![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অপু আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। যে সব কিছু আমার কাছে শেয়ার করে। যার ফলে ওর সর্ম্পকে আমি সব কিছু জানতে পারি। অপু একটু ছোটবেলা থেকে একটু রোগাটে, দূর্বলচিত্তের মানুষ। মা-বাবা সবাই ওকে নিয়ে খুব চিন্তা করত। ছেলেটা নরম সরম মানুষ কি করে খাবে। তাই সবাই চাইত যদি একটু পড়ালেখা করে মোটামুটিভাবে একটি চাকরি-বাকরি করে খেতে পারে। সেজন্যই মা-বাবা ওকে পড়ার সুয়োগ দেয়। পড়ার সময় আর কিছু করতে বলে না। কিন্তু অপু যখন একটু বড় হল তখন থেকেই নিজের কিছু একটা করা দরকার ভেবে বন্ধু-বান্থধবের মাধ্যমে কয়েকটি টিউশনি যোগাড় করল। কারন দরিদ্র মা-বাবার আর ক্ষমতা নেই তার পড়াশুনা চালনা করার। আর তাছাড়া টিউশনি করলে ভাল সম্মান পাওয়া যায়। এবং ভাল আয়-ইনকামও হয়। আর তাছাড়া অনেক দরিদ্র মানুষ আছেন যারা বেশী টাকা দিয়ে ঘরে ভাল মাস্টার রেখে তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াতে পারেন না। তাদের জন্য যদি একটু উপকার করা যায়। এভাবনা থেকেই অপুর টিউশনিতে গুরুত্বটা দিয়েছে। আর নিজের পড়াশুনায় অবহেলা করেছে। যার ফলে আজ সে বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন আলোচনায় নিজেকে লুকিয়ে রাখে। যাহোক অনেক সুখে দুখে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে আজ এইখানে। যেখানে সে একজন সম্মানী ছেলে, সম্মানী ছোট ভাই, সম্মানী বড় ভাই, সম্মানী মামা এবং একজন সম্মানী জামাই ইত্যাদি। কখনো কখনো অপুর মনে হয় ঐকাজটা না করলে বোধহয় এমন হত না। আবার ঐ সিদ্ধান্তটা হয়ত ভুল ছিল।আবার পরক্ষনে ভাবে নাহ্ ভাগ্যে যা ছিল তাই হয়েছে। কারন একজন মুসলমান হিসেবে ভাগ্যে বিশ্বাস করতে হবে। ভাগ্যের বেশী কেউ দিতে পারে না। কেউ কিছু করতেও পারে না। তাই অপু যা আছে যেমন আছে ভালই আছে। শুকুর আলহামদুলিল্লাহ।
©somewhere in net ltd.