নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অতি সাধারণ মানুষ। পরিচয় দেওয়ার মতো কিছুই নাই। একটা অন্তর ছিল তা\'ও পুড়া!

অতৃপ্তচোখ

স্বাগতম, আপনার আগমনে ধন্য আমি।

অতৃপ্তচোখ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসেন পার্থক্য দেখি-কার কাছে জনগণ কেমন!! (ছবি ব্লগ)

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

এই রমজানে প্রধানমন্ত্রী এতিম শিশুদের খাইয়ে দিচ্ছেন।

ইনি একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। জনগণ তাকে স্পর্শ করলে বুঝি দূষিত হবে তার শরীফ, তাই খুব সতর্ক!!!

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্পর্শ করে আশীর্বাদ করছেন!! জনগণকে যে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন, সেই জনগোষ্ঠীর স্পর্শে তিনি কখনওই বিরক্ত হন না।

একজন প্রধানমন্ত্রী কতটা উদার হলে রিক্সায় বসে এমন হাস্যোজ্জল হতে পারেন, তা মানুষ বুঝতেই পারছে।

ছবিগুলো ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করা।


মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: ব্র্যাকেটে লিখে দেন- এটি একটি আম্লিগের পোস্ট :D :P

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫০

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: হা হা হা দারুণ বলে গেছেন!! আম্লীগ যারা করে তারা তো আপনাদের কাছে নাস্তিক!! কারণ, আম্লীগ জনগণের কাছাকাছি থাকে।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

অবসরপ্রাপ্ত পাগল বলেছেন: X( অবশেষে সামু-তে এসেও রাজনীতি, যার কারণে ফেবু ছাড়লেম।
:-&

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: না ভাই, রাজনীতি আমি বুঝি না। তবে ব্লগে যখন শেখ হাসিনাকে গালি দিতে দেখি তখন একটু খারাপ লাগে আমার। কারণ শেখ হাসিনাই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যাঁর কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব মোড়লদের কাছে উন্নয়নের মডেল।
এখানে রাজনীতি করিনি, যারা বলে শেখ হাসিনা জনগণকে মরিচ বাটা করছে তাদের জানিয়ে দিলাম, শেখ হাসিনা জনগণকে মরিচ বাটা করেন না, জনগণকে ভালোবাসেন মন থেকে।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

জগতারন বলেছেন:
এবার তুমি ভাগারে গিয়ে স্থান লও@অবসরপ্রাপ্ত পাগল ।

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: হা হা হা উচিৎ কথা সবাই হজম করতে পারেনা ভাই!!
শেখ হাসিনাকে গালি দিলে অনেকে পছন্দ করে! অথচ শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের মুখ উজ্জল করছেন প্রতিনিয়ত নিজের জানের উপর হুমকি চেপে রেখেই কেবল বাংলার মানুষের মুখে হাসি দেখার জন্য! যারা শেখ হাসিনাকে গালি দেয় অকৃতজ্ঞ আমার কাছে।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই ।

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: দুইটা ছবি দিয়ে পার্থক্য???ইয়ার্কি করেন???

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫২

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: না ভাই ইয়ার্কি কেন করবো!! দুইটা ছবির ভারই তো অনেকে সহ্য করতে পারছে না। বাকি গুলি দিলে তো কেউ কেউ ফেসবুকের মতো ব্লগেও গালাগালি শুরু করেই দিবে।

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: রাজনীতিকদের বুঝার মতো বুদ্ধি আমার এখনো হয়নি, আমি একেবারেই সাডা মনের মানুষ ;)

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: হ ভাই, আমিও বুঝি না রাজনৈতিক নেতা নেত্রীকে
তবে ছবি দেখে সামান্য পার্থক্য অনুভব করতেই পারি।

মন্তব্যে আসার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় ভাই আমার।

৬| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১

রায়হান চৌঃ বলেছেন: ঐ কে আছিস.... ? ওনার পাছা টা ছুতরা পাতায় ঘইসা দে..... আঁতেল....

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৬

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: দারুণ বলেছেন মিঃ রায়হান চৌঃ। আপনাদের খাদেম এর একটা ছবি দেখেই আপনাদের ভেতরে জানোয়ার কত সুন্দর প্রকাশ পেয়ে গেল!!!! আপনারা মৌ-লোভী সাহেবদের টুপির নিচে থাকেন তো, তাই পাছার প্রতি আপনাদের লোভ থাকাটা স্বাভাবিক। আপনারা তো আবার সমকামী!!

আমি আপনার মন্তব্য পড়ে মাদারচুদ বা আপনার পাছায় আইক্কাওয়ালা বাঁশ দেওয়া কথা বললাম না, কারণ, আমি আওয়ামী লীগ সাপোর্টার, আমরা জনগণের কাছাকাছি থাকি। এখানেই আপনার সাথে আমার তফাৎ। আপনি সত্যকে সহ্য করতে পারেননি। আপনার ভিতরের পশুটা প্রকাশ পেয়ে গেল!!!

৭| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এইরকম পোস্টের কোনো মানে খুইজা পাইনা, সম্ভবত সামনে নির্বাচন তাইই...

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৯

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: হ্যা ভাই, আমারও ইচ্ছে ছিল না এইরকম একটা পোষ্ট দিতে। কিন্তু যখন দেখলাম কেউ বলছে শেখ হাসিনা নাকি জনগণকে মরিচ বাটা করছে তখন শেখ হাসিনার জনগণ প্রেমটা একটু জানিয়ে গেলাম আরকি

সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।
শুভকামনা আপনার জন্য।

৮| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪২

শূন্যনীড় বলেছেন: এইরকম পার্থক্য অনেকেই সহজভাবে দেখবেন না ভাই, ইতিমধ্যে অনেক বিজ্ঞ ভাই তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত রেখে গেছেন। তারচেয়ে বরঞ্চ প্রধানমন্ত্রীকে দুটো গালি দিতেন তাহলে বাহবা পেতেন। অনেকের মনে কষ্ট দিলেন ভাই!!!

ধ্রুবক ভাইয়ের প্রশ্নটাই রেখে গেলাম ভাই।

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:১৫

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: অনেক সুন্দর কথা বলেছেন ভাই। কিন্তু আমি যে শেখ হাসিনাকে গালি দেয়ার মতো অকৃতজ্ঞ এখনো হতে পারিনি!! তাই সামান্য ছবি দিয়ে বুঝাতে চেষ্টা করেছি গালি পাওয়ার যোগ্য নন শেখ হাসিনা, তিনি শ্রদ্ধার পাত্র বাংলার জনগণের।

কষ্ট পাইলে কিচ্ছু করার নাই ভাই। আমি মিথ্যা বা এডিট করা ছবি দেইনি। সত্য প্রকাশ করতে দ্বিধান্বিত হওয়ার কোন কারণ নাই ।

মন্তব্যে আসার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

৯| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বুঝা গেল, একজন খ্রাপ, আরেকজন খুব ভাল। B-)

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:২৫

অতৃপ্তচোখ বলেছেন:
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন মন্তব্যে।
আমি খারাপ বলতে রাজি নই কাউকে। তবে জনগণকে কে কতটা মন থেকে ভালোবাসেন আর কে জনগণ কে মরিচ বাটা করে তা বুঝাতে চেয়েছিলাম। আপনার কাছে উত্তর পেয়ে ভালো লাগলো ভাই।

সত্য বলতে আপনি কখনওই দ্বিধান্বিত হন না তা প্রমাণ পাইলাম। কৃতজ্ঞতা আবারও।

১০| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৭:৩১

কলাবাগান১ বলেছেন: "কে জনগণ কে মরিচ বাটা করে তা বুঝাতে চেয়েছিলাম"- বুঝানোর দরকার নাই সাধারন লোকজন ঠিকই দেখছে..ব্লগের সুশীল রা কত রকমের পোস্ট দেয়...হেয় করে পাটা-পুতার ছবি দিয়ে কবিতা লেখে....তারা কখনই পোস্ট দেয় না যখন গ্রেনেড মেরে ৩০ জন কে হত্যা করা হয়....

০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: হ্যা ভাই, এমন সুশীল গুলোই বাংলাদেশের যতো নষ্টের মূল। এরা লোডশেডিংয়েও সরকারকে উদ্ধার করপে আবার বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়তেও বাঁধা দিবে!!
এইসব দুমুখো সাপের মতো বিষাক্ত সুশীল না থাকলে দেশ এতদিনে আরও অনেক এগিয়ে যেতো।

কৃতজ্ঞতা ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যে।

১১| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৭:৫৩

তোমার জন্য মিনতি বলেছেন: ৬ নং মন্তব্যে চৌধুরী বেটা কি ফেসবুক পাইছে যে গালি দিল!!! আপনার প্রতিউত্তর উপযুক্ত হয়েছে। এইসব চৌধুরী'রা বাংলাদেশের অকৃতজ্ঞ গোষ্ঠী, আপনার জবাবে মুগ্ধতা রইল ভাই

১০ নং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রাখছি ভাই। ৯ নং মন্তব্যেও শ্রদ্ধা রইল।

আপনাকে ধন্যবাদ ভাই পোষ্টটি করার জন্য। কিছু অকৃতজ্ঞ পাক-শঙ্কর যদি কিছুটা বুঝে।

০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রাখছি আপনা মন্তব্যে
শুভকামনা জানবেন সবসময়।

১২| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:০৪

রূপকথার পরী মাজহুল বলেছেন: গাছের আগায় ঢালে পানি
আর নীচে কাটে শিকড় এইত আওয়ামী লীগ
বাংলাদেশ কে এক লক্ষ ৪৭ হাজার ৫ শ ৭০ থেকে কমিয়ে করছেন ১ লক্ষ ৪৩ হাজার
উনি দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন চমৎকার

০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: আপনারা হিংসায় বুদ হয়ে থাকেন, এটাই হলো বড় সমস্যা।
ছাগলরে যতোই আতপ চাউল আর ভাত খাওয়ান সে ছাগলই থাকবে, চিবিয়ে যাওয়াই তার স্বভাব।

১৩| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:০৭

রূপকথার পরী মাজহুল বলেছেন: গাছের আগায় ঢালে পানি
আর নীচে কাটে শিকড় এইত আওয়ামী লীগ
বাংলাদেশ কে এক লক্ষ ৪৭ হাজার ৫ শ ৭০ থেকে কমিয়ে করছেন ১ লক্ষ ৪৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার আয়তন
উনি দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন চমৎকার
দেশ কি উনার বাপের উনি জাস্ট দেশের চাকরি করেন উনি দেশের ভূমি দেয়ার কে হার্মাদ

০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: পরীমনি, আপনার মতো আমি এত গবেষক নই, তাই আপনার জন্য আমার সহজ উত্তর ২০১৬ সালের জুন মাসে যুগান্তরে প্রকাশিত এই খবরটা দিয়ে গেলাম।

বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় ও অপদখলীয় সমস্যা সমাধানের পর দেশের আয়তন বেড়েছে ৩৬ দশমিক ১৮ বর্গকিলোমিটার। শিগগিরই বর্ধিত এলাকা বাংলাদেশের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ জলভাগের পরিমাণও নতুন করে নির্ধারণের কাজও শুরু হয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এ জলভাগের সীমানা জরিপের কাজ চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে। ছিটমহল বিলুপ্ত ও দেশের বিভিন্ন নদ-নদী শুকিয়ে যাওয়ায় স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর নতুন করে বাংলাদেশের নির্ভুল সীমানা ও সঠিক আয়তন নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা মামলায় ডিক্রির নতুন এলাকাও বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হবে। রোববার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশের বর্তমান আয়তন এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার। গত বছরের ৩০ জুলাই গেজেট জারির মাধ্যমে বিলুপ্ত হয় বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি সংক্রান্ত জটিলতা। এরপর ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে শুরু হয় বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময়। বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহল (১৭ হাজার ১৬০.৬৩ একর) বাংলাদেশকে ফেরত দেয় ভারত। এছাড়া তারা অপদখলীয় ৬টি ভূমিও (যার আয়তন ২ হাজার ২৬৭.৬৮২ একর) বাংলাদেশকে হস্তান্তর করে। এনিয়ে বাংলাদেশকে মোট ১৯ হাজার ৪২৮ দশমিক ৩১ একর অর্থাৎ ৭৮ দশমিক ৬২ বর্গকিলোমিটার জমি ফেরত দেয় ভারত। অপরদিকে ভারতের মধ্যে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল (৭ হাজার ১১০.০২ একর), অপদখলীয় ১২ ভূমি (যার আয়তন ২ হাজার ৭৭৭.০৩৮ একর) ভারতকে ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশ। ভারতকে ফেরত দেয়া মোট পরিমাণ ১০ হাজার ৪৮৭ দশমিক ২৪ একর অর্থাৎ ৪২ দশমিক ৪৪ বর্গকিলোমিটার। উভয় দেশের ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি বিনিময়ের পর চূড়ান্ত জরিপে বাংলাদেশ ৩৬ দশমিক ১৮ বর্গকিলোমিটার আয়তন বেশি পেয়েছে।

গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশের নির্র্ভুল সীমানা ও সঠিক আয়তন নির্ণয়ের লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরের এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি যা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, তার আয়তন কত? এ ভূমি বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিনা? জবাবে বাংলাদেশ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ছিটমহল ও অপদখলীয় ভূমি বিনিময়ে বাংলাদেশের ‘নেট গেইন’ হয়েছে ৩৬ দশমিক ১৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা। ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ পেয়েছে মোট ৭৮ দশমিক ৬২ বর্গকিলোমিটার। অপরদিকে বাংলাদেশের কাছ থেকে ভারত পেয়েছে ৪২ দশমিক ৪৪ বর্গকিলোমিটার। অর্থাৎ বাংলাদেশ বেশি পেয়েছে ৩৬ দশমিক ১৮ বর্গকিলোমিটার। তবে এই আয়তন এখনও বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়নি।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫টি সেক্টরের ৪টির (পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা) সীমানা নির্ধারণ এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছে সরকার। ভারতের মিজোরাম ও বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকাটি দুর্গম ও নিরাপত্তাজনিত কারণে এ দায়িত্ব ‘সার্ভে অব বাংলাদেশ’কে দেয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) শেখ আবদুল আহাদ সোমবার যুগান্তরকে বলেন, দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশের নির্ভুল সীমানা ও সঠিক আয়তন নির্ণয়ের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ বৈঠক গত রোববার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এখন জলসীমানা নির্ধারণের কাজ চলছে। এটি চূড়ান্ত হতে আরও ৫/৬ মাস সময় লাগবে। সব জরিপের কাজ শেষ হওয়ার পরেই দেশের মানচিত্র পুনঃনির্ধারণ হতে পারে।

জরিপ অধিদফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, ছিটমহল বিলুপ্ত ছাড়াও স্বাধীনতার পর দেশের অধিকাংশ নদ-নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এমনকি অনেক নদী বিলুপ্তও হয়েছে। পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার মতো নদীতে বড় বড় চর পড়ে তা লোকালয়ে পরিণত হয়েছে। এসব চরে গড়ে উঠেছে মানুষের স্থায়ী বসতি। বড় বড় গাছপালা দেখলে মনেই হয় না, এককালে এ বসতির জায়গাটিতে ছিল খরসে াতা নদী। আবার কোনো কোনো লোকালয় ও জমি নতুন করে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সবকিছু মিলিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ জলসীমা নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

দেশের অভ্যন্তরীণ জলসীমার বিষয়ে বৈঠকে বলা হয়, দেশের মোট আয়তনের ১৪ ভাগই জল। যার আয়তন ২২ হাজার ১০০ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়ের আয়তন ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার, যা অভ্যন্তরীণ জলসীমা নামে পরিচিত। জরিপ অধিদফতরের এই জলসীমার সঙ্গে একমত নয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের মতে ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটারই সমুদ্র এলাকার অভ্যন্তরীণ জলসীমা।

এর আগে সমুদ্রসীমা মামলায় নেদারল্যান্ডসের স্থায়ী সালিশি আদালতের রায়ে বঙ্গোপসাগরে ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা পায় বাংলাদেশ। বাকি ছয় হাজার ১৩৫ বর্গকিলোমিটার পেয়েছে ভারত। ২০১৪ সালের ৭ জুলাই ওই রায় পাওয়া যায়। তারও আগে মিয়ানমারের সঙ্গে রায়ে বাংলাদেশ পায় ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটার। এসবই যোগ হবে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বাংলাদেশের সঙ্গে। চূড়ান্ত জরিপ শেষে বাংলাদেশের ম্যাপের এই জলসীমাও চিহ্নিত থাকবে।

বাংলাদেশের বর্তমান সীমান্ত তৈরি হয়েছিল ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলের পর। বর্তমান বাংলাদেশ অঞ্চল তখন ‘পূর্ব বাংলা’ নামে পরিচিত ছিল। যেটি নবগঠিত দেশ পাকিস্তানের পূর্ব অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। পূর্ব বাংলা থেকে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিবর্তন করা হয়। পাকিস্তানি শাসনের অবসান হলে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রথম মুখোমুখি হয় সীমানা চিহ্নিতকরণ সমস্যার। তিনদিকে ভারতের সীমান্ত থাকায় ১৯৭৪ সালে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই চুক্তির আলোকেই বাংলাদেশের মানচিত্র চূড়ান্ত হয়।

যুগান্তর
E-mail: [email protected]

১৪| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:১৪

শূন্যনীড় বলেছেন: রূপকথার পরী কি জেনে শুনে বলে গেলেন নাকি অন্ধকারে ঢিল ছুড়ে গেলেন বুঝলাম না!!!!
এই দেশে যদি ভালো কিছু করে থাকে তা একমাত্র আওয়ামী লীগ করেছে। আয়তন কমানোর কথা বলছেন কোন হিসেবে যেখানে আওয়ামী লীগ সরকার আয়তন বাড়িয়েই চলেছে!! হায়রে অকৃতজ্ঞ জাতি!!

০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: ছাগল ছাগলই থাকে ভাই, বাদ দেন। পাক-শঙ্কর কোনদিন বাঙালি হবে না

আন্তরিকতায় কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

১৫| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এই রকম একতরফা পোষ্ট দিলে মানুষ বুঝবে আপনি কোন দল করেন।

০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৫

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: না ভাই, শুধু এক তর্ফা হবে কেন! এখানে কেবল এটাই বুঝাতে চেয়েছি যে, শেখ হাসিনা জনগণকে ভালোবাসেন মন থেকে, তিনি জনগণকে মরিচ বাটা করেন না, চান না কখনওই।

আর কেউ যদি জেনেই যায় যে আমি কোন দল করি, তাহলেও কোন সমস্যা দেখি না। আমি গৌরবের সাথে সবসময় বলবো আওয়ামী লীগ আমার গর্ব, আমার অহংকার। আমি এমন গৌরব উজ্জল রাজনৈতিক দলের সাপোর্টার হতে পেরেও গর্ববোধ করি। এক্ষেত্রে আমার উত্তরটা মুহম্মাদ শফিকুর রহমান করে রেখেছেন গতবছর-

মাঝে-মধ্যে একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, ‘কেন আওয়ামী লীগ করি?’ প্রশ্নটা বিব্রতকর বটে। আওয়ামী লীগ তো অবশ্যই করি। তাই প্রশ্ন যত বিব্রতকরই হোক, জবাব দেয়া নৈতিক কর্তব্য মনে করি।

জবাবটা দেই, এরচে’ ভাল কোন রাজনৈতিক দল যে বাংলাদেশে নেই। দলটির আদর্শ, নীতি, অসাম্প্রদায়িকতা, ভবিষ্যত দৃষ্টি, দেশ ও জনগণের প্রতি মমত্ববোধ, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকার, সর্বোপরি স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে অটল অবস্থান এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ও মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার জন্য যে দল এবং দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন, সে দলকে তো সমর্থন করতেই হবে। তাছাড়া যে দলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতি জড়িত, যে দলের সঙ্গে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানের গৌরব, সে দলকে তো সচেতন নাগরিক হিসেবে সম্মান করতেই হবে। আর সব দল তো কী নীতির প্রশ্নে, কী আদর্শের প্রশ্নে, কী যোগ্যতার প্রশ্নে, আওয়ামী লীগের ধারে-কাছেও নেই।

ঠিক একই কারণে ব্রিটেন হলে বলতাম লেবার পার্টি করি, কেননা এরচে’ ভাল দল যে ওদেশে নেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হলে বলতাম ডেমোক্র্যাটিক পার্টি করি, ফিলিস্তিনে হলে পিএলও তথা ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের লড়াইয়ে যোগ দিতাম, আর ভারতে হলে বলতাম আইএনসি বা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস করি। এসব দল ছাড়া যে সে সব দেশের তুলনামূলক ভাল কোন দল নেই।

যদি কেউ জিজ্ঞেস করে পাকিস্তানে হলে কোন্ দল করতাম? আমার উত্তর হতো, কোন দলই করতাম না, দেশ ছেড়ে চলে যেতাম। যে দেশের রাজনীতিই তো নেই, তাই দলের কথা আসতে পারে না। বুটের তলায় পিষ্ট হতে হতে ওটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, নিজে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে, তারপরও অন্য দেশে নাশকতা চালানোর জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে (আইএসআই) ব্যবহার করছে। অর্থ-অস্ত্র-টেররিস্ট সাপ্লাই করছে। একাত্তর সালে ৯৩ হাজার মিলিটারি সঙ্গে নিয়ে নতজানু হয়ে করজোড়ে আত্মসমর্পণ করেও আক্কেল হয়নি। ৪৫ বছর হয়ে গেল, তবু খাসলত গেল না। ও জিনিসটা নাকি মলেও যায় না।

কখনও-সখনও এমন প্রশ্নেরও সম্মুখীন হতে হয়, কেন খালেদা জিয়াকে সমর্থন করি না। এ প্রশ্নের আমি কী উত্তর দেব? প্রশ্নটি তো উত্তর দেয়ার মতো হতে হবে। এড়িয়েও যেতে পারি না। এড়িয়ে গেলে মনে করবে জবাব দেয়ার কিছু নেই। তাই বলি, যারা চোখ থাকতে অন্ধ, চারদিকে তারা কিছুই দেখতে পায় না। তাই তারাই এমন অবান্তর প্রশ্ন করে। অবশ্য যারা এসব প্রশ্ন করে তারা মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাষ্ট্র পরিচালনার তুলনামূলক বিশ্লেষণ শুনতে চায়। কেউ কেউ অবশ্য বিব্রত করার জন্যও প্রশ্নটি করে বুঝতে পারি। সে ক্ষেত্রে আমার জবাবও সেই ভাষায়ই হয়। এ অবস্থায় আমাকে বিব্রত করবে কী, নিজেরাই বিব্রত হয়ে ফিরে যায়।

শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া দু’জনই তিনবার করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তবে একটু পার্থক্য আছে, শেখ হাসিনা পূর্ণ দুই মেয়াদ শেষ করে (১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯-২০১৩) তৃতীয় মেয়াদের দেড় বছর অতিক্রম করে (৫ জানুয়ারি ২০১৪...) সামনের দিকে এগিয়ে চলেছেন। আর খালেদা প্রথমে দুইবার (১৯৯১-৯৬, ২০০১-০৬ এবং ১৯৯৬-এর ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেড় মাস), তারপর ক্ষমতাচ্যুত এবং সেই থেকে আজও ক্ষমতার বাইরে। তবে ভদ্র মহিলার কর্মফল না ভাগ্যের বিড়ম্বনা বলতে পারব না, একবারও শান্তিতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেননি। আন্দোলনের মুখে চলে যেতে হয়েছে। বিরোধী দলে গিয়েও ব্যর্থ হয়ে ক’দিন পর বোমা-পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করে জনগণের সমর্থন লাভে ব্যর্থ চেষ্টা করছেন।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। বড়ও হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আদরে, আদর্শে। সে কারণেই ছোট বেলা থেকেই সাহসী এবং নেতৃত্বের গুণাবলী তাঁর মধ্যে লক্ষণীয়। তাঁর কাছেই শুনেছি, তখন তিনি আজিমপুর গভঃ গার্লস হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী, ১৯৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সমাবেশ। তিনি সহপাঠীদের নিয়ে মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে সমাবেশে আসছিলেন। পুলিশ সমাবেশে ও মিছিলে আক্রমণ করলে তিনিও মেয়েদের নিয়ে রোকেয়া হলে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েছিলেন। পরে যখন মনে পড়ল তখন অবাক হয়েছিলেন- কিভাবে ডিঙ্গালেন ঐ কাঁটাতারের বেড়া?

বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতাম বঙ্গবন্ধুও গোপালগঞ্জে মিশন হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালে ছাত্র ধর্মঘটের নেতৃত্ব দিয়ে জীবনের প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন।

বস্তুত. শেখ হাসিনার নেতৃত্বদানের ক্ষমতা একেবারে শৈশব থেকেই প্রকাশ পেতে শুরু করে। তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়েই লেখাপড়া করেন। তখনও তিনি সহপাঠীদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ইন্টারমিডিয়েট পড়াকালে ইডেন কলেজ ছাত্রী সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে অনার্সে ভর্তি হয়ে দেখলাম শেখ হাসিনাও ভর্তি হয়েছেন বাংলা বিভাগে। অবশ্য আরও কিছু খ্যাতিমান ছাত্র সহপাঠী ছিলেন। এদের মধ্যে কবি নির্মলেন্দু গুণ, নাট্যাচার্য সেলিম আল-দীন, ছাত্রনেতা নূহ-উল আলম লেলিন প্রমুখ। তখন বাঙালীর মুক্তি সনদ ৬ দফা+১১ দফা আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে এবং অতি অল্পদিনেই তা গণঅভ্যুত্থানে রূপ লাভ করে। তখন ছাত্রনেতাদের পাশাপাশি কয়েক সাহসী ছাত্রী নেতৃত্ব দিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মমতাজ বেগম, রাফিয়া আখতার ডলি, দীপা দত্ত, মালেকা বেগম, আয়েশা খানম, শেখ হাসিনা এবং আরও অনেকে। তখনও শেখ হাসিনাকে দেখেছি মিছিলের সামনে নেতৃত্ব দিতে। ক্লাসেও তাঁকে দেখেছি আচার-আচরণে, কথাবার্তায় মার্জিত, রুচিবান এবং মেধাবী। কিছুদিন শেখ কামালসহ ছায়ানটের ছাত্রী ছিলেন বলেও শুনেছি। যে কারণে অসাম্প্রদায়িকতা ও প্রগতিশীলতা কালচার তাঁর মানসপটে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এতো আমার দূর থেকে দেখা এবং শোনা।

(ঢাকা ॥ ২৯ মে ২০১৫
লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক
মুহম্মদ শফিকুর রহমান)

কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই মন্তব্যে। এই সব দুমুখো সুশীল যা ভাবে ভাবুক ভাই। তাতে আমার দ্বিধান্বিত হওয়ার কোন কারণ দেখি না। আমি শেখ হাসিনাকে গালি দেওয়ার মতো এতটা অকৃতজ্ঞ কখনওই ছিলাম না, হবও না।
শুভকামনা আপনার জন্য ভাই।

১৬| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৯

কাউয়ার জাত বলেছেন: শেখ হাসিনা শেষরাতে উঠে তাহাজ্জুদ পড়ছেন...
এরকম কোন ছবি দিতে পারেন কি? তাহলে হুজুগে বাঙালীর ধর্মীয় অনুভূতিটা খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারতেন। আরো রমজান মাস চলছে।

অবশ্য বুবুজানের "মা দূর্গার গজে চড়ে আসার" বক্তব্যটা মোল্লারা জনগণকে ভুলতে দিচ্ছেনা। আফসোস!!!

০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: হ্যা তিনি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়েন তো। বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য শেখ হাসিনার মতো গুণাবলীসম্পন্ন একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে

আর মৌ-লোভী দের কথা বলছেন ? তারা সেই কুত্তাসম্প্রদায় পাকিস্তান আমল থেকেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে এমন কোন মিথ্যা নাই যা বলেনি। শুনেছি '৭০-এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে এইসব মৌ-লোভীরা নৌকা দিয়ে কলাগাছের ভেলায় চড়ে গ্রামে গ্রামে আপনার মতো বলে এসেছে, যাতে নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু জয়ী হতে না পারেন। কিন্তু আল্লাহ্'র কি অসীম ক্ষমতা দেখেন, লুইচ্চা মৌ-লোভীদের কোন কথাই জনগণকে ঠেকাতে পারেনি, বিশাল জয় বঙ্গবন্ধুরই হয়েছিল। আর সেই প্রতিশোধ সেইসব কুত্তা মৌ-লোভীরা '৭১-এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিয়েছিল বাংলার ঘরে ঘরে মা বোনদের ধর্ষণ করে। আল্লাহ্'র কী অসীম কৃপা দেখেন, পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম পরাজয় পাকিস্তানি কুত্তা সম্প্রদায়ের জন্য রেডি করে রেখেছিল বাঙালি জাতির দ্বারা।

আপনার মন্তব্য যদিও আমার পোষ্টে প্রাসঙ্গিক নয়, তবুও আপনি ছাগলামী করলেও আমি করতে পারিনা। আমি আপনার প্রতিউত্তর সভ্য ভাবেই দিতে চেষ্টা করছি নিচে-


আসুন, সৈয়দ আবুল হোসেন তাঁর লেখায় বঙ্গবন্ধু ও ইসলাম সম্পর্কে আলোচনা করেছেন তা এক পলক দেখি ---
সৈয়দ আবুল হোসেন:-

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক অতি ধর্মপ্রাণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পূর্বপুরুষ ছিলেন শেখ আউয়াল। কিংবদন্তি যে মুঘল আমলে তিনি পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাগদাদ থেকে চট্টগ্রাম ও সোনারগাঁয়ে আসেন। পরবর্তীকালে তাঁরই উত্তর পুরুষরা অধুনা গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ায় বসতি স্থাপন করেন। বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন ইসলাম প্রচারক শেখ আউয়ালের সপ্তম অধস্তন বংশধর। বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমানের সুখ্যাতি ছিল সুফি চরিত্রের অধিকারী হিসেবে। বঙ্গবন্ধু নিজেও ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ। ইসলামি আদর্শ, আকিদা, তাহজিব ও তমুদ্দন প্রতিষ্ঠা ও সমুন্নত রাখতে তিনি ছিলেন তৎপর।
প্রখ্যাত ভাষাবিজ্ঞানী শিক্ষাবিদ ড. এনামুল হক বলেছিলেন-“বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন দু’হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের মহান স্থপতি। স্বাধীনতার অবিসংবাদিত রূপকার ও মহান ঘোষক। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম ও শ্রেষ্ঠতম কান্ডারি। সেই সাথে তিনি ছিলেন পবিত্র ধর্ম ইসলামের একজন শ্রেষ্ঠ সেবক। সমকালীন বাংলাদেশে ইসলামি মূল্যবোধ ও আদর্শ প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

১৯৭০ সালের নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে বেতার-টেলিভিশনে ভাষণদান প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন “আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে আমরা ইসলামে বিশ্বাসী নই। এ কথার জবাবে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্যÑ লেবেল সর্বস্ব ইসলামে আমরা বিশ্বাসী নই। আমরা বিশ্বাসী ইনসাফের ইসলামে। আমাদের ইসলাম হযরত রসুলে করিম (দঃ)-এর ইসলাম, যে ইসলাম জগৎবাসীকে শিক্ষা দিয়েছে ন্যায় ও সুবিচারের অমোঘ মন্ত্র। ইসলামের প্রবক্তা সেজে যারা অন্যায়, অত্যাচার, শোষণ ও বঞ্চনার পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছেন, আমাদের সংগ্রাম সেই মোনাফেকদের বিরুদ্ধে। যে দেশের শতকরা ৯৫ জনই মুসলমান সে দেশে ইসলমা বিরোধী আইন পাশের কথা ভাবতে পারেন তারাই, ইসলামকে যারা ব্যবহার করেন দুনিয়াটা ফারস্থা করে তোলার কাজে।”
’৭০-এর সাধারণ নির্বাচনের সময় ইসলামের বিধানের প্রতি জাতির জনকের অপরিসীম শ্রদ্ধাবোধ এবং ইসলাম ও সুন্নার পরিপন্থী কোনো আইন পাশ নাÑ করার অঙ্গীকারের দৃষ্টান্ত হিসেবেই এই স্মরণীয় উক্তির উদ্ধৃতি। এটা তাঁর ইসলাম প্রীতিরই একটি অনন্য নজির হয়ে থাকবে।

স্বাধীনতার অনেক আগেই বঙ্গবন্ধু বিদগ্ধ আলেমদের সমন্বয়ে গঠন করেছিলেন আওয়ামী উলেমা পার্টি। উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্র পরিচালনা ও নীতি নির্ধারণে ইসলাম সম্পর্কে যাতে উলেমায়ে কেরামদের সুচিন্তিত অভিমত ও সুপারিশ পাওয়া যায়।
বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে অনেকেই অপব্যাখ্যা করে থাকেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতার উৎস ছিল ইসলামরে মহান নবি হযরত মুহাম্মদ (দঃ)-এর ঐতিহাসিক মদিনা সনদ। প্রয়াত কবি গোলাম মোস্তফা রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ “বিশ্বনবী” থেকে উক্ত সনদ-এর অংশ উদ্ধৃত করছিঃ
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
রসুল মুহাম্মদ বিশ্বাসীদিগকে এবং যারাই তাঁর সাথে যোগ দিবে সকলকেই এই সনদ দিচ্ছেন। মদিনার ইহুদি নাসারা পৌত্তলিক এবং মুসলমান সকলেই নিজ ধর্ম পালন করবে, কেউই বিনা অনুমতিতে কারও ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। কেউই হযরত মুহাম্মদের বিনা অনুমতিতে কারও সাথে যুদ্ধ করতে পারবে না। নিজেদের মধ্যে কোনো বিরোধ উপস্থিত হলে আল্লাহ ও রসুলের মীমাংসার উপর সকলকে নির্ভর করতে হবে। বাইরে কোনো শত্রুর সাথে কোনো সম্প্রদায় গুপ্ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে না। মদিনা নগরীকে পবিত্র মনে করবে এবং যাতে তা কোনোরূপ বহিঃশত্রুর দ্বারা আক্রান্ত না-হয়, সে দিকে লক্ষ রাখবে। যদি কোনো শত্রু কখনও মদিনা আক্রমণ করে, তবে তিন সম্প্রদায় সমবেতভাবে তাকে বাধা দেবে। যুদ্ধকালে প্রত্যেক সম্প্রদায় নিজেদের ব্যয়ভার নিজেরা বহন করবে। নিজেদের মধ্যে কেউ বিদ্রোহী হলে অথবা শত্রুর সাথে কোনোরূপ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে তার সমুচিত শাস্তি বিধান করা হবেÑ সে যদি আপন পুত্র হয়, তবু তাকে ক্ষমা করা হবে না। এই সনদ যে ভঙ্গ করবে সে বা তাদের ওপর আল্লাহর অভিসম্পাত।”
১০ জানুয়ারি ১৯৭২ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের ব›ি“শা থেকে মুক্ত হয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে পদার্পণ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক বিশাল সমাবেশে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেনÑ “বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। ইসলামের অবমাননা আমি চাই না। আমি স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলে দিতে চাই: আমাদের দেশ হবে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতান্ত্রিক দেশ। এ দেশের কৃষক শ্রমিক, হিন্দু-মুসলমান সবাই সুখে থাকবে, শান্তিতে থাকবে।”

এখানেই শেষ নয়। তার কিছু দিন পর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গণপরিষদে এক ভাষণে ঘোষণা করেছিলেন: “বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। মুসলমান মুসলমানের ধর্ম পালন করবে। হিন্দু তার ধর্ম পালন করবে, খ্রিস্টান তার ধর্ম পালন করবে। বৌদ্ধও তার ধর্ম পালন করবে। এ মাটিতে ধর্মহীনতা নাই, ধর্মনিরপেক্ষতা আছে। এর একটা মানে আছে। এখানে ধর্মের নামে ব্যবসা চলবে না। ধর্মের নামে মানুষকে লুট করে খাওয়া চলবে না। ধর্মের নামে রাজনীতি করে রাজাকার, আলবদর পয়দা করা বাংলার বুকে আর চলবে না।” অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এখন আবার ধর্মের বেসাতি ও ধর্মের নামে রাজনীতি চলছে। চলছে রাজাকার-আলবদরের দৌরাত্ম্য। জেনারেল জিয়াই হচ্ছেন এর জন্যে দায়ী। তিনি সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা তুলে দেন এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ রদ করেন।

গণপরিষদে দেশের খসড়া সংবিধানের উপর ভাষণ দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনভাবে ধর্মকর্ম পালনে জনগণের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা বিধানে তার সরকারের দৃঢ় সংকল্পের কথা ব্যক্ত করতে গিয়ে ৪ অক্টোবর ১৯৭২ আবারো ঘোষণা করেনঃ “ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের সবার ধর্ম-কর্ম করার অধিকার থাকবে। আমরা আইন করে ধর্মকে বন্ধ করতে চাই না এবং করব না। মুসলমানেরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের বাধা দেয়ার ক্ষমতা এই রাষ্ট্রে কারও নেই। হিন্দু তার ধর্ম পালন করবে, কারও বাধা দেয়ার ক্ষমতা নেই। খ্রিস্টানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, কেউ বাধা দিতে পারবে না। আমাদের শুধু আপত্তি হলো এই যে, ধর্মকে কেউ রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। ২৫ বছর আমরা দেখেছি ধর্মের নামে জুয়াচুরি, ধর্মের নামে শোষণ, ধর্মের নামে বেঈমানি, ধর্মের নামে অত্যাচার, খুন, ব্যভিচারÑ এই বাংলাদেশের মাটিতে এসব চলছে। ধর্ম অতি পবিত্র জিনিস। পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না। যদি কেউ বলে যে ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়েছে, আমি বলবো ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়নি। সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করার ব্যবস্থা করেছি।”
এর ৮ দিন পর ১২ অক্টোবর, ১৯৭২ গণপরিষদে আবারও ভাষণদানকালে বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাখ্যাদান প্রসঙ্গে সেই একই ভাষায় তাঁর সরকারের সদিচ্ছার কথা ঘোষণা করে বলেন: “ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। মুসলমান মুসলমানের ধর্ম পালন করবে। হিন্দু তার ধর্ম পালন করবে, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ যে যার ধর্ম পালন করবে। কেউ কারও ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। যদি কেউ ব্যবহার করে তবে বাংলার মানুষ তাকে প্রত্যাখ্যান করবে, এ বিশ্বাস আমি করি।”

সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি, বঙ্গবন্ধু ইলমামের চেতনা ও মূল্যবোধ এবং ইসলামের নবির (দঃ) আদর্শে একটি সত্যিকার ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনে ব্রতী হয়েছিলেন। কেবল ঘোষণা বা বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে তিনি তাঁর দায়িত্ব শেষ করেননি।
নবি করিম (দঃ) বিদায় হজের ভাষণে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না-করার উপদেশ দেন। আল্লাহ পাক কোরআনের সূরা কাফেরুনে বলেছেন: “লাকুম দ্বীনুকুম অলিয়াদ্বীন।” অর্থাৎ যার যার ধর্ম তার তার কাছে।

নবি করিম (দঃ)-এর মদিনা সনদ, বিদায় ভাষণ এবং আল্লাহর পাক কালাম থেকেই ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধুও একইভাবে বিভিন্ন সময়ে ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

আগেই বলেছি, ব্যক্তিজীবনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান। তিনি বাংলাদেশে ইসলামকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্যে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ইসলামের বিধানের পরিপন্থি মদ, জুয়া তিনি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেন। মদ, গাঁজা, আফিম ইত্যাদির উপর বঙ্গবন্ধু আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পরবর্তীকালে বিএনপি সরকারের আমলে তুলে নেয়া হয়। এগুলো এখন অবাধে বিক্রি হচ্ছে, পান করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যাত্রা অনুষ্ঠানে প্রিন্সেসদের নাচানোর নাম করে অশ্লীলতা ও অপসংস্কৃতি গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তাদেরই উত্তরসূরিরা ম্যাডোনা আমদানি করে রাজধানীর হোটেলে অশ্লীলতার যে তান্ডব করে তা আজও কেউ ভোলেনি। সেই সাথে প্রসার সাধন করা হচ্ছে ভিসিআর অপসংস্কৃতির। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বঙ্গবন্ধুর আর একটি অমর কীর্তি। মাদ্রাসা শিক্ষা প্রসারের জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডও তিনি গঠন করেছিলেন। পবিত্র হজের পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ তাবলিগ জামাতের জন্য তিনি ঢাকার অদূরে টঙ্গীতে জমি প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত এ জমিতেই দেশ-বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেদের উপস্থিতিতে প্রতি বছর সগৌরবে তাবলিগ জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্বাধীনতার পর পর স্বয়ং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে রেডিও-টেলিভিশনে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পবিত্র কোরআন ও তাফসির প্রচার শুরু হয়।

তিনিই প্রথম বাংলাদেশকে ইসলামী উম্মার সাথে অঙ্গীভূত করার মানসে ইসলামি সম্মেলন সংস্থা ঙওঈ সম্মেলনে যোগদান করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে এই সংস্থাভুক্ত করেন। বঙ্গবন্ধুর সময়ে হজব্রত পালনের জন্য সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা করা হয়। পরবর্তী সরকারগুলো এ অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের পর আজ দেশে অনৈসলামিক ও শরিয়ত বিরোধী আচরণের ক্ষেত্রে সরকারি ম“ ও পৃষ্ঠপোষকতা চলছে। অবক্ষয় হচ্ছে মূল্যবোধের। এ অভিযোগ স্বয়ং আলেম সমাজেরও। বিএনপি সরকার তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে নাটক করলো। কিন্তু যখন একজন কবি মহানবী (দঃ) সম্পর্কে কটুক্তি করেছিল, বঙ্গবন্ধু তখন তাকে কারারুদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও বিএনপির ইসলাম প্রীতির মধ্যে এই হলো পার্থক্য। বঙ্গবন্ধু কোরআন ও সুন্নাহর আদর্শের প্রতি সব সময়ই ছিলেন আন্তরিক আর বিএনপি ইসলামকে নিয়ে রাজনীতি করে আসছে।

সৈয়দ আবুল হোসেন : রাজনীতিবিদ; এম পি; মন্ত্রী, লেখক, কলামিস্ট ও রাজনীতিক বিশ্লেষক। প্রবন্ধটি আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেনের লেখা ‘স্বাধীনতার জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, নামক গ্রন্থ হতে গৃহীত, রচনাকাল আগস্ট, ১৯৯৪।

লিঙ্ক:- Click This Link

১৭| ০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭

বিজন রয় বলেছেন: পোস্টে কে খারাপ আর কে মন্দ তা বোঝাতে চেয়েছেন।
আমরা বুঝতে পেরেছি।

০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই পোষ্টের সঠিক মন্তব্যটি রেখে যাওয়ার জন্য। আমি এমনটাই বুঝাতে চেয়েছি মাত্র।
শুভকামনা আপনার জন্য শ্রদ্ধার সাথে।

১৮| ০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৬

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: হা হা... ভাই কি সামুতে নতুন নাকি?

০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: হা ভাই, আমি একদম নতুন।

কেন ভাই গালি না দিয়ে আপনার হঠাৎ এমন মনে হল? পুরাতনরা বুঝি শেখ হাসিনাকে গালি দেয় সবসময় !!!

মন্তব্য আসায় কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

১৯| ০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৫

রায়হান চৌঃ বলেছেন: খোকা....... তুমি বাচ্ছা মানুষ....... যাও... মায়ের কোলে গিয়ে পিড়ার খাও গিয়ে,

মনে রেখ ছুতরা পাতায় খালি চুলকায়, মালম লাগানির টাইম ও পাইবা না

০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১০

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: আপনার মতো বুড়ো ছাগলের মন্তব্যে লাইক দিলাম এই জন্য যে, আপনাদের আসল চরিত্র প্রকাশ করে গেছেন

আমি যেদিন জন্মেছি সেদিন থেকেই মরণ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আপনি আমাকে হুমকি দিচ্ছেন !!! মানুষ একবারই মরে, আর সবাই মরবে একদিন। সেই চিন্তা আপাতত আমাকে গ্রাস করেনি কখনো।

২০| ০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

কাউয়ার জাত বলেছেন: আপনি বলেছেন, "মোল্লারা কুত্তা"
কিন্তু তারা যা বলছে সেটা কি মিথ্যা?

আপনার প্রাণপ্রিয় নেত্রী মা দূর্গার গীত গায় আবার তাহাজ্জুদও পড়ে।
হজ্জ করে আবার সিধুর-তিলকও পরে।

আসলে রাজনীতি অভিনয়ের খেলা। এখানে শাইন করতে হলে জনগণের আবেগ নিয়ে খেলতে হয়। বক্তব্যের মাঝে হঠাৎ কেঁদে ফেলতে হয়। তসবী হাতে নিতে হয়। এতিমদের নিজের সন্তান বলে ঘোষণা দিতে হয়। আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাইনা দেশের মানুষের শান্তি চাই এ জাতীয় কালোত্তীর্ণ ডায়লগ মারতে হয়।

আর অভিনয়ে বর্তমানজন সাবেকজনের চেয়ে অনেক পাকা এটা অনস্বীকার্য। যদিও দুজনকেই অপছন্দ করি।

০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: আপনার মতো কাউয়ার জাত মহান নেত্রীকে অপছন্দ করবেন এটা আবার নতুন কি ভাই!!! এটা অনেক পুরনো হিসাব।

২১| ০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

রায়হান চৌঃ বলেছেন: দুরু মিঞা..... বাচ্ছা পোলাপাইন :) !!! আইস মিঞা...... একদিন চা খাওমু নে :)

২২| ০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

কাউয়ার জাত বলেছেন: আপনি ব্লগার তালপাতার সেপাইর সাথে যোগাযোগ করুন। পেইড ব্লগার হিসেবে চাকরি হয়ে যেতে পারে।

২৩| ০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সত্যিকার পার্থক্য তুলে ধরার জন্য।

২৭ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রাখছি মন্তব্যে,

আমাদের বোঝা উচিৎ, কে দেশকে কতটা ভালোবাসেন।

২৪| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: রাষ্ট্র নায়কের জন দরদী হওয়া বাঞ্চনীয়।

২৭ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৮

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: যথা আজ্ঞা

২৫| ০৯ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:২৯

রূপকথার পরী মাজহুল বলেছেন: যুগান্তর পত্রিকাটি আওয়ামীলীগের তা জানি।
বাংলাদেশের আয়তন কিছুদিন আগে ইন্টারনেটে পেলাম ১৪৩৯৯৮ বর্গ কিলোমিটার। সারাজীবন ধরে জানি ১৪৭৫৭০ বর্গ কিলোমিটার।
বাংলাদেশের সুন্দরবন ৫০০ রয়েল বেঙ্গল কমে দাড়িয়েছে ১০০ তে। বাংলাদেশের দুইটি বন্দর দেয়া হয়েছে ভারতকে।
বাংলাদেশের ব্যাংকে সিকিউরিটির জন্য হাসিনা পুত্রকে জয়কে কোটি কোটি টাকা দেয়া হয়। জয়কে পদ দেয়ার পরই কোটি কোটি টাকা চুরি। কোটি কোটি টাকা চুরি হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে। একবার পড়বেন পত্রিকা ভারত ও আরো অনেক দেশ থেকে টাকা জয়ের একাউন্টে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো হয়। দেশ বিক্রির টাকা।
পাকিস্তানকে আমি সাপোর্ট করি। পাকিস্তান ২৩ বছর আমাদের বাংলাদেশের সাথে যা অন্যায় করেছে তার জন্য আমি পাকিস্তানকে ঘৃণা করি। কিন্তু পাকিস্তানের সব মানুষ খারাপ নয় তা আমেরিকা থাকাকালীন দেখেছি। আমার কিছু বান্ধবি পাকিস্তানী ছিল। অনেক উদার মনের।
শেখ মুজিব সম্পর্কে বাস্তবে যা শুনে এসেছি শুনুন।
আমার জন্ম শিক্ষিত পরিবারে আমার নানা পত্রিকা ছাড়া একদিন ও থাকতেন না। দেশ সম্পর্কে আলোচনা প্রতিদিন আমাদের পরিবারে হয়। তখন শুনা যেত শেখ মুজিব ভারতে গোপন বৈঠক করেছে পাকিস্তান থেকে দেশ কে স্বাধীন করে ভারতের কাছে বিক্রি করবে তার চুক্তি হয়েছে।
পাকিস্তানকে যতটা ধর্মপ্রাণ মুসলমান রা পছন্দ করে তা ভারত কে করে না। অনেকেই ভীত ছিল ভারত ক্ষমতায় আসলে ইসলাম ধর্ম পালন করতে বাধা দিবে। গরু নিষিদ্ব সহ অনেক কিছু। পাকিস্তানের শাসনের চেয়ে অনেক ভয়াবহ হবে। তাই অনেকেই স্বাধীনতাকে সমর্থন করেন নাই।
বাংলাদেশ স্বাধীন হল। শোনা গেল পত্রিকায় শেখ কামাল , শেখ জামাল , শেখ মনি বন্দুক ধরে ব্যাংক ডাকাতি করে। জোর করে বিশ্ববিদ্যালয় হতে যাকে বিয়ে করেন তাকে উঠিয়ে নেন....। পরে মেয়ের মা বাবাকে বলে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়ে তারা বিয়ে দেয়। নয়ত মনে হয় তাদের ও খুন করত। আমার এক খালা নিমন্ত্রিত হন এ বিয়ে তে তিনি বলেন লন্ডন রাজপরিবারে বিয়ে ত এত জাকজমক হয় নি। হীরা না সোনার মুকুট সহ খুব জাকজমক পূর্ণ বিয়ে হয় তখন বাঙালি রা উপোষ মরে। যারা শেখ মুজিব পরিবার কে তোষামোদ করে তাদের কোটি কোটি টাকা দেয়া হয়। তাদের নাম আমি জানি কিন্তু আমি সাধারণ মানুষ নাম বলে বিপদে পড়তে রাজি নই।
যার একা জমি পঁচিশ কানির উপর তার জমি সরকারি আইন জারি হয়। ও পঁচিশ লক্ষ টাকার উপর সম্পদ সরকারের। আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় র সম্পদ শেখ মুজিব নেয়। উনার মেয়ে একদিন আমাকে বলেন কত কষ্টে ইন্ড্রাস্ট্রি আমার বাবা করেছিলেন বেছে সবচেয়ে বড় চারটা ইন্ড্রাষ্টি মুজিব নিয়ে গেছে। আমাদের ইন্ড্রাস্ট্রিতে খুব লাভ হত , সরকার নিয়ে এই ইন্ড্রাস্ট্রিতে শুধু লোকসান করেছে।
মুজিব সরকার রাজতন্ত্র পাশ করতে চেয়েছিল হয়ত করতো কিন্তু ডালিমের বৌকে।....
শুনেছি তাই ডালিম সহ্য করতে না পেরে তার বন্ধুদের নিয়ে মুজিবকে খুন করে।
এতে আমার পরিবারসহ বহু বাঙালি স্বস্তির হাসি হেসে ছিল। ধারণা করে ছিল আর কোনো মেয়েকে। ... মুজিব পরিবার নিতে পারবে না। ... বিচার পাবে রাতের অন্ধকারে খুন হতে হবে না। .. মুজিব থাকলে কোনো পুলিশ কেস নিবে না। ....
আরো হাজারো সুনাম মুজিব পরিবারের শুনেই বড় হয়েছি।

২৬| ০৯ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৪৮

রূপকথার পরী মাজহুল বলেছেন: মুজিব পাঁচশ একর জমি ভারতকে দান করে ছিলেন। পিলখানা ট্রাজেডি শেখ হাসিনা প্ল্যান করে করেছে শুনতে পাই ভারতীয় সৈন্যরা নিজে এসে নিরস্ত্র বাঙালি সেনা অফিসারদের খুন করে তাদের (বাংলাদেশী ) অস্ত্র নেয়ার ঘর হতে অনুমতি ছিল না। কারন সাহসী বাংলাদেশী সৈন্যরা জীবিত থাকলে আমাদের দেশের ভূমিগুলি নিতে পারবে না। তারপর সাহারা হার্মাদ বলেন বাংলাদেশের সেনাদের প্রতি " তোমাদের বিচার হবে না সারেন্ডার কর '।তারপর বাংলাদেশী সেনাদের বিচারবিহীন ফাঁসি দেয়া হয়। এই শাস্তি দেখে যারা ভারতীয়দের নিজে খুন করতে দেখেছে তারা চুপ হয়ে যায়। কে যায় মরতে , একজন মরলেই কি হবে , প্রত্যেকের পরিবার আছে। আমার বাবার বন্ধু সেখানে ছিল উনার থেকে শুনেছি।বিডিআর নামটা পরিবর্তন করে বিজিবি রাখা হয়। এটা আমার খুব অপছন্দ। বিজিবি আমার মনে হয় যেন ভারতীয় বিজিপি পার্টি। আগের নামটি খুব পছন্দের ছিল এখনের নামটি খুব অপছন্দনীয়।

২৭| ০৯ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫৭

রূপকথার পরী মাজহুল বলেছেন: মাওলানা গন আমার ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাথার তাজ ও চোখের মনি। উনারা সবাই পবিত্র চরিত্রের উনাদের সম্পর্কে মিথ্যা বললে আল্লাহ ই বিচার করবেন। শুধু আশা করি খাঁটি মুসলিম হওয়ার জন্য আওয়ামীলীগ ও শয়তানরা যেন উনাদের খুন না করে। হাসিনারত মাওলানাদের খুন করে অভ্যাস আছে। এত বছরের মাদ্রাসার ছাত্র রেহাই পায় নাই খুন হতে। এই ব্লগের লেখক বা তার পরিবার ই খুন করেছে কিনা কে জানে। যা অভদ্র ভাষা ...উনাদের সম্পর্কে। ...

২৮| ০৯ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০৮

রূপকথার পরী মাজহুল বলেছেন: শেখ মুজিবের বাবা বা দাদা নিম্ন বর্ণের হিন্দু হতে মুসলমান হয়। এটা ১০০ ভাগ জানি। আরো কত যে মিথ্যা ফেরাউন রা লিখবে না হলে আর জাহান্নামে যাবে কেন। শুধু শুধু কি আল্লাহ ৭ দোজখ কাফের দের দিয়ে পূর্ন করবেন।

২৯| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

রূপকথার পরী মাজহুল বলেছেন: আমার সকল লেখা বাতিল করা হোক।

২৭ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২১

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: থাকুক থাকুক, মানুষ দেখুক আপনি কত মহৎ গুণবর্ণনা করেছেন!!!

৩০| ১২ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: রূপকথার পরী ভাই ছোট থেকেই শুনে আসছেন বাংলাদেশ বিক্রি করবে আওয়ামী লীগ!!!

কিন্তু আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ তা করতে যায়নি কখনওই!!!! বরঞ্চ বাংলাদেশের ভালো কিছু করলে তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে। এটা অস্বীকার করার জামানা শেষ। এখন সাধারণ মানুষ সব বুঝে গেছে কে দেশ বিক্রি করতে চায়, আর কে আগ্লে রাখতে চায়।।

ধন্যবাদ পোষ্টে।

২৭ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২০

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: ওরা অন্ধ প্রকৃতির!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.