![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আন্দোলন বলতে এতদিন আমরা বুঝতাম দাঙ্গা, হাঙ্গামা, মারপিট এবং কোন একটি রাজনৈতিক দলের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপার। আন্দোলন করার আগে নেতারা ভাবতেন তাদের এই আন্দোলনে মানুষ সাড়া দিবে কি না। নেতা কর্মীরা আসবে কিনা। কোন কোন ক্ষেত্রে লোক ভাড়া করে আনার দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে ভুরি ভুরি রয়েছে। আন্দোলন চলাকালে বিশৃঙ্খলা হবে এটাই স্বাভাবিক। অথচ শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন সব দিক থেকেই ভিন্ন। অনেকটা unique বলা চলে। ক্ষুদ্র একটি গোষ্ঠী ছাড়া সবাই এ আন্দোলন নিয়ে গর্ব করছে এবং সারা জীবন গর্ব করবে।
শিশু থেকে বৃদ্ধ কে নেই এই আন্দোলনে। সকলের সঃতস্ফুরত অংশগ্রহনে এটি এখন উৎসবে রুপ নিয়েছে। এখানে নেতার প্রয়োজন নেই। রাজনীতির তো প্রশ্নই আসে না। অনেক বড় বড় রাজনীতিক এখানে এসে সাধারনের কাতারে শামিল হয়েছেন। এতে তাদের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় নি বরং সারা জীবন অহংকার করার মত একটা বিষয়ে থাকতে পেরে তারা ধন্য।
গত ১২ দিন ধরে ২৪ ঘণ্টা নিরন্তর চলছে শাহবাগ আন্দোলন। এই ১২ দিনে সেখানে কোন বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যায় নি। সবার স্বতঃস্ফুরত অংশগ্রহনে সেখানে একটা উৎসব উৎসব ভাব। স্লোগানের ফাঁকে ফাঁকে আমাদের সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হিসেবে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, মুক্তিযুদ্ধের প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন সবই সুশৃঙ্খল ভাবে হচ্ছে। মারামারি নেই, গ্রুপিং নেই, নেতা নেই, রাজনীতি নেই। অথচ সেখানে সঙ্ঘটিত হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী গন আন্দোলন। যে আন্দোলন স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির ভীত দুর্বল করে দিয়েছে। তারা এখন প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে। ব্লগার রাজিবকে নির্মম ভাবে খুন করেছে। ১৯৭১ এ ইসলামের নামে ঠিক এভাবেই বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের তারা খুন করেছিল।
মারামারি না করে, ভাংচুর না করে জামাত-শিবিরকে শাহবাগ আন্দোলন যেখানে নিয়ে এসেছে তা সত্যিই গর্বের।
এমন একটা উৎসব মুখর আন্দোলনকে ভিন্ন বললে আপনি নিশ্চয় আপত্তি করবেন না!
©somewhere in net ltd.