![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
..
..
..
..
..
..
..
..
..
..
..
..
টুঙ্গি পাড়ার পরেই আওয়ামীলীগের ঘাঁটি গাজীপুর এলাকা এমনটাই বলেছেন জনাব তোফায়েল আহম্মেদ এবং এটাও বলেছেন ৪ টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিজয় এবং গাজীপুর নির্বাচন এক নয়। আসলে ২০০৮ এর নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বিকল্প হিসেবে আওয়ামীলীগ কে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছিল। তার মানে এই নয় যে সারা জীবনের জন্য আওয়ামলীগ কে ক্ষমতায় বসিয়েছে।
এবার আসি চেতনা নিয়ে আলোচনা করতে. ইসলাম যেমন জামাত/হেফাজতের নিজস্ব সম্পত্তি নয় তেমনি মুক্তিযুদ্ধ শুধু আওয়ামীলীগের একার নয়। ধর্ম যেমন সবার, তেমনি মুক্তিযুদ্ধ সবার অংশগ্রহনের ফসল। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সব সময় মনে করে একমাত্র যারা আওয়ামীলীগ এর সমর্থক তারাই শুধু মুক্তিযোদ্ধা। এবং এই মুক্তিযুদ্ধকে নিয়া তারা রীতিমত ব্যবসা শুরু করেছে। অন্য দিকে বাংলাদেশে হাতেগোনা কিছু চিহ্নিত রাজাকার এর সাথে সাধারন মানুষকেও যখন আওয়ামীলীগ রাজাকার হিসেবে ঘোষণা শুরু করল তখন আর সাধারন মানুষ সহ্য করতে পারলো না এবং সবাই অপেক্ষা করল এর দাত ভাঙ্গা জবাব দেবার জন্য যার ফল ৫-০।
রাজাকারদের বাংলার মানুষ সবাই ঘৃনা করে এবং এটা অস্বীকার করা যাবে না যে তাদের বিচার দেশপ্রেমিক জনগন মন দিয়ে চায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যখন ক্ষমতার জন্য আওয়ামীলীগ জামাতের সাথে জোট হয় তখন কোন সমস্যা নয় সমস্যাটা হয় অন্য কেউ জামাতের পক্ষে কথা বললে।
বাংলাদেশের মানুষ এখন আর আগের মত বোকা নয়, তারা অনেক আধুনিক হয়েছে, সেটা বলতে পারেন বিজ্ঞানের প্রযুক্তির কারণে । তাই মানুষ গল্প শুনতে পছন্দ করে না দেখতে চায়। আওয়ামীলীগ মানুষকে বাধ্য করে গল্প শোনাতে চায়। পুলিশ প্রটেকশন দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করা যায় না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হলে নিরপেক্ষ চিন্তা চেতনা নিয়ে আন্দোলন করতে হয়, কোন দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য আন্দোলন করলে তা বেশিক্ষণ চলতে পারে না। সাধারন মানুষ এখন আর সাধারন মানুষ নয় তারা এখন অসাধারন ইনিংস খেলতে পারে শুধু অপেক্ষা করে বলের সাথে টাইমিং করার জন্য আর যখন টাইমিংটা মিলে যায় তখন বল সরাসরি বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দেয়।
৫-০ ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে বিএনপির আনন্দ করার কিছু নেই, অন্য দিকে আওয়ামীলীগ এর কর্তাব্যক্তিরা যতই বলুক না কেন নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে বলেই বিরোধী দল জিতেছে এই ধরনের বাতাসা মার্কা কথা এখন আর জনগন বিশ্বাস করতে চায় না। মানুষ বিএনপির প্রতি আস্তা রেখে ভোট দেয় নাই, ভোট দিয়েছে আওয়ামলীগের অহংকার, ক্ষমতার অপব্যববহার, দুর্ণীতি, ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেওয়া, আওয়ামীলীগের মতের বাইরের লোকদের রাজাকার হিসাবে আখ্যায়িত করার কারনে।
যারা রাজাকার, ধর্ম ব্যবসায়ী তাদেরকে যেমন বাংলার মানুষ ঘৃণা করে তেমনি যারা মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে ব্যবসা করে তাদেরকেও বাংলার মানুষ ঘৃণা করে । আর এই ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ৫টি সিটি নির্বাচনে। সামনে জাতীয় নির্বাচন তাই আওয়ামীলীগের জন্য এখন ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত ।
অহংকার পতনের মূল। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন। মানুষকে মুল্যায়ন করা উচিৎ তার সততা, যোগ্যতা ও বিশ্বস্ততার জন্য।
২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯
বাংলার আকাশ বলেছেন: সব রসুন এর গোরা এক জায়গায় , কি বিএনপি কি আওয়ামিলিগ.. আসেন না এদের বর্জন এর উপায় বের করি
৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০২
কসমিক রোহান বলেছেন: যারা রাজাকার, ধর্ম ব্যবসায়ী তাদেরকে যেমন বাংলার মানুষ ঘৃণা করে তেমনি যারা মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে ব্যবসা করে তাদেরকেও বাংলার মানুষ ঘৃণা করে । আর এই ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ৫টি সিটি নির্বাচনে। সামনে জাতীয় নির্বাচন তাই আওয়ামীলীগের জন্য এখন ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩২
শাহ আশরাফ বলেছেন: মানুষ বিএনপির প্রতি আস্তা রেখে ভোট দেয় নাই, ভোট দিয়েছে আওয়ামলীগের অহংকার, ক্ষমতার অপব্যববহার, দুর্ণীতি, ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেওয়া, আওয়ামীলীগের মতের বাইরের লোকদের রাজাকার হিসাবে আখ্যায়িত করার কারনে। +++++++++++++++++++++++++