নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পবিত্র কুরআন শরীফে আল্লাহ্ বলেছেন “ হে নবী আমি আপনাকে পৃথিবীর জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি।
Surah Al-Anbya [21:107]
এই আয়াতের বাস্তব প্রতিফলন পাই আমরা তার জীবনী লক্ষ্য করলে। তৎকালীন আরব সমাজে দাস ব্যবসা এবং বর্নবাদ ছিল প্রকট। এর বিরুদ্ধে নবী এবং সাহাবী গনের সংগ্রামের ব্যপ্তি ছিল মৃত্যু অবধি।
কিছু ঐতিহাসিক তথ্যের মাধ্যমে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমি নবী এবং তার সম সাময়িক অনুসারিদের সংগ্রামের কথা তুলে ধরব।
ধর্মপ্রচারের শুরুর দিকে, ইসলামের শিক্ষার প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট ছিল গরিব এবং ক্রীতদাস গন। তারা সাম্য, স্বাধীনতা এবং এক সত্যিকারের আল্লাহর রহমতের কথা শুনতে পয়ায়, এবং ইসলাম ধর্মকে বর্বরতা থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসেবে দেখেছে । তারা জানতে পারে যে, সমস্ত মানুষ আল্লাহর দাস এবং তিনি শুধু এলিট ক্লাসই নয়, সকলের কাছে পথনির্দেশ ও সুরক্ষার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ।
ইসলামের প্রথম সময়ের সেনানী, আবু বকর বুঝতে পেরেছিলেন যে নতুন মুসলিমদের জন্য জীবন অনেক কঠিন হয়ে যাবে । তিনি জানতেন যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সুরক্ষার প্রয়োজন হবে, কিন্তু আবু বকর অনেক নতুন মুসলমানের রক্ষকের ভূমিকাও গ্রহণ করেছিলেন। যত বেশি সংখ্যক লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল মক্কার অমুসলিম নেতারা নতুন বিশ্বাসকে নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ততোধিক তৎপর ছিলেন। অনেক মুসলিমদের, তাদের পরিবারের সুরক্ষা ছিল তবে দাস এবং দরিদ্ররা বিশেষত ঝুঁকির মধ্যে ছিল।
আবু বকর একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ি ছিলেন এবং তাদের অত্যাচারী মনিবদের থেকে মুসলিম ক্রীতদাসদের কিনে এনে তাদের মুক্ত করে দিয়ে, তাদের কষ্ট লাঘব করেন। মুক্ত দাসদের মধ্যে, হযরত বিলাল (রাঃ) এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ১৪০০ বছর আগে হজের সময় প্রায় ১০০,০০০ এর বেশি লোকের উপস্থিতিতে তিনি ঘোষণা করলেন:
“হে লোকেরা। তোমাদের পালনকর্তা হলেন এক পালনকর্তা এবং আমরা সকলেই একই পিতা থেকে আগত, প্রকৃতপক্ষে, আরবের থেকে অনারবের বা অনারবের থেকে আরবদের শ্রেষ্ঠত্ব নেই; বা তাক্বওয়া (ধার্মিকতা) ব্যতীত, কালো উপর সাদা; সাদা উপরে কালোর শ্রেষ্ঠত্ব নেই।“
সোর্সঃ Kitāb al-Bayān wa-al-Tabyīn, Al-Jahiz
https://en.wikipedia.org/wiki/Farewell_Sermon#:~:text=The Farewell Sermon (Arabic: خطبة,of Mount Arafat, during the
ওমর (রাঃ) যখন খালিফা ছিলেন তখন মুসলিমরা মিশর জয় করেছিল, বিজিত এলাকার নেতা Muqawqis এর সাথে দেখা করার জন্য উবায়দা ইবনে সামিত এর নেতৃত্বে মুসলমানদের একটি দলকে পাঠানো হয়।
মুসলমানরা Muqawqis নিকটে উপস্থিত হলে, মুকাওয়াকিস উবায়দা ইবনে সামিত এর ত্বকের রঙ দেখে ভীত হয়ে গেল।
সে তখন বলল, এই কালো মানুষটিকে আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে অন্য কাউকে নিয়ে এসো। ' মুসলমানরা তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। তারা জোর দিয়েছিল যে উবাইদাহ তাদের মধ্যে সেরা এবং তারা তাদের নেতা যে তারা মেনে চলেন । তারা Muqawqis কে বলেছিল যে কোনও ব্যক্তির রঙ তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। অবশেষে মুকাওয়াকিসের সেই মুসলিম প্রতিনিধি দলের নেতার সাথে কথা বলা ছাড়া উপায় ছিল না।
অনেক মুসলিম গর্বের সাথে মুসলিম স্পেনের দিকে ফিরে তাকায়। তবে খুব কম লোকই জানেন যে ইহুদিরাও এটিকে তাদের "স্বর্ণযুগ" বলে অভিহিত করে।
https://en.wikipedia.org/wiki/Golden_age_of_Jewish_culture_in_Spain
স্পেন অষ্টম শতাব্দীর শুরুতে ইসলামী বিশ্বের অংশে পরিণত হয়েছিল। মুসলমানদের অধীনে স্পেন সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। যদিও অনেক স্থানীয় স্পেনীয়রা ইসলাম গ্রহণ করেছিল, খ্রিস্টান এবং ইহুদীরা তাদের জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রেই স্বাধীন ছিল। মুসলমানরা তাদের ধর্ম ও প্রতিষ্ঠানকে শ্রদ্ধা করত। স্পেনে সত্যিকারের একটি কসমোপলিটন কালচার গড়ে উঠেছিল।
খ্রিস্টান ও মুসলিম শিক্ষার্থী গন পাশাপাশি একই প্রতিষ্ঠানে পাশাপাশি পড়াশোনা করতেন। পরিস্থিতি এমনই ছিল যে ৮৫৪ সালে কর্ডোবার আলভারো নামে একজন খ্রিস্টান (Click This Link)) অভিযোগ করেছিলেন যে এই শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে।
কর্ডোবা যদিও কেবল মুসলিম বিশ্বের গর্ব ছিল না। মুসলিম শাসনের অধীনে শহরটি পুরো ইউরোপ জুড়ে বিখ্যাত ছিল।
মুসলিম স্পেন ছিল বিজ্ঞান ও চারুকলার কেন্দ্র। মুসলিম এবং ইহুদি লেখকরা আরবিতে বিজ্ঞান সম্পর্কে অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। অনেক প্রাচীন গ্রীক গ্রন্থও বেঁচে ছিল কারণ মুসলমানরা সেগুলি আরবীতে অনুবাদ করে।
উদাহরণস্বরূপ, পদার্থবিদ্যা এবং প্রাকৃতিক ইতিহাস নিয়ে অ্যারিস্টটলের রচনাগুলি মুসলিম স্পেনে গ্রীক থেকে আরবিতে অনুবাদ করা হয়েছিল। যদিও এটি কেবল মুসলমান এবং খ্রিস্টানরা নয় যারা স্পেনে উন্নতি করেছিল। ইহুদীরা, যারা অন্যত্র অপমানিত এবং ঘৃণার পাত্র ছিল, তারা স্পেনে নিরাপদে ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছিল।
যদি আমরা সত্যিকারের ধর্ম অনুসরণ করি তাহলে সমাজে কোন ভেদাভেদ থাকার কথা নয়।
০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:০৩
কোথাও কেউ নেই বলেছেন: ঐতিহাসিকদের মতে, বিদায় হজ্জ এর সময় প্রায় এক লক্ষ্য লোকের (মূলত তায়েফ, মক্কা, মদিনা এবং ইয়েমেন হতে আগত) সমাগম হয়েছিল।
কোন কোন স্ক্লার মনে করেন, যারা রাসুল (সাঃ) কে সরাসরি দেখেছেন এবং সরাসরি তার কথা শুনেছেন তারা হলেন সাহাবী ...
সেই হিসেবে আমি ১,২০,০০০ সাহাবীর কথা বলেছিলাম।
২| ০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্ম মানুষের আবিস্কার, ইহা রাজতন্ত্রের সময় সাধারণ মানুষের জন্য সান্ত্বনার উপায় ছিলো; রাজতন্ত্রে মানুষের কোন অধিকার ছিলো না; রাজাদের নিয়ম অনুসারের তাদের জীবন চলতো। মানুষ ধর্মকে রাজতন্ত্র থেকে উঁচু একটা ব্যবস্হা মনে করে মানসিক শান্তি পেতেন।
আজকের বিশ্বে, মানুষের সামাজিক নিয়ম, সংস্কৃতি, নাগরিক অধিকার ধর্ম থেকে অনেক উঁচু মানের জীবনের সৃষ্টি করেছে; যারা এখন ধর্মীয় জীবনের কথা বলছে,তারা পুরোনো নীচু মানের জীবনযাত্রার প্রবক্তা।
৩| ০৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দাস নিয়ে বেচা বিক্রির সময় নবী সবসময় আরব দাসের বিপরীতে দুজন কালো দাস বিনিময় করতেন
এই হাদিসে এক আরব দাস মিথ্যা কথা বললে পরে যখন জানতে পারেন তার বদলে দুটো কালো দাস দিয়ে কিনে নেন। বুখারীর এই সহী হাদিসে একজন মুক্ত দাসকে আবারও বিক্রি করার প্রমান পাওয়া যায়।এছাড়া মহামারীর নিদর্শন স্বরূপ মোহাম্মদ কালো মেয়েদেরকে উপস্থাপন করতেন।
এছাড়া তাবারীর ভলিউম ২, পৃষ্ঠা ২১ এ আছে
"Ham [Africans] begat all those who are black and curly-haired, while Japheth [Turks] begat all those who are full-faced with small eyes, and Shem [Arabs] begat everyone who is handsome of face with beautiful hair. Noah prayed that the hair of Ham's descendants would not grow beyond their ears, and that whenever his descendants met Shem's, the latter would enslave them."
এছাড়া ইশাক,মুশনাদ, হিশাম তাবারীর কোনায় কোনায় কালো মানুষ জাহান্নামী বা শয়তানের রূপ বলে আখ্যায়িত করা আছে
৪| ০৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিদেশের কথা বাদ দেন।
দেশের সংখ্যালঘু শ্রেনিদের প্রতি ঘৃনা বিদ্দেষ পোষন করা কি বর্নবাদ নয়?
০৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৯
কোথাও কেউ নেই বলেছেন: অবশ্যই সেটা বর্নবাদ এবং বৈষম্য...
৫| ০৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: যুগ যুগ ধরে পক্ষে বিপক্ষে এবং বিপথে মানুষ থাকবেই
৬| ০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমান দুনিয়া ধর্মীয় মোতাবেগ চলছে না। বিজ্ঞানের নি্য়মে চলছে। তবুও আপনারা আর কত দিন চোখ বন্ধ করে রাখবেন?
৭| ০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বর্তমান যুগে ধর্মের কোন প্রয়োজনীয়তা নেই।
বর্তমান যুগে মানুষ অনেক বেশি সভ্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:২২
আলোর_পথিক বলেছেন: ১৪০০ বছর আগে নবীজী সাহাবা হিসেবে ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ কিভাবে পেয়েছিলেন?