![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিসাব-নিকাশ জানি না, ওজনে কম দিলে টের পাই
মহাপ্রয়াণে
কবি এম আহমদ আলী সাহিত্যরত্ন
সহসা শুনিনু মহাপ্রয়াণ কাব্য ভারতী নাই,
মহাশূন্যে আত্মা তাহাঁর চলে গেছে অমরায়।
ক্রন্দনরোলে ভরে গেছে আজ আকাশ যশোর ধাম,
তব পরিজন বন্ধু মহলে শুধু শোক আনজাম।
অবলাকান্ত শান্তির কোলে অমরায় তুমি আজ,
সাহিত্য সংঘ বক্ষে নেমেছে অথই বেদনা বাজ।
তুমি গেছ এই ধরণী হইতে ভস্মকণাতে মিশে,
সাহিত্যরথী, সাহিত্যগুরু, হারায়েছি মোরা দিশে।
সুদীর্ঘকাল তব আহবানে যশোর সাহিত্যসেবী
সাধনা করেছে তন্ময় চিত্তে বীণাপানী বাগদেবী।
নয়া বাংলার জ্ঞানী, গুনী বহু তব অভিনন্দনে,
লভিয়াছে নয়া জিন্দেগী সবে সাহিত্য ফুলবনে।
তোমাকে অনেকে নিন্দিল জানি ঘর ও বাহির হতে,
দৃকপাত তুমি করনিকো তাহে কোন দিন কোন মতে।
বেসেছিল ভাল বাংলা বিপ্লবী মহান শ্রীমধু মাইকেলে;
এত ভালবাসা বাংলা-ভারতে তুমি ছাড়া নাহি মিলে
‘মধুগিতি’ তব কীর্তি মহান মহাবির ‘সীতারায়’
‘হিরন্ময়ী’ নাটক তোমার রচনা যে অক্ষয়!
তুমি ‘যশোহর সাহিত্য সংঘ’ স্থাপি বাংলায়,
ধন্য করিলে যশোরবাসীকে সাহিত্য সাধনায়।
যে দেশে মানব মরে না কখনও তুমি সেই দেশবাসী,
আশীষ করিও তথা হতে নিতি সংঘেতে নেমে আসি।
তোমার আসনে কে বসিবে ভাবি সংশয়-সংকোচে,
কে দেবে শান্তিতে ভাই-বোনদের ব্যথা বিদগ্ধ রোজে।
এই কবিতাটি শ্রদ্ধেয় কবিরাজ অবলাকান্ত মজুমদারের মৃত্যুর পরের দিন তাঁর বাড়িতে পারিবারিক শোকসভায় পঠিত।
০৭-১০-১৯৫৭ ইংরেজী
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৫৮
আতোভাইলু বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য। উনার কাব্যগ্রন্থ "ফাগুন এসেছে ফিরে' নামক কাব্যগ্রন্থের কবিতা
২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:০৫
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: আপনার বাড়ি যশোরে?
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৫৯
আতোভাইলু বলেছেন: জি
৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪
আমি মিয়াবাড়ির ছেলে বলেছেন: কবি-সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। তাঁর সম্পর্কে জানালে খুশি হবো।
ধন্যবাদ।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:০২
আতোভাইলু বলেছেন: এম আহমদ আলী সাহিত্যরত্ন (১৯০৯-১৯৯১)
সাংবাদিক কবি ও লেখক এম, আহমদ আলী সাহিত্যরত্ন। জন্ম ১৯০৯ ইংরেজী। মৃত্যু ১৯৯১ ইংরেজী। জন্ম স্থান জেলার চৌগাছা উপজেলার কয়ার পাড়া গ্রামে। গ্রামের মক্তবের পাঠ শেষে ১৯২১ সালে তিনি যশোর জেলা স্কূল থেকে জি, টি পাশ করে শিক্ষ পেশায় আত্ম নিয়োগ করেন। এ সময় তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ২০ টির অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত তিনি শিক্ষকতা করেন।
এ সময় যশোর অঞ্চলে তিনি "ওস্তাদজী" হিসেবে সমধিক পরিচিতি লাভ করেন। পরবর্তীতে যশোর শহরে চলে আসেন এবং তৎকালীন সময়ের মরহুম ওয়াহেদ আলী আনসারী কর্তৃক প্রকাশিত ""যশোর গেজেট" পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । এর কিছু দিন পর তিনি "মাসিক নকীব" প্রকাশ করেন। ষাটের দশকে আয়ুব খানের মার্শাল " ল জারি হলে "নকীব" প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। এ সময়ে তিনি মাওলানা আকরাম খাঁ সম্পাদিত "দৈনিক আজাদ" - এর যশোর প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতায় আত্ম নিয়োগ করেন। ১৯৬৮ সালে খুলনা থেকে প্রকাশিত "দৈনিক জনবার্তা" পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন।১৯৭২ সাল পর্যন্ত এ পদে তিনি নিয়োজিত থেকে অবসর গ্রহণ করেন । বিশিষ্ট এ শিক্ষাবিদ ও কবি চৌগাছা উপজেলা পরিষদ কর্তৃক স্বীকৃ্ত সাংবাদিক হিসেবে ২০০৬ সালে মরণোত্তর স্বর্ণপদক লাভ করেন।
তাঁর প্রকাশিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সঙ্খ্যা ১৫ টির ও বেশী। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য - "পাক যশোরের কাব্যে ভুগোল", "কাব্যে কোরান(আমপারা)", "রচনা সঞ্চায়ন" (১৯৬২) , “জ্ঞাণ সঞ্চায়ন”,(১৯৬০), "ছোটদের বিজ্ঞান"(১৯৬৫), "ফাগুন এসেছে ফিরে" প্রভৃতি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩
বিজন রয় বলেছেন: গতকালও একটি পড়েছিলাম।
+++