![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট বোন দউড়ে এসে দরজা খুলেই চিতকার করে বল্ল -মা দেখে যাও ভাইয়া এসেছে।মা আসল। দোতলায় দাড়িয়ে থেকে ছেলের চোখে তাকিয়ে দেখে আবার তার ঘরে ফিরে গেল।
-কিরে ছোটন মা আমাকে কিছু না বলে চলে গেল কেন?
-মাতো নামাজ পড়ছিলেন। ফিরে এসে তোমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদবেন।
-আর তুই কাদবিনা?
আমি কাদব কেন? বলতে বলতে ভাইকে জড়িয়ে ধরে কেদে ফেল্ল ছোটন।
মা আসলেন। এসেই ছেলেকে ধরে কেদে ফেল্লেন।
-মা তুমি কাদছ কেন? এই যে দেখ তোমার ছেলের কিছু হইনি, হবেও না ইনশাল্লাহ।
-ওসব তুই বুঝবিনা। বলে আরও কান্না শুরু করল।
কিছুক্ষন বাদে ছোট বোন একটা কাগজে কি যেন লিখে দিয়ে বল্ল
"ভাইয়া তুই চলে যা। তোর যখন মন খারাপ হবে তখন তুই এটা পড়বি। এখন চলে যা। চারিদিকে মেলেটারি চলে এসেছে। আর তোর বন্দুক আমি বাজারের ব্যাগ এ করে দিয়ে দিয়েছি।
যুদ্ধের জয় খুব কাছাকাছি। আজ ভাইয়ার মন খুব খারাপ। তাই কাগজের লিখাটা বের করে পড়লেন।
"তোকে খুব ভালবাসি। আর হিংসা করি মা যখন তোকে আমার চাইতে বেশী ভালোবাসে "।
তার কিছুক্ষণ পর, খবর চলে এলো পাক বাহিনীর একটা অংশ তাদের লুকিয়ে থাকা যায়গার পাশ দিয়ে যাবে।
তারা ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে। এক মিনিটের জন্য দেরি না করে অর্ক ছুটে গেল যুদ্ধে। ...............
হঠাৎ একটি বুলেট এসে বিদলো ঠিক কপালের মাঝখানে, যেখানে তার মা আর আদরের একমাত্র ছোট বোন টি বিদায় কালে চুমু খেয়ে ছিলেন। হয়তো চির বিদায় কালে বোনের লিখা চিঠি বারংবার তার সামনে চলে আসছিল।
জমে থাকা চোখের কোনের জল মুছতে মুছতে লিখাটা শেষ করে দিলাম।
#তোমাকে খুব মিস করি মামা। মায়ের কাছে তোমার অনেক গল্প শুনেছি। তুমি কি শুনতে পাচ্ছো আমি তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা দিচ্ছি।
©somewhere in net ltd.