নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোনালি ভোরের পাড়ে ছড়িয়ে আছে বিষণ্ণ রাত্তির

জগৎ সংসারে কত ক্ষয় হলো সুগন্ধি সাবন। ঘ্রান তো মিলিয়ে গেলো নিমিষেই। facebook.com/ba8ulbu

বাবুল হোসেইন

ঘোর লাগা কবিতার পাশে দাঁড়ালে তন্দ্রাহত হই জীবনানন্দীয় সুরে যাচ্ছে চলে নিঃশব্দ ঝরাপাতা দিন কেবলই হারাই দূরে, আরো দূরে © লেখক facebook.com/ba8ulbu

বাবুল হোসেইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমার বুকে আগুন, যে আগুনে ঝাঁপ দিতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪৭





বসন্তে ফুলের মাতম। বাতাস উত্তরমুখী। সে বাতাসের গায়ে আগুন। সে আগুনে আমার বুক যেনো অগ্নেয়গিরির অগ্নিস্ফুরণ। পুড়ছে প্রকৃতি, ফুলপাতা। ঝলসে যাচ্ছে কোকিলের মাতম করা সুর। সেই দগ্ধতা আমাকেও পোড়াচ্ছে খানিক। আমি পোড়ামুখী এক। হৃদয়ে অনল পোষা চিরদুখী জন।



বসন্ত কম যাপন করিনি এই জীবনে। দুই যুগের বেশী বসন্ত যাপন করা আমি সহে গেছি কত দগ্ধকাল। মন্ত্র পাঠের মত শিখে গেছি আগুন আবিস্কারের কথা আর তা থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায়। তবুও বসন্ত বাতাসে দগ্ধ হতে হয় প্রতিটি বছর। সূর্যের তপ্তরাশি আর পোড়াবে কত। বুকের গহীনে গহীন ক্ষত।



কেউ কথা রাখেনি বলে কেউ কথা রাখবে না সে আমি বিশ্বাস করি না। কেউ তো নিশ্চয়ই আছে যে বসে আছে কথা রাখবে বলে। আমি হতাশাবাদী নই। স্বপ্নবাজ। বুকের খাঁজে খাঁজে লালন করি স্বপ্নখামার। জানি একদিন সেখানে জন্মাবে শুভ্রতা। নিশ্চয় জন্মাবে। বুকে আমি তামান্না জমাই। সেই তামান্না আমাকে স্বপ্নবান হতে স্বপ্নপ্রেমিক বানায়। আমি স্বপ্ন দেখি একদিন শীতের দৈন্যতা কেটে যাবে। যাবেই...



শীত চলে যাবে আর কদিন পর। নতুন কুঁড়ি গজানোর তীব্র আকাঙ্খা খেলা করে বৃক্ষপত্রে। মাত্র আর কটা দিন। আর কটা দিন মাত্র। তারপর বৃক্ষের মত আমিও জেগে উঠবো এক নতুন স্বপ্ন নিয়ে। মানুষের জীবনে স্বপ্নইতো আসল। এক মানুষের স্বপ্ন তার জীবন থেকে বড়। বিশাল। মহিরুহ আকৃতির স্বপ্ন অঙ্কুরোদগম হচ্ছে আমাতে। স্বপ্ন যেদিন মরে যাবে, মানুষের বেঁচে থাকাও থেমে যাবে। অথবা ভুল করে যদি জীবন থেমে যায় স্বপ্ন ফুরানোর আগেই, স্বপ্ন তার বেঁচে থাকবেই। বড় হবেই। মৃত্যু শুধু একটা পরিণতিমাত্র। মৃত্যুর পরেও অনন্তকাল বেঁচে থাকা যায়।



আমি বিশ্বাস করি প্রতিটি বসন্তই সম্ভাবনাময়। প্রতিটি সময়ও। কখন কি হয় কে জানে? পথ চলতে গেলেই কাঁটাতার ডিঙাতে হবেই। জীবন কণ্টকাকীর্ণ। ফুলের পাঁপড়ি তুলতে গেলে কাঁটাক্রান্ত হতেই হয়। পাখিরা যেদিন উড়ে যাওয়া শিখে গেলো, দিগন্তের কাছে জমা দিলো পথ চলার খতিয়ান। কখনোই যদি ফিরতি পথে দেখা হয়ে যায় আবার, দিগন্ত যেনো জানিয়ে দেয় এই পথচলার সার্থকতা। পাখিকে তাই পায়ে রিঙ পরিয়ে দেই। যদি ফিরে আসে। যদি আসে তবে তার খতিয়ান জানা যাবেই। একজীবনে কত মাইল মাইল পাড়ি দিলে ফিরতি পথ ধরে ঘরে ফেরা যায় সে শুধু আমি জানি। শুধু আমি।



ঘরের কাছে রেখেছিলাম আগুনবাতি। যদি ভুল করে অন্ধকারে হারিয়ে ফেলি ঠিকানা তবে যেনো খুঁজে নেই সহজেই। সেই আগুনে ঝাঁপ দিলে তুমি। আমি কি জানতাম আগুন দেখলেই তুমি লাফ দাও। তোমার ভিতরে আগুনের প্রেম দাউ দাউ করে জ্বলছে সেসব তো জানতাম না। তুমি কোনদিনও খোলা চিঠিতে লিখোনি সেসব কথা। আমি জানতাম পতঙ্গেরা ঝাঁপ দেয় আগুনে। বলে না, পিপীলিকার ডানা গজে মরিবার তরে"-তবে কি তুমি পতঙ্গ কোন। কিংবা প্রজাপতি। ডানায় রঙের মেলায় আঁকা আল্পনা ঘুরে বেড়ানো ফুলের মৌতাতে। কখনো সখনো পরাগায়নও করে ফেলে জন্মাবার আকুল আবেদনে। জন্মলাভ করা কিংবা করানো কম কথা নয়। জন্ম-মৃত্যুর খেলায় চলছে এই মৃত্যুপুরী পৃথিবী।



উড়তে উড়তে তুমি কি তবে আমার ঘরের বারান্দায় আগুন দেখতে প্রতিদিন। বসন্ত চলে গেলেও তুমি অপেক্ষা করতে আরেক বসন্তের। এভাবে প্রতিটি বসন্ত তুমি আগুনের অপেক্ষা করো, সে আমি কি করে জানবো বলো। সারাদিন চ্যাটরুমে বসেও কখনোই ডিসক্লোজ করোনি এসব নির্মম সত্যকথন। মানুষ কি কখনোই তার সকল তথ্যই জানাতে পারে না কাউকে। তাহলে তোমার বুকে আগুন জ্বালার তীব্রতা আমি নিমিষেই মিটিয়ে দিতাম। আমি তো অনেক কিছু বলেছি তোমায়, কিন্তু কোনদিনই কি বলেছি অন্ধকারে আমার ভীষণ ভয়?



সে ভয়েতে তুমি জয় করে নিলে আমার খেরোখাতা। আমি যা কিছু এলেবেলে আঁকি, লিখি তোমার আগুনে দখলদারিত্ব নিল আমার সর্বোচ্চটুকুন। আগুনের লেলিহান শিখা বুকে ধারণ করে হয়ে উঠো আগুনপোষা পাখি। কিংবা আগুনখেকো এক। নীলকণ্ঠি সেজে সরাও জঞ্জাল। বুকের খাঁজে আগুন তোমার। সে আমার পথ দেখানো আলো। যে আলোয় আমি চিনতাম আমার গতিবিধি। তুমি শেষ করে দিলে আমার পথচলা। আমি তো জানতামই কেউ না কেউ কথা রাখবেই। আমি তো জানতামই মানুষ স্বপ্নবান, আশাবাদী। আমিও। দেখলে কি করে আমার স্বপ্ন সত্যি হলো।



কৃতজ্ঞতা স্বীকার

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১১

সায়েম মুন বলেছেন:
আমি তো জানতামই মানুষ স্বপ্নবান, আশাবাদী।
--------------------------
ভাল লাগলো মুক্তগদ্য!!

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৫০

বাবুল হোসেইন বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকুন।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২৮

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: সুন্দর। ++

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০০

বাবুল হোসেইন বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৫:৫৭

শোশমিতা বলেছেন: মানুষের জীবনে স্বপ্নইতো আসল। এক মানুষের স্বপ্ন তার জীবন থেকে বড়। বিশাল। মহিরুহ আকৃতির স্বপ্ন অঙ্কুরোদগম হচ্ছে আমাতে। স্বপ্ন যেদিন মরে যাবে, মানুষের বেঁচে থাকাও থেমে যাবে। অথবা ভুল করে যদি জীবন থেমে যায় স্বপ্ন ফুরানোর আগেই, স্বপ্ন তার বেঁচে থাকবেই। বড় হবেই। মৃত্যু শুধু একটা পরিণতিমাত্র। মৃত্যুর পরেও অনন্তকাল বেঁচে থাকা যায় !!!

কবি দারুন লিখেছেন । ভাল লাগলো +

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০১

বাবুল হোসেইন বলেছেন: ধন্যবাদ শোশমিতা।

৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৪০

মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লেখাটা। প্রায় পুরোটাই কোট করার মত। চমৎকার, বাবুল ভাই। :)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১১

বাবুল হোসেইন বলেছেন: ধন্যবাদ মেবযাযাপু। আপনার পাঠ আমাকে দারুন আনন্দ দিলো।

সতত ভালো থাকুন।

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৩৪

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: চোখ মেলে স্বপ্ন সত্যি হতে দেখলাম।ভাল লেগেছে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৩৫

বাবুল হোসেইন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:২৯

শায়মা বলেছেন: মধুর বসন্ত এসেছে......:)

খুব সুন্দর কবিভাইয়া।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৩২

বাবুল হোসেইন বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মাপু। ভালো থাকুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.