নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অদম্য

বাঁধার দেয়াল ভেঙ্গে মোরা এগোবোই

এজাজ৫৭

মুক্তমন

এজাজ৫৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ূন আহমেদ ও পাঠকের আক্ষেপ

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

আজ ১৯ শে জুলাই হুমায়ূন আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। গত এক বছরে বাংলা সাহিত্যে অসংখ্য উপন্যাস রচিত হলেও ‘মিসির আলী’ নতুন কোন রহস্যের উদ্ঘাটন করতে পারেন নি, ‘হিমুকে’ও নতুন করে অতিমানবীয় কোন ব্যাপারে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় নি আর ‘শুভ্র’ জাদুকরের সাথে অভিমান করে নিরুদ্দেশের যাত্রী হয়েছে। তাঁকে নিয়ে অনেকে অনেক লেখা লিখতে ব্যস্ত অথচ তার বিখ্যাত চরিত্র গুলোর কি হবে সে কথাটি কেউ বলেন না। তাঁর উপন্যাসের নায়িকারা আজ নায়ককে বাদ দিয়ে তাঁর বিরহে কাতর। তাদের জীবনের ট্রাজেডি লেখক নিজের জীবন দিয়ে রচনা করবেন এটা তাদের কাছে মরনসম।



তাঁর মহাপ্রয়াণের পর পত্রিকা গুলোতে অসংখ্য লেখা ছাপা হয়েছে। প্রথম আলোর পাঠক হিসেবে এই পত্রিকায় ছাপা প্রতিটি লেখা আমি পড়েছি। তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো লেগেছে শাকুর মজিদের স্মৃতি চারণা। কত সব বিখ্যাত লোক হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত এটা ভাবতেই ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠে। তাঁর জীবনটা তাঁর লেখার মত সরল হলে কি এমন ক্ষতি হত!



তাঁর ‘আজ রবিবার’ নাটকটি প্রচারের সাথে সাথে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এই নাটকে তিনি হাছন রাজার গান গুলোকে আমাদের সামনে নতুন ভাবে উপস্থাপন করেন। নাটকের চরিত্র গুলোর প্রতিটি ছিল ইউনিক। এর মধ্যে জাহিদ হাসান অভিনীত চরিত্রটির কথা না বললেই নয়। তাঁর চরিত্রটিকে হুমায়ূন আহমেদ অমর রুশ সাহিত্যিক দস্তেভয়স্কির ‘ইডিয়ট’ উপন্যাস থেকে চিত্রিত করেন। এই নাটকটি বছর দুয়েক আগে আমি ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে দেখেছিলাম। নাটকটি দেখার পর জাহিদ হাসান অভিনীত চরিত্রটির প্রেমে পড়ে যাই। সিলেটের ভালো ভালো বইয়ের দোকানে বইটির খোঁজ নিই। কিন্তু কোথাও পাই নি। বন্ধুবর অনম আমার এই খোঁজাখুঁজি দেখে এবারের একুশে বই মেলায় বইটির খোঁজ নেয়। কিন্তু কোথাও বইটির অনুবাদ পায় নি। আমার ধারনা এই বইটির অনুবাদ কেউ করে নি। হুমায়ূন আহমেদ সাহেব আপনি বেঁচে থাকলে বলতাম- ‘’স্যার একটু সময় করে বইটি লিখে ফেলুন’’।



জাফর ইকবাল স্যারকে ধন্যবাদ আজকের প্রথম আলোতে ছাপা হওয়া লেখাটির জন্য। সকল বিখ্যাত মানুষের কিছু পারিবারিক ঘটনা থাকে যা পাঠকেরা সব সময় জানতে পারেন না। জাফর ইকবাল স্যারের সৌজন্যে আমরা বেশ কিছু অজানা তথ্য জানতে পারলাম। এই লেখার শেষে স্যার এমন একটি বিষয়ের অবতারণা করেছেন যা পড়ে মনে হয়েছে হুমায়ূন আহমেদের বিদায় নেয়াটা বড় অসময়ে হয়ে গেল। নিউ ইয়র্কের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক বাংলাদেশীর কথা বলতে গিয়ে জাফর ইকবাল স্যার লিখেছেন-‘‘আমি আর আমার স্ত্রী ইয়াসমিন যখন হুমায়ূন আহমেদের পাশে থাকার জন্য নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলাম, তখন একজন ছাত্রের সাথে আমাদের পরিচয় হয়েছিল। সে হুমায়ূন আহমেদের সেবা করার জন্য তাঁর কেবিনে বসে থাকত। শেষ কয়েক সপ্তাহ তাঁকে যখন অচেতন করে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হলো, তখনো সেই ছেলেটি সারা রাত হাসপাতালে থাকত। হুমায়ূন আহমেদ যখন আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে, তখনো সে আমাদের সংগে ছিল। সেই দিন রাতে একধরনের ঘোর লাগা অবস্থায় নিউইয়র্কের পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি, তখনো এই ছেলেটি নিঃশব্দে আমাদের সংগে হেঁটে হেঁটে গেছে’’। সেই নাম না জানা ছেলেটির প্রতি কেন জানি খুব ভালো লাগা কাজ করছে। হাজারও ভক্তের প্রতিনিধি সেই ছেলেটিকে আমার সশ্রদ্ধ সালাম। ‘’ঈশ আমি যদি সেই ছেলেটির মত স্যারের পাশে থাকতে পারতাম’’ এই হাহাকারটি অনেকের মত আমারও চিরকাল রয়ে যাবে।



হুমায়ূন আহমেদ বিদায় নেন নি, কিংবদন্তীরা কখনো বিদায় নেন না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫১

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: পড়ার আহবান জানাই

সাহিত্যিকের মৃতু এবং আমাদের গদগদে আবেগ

Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.