নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দরের রক্ত পান করে

আজহার ফরহাদ

[email protected]/ অবসরে শুধুই ভাবি ছবি আঁকা কিংবা কবিতা লেখা আমার রক্তে ও হাড়েমাংশে আলস্য খুব উপভোগ করি সুযোগ পেলেই

আজহার ফরহাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিন্তা‬ ও বুদ্ধির মুক্তি

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২


‪মুক্তচিন্তা‬ ও বুদ্ধির মুক্তি কাহাকে বলে? সে কি ধর্ম, সংস্কার কিংবা বিশ্বাস হইতে বাহির হওয়া কেবল? যদি তাহাই হয় তবে চিন্তা ও বুদ্ধি হইতে মুক্ত হইবার কোনও সম্ভাবনা দেখিতে পাই না। সমাজ-সংস্কৃতি-রাষ্ট্র-ধর্ম নামক নানান প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান বহু পুরানা দ্বন্দ্বকে প্রকাশ করিতেছে; একটি ধর্ম হইতে বিচ্যুত হইয়া আরেকখানি ধর্মে একইরূপে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে বিশ্বাস ও চিন্তাকাঠামো, হইয়াছে তাহার ভিন্নমত ও অবিশ্বাসও; একটি বিষয় লক্ষ্য করিলে পরিষ্কার হয় যে, ধর্ম ও বিশ্বাসের বিরোধিতাই যেন মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধির মৌল উপাদানরূপে গ্রাহ্য হইতেছে! দৃশ্যত ইহাকেই মুক্তচিন্তা ও প্রগতির প্রতিষ্ঠিত বাজার কহিলে চলে; কিন্তু সভ্যতার বিকাশে ইতিহাস কি বলে সে দেখিতে হইবে গভীরভাবে।

মনে রাখিতে হইবে যে কোনও প্রতিষ্ঠিত মত বা আদর্শই বুদ্ধি ও চিন্তার ধর্ম হিসেবে রূপ পরিগ্রহ করে; ধর্ম কী? কী তাহার পরিচয়? প্রতিষ্ঠিত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দাঁড়াইবার সংগঠিত যে বিপরীত মত তাহাও বিশ্বাস, সেও বুদ্ধির আরেকখানি ঘেরাটোপ, চিন্তার আঁকশি, জ্ঞানের ছাঁচ; তো এই যে চিন্তা ও বুদ্ধির ধর্ম তা কখন অবরুদ্ধ হইয়া যায়? যখন সে তাহার ধর্মকে মনে ঢালাই করিয়া লয়, এবং তাহার পোশাক পরিধান করিয়া লয়, দেহে কিংবা অন্তরদেহে, এবং বন্ধ করিয়া লয় তাহার চোখ, কেহ নির্দিষ্ট করিয়া কেহ অনির্দিষ্টরূপে। যাহারা ধর্ম ও বিশ্বাসকেই রুদ্ধচিন্তা বলিয়া প্রতিবন্ধকতা বলিয়া থাকেন তাহারা নির্দিষ্টরূপে অন্ধ, যাহারা স্বীয় ধর্ম ও বিশ্বাসের বাইরে আর কোনও কিছুকেই মানিতে চাহেন না তাহারা অনির্দিষ্টরূপে অন্ধ। এই অন্ধত্ব মানুষের বরণ করিতে হয় চিন্তা-বুদ্ধি-ধারণা-অনুমানের ভিতর আবদ্ধ থাকিয়া, হোক সে বিশ্বাসী নয় অবিশ্বাসী...
‪#‎azharforhad‬ ‪#‎RoadtoLove‬

https://www.facebook.com/thinkazharforhad

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.