নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! একটু introvert টাইপের। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্

অতনু কুমার সেন

সংক্ষেপে নিজের সম্পর্কে মূল্যায়নঃ ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! একটু introvert টাইপের। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্জের মত স্বপ্ন দেখে যাই। স্বপ্ন দেখি আকাশ ছুবো, মেঘের ভেলায় উড়ে যাব, নিজের রঙে রাঙ্গিয়ে দিব, সত্য ও সুন্দরের আলো ফোটাবো। জানিনা পারব কি ব্যর্থ হবো। চেষ্টা তবু করেই যাবো।

অতনু কুমার সেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মার্কিন প্রবাসী বাঙালী "মডারেট" মুসলমানদের কাছে খোলা চিঠি

১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

চিঠিটা সবার জন্য নয়, কিন্তু সিংহভাগ মার্কিন প্রবাসী বাঙালী মুসলমানের জন্য প্রযোজ্য

আমার প্রবাসী "মডারেট" ভাই বোনেরা,

কেমন আছেন? গতকাল নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প হিলারি ক্লিন্টনকে হারিয়ে দেয়ার পর মন খারাপ হয়ে আছে কি? সামনে আপনার অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কি আপনি উদ্বিগ্ন? ট্রাম্প বলেছিল জিতলে মুসলমান অভিবাসীদের আমেরিকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে (যদিও পরে সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে), সেই কথা মনে করে আপনি চিন্তিত? এই বিজয়ের পর বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থীরা আপনাদের উপর চড়াও হবে, সেটা মনে করে ভয়ে কুঁকড়ে উঠছেন? আরে, এতোটা ভয়ের কিছু নেই। এই চিঠিটা আপনাদের উদ্দেশ্যে লিখেছি আপনাদের কিছুটা হলেও আশ্বস্ত করতে। আসুন কিছু হিসাব মিলাই।

আমেরিকাতে আপনাদের কারো পূর্ণিমা রানী শীলের বাবা-মার অবস্থা হবে না। কোন রেডনেক আমেরিকান সদলবলে আপনার বাসায় আক্রমন করে আপনার বাচ্চা মেয়েটাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করবে না, আপনার বলতে হবে না

"বাবারা, আমার মেয়েটা ছোট তোমরা একজন একজন করে এসো, মরে যাবে।
রিপাব্লিক্যান পার্টির কোন সিনেটর বা কংগ্রেসম্যান আপনার বাড়ি জোরপূর্বক দখল করতে আসবে না সপরিবারে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে।

কোন চার্চের ধর্মযাজক আর তার সাঙ্গোপাঙ্গরা আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে খ্রিস্টান বানাতে আসবে না।

আপনার কল্পনা চাকমা হবার ভয় নাই এই দেশে। মার্কিন সেনাসদস্যরা রাতের অন্ধকারে আপনাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গুম করে ফেলবে না।

শ্যামনগরের মোহন কুমার মন্ডলের কথা মনে আছে? না মনে থাকারই কথা। সৌদিদের হজ ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারনে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ হাজী দুর্ঘটনায় মারা যান, সেটার সমালোচনা করেছিলেন মাত্র, তাতেই 'ধর্মানুভুতিতে আঘাত' হানার 'গুরুতর' অপরাধে তাকে ৫৭ ধারায় জেল পোড়া হয়েছিল। চিন্তা করবেন না, আপনি নিশ্চিন্তে আমেরিকার ক্যাথলিক ধর্মযাজকদের শিশু যৌন নিপীড়ন ইস্যু নিয়ে সমালোচনা করতে পারেন, আপনাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে আসবে না।

কোন আমেরিকান আপনার নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দিয়ে, ফটোশপ করা ছবি ব্যবহার করে মুসলমানদের উপর খ্রিস্টানদের খেপিয়ে দিবে না, সেই চক্রান্তে শয়ে শয়ে আমেরিকান মুসলমানদের বাড়ি, দোকানপাট, মসজিদ আগুনে জ্বলিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করবে না।

আপনাদের কারো বন্যা আহমেদ হতে হবে না, খোলা রাস্তায় চোখের সামনে নিজের স্বামীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে একটা রক্তাক্ত মাংস্পিন্ডে পরিনত হতে দেখতে হবে না, শুধুমাত্র জ্ঞানের আলো ছড়ানোর 'ধৃষ্টতা' দেখানোর জন্য।

নাহ, আপনারা জুলহাজ মান্নানের ডিমেনশিয়া আক্রান্ত বৃদ্ধা মায়ের চেয়েও ভাগ্যবান। আমেরিকাতে আপনার বাসায় এসে আপনার ছেলেকে কেউ শুধুমাত্র 'ভিন্ন' হবার অপরাধে কুপিয়ে মেরে যাবে না, তার রক্তের মাঝে আপনাকে দাঁড়িয়ে থেকে 'আমার খোকা কই?'বলে প্রলাপ করতে হবে না।

আমেরিকাতে খ্রিস্টান ধর্ম কখনও সাংবিধানিকভাবে 'রাষ্ট্রীয়' ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পাবে না, যতই কিছু কট্টর পাগলছাগল চিল্লাক। আপনি আমি আমাদের ধর্ম পালন করতে পারবো অত চিন্তা ছাড়া। কেউ বাঁধা দিতে আসবে না।

হ্যাঁ, একটু কষ্ট নিতেই হবে। ধরুন, আপনি যদি আমেরিকার দক্ষিনাঞ্চলে বাস করেন, তাহলে হয়তো কয়েকটা মসজিদ বা ইসলামিক সেন্টারের বাইরে কিছু আজেবাজে কথা লেখা সাইন দেখতে হতে পারে, হয়তো দুই একটায় কিছু উগ্রপন্থী আগুন লাগাতে পারে। আপনার শিশুকে স্কুলে কিছু বর্ণবাদী সহপাঠীদের তির্যক মন্তব্য সহ্য করতে হতে পারে, হয়তো তার কোন সায়েন্স প্রজেক্টকে বোমা মনে করে কিছু ভোগান্তি পার করতে হতে পারে। আপনিও হয়তো রাস্তায় একদিন অপরচিত কোন পথচারীর কাছে গালি খাবেন। কিন্তু সেসব তো এখনও হচ্ছে, তাই না? এসবের সাথে ট্রাম্পের আসার কোন সম্পর্ক নেই। আর চিন্তা করে দেখুন তো, যেই দেশ ছেড়ে এসে আমেরিকাতে থিতু হয়েছেন, সেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের তো এসব সবসময় সহ্য করতে হয়েছে। আপনিই হয়তো কখনও কোন সহপাঠীকে 'মালু' বলে ডেকেছেন, হিন্দুদের দেশ ছেড়ে 'রেন্ডিয়ায়' চলে যেতে বলেছেন, কোন ব্লগার চাপাতির কোপে খুন হলে বিজ্ঞের মত মাথা ঝাকাতে ঝাকাতে বলেছেন 'ইট মারলে পাটকেল তো খেতেই হবে'। তখন সেসবকে 'বিগ ডিল' মনে করেন নাই। আর উপরে যেই লিস্টি দিলাম, আপনিও যানেন, আমিও জানি, আমেরিকাতে এইসব হবার সম্ভাবনা নেই। তাহলে আপনাদের কেন এতো ভয় পাওয়া? কিন্তু বাংলাদেশে যখন এসব প্রত্যেকটা ঘটনা ঘটে, তখন আপনাদের গায়ে লাগে না। কারন সেখানে আপনি সংখ্যাগুরু সম্প্রাদায়ের গর্বিত সদস্য। :D

এখন একটু ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ট্রাম্প এবং রিপাব্লিক্যান পার্টির কিছু জিনিস দেখার চেষ্টা করুনঃ
সমকামীদের বিয়ে করার অধিকার দিয়ে যেই আইন গতবছর পাশ হয়েছিল, তা ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলেই বাতিল হয়ে যাবে সম্ভবত।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলোর উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হবার সম্ভাবনা আছে। সেই সাথে তে গর্ভপাত করার সিদ্ধান্ত নেয়ার যে অধিকার নারীদের রয়েছে, সেটাও খর্ব করার চেষ্টা চালানো হবে।
এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আরেকবার পুরুষতান্ত্রিক সমাজের আধিপত্য নিশ্চিত হলো। এখন নারী ক্ষমতায়ন পিছিয়ে যাবে এই দেশে। এখনও আমেরিকায় বেশীরভাগ চাকরির ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বেতনের মধ্যে যে বিশাল বৈষম্য আছে, সেটা নিকট ভবিষ্যতে ঠিক হবে না।

এখন বলুন তো, একটু কি স্বস্তি লাগছে? আপনি নিজেও হোমোফবিক। নিজের থেকে ভিন্ন এমন ধরনের মানুষদের ঘৃণার চোখে দেখেন এবং তাদের মৌলিক অধিকার থাকতে পারে তাতে বিশ্বাস করেন না। আপনি জন্মনিয়ন্ত্রণে বিশ্বাস করেন না। আপনি লিঙ্গবাদী, নারী-পুরুষের সমান অধিকার থাকতে পারে সেটা মানতে অপারগ। ট্রাম্প এবং রিপাব্লিক্যান পার্টির সাথে নিজের কিছু মিল খুঁজে পাচ্ছেন কি?

তাই বলি, অতটা চিন্তা করবেন না। আপনারা আমেরিকাতে ভালোই থাকবেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের যা সইতে হয়েছে, বা এখনও সইতে হয়, তার সিকিভাগ আপনাকে আমেরিকাতে সইতে হবে না, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকাতেও না। তাই বাংলাদেশে ঘটা সাম্প্রদায়িক/মৌলবাদী ঘটনাগুলোর সময় যেমন শীতনিদ্রা যাপন করেন, এখনও আরামসে তাই করতে থাকুন। ট্রাম্পের কারনে এই দেশে সাম্প্রদায়িক ঝড় আসলে সবচেয়ে বড় ঝাপ্টা মেক্সিক্যান অভিবাসী আর কিছু অভাগা সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসা আশ্রয়প্রার্থী শরণার্থীদের উপর দিয়ে যাবে, আপনাদের না।

টেক ইট ইজি, এন্ড -

ইতি,
আপনাদেরই একজন সতীর্থ (স্রেফ বিবেক বলে কিছু আছে)

সংকলিত -
লিখেছেন ব্লগার ইয়ামেন ভাই

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

নেবুলাস বলেছেন: দাদা মিষ্টি বিতরণ করছেন নাকি?

১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮

অতনু কুমার সেন বলেছেন: ;) ;)

২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৯

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: যেই লিখে থাকুক লেখাটা সেটার উদ্দেশ্য একটাই , ''ঘৃনা ছড়ানো'' । সংখ্যা্লঘু নির্যাতন আমাদের দেশে সবসময়ই সব সরকারের আমলেই রাস্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়। আমেরিকায় কোন সরকারের আমলেই সেটা হওয়া সম্ভব নয় আইনের শাষনব্যবস্থা থাকার কারনে।

পারস্পরিক ঘৃনা ছরানোর উদ্দেশ্যে যারা এ ধরনের লেখা লেখে তার পেছনে একেকজনের একেক ধরনের স্বার্থ জড়িত। বর্তমানে ইউরোপে পাড়ি জমানোর ধান্দাটা বেশ সফলতার মুখ দেখছে।

৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৯

মাহিরাহি বলেছেন: দাদা বলতে পারেন কি

ট্রাম্পের বিজয়ে শিবসেনারা এত উল্লসিত কেন!

৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কিছু ছাগুর জন্য সাধারন ভদ্র মোসলমানদের সমস্যা।
মিথ্যা ঘোষনা দিয়ে স্টুডেন্ট ভিসা/টুরিষ্ট ভিসায় এসে পরে সরকারের পায়ে ধরে রেসিডেন্সি নিবে।
একটু পজিশন হয়ে গেলেই ইয়া লম্বা দাড়ী, লম্বা আলখেল্লা আর কালো বিভৎস বোরখা। না এসবের সাথে ধর্মপালনের কোন সম্পর্ক নেই। এসব ছাড়াও অনেক ভালভাবে ধর্ম পালন করা যায় যুক্তরাষ্ট্রে। এই কুৎসিত লেবাস প্রচলিত সভ্যতাকে বিদ্রুপ করার জন্যই। কথায় কথায় ছি ছি .. হারাম হারাম।
এরা সরকারের খায় আর মসজিদেও খায়। সরকারের যত সুযোগসুবিধা আছে যত রকমের অনুদান আছে এরা সবই নিবে, বউদের হেজাব-জিন্স পরিয়ে পাছাদুলিয়ে হাটাবে, কাফেরদের চাকরও হবে .. হারাম টাকা পকেটে নিয়ে খুজবে হালাল মাংসের দোকান। একদিকে ট্যাক্স ফাকি দিবে .. আর আল্লাকে ডাকবে।
এই নিমকহারামরা যে দেশে আশ্রয় পেল যে দেশের আলো হাওয়ায় বড় হল, সেই দেশের প্রচলিত কালচারকে বিদ্রুপ করবে। আর সন্ধায় মসজিদে যেয়ে সেই দেশেরই ধ্বংস কামনা করবে সারা জীবন।
এরা আশ্রয়দানকারি দেশ, এমনকি নিজ দেশকেও ভালবাসবেনা। ভালবাসবে দূরের কোন অসভ্য বর্বর জাতিকে, জাকাতের টাকা পাঠাবে সেই অসভ্য-বর্বর দেশেই ..
এই টাকা কি হচ্ছে জঙ্গিদের হাতে যাচ্ছে কি না জানার দরকার নেই। এই হলো আমেরিকান ছাগু।
আর সুযোগ পেলেই এই নিমকহারামরা সভ্যতাকে মরনআঘাত করবে।

৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৫

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: সামু কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি-
এই পোষ্টটি উসকানি মনে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.