![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদ মোটামুটি বৃত্তাকার একটি কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করে আসছে অনন্তকাল ধরে।এই কক্ষপথের পুরোটা ঘুরতে চাঁদের সময় লাগে ২৭.৩ দিন । এই সম্পুর্ণ ঘুর্ণনপথকে যদি ৩৬০ ডিগ্রী ধরা হয় তবে ১ দিনে চাঁদ তার নিজ কক্ষপথে ঘোরে(৩৬০÷২৭.৩)=১৩.২ ডিগ্রী।
এবার মনে করেন আপনি গতকাল রাত ৮টার সময় পৃথিবীর ‘ক’ বিন্দুতে দাঁড়িয়ে ছিলেন।চাঁদ ছিল ঠিক একদম আপনার মাথার উপরে ‘প’ বিন্দুতে ।এরপর পৃথিবী আপনাকে নিয়ে তার নিজ অক্ষের উপর ৩৬০ডিগ্রীর একটা চক্কর সম্পূর্ণ করে, ২৪ ঘন্টা বা একদিন পর,মানে ঠিক আজ রাত ৮টায় আপনাকে আবার ‘ক’ বিন্দুতে নিয়ে আসল।এখন আবার ঠিক গতকালের মত একদম মাথার উপর ‘প’বিন্দুতে চাঁদ দেখতে পাওয়ার কথা আপনার।কিন্তু আপনি মাথার উপর চাঁদ দেখতে পেলেন না।
এর কারণ, ঐ যে ,চাঁদ একদিনে তার নিজ কক্ষপথে ১৩.২ ডিগ্রী করে এগিয়ে যায়।একদিন পর আপনি যখন ‘ক’ বিন্দুতে ফেরৎ এসেছেন এই একদিনে চাঁদ মামা ১৩.২ ডিগ্রী সামনে এগিয়ে ‘প’ বিন্দু থেকে ‘ফ’ বিন্দুতে চলে গেছে।
এখন ‘ফ’ বিন্দুর নিচে গিয়ে চাঁদকে আবার মাথার উপরে আনতে কত সময় লাগবে চলুন সেটা বের করি।
পৃথিবী ২৪ ঘন্টায় বা একদিনে তার নিজ অক্ষের উপর ৩৬০ ডিগ্রীর একটি ঘুর্ণন সম্পুর্ণ করে।পৃথিবীর উপর দাঁড়িয়ে ,বসে কিংবা শুয়ে থাকা আপনি কিংবা আমিও পৃথিবীর সাথে সাথে ৩৬০ ডিগ্রীর একটা চক্কর খাই প্রতি ২৪ ঘন্টায় বা (২৪×৬০)=১৪৪০ মিনিটে।
তাহলে ১ ডিগ্রীর চক্কর খাইতে সময় লাগবে (১৪৪০÷৩৬০)=৪ মিনিট।
এখন ‘ফ’ বিন্দুতে অবস্থানরত চাঁদকে মাথার উপর আনতে গেলে আমাদেরকে ২৪ ঘন্টার ৩৬০ ডিগ্রী চক্করের পর আরও এক্সট্রা ১৩.২ ডিগ্রী চক্কর দিয়ে ‘ফ’ বিন্দুর নিচে ‘খ’ বিন্দুতে আসতে হবে।আর এই ১৩.২ ডিগ্রী এক্সট্রা চক্কর দিতে পৃথিবীর সময় লাগে-
১৩.২×৪ =৫৩ মিনিট।
তার মানে আপনি প্রথমদিন ৮টার সময় চাঁদ মাথার উপর দেখলেও তার পরদিন দেখবেন ৮টা বেজে ৫৩ মিনিটে।অর্থাৎ আপনি যে কোন দিন, আগের দিনের মুনরাইজের সময়ের সাথে ৫২/৫৩ মিনিট যোগ করে সেই দিনের মুনরাইজের একটি নির্ভুল সময় বের করতে পারেন অনায়াসে।
নিচের ছবিটাতে অক্টোবর মাসের আজকের তারিখ পর্যন্ত ঢাকার মুনরাইজের সময় দেয়া আছে।
৩ তারিখে মুনরাইজের সময় ছিল রাত ১০টা ১৯ মিনিটে।
৪ তারিখে মুনরাইজের সময় রাত ১১টা ১৩ মিনিটে , ৩ তারিখের মুনরাইজের সময়ের ৫৪ মিনিট পর।
এই ৫৪ মিনিট ঢাকার লোকজন ১৩.২ ডিগ্রীর চক্কর কেটেছে ।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
অভি নন্দলাল বলেছেন: আমি যে বিষয় নিয়ে বলতে চেয়েছি তাতে চাঁদের অনন্তকালের অস্তিত্বের দরকার ও নাই। ধন্যবাদ।
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৯
সাহসী সন্তান বলেছেন: অনেক সুন্দর বর্ননা! আপনার পোস্টটা এতটাই গোছালো ছিল যে বুঝতে একবিন্দুও ঘাম ঝরাতে হয়নি! প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত সুন্দর এবং সুচারু বর্ননা! খুবই ভাল লাগলো!
শুভ কামনা জানবেন!
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৯
অভি নন্দলাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই । আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২০
অবুঝ ছেলে তমাল বলেছেন: পোস্টটা পড়ে ভালাে লাগলো।ধন্যবাদ
৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫
এস কাজী বলেছেন: বাহ বেশ ভাল জিনিস জানলাম। খুব সুন্দর বর্ণনা ছিল। ধন্যবাদ
৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫০
সিপন মিয়া বলেছেন: After all, Carry on brother.
৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:২৮
প্রলয়শিখা বলেছেন: ইন্টারেস্টিং। ভাল লেগেছে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:৩৫
অভি নন্দলাল বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৬
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো তথ্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬
অভি নন্দলাল বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ।
৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫
প্রতিবিম্ব প্রতিচ্ছায়া বলেছেন: খুব ভালো হয়েছে
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৭
অভি নন্দলাল বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৭
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: খুব মজার। অনবদ্য বর্ণনা
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১
অভি নন্দলাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩
সিপন মিয়া বলেছেন: " পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদ মোটামুটি বৃত্তাকার একটি কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করে আসছে অনন্তকাল ধরে।"___কথাটির সাথে দ্বিমত পোষন করতে বাধ্য হচ্ছি। যেহেতু, বিগ ব্যাংয়ের মাধ্যমে সবকিছুর সূচনা সেহেতু প্রদক্ষিণটা অনন্তকাল ধরে হয় কিভাবে সেটা আমার মাথায় ঢুকে না।