![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্ধকারের মাঝে ছায়াটাকে লক্ষ্য করো সেই ছায়া আমি।
পত্রিকা খুললেই চোখে ভেসে উঠছে ধর্ষণের খবর এবং কোথাও কোথাও ধর্ষককে হত্যা করে নোট রেখে দেওয়ার ঘটনা। ধর্ষণ ও হত্যা দুটোই মানবতা গর্হিত একটি নিকৃষ্ট কাজ। ধর্ষিতার কষ্ট কেবল ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝেনা এবং যখন বিচারহীনতা যুক্ত হয় তখন ধর্ষিতার শেষ আশাও নিঃশেষ হয়ে যায়। বিচারহীনতার,বিচারের দীর্ঘসূত্রতার সংস্কৃতি এদেশে নিত্যদিন ধর্ষণের সংখ্যা গানিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছেই। আর এই বিচার না পাওয়ার কারনে মানুষের ভিতরেও ক্ষোভ গুলো পুঞ্জিভূত হচ্ছে। ধর্ষণের প্রতিবাদে তনু হত্যার পর হতে এদেশের মানুষের সামাজিক প্রচার মাধ্যমে, রাস্তায় নেমে বিচার চাওয়ার একধরনের প্রতিবাদ শুরু। কিন্তু সেই বিচার গুলো বিচারিক দীর্ঘসূত্রতার রেশ ধরে কিছুদিন আগের ধর্ষনের প্রতিবাদে দেশে শুরু হয়েছে ধর্ষকদের গুপ্ত হত্যা। ধর্ষকের শাস্তি হওয়া জরুরি কিন্তু বিচার বহির্ভূত এইসব হত্যাকান্ড সমাজের বিবেকবান মানুষদের আরো আতংকিত করে তুলছে। কাউকে হত্যার পর পর নোট রেখে দেওয়া হচ্ছে "ধর্ষনের শাস্তি"- হারকিউলিস। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ধন্যবাদ,প্রসংশাবানী দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে এসব খবর। এ যেন আইনের প্রতি সবার আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ। সবাই আইনের বদলে আজ এই হারকিউলিসদেরই আইন মেনে চলছে।
ধর্ষণ যেমন অপরাধ বিনা বিচারে হত্যাও অপরাধ। এই অপরাধের লাগাম টেনে ধরা যাবে কেবলই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। সব অপরাধকে অপরাধ বলতে হবে।
এই হারকিউলিসকে যদি না থামানো হয় তবে কাল যে কারো লাশের পিছনে দিয়ে দিবে এই সাইড নোট। তখন অনেক নিরপরাধ ও অন্যায়ের সম্মুখীন হবে। আর এই হারকিউলিস তখন অপ্রতিরোধ্য হয়ে নিজেকে ফ্রাংকেস্টাইনের সেই দানবে রুপান্তর করবে এবং এখন যেমন ছোট হারে আইন, প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে তখন হয়তো পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থাকে দেখাবে।তাই হারকিউলিস ফ্র্যাংকেস্টাইন হওয়ার আগে আগেই এইসব বিনাবিচারে হত্যাকান্ডের জন্য আইনের আওতায় আনতে হবে। এবং এই হারকিউলিসদের আশ্রয় প্রশ্রয় এবং সহায়তাকারীদের ও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আর এই হারকিউলিসদের তৈরীর পিছনের কারন হিসেবর ধর্ষনের বিচারের দীর্ঘসূত্রতা, বিচারহীনতার প্রবণতাও বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে। নাহলে হারকিউলিসকেও আটকানো যাবেনা এবং ধর্ষণ ও বন্ধ করা যাবেনা। তাই প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা,ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজ দ্বায়িত্বে এই বিচারের কাজ দ্রুত করে জনগনের মাঝে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে এনে হারকিউলিসদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করার জন্য কাজ করতে হবে।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৮
বাহাউদ্দিন আবির বলেছেন: ধর্ষণ বন্ধে আইনের শাসন দরকার। বিচার দরকার। এবং সেই বিচার হলে হারকিউলিস বলি ধর্ষণ বলি সবই বন্ধ হবে।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ষনকারীরা ছাড়া পেয়ে যায় টাকার জোরে।
তাই হারকুলিস তাদের শাস্তি দিচ্ছে। মন্দ কি?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০০
বাহাউদ্দিন আবির বলেছেন: ভাই মন্দ হচ্ছে এর ফলে ক্রিমিনাল এক্টিভিটি বাড়বে।এর ফলে নিরপরাধ কাউকে খুন করে বলবে হারকিউলিস। এবং আল্টিমেটলি হারকিউলিসের এই মার্ডারগুলোর নামে বাকি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেও বৈধতা দেওয়া হবে
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭
লিংকন১১৫ বলেছেন: ভাই আপনি কি দেশে থাকেন ? নাকি দেশের বাহির থেকে ব্লগিং করেন ।
আপনার মনে হয় জানা নেই আমাদের দেশে মাত্র ১০০% এর ভিতর মাত্র ৫% ধর্ষণের সঠিক বিচার হয় ।
আর অন্য সব বিচারের কথা তো বাদি দিলাম ।
যে দেশে ধর্ষণ করে সেঞ্চুরি করেও তাঁর কোন বিচার হয় না সে দেশে বিচার চাওয়াটাই তো মহা অপরাদ ।
হারকিউলিস যেটা করছে আসলেই বাহ বা পাবার মতো কিছু করেছে ।
এমন আরও হারকিউলিস দরকার , অন্তত কিছু মানুষ সুবিচার পাবে , সাথে কিছু মানুষের মনে ভয় আসবে অন্তত একবার হলেও
ভাববে ধর্ষণ করলে আমাকে হারকিউলিস যদি মেরেফেলে ।
আমাদের দেশের আইনকে কেন মানুষ ভয় পায়না জানেন ? টাকা হলে সব পাপ থেকে মুক্তি মেলে এ দেশে ।
আমি অবশ্যই সমর্থন করিনা যে নিজের হাতে আইন তুলে নেয়া কে , কিন্তু কি আর করার বলুন যে দেশে রক্ষক রাই যে ভক্ষক !
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৩
বাহাউদ্দিন আবির বলেছেন: আপনি ঠিক বলসেন কিন্তু একটা অন্যায় কে আরেকটা অন্যায় দিয়ে বিচার ঠিক না। আমি দেশেই ,আমি জানি আইনের শাসন নাই, কিন্তু এর মাধ্যমে কি অন্য বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেও বৈধতা দেওয়ার পথ খুলে দিচ্ছি না??? আইনের শাসনের জন্য কাজ শুরু করা জরুরী
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১১
বাংলার মেলা বলেছেন: @লিংকন, আপনি যে ৫% এর হিসাব দিলেন, ধর্ষণের অপরাধে কবে কোথায় কার বিচার হতে দেখেছেন? আমি এই ২৮ বছরের জীবনে কোথাও কোন ধর্ষণের বিচার হতে দেখিনি। ধর্ষণের বিচার করা এই দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন কাজের একটি। একমাত্র অপরাধী নিজে স্বীকার না করলে কোনভাবেই এই অপরাধ আদালতে প্রমাণ করা যায়না।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৬
বাহাউদ্দিন আবির বলেছেন: ভাই বিচার আমিও চাই, শাস্তি চাই ,ফাঁসি চাই। কিন্তু হারকিউলিস দ্বারা না। কারন এটা অন্য বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেও বৈধতা দেওয়া হবে। আমি এই বৈধতা দিতে চাই না।
৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১
মাকছুদুর রহমান বলেছেন: আমাদের আগে ঠিক করতে হবে,হারকিউলিস এমনি এমনি চলে যাবে। আইন হাতে তুলে নেওয়ার কোন অধিকার নাই কারোর, তবুও হারকিউলিস নামের আইন হাতে তুলে নিয়েছে, তার নিশ্চই শক্ত কোন ব্যাগ্রাউন্ড রয়েছে,সেটাও খুঁজে বের করার ধরকার। বিচার হিনতার সংস্কৃতি হতে বের হওয়া উচিত।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৬
বাহাউদ্দিন আবির বলেছেন: সহমত আমি আপনার সাথে।
৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮
কিশোর মাইনু বলেছেন: হারকিউলিসের ভয়ে যদি দেশ থেকে কয়েকটা ধর্ষণ কমে তো কমুক না। হারকিউলিস-কে কেউই ভয় পাবেনা, ভয় পাবে ধর্ষক কোয়ালিটির মানুষ। হারকিউলিসের বেছে নেয়া রাস্তা হয়তো ভুল, কিন্তু গন্তব্য ১০০% ন্যায় ও সঠিক। আর মাঝে মাঝে পরিস্থিতির কারণে মানুষ্কে ন্যায়ের জন্য ও অন্যায়ের পথে পা বাড়াতে হয়। আর অপরাধীদের সাথে অন্যায় করে যদি নিরাপরাধী/ভুক্তভোগীদের ন্যায় এনে দেওয়া যায়, তাহলে কেন নয়?!?!?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৮
বাহাউদ্দিন আবির বলেছেন: কারন অন্যায় অন্যায়কে জাস্টইফাই করে না। আর আমার হারকিউলিস এ সমস্যা না। সমস্যা অন্য বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেও বৈধতা দেওয়া প্লট করে দেওয়া। আমি এই বৈধতা দিতে চাই না।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৪৪
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: হারকিউলিস কোনো সমস্যা নয়, আসল সমস্যা হলো ধর্ষণ। কারণ প্রশাসন যদি ধর্ষণ বন্ধ করতে পারে, তবে হারকিউলিসের উত্থান বা কার্যক্রম এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।