নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি কইতে কি কই

"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার

আউলা

আউলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজব মানুষগুলি--- গ্রুপ সাউথখালি

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪১

বিআইবিএমে ভর্তি হবার পর আমরা এলাকাভিত্তিক দল শুরু করেছিলাম টান থেকে। যেমন চট্টগ্রামের ওদের গ্রুপটা সবচেয়ে বড় গ্রুপ ছিল তারপরেই ছিল আমাদের সাউথখালি গ্রুপ আইমিন দক্ষিণাঞ্চল গ্রুপ এখানে খুলনা এবং বরিশাল বিভাগ ছিল। এউ গ্রুপে জিতু ভাই নামক একজন ছিল সাতক্ষীরার। জিতু ভাইকে নিয়ে যত ই লিখি শেষ হবে না। জিতু ভাই আমাদের থেকে একটু সিনিয়র ছিলেন। এমন কোন বিষয় নেই যে বিষয়ে জিতু ভাইয়ের জ্ঞান ছিল না। কিন্তু জিতু ভাই সবসময় বেশি বুঝতে গিয়েই প্যাচ লাগিয়ে ফেলতো। টিচারদের প্রশ্নবানে জর্জরিত করে ফেলতো জিতু ভাই। প্রথম প্রথম এইজন্য নারীকূলের কেউ কেউ উনার জন্য বসার জায়গা রাখতো। পরে যখন দেখলো জিতু ভাই পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্রকেই প্রশ্ন করতে গিয়ে খাতায় কোন উত্তর না লিখে আসা শুরু করেছে, সবাই কেটে পড়লো! এই জিতু ভাই বিআইবিএমে থাকতে হঠাত ব্লগে ঢুকলো... এরপর জিতুভাই বিআইবিএমের ইতিহাস হয়ে গেল!



আমাদের সাউথখালি গ্রুপের আরেক মেম্বার ছিল আতিক। তার বাড়ি পটুয়াখালির গলাচিপায়। ভাই অনেক উদার মনের ভাল মানুষ। উনার ইংরেজিতেও বরিশাইল্যা টান। টুকটাক সাংবাদিকতার সাথে জড়িত ছিলেন। আমরা উনাকে হলুদ সাংবাদিক বলে ডাকতাম। একবার উনি কারওয়ান বাজারেপ্রথম আলো অফিসের পাশে এক চায়ের দোকানে চা খাওয়াতে নিয়ে গেলেন। পথে এক লোক হেটে যাচ্ছিল। তার হাত ধরে হ্যান্ডশেক করলো খুবই পরিচিত ভংগিতে। আমি আর সাথে থাকা বন্ধু ভাবলাম লোকটা পরিচিত তাই চা এর বিল দিয়ে দিল। কিছুক্ষণ পরে লোকটা আতিককে বললো সে আতিককে চেনে না! আমি আর সাথের আরেক বন্ধু মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে থাকলাম!



আমাদের সাউথখালি গ্রুপের আরেক মেম্বার ছিল নিয়াজ। যাকে আমরা নিয়াইজ্জা বলে ডাকি। নিয়াইজ্জা পড়ালেখায় মোটামুটি সিরিয়াস ছিল। তার সবচেয়ে বড়গুন তাকে জুতা মারলেও সে মনে রাখে না। কিভাবে যেন প্রতি পরীক্ষায় তার সাথে এক মেয়ের সিট পড়তো। সেই মেয়ে আবার ম্যাথমেটিক্যাল সাবজেক্টে খারাপ ছিল। নিয়াইজ্জা প্রতিবারই পরীক্ষায় তার খাতা খুলে তাকে দেখতে দিতো আর পরীক্ষার পরে ওই মেয়ে যখন নিয়াইজ্জাকে চিনতো না তখন আমরা নিয়াইজ্জাকে কিছু বলতে গেলে বলতো, কেউ চলে গেলে যেতে পারে, তবে নিয়াইজ্জার দরজা তার জন্য চিরকাল খোলা থাকবে! নিয়াইজ্জা ফার্স্ট ইয়ারে থাকতে আমার একটা পেনড্রাইভ নিয়েছিল আর ওটা ফেরত দেয় নি। তার একটা ই কথা ছিল সে বিআইবিএম পাশ না করে পেনড্রাইভ ফেরত দিবে না। পরে ওইটা আমি তাকে দিয়ে বলি যে ওইটা তার বিয়ের গিফট!





মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: হুমম.........


নিয়াজ ভাইয়ের লাক কেমনে এতো ভাল হয় প্রতিবার???

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

আউলা বলেছেন: নিয়াজ ভাই বারবার প্রতারিত হচ্ছে আর আপনি বলছেন তার লাক ভাল??!

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪১

বাগসবানি বলেছেন: সেই পেনড্রাইভ এর বয়স কত ? আমার গুলাতো মিউজিয়ামে তুলে রাখছি ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

আউলা বলেছেন: পেনড্রাইভটা একেবারেই নতুন ছিল। নিয়াজের সাথে গ্রুপ পড়েছিল আমার বিআইবিএমে ঢুকেই। তখন টিচাররা গ্রুপ তৈরি করে দিতো! তখন গ্রুপের কাজে পেনড্রাইভ দিয়েছিলাম। এরপরে যতবারই নিজেদের পছন্দে গ্রুপ করতে বলেছে নিয়াজ কে নিই নি!

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৭

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ইংরেজীতে বরিশাইল্যা টান!!!!!!
=p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

আউলা বলেছেন: আমার তো আপনারে নিয়াও সন্দেহ লাগে! ;);)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.