অ আ আজকের লেখালেখি - ২৭০ (ঈর্ষাপরায়ন বাঙ্গালী)

১০ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

সম্প্রতি ব্লগারদের ভিতর রেষারেষি বাড়ছে, হিংসামি বাড়ছে, ফটোগ্রাফারদেরও সেরকম রেষারেষি করতে দেখি প্রায়ই। এ বিষয়গুলো আশংকাজনক হারে বেড়েছে।



আমাদের পারিবারিক আড্ডার মাঝে আমার পূর্ববংশধরদের আমি এ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম, “তোমরা যে একসময় ফটোগ্রাফি করতে, লেখালেখি করতে, গান গাইতে এগুলোর শুরুতে কি তোমাদেরকে এমন ঈর্ষাপরায়নের পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছিল”? তারা খুব সুন্দর করে আমাকে পুরো ব্যাপারটা ব্যখ্যা করে দিল। তাদের সময়ের যা আন্তরিকতা ছিল এখনকার আমাদের ভিতরে তার ছিটেফোটা নেই এজন্য এই প্রশ্ন আমাদের ভাবাচ্ছে। আমাদের জেনারেশন প্রচন্ড অহংকারী, জেদী, ঈর্ষাপরায়নে টইটুম্বর।



এই ঈর্ষাপরায়ন প্রসংগে একটা জোকস্ মনে পড়ে গেল;



খোদা পরকালে সবার পাপ পূণ্যের বিচার করলেন । সব দেশের নাগরিকের জন্যে আলাদা করে বেহেশত ও দোযখ তৈরী করে দিলেন। নিচে দোযখ উপরে বেহেশত। সব দেশের জন্যে মাঝখানে লোহার মাচা তৈরী করলেন যাতে কেউ নিচের থেকে উপরে বেহেশতে চলে যেতে না পারে। কিন্তু বাঙ্গালীদের জন্যে কোন লোহার মাচা রাখলেন না। ফেরেশতাগন খুব উদ্বিগ্ন হয়ে বললেন, প্রভু এ রকম কেন করলেন? তখন প্রভু উত্তর ঈশারা দিয়ে একটা দৃশ্য দেখালেন, এক বাঙ্গালী সুযোগ বুঝে চুপি চুপি লুকিয়ে লুকিয়ে যেই না উপরে উঠতে লাগলো সংগে সংগে বাকী বাঙ্গালীগুলো তাকে টেনে নিচে নামালো।



৮ই মার্চ, ২০১৩

--------------------------------------------------------------------------------

লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ২৭০/৩৬৫

(বিলম্বে আপলোডের জন্যে দুঃখিত)

২ টি +০/-০