![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘোর লাগা কবিতার পাশে দাঁড়ালে তন্দ্রাহত হই জীবনানন্দীয় সুরে যাচ্ছে চলে নিঃশব্দ ঝরাপাতা দিন কেবলই হারাই দূরে, আরো দূরে © লেখক facebook.com/ba8ulbu
০৮০২২০১৪-০১
আমি এক শীতল ভোরে কুয়াশার পথ আঁকছিলাম আর তুমি জানালে ঘুমের ছবি আঁকছো, দৃশ্যের ভিতর বাহির আটকে দিচ্ছে তোমার দৃষ্টি। আমাদের কি মিল! নিদারুণ কুয়াশাপাত, হিমেল হাওয়াদের সঙ্গতা আকাশের নিঝুম কান্না হয়ে আছে। দুচোখের পাতায় আটকে আছে অনেকদিন না দেখা ভোর— দৃশ্যান্তর ভেদ করে অদৃশ্যে হারানো। আমার কোন বন্ধুহীন শহর ছিলো না—অথচ আজকেই জানলাম জন্মাবধি রক্তের ভিতর বয়ে যাওয়া শহরে আমার কোন স্বজন নেই। শহর ও কি তাহলে বদলে যায় দেখার ভুলভাল কৌশলের কাছে। এইসব দৃশ্য দেখে আমার ঘুম আসে না—সুরমা মরে যাচ্ছে তার বিগত যৌবনের মত, কীনব্রীজ ঝুলে আছে ঝুলেই আছে সুরমার হাহাকার সাথে নিয়ে। এই শহরের ভিতর বাহির আমি চিনতাম—কেবল মানুষগুলো চিনি নি কোনদিন। বন্ধুরা এখানে অচেনা হয়ে উঠে হঠাৎই, নিকটজন দূরের গ্রহের মত প্রতিবেলা সরে সরে যায়। যে ছবি বুকে নিয়ে আমার নিঃশ্বাস ফেলা সে ছবি ম্লান হয়ে গেছে হঠাৎ কোন বনেদি অহমিকায়। কারো চোখের ভিতর মায়া নেই, সকলি মায়াময় ভ্রান্তি।
তুমি বললে এতো ইমোশন ভালো না। আমি কি ইমোশনের কাঙ্গাল নাকি। রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আমিও পানবিড়ি খাই, কত চেনা অচেনা লোক দেখি, কই কোনোদিনই তো ইমোশনাল হয়ে উঠি নি, তবে আজকে কেনো এইসব আজগুবি কথাবার্তা। যে যায় সে চিরদিনই যাওয়ার অপেক্ষায় থাকে। দৃশ্যের ভিড়ে কিছু কিছু দৃশ্য চোখবন্দি হবে না এ আর নতুন কি। আর কে না জানে সময় এক মায়াহরিণী, কেবল দৌড়েই তার মুক্তি।
কত আপনজন ছিলো একদিন এখানে, দূরগত তারাদের মত আমারও একি হাল এখন। মুঠোভর্তি শূন্যতা নিয়ে ফোনবুক সার্চ দিয়ে দেখি এ এক আজব শহরে আমি নেমেছি, মৃত্যুর নীরবতা পায়ে পায়ে, লোকেদের মুখের মানচিত্র একদম বদলে যাওয়া কোন বিবর্তনের মত। আশপাশ, প্রতিবেশ, দৃষ্টি ও দৃশ্য সকলি অচেনা—কেবল আমিই পুরনো স্মৃতি ঘেঁটে আহত ও রক্তাক্ত হই।
একদিন জানবো হয়ত যে সকল বোধের নির্মাণ আমারও হয়েছিলো, তারা সব মেকি, অহঙ্কারি ভ্রান্তি ছাড়া কিছুই নয়। কিন্তু আমিতো জানিই, মানুষ জন্মগতই ছন্নছাড়া, বেহিশেবি এবং স্বার্থপর। স্বার্থের ঠুলি খুলে দেখো, প্রতি স্তরে লিখা আছে দগদগে রক্তপাত; প্রাচীন পুরাণ।
একা একা, খুব একা আমি আমি এই শহরে চলাচল করি, সাবধানে, যেনো ভুলেও কোন মুখ না দেখতে পারি, আমি মুখোশ দেখতেই বরঙ পছন্দ করি, যেহেতু মুখের কোন স্থায়ী আদল আমি মনে করতে পারি নি কিংবা যাদের মুখ আমি অবয়ব দিয়েছিলাম তারা সকলি মুখোশ হয়ে গেছে এখন। তাদের একজন আবার নতুন মুখোশ পরে আমাকে চিনাতে আসে আমার পুরনো শহর, ধূলিময় রাস্তা আর কৈশোরিক ফানুসময় দিনগুলো। আহা কি মায়া—সেইসব পুরনো সময় পাঠ করি, দিস্তা দিস্তা কাগজের সাধ্য ছিলো না এসব ধরে, অথচ এখন এক পাতাতেই কুল পাই না।
পথ দীর্ঘ যাত্রার। পিছনে কে এলো গেলো এসবে কিছু যায় আসে না ঠিকই, কিন্তু কিছু পদচ্ছাপ, কিছু পদাবলি মনের মুকুরে থেকে যায়, হঠাত আনমনে অবেলায় ডেকে যায়, ডেকেই যায়। যখন পাহাড়ে ঊঠেছিলাম তখন কি জানতাম এই পাহাড় একদিন থাকবে না আর এর স্মৃতি আমাকেও কাঁপাবে আহত করবে আমূল, আর পাহাড়ের খাঁজে আটকে যাওয়া তোমার মায়ামায়া চোখের দৃশ্যে আমারো মৃত্যু হবে। কিংবা যখন সুরমার তীরে হেঁটেছি, তিরতির কাঁপিয়েছি সুরমার চিকচিকে বালুকণা, তখন কি বুঝেছিলাম—দীঘল স্বপ্নখানি আমারো বিগত যৌবনা নারীর কান্না হয়ে উঠবে কোনোদিন। স্বপ্ন মূলত ভ্রান্তি, ভ্রম। আর এর নামি মায়া। মায়া স্বপ্নের চারপাশেই লেগে থাকে; রাঙতা কাগজের মত, হারানো শৈশবের মত।
কে বলেছে জীবন পূর্ণতা পায় না। জীবনের পূর্ণতা অনেকভাবেই আসে। আর যেহেতু জীবনের কোন স্থায়ী আবাস আমরা করতে পারি না, তাই এর রূপরেখা বাকবদল হয়ই, হতে বাধ্য, তাই আমরা মিছে আফসোস করি জীবন অপূর্ণ। মানুষের বদলে যাওয়া মুখ, সে মুখের অচেনা দৃশ্যের ভিতর পুড়ে যাওয়ার ভয়, তাদের আহামরি বেশভূষা, আদতে আমাদেরকে জয়ের নেশায় দৌড়াতে শেখায়, এটা এমন একটা দৌড় প্রতিযোগিতা যে এর প্রস্তুতিনামা রক্তের ভিতর এমনিতেই লিখা হয়ে উঠে, আমাদের দগদগে রক্তস্রোতের ভিতর।
যে কথা ভেবেছি অনেকদিন ভুলে যাবো তোমাদের প্রিয় শহর, প্রিয় শাহরিক চঞ্চলতা, আসলে কি ভুলে যাওয়া যায়। এই যে লিখছি এ তো ভুলে যাওয়ার খেদ নয়, বরঙ মনের মণিতে জমে উঠা দীর্ঘ যাতনায়, দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী মনে রাখারই অন্তহীন প্রয়াস। ভুলে যাই প্রিয় সুরমা নদী, ভুলে যাই প্রিয় রোদ, ফুলের বারুদ। । ভুলে যাই বন্ধুগণ, মনে রেখোনা একদিন এ নগরে আমিও হেঁটেছি তোমাদের পায়ে পায়ে, বাতাসের পৃষ্ঠাতে এখনো ধূলিধূলি স্মৃতি, খুলে দেখো পেয়ে যাবে দীর্ঘদীর্ঘ দিবস রজনীর হাহাকার, বরণোন্মুখ ইতিহাস।
প্রিয় রোদ লিখেছে—we are eagerly waiting for you, welcome.
উত্তরে লিখেছি--I am trying to forget all the relationship and relationship makes to breakdown. Every relation has its expiration. I think, me out of my time period to keep up the relation which surrounds me. Or I am a great misfit.
প্রিয় ফুল লিখেছে—Welcome friend, we are happy to your return. বদলে একটা হাহাকার ছড়িয়েছি শুধু। Thanks
প্রিয় ধূলি লিখেছে—পুরনো স্মৃতি খুলে দেখি পলেস্তারার চাপা পড়া স্তূপে তুমিও ছিলে একদিন। But I have forgot everything.
প্রিয় আকাশ লিখেছে—Time ruins everything, everything you made, everything you kept, you memorized, but only time will remember the past for our betterment or nostalgic remembrance.
২০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮
বাবুল হোসেইন বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই। ভালো থাকবেন।
২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর।
২০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮
বাবুল হোসেইন বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ হাসান ভাই।
৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:২৩
অনাহূত বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে। ইংরেজী লাইনগুলো কেমন যেনো ছন্দপতন মনেহলো। এটা একান্ত আমার ব্যক্তিগত অভিমত। তবে, আমি উপভোগ করেছি।
প্রিয় রোদ, প্রিয় ফুল, প্রিয় ধূলি, প্রিয় আকাশ - এসব খুব আপন আর চেনা। তাই এদেরকে আপনা-চেনা ভাষায় কথা বলতে দেখলে হয়তো অনুভূতির তীব্রতা বাড়তো।
কিংবা আপনার পয়েন্ট অব ভিউটা হয়তো ভিন্ন।
২০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৫৪
বাবুল হোসেইন বলেছেন: ছন্দপতন কিনা জানি না, তবে এরা আমার স্বজন, তাই এদের সাথে আমার মত করেই কথা বলেছি। মানে একটু অফ বিটে আর কি।
আসলে, মুক্তগদ্যের উঠানামা নিয়ে আমি ভাবি না, যেহেতু মুক্তগদ্য ট্যাগ দিয়েই রেখেছি, তাছাড়া ভাবের কোন ব্যাকরণ নেই, মানা হয় না, যেমন হাসি, যেমন কান্না।
সুন্দর মতামতের জন্য সুন্দর ধন্যবাদ অর্ণব। ভালো থাকা হোক।
ভাবছি নিয়মিত হবো সামুতে আবার। আগের মত, কিন্তু আইলসা বলে কারো ব্লগে গিয়ে পড়ে মন্তব্য করে তা দেখার জন্য আবার যাওয়া অনেক কঠিন মনে হয়, সামুতে এক সময় আমরা এভাবেই ব্লগিং করেছি যদিও। এখন টাইম ইজ সো ডিফিকাল্ট। এখন অফ্লাইনে কারো ব্লগ বা অনুসরিত ব্লগগুলো পড়ে আসি, ঘুরাঘুরি তেমন করতে ইচ্ছে করে না।
৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ভুলে যাই প্রিয় সুরমা নদী, ভুলে যাই প্রিয় রোদ, ফুলের বারুদ। ভুলে যাই বন্ধুগণ, মনে রেখোনা একদিন এ নগরে আমিও হেঁটেছি তোমাদের পায়ে পায়ে, বাতাসের পৃষ্ঠাতে এখনো ধূলিধূলি স্মৃতি, খুলে দেখো পেয়ে যাবে দীর্ঘদীর্ঘ দিবস রজনীর হাহাকার, বরণোন্মুখ ইতিহাস।
চমৎকার লাগলো।
০৮০২২০১৪-০১> ০৮০২০২০১৪-০১ লিখলেই সঠিক হতো
২০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৪৬
বাবুল হোসেইন বলেছেন: সংখ্যাটা বুঝি নাই, কেনো জানি না। আপনি কি বোঝাইছেন, বলেন। অনেকদিন পরে আপনাকে দেখে অনেক ভালো লাগছে দাদা। আছেন কেমন? আর ব্লগে আবার লিখবো নিয়ম্মিত ভাবছি। আপনার ব্লগে কালকে গিয়েছিলাম--কয়েকটা লেখা পড়েছি, আপনার অনেক লেখাই পড়া নাই, কেনো?
ভালো থাকবেন।
Time ruins everything
৫| ২৬ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: এত বিবাগ ভালো না হে। সংগীতে কষ্টের রাগের নাম বেহাগ। জীবনটা তো বেশ রঙিন- কেবল উপভোগের। তাই বেদনা আমাতে স্থায়ী হয় না। কেউ পোড়ালেও সে প্রজ্জ্বলন হয় সাময়ীক।
সার্বিক ভালো থাকুন।
২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪
বাবুল হোসেইন বলেছেন: হুম। আমি তো দিব্যি আছি। রাগ বেহাগ কিছুই তো নেই আমার। আমি মাটির মানুষ হে, মাটিতেই আছি তাই। আকাশে উড়ি নাই ডানা নাই তাই। কেউ কেউ বেদনাতেই আনন্দ খুজে ফেরে। পায় কি? হয়তো পায় নয়তো না।
অনেকদিন পরে আপনাকে দেখলাম, ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
৬| ২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫
মিনুল বলেছেন: মানুষগুলো চিনি নি কোন দিন .....!
২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২
বাবুল হোসেইন বলেছেন: মানুষগুলো চিরদিনই অধরা থেকে যায়।
৭| ২৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:২৯
মাইনউদ্দীন বলেছেন: অসাধারণ গুরু
০২ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮
বাবুল হোসেইন বলেছেন: হা হা হা
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর ।