অ আ আজকের লেখালেখি - ২৫১ (বন্ধুর সাথে ছোটবেলার দিনগুলি)

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

জীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে বন্ধুত্বের দিনগুলি। আমার ফেলে আসা দিনগুলোতে অসংখ্য বন্ধু এসেছে; কেউ রয়ে গেছে, কেউ মরে গেছে, কেউ হারিয়ে গেছে, কেউবা হারিয়ে যাওয়ার প্রতীক্ষায় আছে। হারিয়ে যাওয়া অনেক বন্ধু আজ বিদেশে অবস্থান করছে, কেউবা ইচ্ছে করে হারিয়ে যাচ্ছে, কেউ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কেউবা বাবা কিংবা মা হয়ে ছেলে মেয়ের আবদার সামলাচ্ছে। কেউবা স্বামী কিংবা স্ত্রী হয়ে সংসার সামলাচ্ছে।



ছেলেবেলার সেই সোনার দিনগুলো এখন স্রেফ দীর্ঘশ্বাসের একটা অংশ। আবীর, রায়হান, পারভেজকে নিয়ে ম্যাট্রিক দিয়ে প্রথম একা চা বাগানে ঘুরতে যাওয়া। সারাবেলা ধরে বৃষ্টিতে ফুটবল খেলা। আমার মন যেসব স্মৃতিগুলো এখনো বহন করে চলছে, আমি তাদেরই কথা নিয়ে লিখি।



আবেগ, ভালোবাসার, দীর্ঘশ্বাস, অভিমান, মায়া এ সবকিছু মিলিয়ে বারবার প্রভাবিত হই । অনেক বন্ধুর জন্যে আজও হাসতে পারি, এখনো পুরোপুরি যান্ত্রিক হতে পারি নি। আগের মতন প্রাণ খুলে আড্ডা দিতে পারি না, শুধুমাত্র ব্যস্তার জন্যে। তাই বলে একদম বন্ধ হয় নি।



আমার বন্ধুগুলোকে নিয়ে ভাবতে গিয়ে আমি কোন মজার স্মৃতির জন্যে হেসেছি, আবার কোন কষ্টের স্মৃতির জন্যে চোখের জল মুছেছি। অনেকবার আবেগ তাড়িত হয়েছি। সেই জলে ডুবে যাওয়া জুয়েল। বিপুলের প্রথম স্থান অর্জন। সুরভীর বাবা মারা যাওয়ায় সুরভীর একদম ভেঙ্গে পড়া। শেষ মুহূর্তে ম্যাট্রিক দিতে পারল না। এমন অনেক কিছু।



রোজ ছাদে বিকালবেলাতে ক্রিকেট খেলা। সিমেন্ট ফ্লোরে পলাশের ডাইভের মহড়া।পুরাটা ছাদ জুড়ে নেটের বাহার। খেলা শেষে খুরশীদ ভাইয়ের দোকানে বাকীতে কোক। হরতাল হলে রাস্তা ব্লক করে ক্রিকেট ম্যাচ কোক বাজী।



আমার কাছে সবকিছু কেমন যেন ছেলেবেলার রূপকথার গল্প মনে হয়েছে। আমার লেখার প্রতিটি অক্ষর একেকটা সময়ের নিরব সাক্ষ্য দিয়েছে। হয়ত আমার লেখা যারা পড়ে তারা হয়ত হাসবে আর বলবে এই ছেলেটা নির্ঘাত পাগল হয়ে গেছে। হয়ত তাই আমি আমার পুরানো দিনগুলো ফিরে পাবার জন্যে আজও অর্ধ উন্মাদ হয়ে আছি।



বারবার ছোট হয়ে যেতে ইচ্ছে হয়। বারবার ধার নিতে ছুটে যাই ছোট ছোট শিশুদের কাছে তাঁর ছোটবেলার দিনগুলি।



১৭ই ফ্রেবুয়ারী ,২০১৩

--------------------------------------------------------------------------------

লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ২৫১/৩৬৫

(বিলম্বে আপলোডের জন্যে দুঃখিত)

০ টি +১/-০