![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লিখতে ভালবাসি। নিজের কিছু কবিতা এবং ছোট গল্প আছে.
প্রচুর গরম। বাসা থেকে একটু দূরেই ধলেশ্বরী নদী। কিছুটা শীতল বাতাসের আশায় আমি আর রিনি রওনা হলাম। অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটির পর অবশেষে পেলাম কাঙ্ক্ষিত ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে। দুজন মিলে নদীর পাড় ঘেঁষে হাঁটছি। কিছুদূর আগাতেই পাশ ফিরে দেখি ছোট একটি বিড়াল ছানা। কেন জানি ওর নাম শুভ্র রাখতে ইচ্ছে হল। সেই প্রথম শুভ্রর সাথে আমার দেখা। মাথা আর লেজের দিকটা কাল। বাকি পুরোটা ধবধবে সাদা। শুভ্র এতোই কোমল আর সুন্দর ছিল যে আমি প্রথম দেখাতেই ওর প্রেমে পড়ে গেলাম। পরে বুঝতে পারলাম শুধু আমি না শুভ্রও আমার প্রেমে পড়ে গেছে। লাইটের আলো ফেলতেই, চিরচেনা সেই ডাক... ম্যাও!....................ম্যাও!!
তারপর সারাটা রাস্তা আমাদের পিছু পিছু হেঁটেই চলছে। আমরা যেদিকে যাই শুভ্রও আমার সাথে সেই দিকেই যায়। আমরা একটু বেশি এগিয়ে গেলেই ও দাড়িয়ে পড়ে। হটাৎ হুট করে এক দৌড়ে আবার আমার কাছে চলে আসে। আর একটু পর পর সেই ম্যাও ম্যাও ডাকে ডাকতে থাকে। এভাবে করে সারাটা রাস্তা ও আমাদের সাথেই ছিল। অনেক বার ইচ্ছে করেছিল ওকে একটু কোলে তুলে নেই।
কিছু দূর এগিয়েছি। ভেবেছি শুভ্র পেছনেই আছে। পেছন ফিরে দেখি নেই। কোথায় যেন চলে গেছে। ভাবলাম ও তার নিজের ঠিকানায় চলে গেছে বোধহয়। এই ভেবে পার্কের বেঞ্চে বসলাম। দুজনে কিছুক্ষণ গল্প করলাম। এদিকে ওদিকে তাকালাম শুভ্রকে দেখলাম না। প্রায় ৩০ মিনিট কাঁটিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম। কিছুদূর আসতেই হটাৎ দেখি কোথা থেকে যেন শুভ্র চলে এসেছে। রাস্তার মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে আছে আশা ভরা মন নিয়ে। তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। আর ওমনি ম্যাও ম্যাও বলে ডাকা ডাকি শুরু করল। আবারও সেই আগের মতোই পিছনে পিছনে আসছে। এবার আমি ওকে ধরার জন্য চেষ্টা করলাম। প্রথম দুই একবার ব্যর্থ হলাম। তারপর সাহস করে কোলে তুলে নিলাম। পশমগুলো খুব কোমল। মন চাইছিল বাসায় এনে রেখে দেই। ঠিক তখনি ওকে সাথে করে বাসায় নিয়ে আসলাম। সেই থেকে শুভ্র আমার সাথে আছে। রিনিও ওকে খুব পছন্দ করে।
©somewhere in net ltd.