুধ যেন বিষের মত লাগতো। প্রত্যক দিন দুধ খাওয়া নিয়ে বকুনি শুনতাম। আমি আর আমার

২০| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১১:০৪

ভাবনা বলেছেন: [ইংলিশ]পড়ঁংরহ[/ইংলিশ তখন planকরতাম, বড় হয়ে আমরা যখন মা হব, আমরা কখনই আমাদের বাচচাদের দুধ খাওয়া নিয়ে জোর করবনা। দুধ খেতে এখন কিনতু আমার আর তেমন খারাপ লাগেনা। মার বকুনিও শুনতে হয়না। আর এখন বুঝতে পারি, কোন একদিন আমিও হয়েেতা আমার বাচচাদের পিছনে এই দুধ নিয়ে দৌড়াব, যেমন মা দৌড়াতেন আমার পিছনে।

২১| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১১:০৬

ভাবনা বলেছেন: sorry, that was supposed to be "Ami ar amar cousin tokhon plan kortam........"

২২| ২০ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১১:৩৯

ঝরা পাতা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। প্রায় সবারই এরকম কিছু ঘটনা থাকে যেগুলোর স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বার বার মনে হয় কি যেন ফেলে এলাম!!!! জীবনটাই এরকম। আস্ত একটা অনুরোধ, আপনার লেখার মাঝে ইংরেজীর আধিক্যটা কি একটু কমানো যাবে? নির্দোষ অনুরোধ। এর বেশি কিছু নয়।

২৩| ২১ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১২:৪৩

অতিথি বলেছেন: ননীর পুতুলগো এইসব কাহিনী পড়লে কেমন জানি তামশা তামশা লাগে। ছোটবেলা থেকেই গুরুর আখড়ায় মানুষ। সককাল বেলা উইঠাই বিশাল মাঠে 7 চককর। চুরিবিদ্যার প্রথম শর্ত দৌড়ে পারদর্শিতা।

যেদিন সাট্টিফিকেট পাইলাম, সেইদিনের কথা কই। গুরু আমারে দেখাইতে নিয়া গেলো কিভাবে পাখি ওম দেওয়া অবস্থায় তার বাসা থেকে ডিম চুরি করতে হয়। গুরু মহামনোযোগের সাথে পাখির ডিম চুরি করে উৎসাহের সাথে বলতে লাগলেন, "দেখলি, কিভাবে চুরি করলাম? পাখিটা একটু নড়াচড়াও করে নাই।"
আমি কইলাম, "হ গুরু, দেখলাম। এখন আপনি একটু আপনার নিম্নাংগের দিকে দেখেন।" কাহিনী হইলো, গুরু যখন পাখির ডিম চুরিতে ব্যস্ত, আমি তখন তার লুংগি খুলে নিয়েছি। উনি ডিম চুরিতে এতই বিজি ছিলেন, যে এদিকে খেয়াল ছিলো না। আর আমিও ততদিনে মোটামুটি ঝানু মাল :)

গুরু প্রথমে রাগ, তারপরে দিলখোলা হাসি হেসে উঠে বললেন: "বাছা, তোর শিক্ষা আজ সম্পূর্ণ হইলো!"

২৪| ২১ শে জুলাই, ২০০৬ ভোর ৬:২৮

আরাফাত রহমান বলেছেন: আরে চোর ভাই,
এগুলা কি আপনার ছোট বেলার কাহিনী ?

২৫| ২১ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ৮:২০

অতিথি বলেছেন: হ ভাই। গুরুর কথা বড় মনে পড়ে। আমি ছিলাম হের সবচাইতে তুখোড় শিষ্য।

আচ্ছা, আমি কি আপনার লিখায়, নাকি আরেক আরাফাতের লিখায় মন্তব্য দিয়া মাথাখারাপ কইরা দিছিলাম? আপনার হলে, মাইন্ডে নিয়েন না। জাস্ট ফর ফান। যদিও বুঝছিলাম, লেখক তখন ফানের মুডে নাই

২৬| ২২ শে জুলাই, ২০০৬ ভোর ৬:২৮

অতিথি বলেছেন: দীর্ঘ প্রায় একমাস পর আজ ভাত খেলাম, পেট পুরে, হয়েছিল শরপুঁটি লাউ আর শুটকি কদু।

মনে পড়িয়ে দিলেন আস্ত, মায়ের আদরে গাঁয়ের ক'টা দিনের কথা, পেট পুরে খেলাম কি না এ নিয়ে মায়ের প্রশ্নমালাতে কত বিরক্ত হতাম, অথচ বড় হয়ে কতদূরে ছিটকে পড়লাম মায়ের আঁচল থেকে; এখন মাস চলে গেলেও কেউ জানতে চায় না- খেয়েছি কি না।

এই বেড়ে উঠাকে মা ও চাইতেন তাড়াতাড়ি হোক, আমিও, আমরাও। কিন্তু কি হারালাম বুঝতে বুঝতেও বুঝে উঠিনি, যেদিন বুঝলাম সেদিনটি ছিল আমাদের মাধ্যমিক থেকে বিদায়ের দিন। সব মেয়েরা কেঁদে কেঁদে ওড়না ভিজিয়েছিল আর আমরা ছেলেরা কঠিন হৃদয় বলেই হয়তো মনে মনে কেঁদেছি । সত্যিই আমারো খুব ইচ্ছে করে ফিরে যাই সেদিনগুলোতে, যেখানে নানীগুলো আমাকে দুধ বলে ভাতের ফ্যান খাইয়ে কি যে আনন্দ করতো....।

চমৎকৃত হলাম আপনার চপল বর্ণনা ভঙ্গিতে।

২৭| ২২ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ১:১২

অতিথি বলেছেন: তুমি অনেক অনেক অনেক... বড় হবে। আকাশ ছুয়ে যাবে তোমার মেধা, মনন আর জনপ্রিয়তা। অনেক অনেক অনেক... সীমাহীন আশীর্বাদ সোনামেয়ে তোমার জন্য। ভালো থেকো অনন্তকাল।

২৮| ২২ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ১:২০

অতিথি বলেছেন: পড়ালেখার শেষ সময়ে বাসায় এসে একটু মায়ের সাথে থাকার ইচ্ছে হলো, কিন্তু কপাল, মা ছুটি কাটাতে দেশে। আমি আবার ও হোস্টেল লাইফে। ছোট থেকে এখন পর্যন্ত নিজেকে সব কিছু করতে হয়েছে। তাই ছোট , বড় থাকার মাজেঝা আমার কাছে সমান। প্রথম প্রথম 3/4 মাসে বাসায় যাওয়া হতো। পরে সেটা 3/4 বছর হলো। এখন অবশ্য সপ্তাহ।

২৯| ২২ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ১:২৩

অতিথি বলেছেন: ফ্রি লিংক, কি হইছে?

৩০| ২২ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ১:২৭

অতিথি বলেছেন: বড় কষ্টে আছি রে ভাই। সকালে রান্না করতে হয়েছে। রান্না করা আমার কাছে কোন ব্যপার না। কিন্তু ঐ পেয়াজ কাটা আমার কাছে দুনিয়ার সবচে কঠিন কাজ। একটা পেয়াজ কাটলে 2 ঘন্ট চোখ জ্বলে। ছুটির দিনে ও ছুটি নাই।

৩১| ২২ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ১:৪১

অতিথি বলেছেন: বিয়া করেন না কেন মিয়া?

৩২| ২২ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ১:৪৭

অতিথি বলেছেন: মাইয় পামু কই?? যাদের দেখা যায় ওরা বিয়ের জন্য না।

৩৩| ২২ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ১:৫০

অতিথি বলেছেন: খাইছে। ওরা তাইলে কিসের জন্য?

৩৪| ২২ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ১:৫৭

অতিথি বলেছেন: দেখনের লাইগা:)
একদিন বস বল্লো তুমি দেখবে যতো সুন্দর মেয়ে আছে সবাই পেনা(যারা মদ, বিয়ার খেয়ে রাস্তায় শুয়ে থাকে) তাদের সাথে ঘুরতে। জিঙ্গেস করলাম কেন? বলে কোন ভদ্রলোকই ওদের কাছে যায় না, কারন ওরা দু দিন পর চলে যাবে। এরপর নিজে ও তাই দেখলাম (জীবন থেকে শেখা)।

৩৫| ২২ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ২:০১

অতিথি বলেছেন: কি কন! বাংলাদেশে এই সুযোগ থাকলে তো পেনাগো লগে ভিইড়্যা যাইতাম। ইচ্ছামতো সুন্দরী মাইয়াগো ফাটাইয়া....। যাউকগা, আপনি একটু কম সুন্দরী দেইখাই না হয় কাউরে বিয়া করেন। সব রক্তমাংস। ডালভাত মুখে দিয়া চোখ বন্ধ কইরা বিরানীর ধ্যান করবেন।

৩৬| ২২ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ২:১১

অতিথি বলেছেন: জাইনা শুইনা ডাল ভাত খামু আর বিরানীর ধ্যান করব!! আমাকে কি এতোই আবুল পাইছেন। বিরানীর স্বাদ আমার সহ্য হয় কম। ডালভাই সই। হজমে কোন সমস্যা নাই।
আমি তো শুনলাম বাংলাদেশ নাকি ইউরোপ হয়ে গেছে। সবাই বুকড। যদি ও অনেকদিন যাওয়া হয় না।

৩৭| ২২ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ২:২৬

অতিথি বলেছেন: বাংলাদেশ আর সে দেশ নাইরে ভাই। সব আলট্রা মরডান হইয়া গেছে। আমার আবুল বন্ধুগুলা বিয়ার জন্য সতীস্বাধ্বী মাইয়া খুঁজতে খুঁজতে যৌবন পার কইরা দিচ্ছে। আর যারা ধর তক্তা মার পেরেক নীতিতে বিশ্বাসী অরা চামে আছে। আজ এই গার্লফ্রেন্ড, সামনের সপ্তায় আরেকটা।
মিয়া, অত চিন্তা না কইরা তক্তা ধইরা ফেলেন। এবং অবশ্যই সাথে সাথে পেরেক। হাতুড়ি সংগে রাইখেন। এখনকার মেয়েরা অবশ্য নিজেরাই পার্সে হাতুড়ি রাখে।

৩৮| ২২ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ২:৩৬

অতিথি বলেছেন: ভাই মনে ভয় ঢুকাই দিলেন। এই রকম অবসহা হইলে তো এখানেই কাম সারা ভাল। বিয়ে একটা ,সাথে যতো খুশি বান্ধাবী :)

৩৯| ২২ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৩:০১

অতিথি বলেছেন: ফ্রুলিংক্স, আমার লাইগাও খুইজেন কইলাম।

৪০| ২৩ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ২:৪১

রিনয় বলেছেন:

৪১| ২৩ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৪:০১

অতিথি বলেছেন: পেনা হইতে পারলে আমাকে আপনার জন্য খুজতে হইবো না। নিজে থেকেই এসে ধরা দিবে। আমি তো আর পেনা হইতে পারবো না, তাই চিন্তায় আছি।

৪২| ২৪ শে জুলাই, ২০০৬ ভোর ৪:৩১

অতিথি বলেছেন: নিজের
এখানে
টেস্ট
করছি
লা
লা
[রং=নৎড়হি]লা[/র]
লা
লা

red
blue
crayon
green
black
pink
brown
olive
maroon

৪৩| ২৪ শে জুলাই, ২০০৬ ভোর ৪:৩৩

অতিথি বলেছেন: এটা?

৪৪| ২৪ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ৭:২০

অতিথি বলেছেন: চোর আর ফ্রুলিংস এগুলা কি কয় ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.