![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খবরে জানা যাচ্ছে, ইলিশ রক্ষায় শুধুমাত্র জাল পোড়ানোর জন্য ৯০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।আর প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ৬০ দিন। Click This Link
সংবাদটি পড়ার পর ব্যক্তিগত কৌতূহলে খোঁজ নিয়ে জানলাম দেশে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৮৭ হাজার। এরমধ্যে শুধু ইলিশে জীবিকা নির্বাহকারী জেলে ২১ হাজার। গবেষণা করে দেখলাম, এ ২১ হাজার জেলের প্রত্যেককে নির্ধারিত ২ মাসে জাটকা না ধরার শর্তে এক লাখ টাকা করে দিলে তারা আর নদীর কাছেও যাবেনাে। এতে খরচ হয় ২১ কোটি টাকা। ব্যস, জাটকা রক্ষা পেল, কয়েক কোটি টাকার জাল পোড়া থেকে রক্ষা পেল ও ৮৭৯ কোটি টাকাও বেঁচে গেল।
কিন্তু মন্ত্রী ও আমলারা অবিশ্বাস্য পরিকল্পনায় মশা মারতে কামান দাগানোর নামে লুটোৎসব না করলে কী জাতির ইজ্জত থাকে?
ভারতীয় একটি বিখ্যাত গবেষণা দিয়ে লেখাটি শেষ করবো। বিশিষ্ট ভারতীয় সাংবাদিক ও উন্নয়ন তাত্ত্বিক গালাগুম্মি সাইনাথের ‘এভরিবডি লাভস অ্যা গুড ড্রট’ গবেষণাগ্রন্থে তিনি লিখেছেন, উত্তর প্রদেশের অজন্তাদহে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৫ সাল তক চলা ‘খরা’ মোকাবেলা ও দরিদ্রদের সহায়তায় বিদেশি সাহায্য ও সরকারি অনুদান মিলিয়ে প্রায় ৭০০ কোটি রুপি বরাদ্দ দেয়া হয়। ২ বছরে পুরো টাকাটা খরচ করা হয়। কিছুদিন পর অভিযোগ উঠে খরার শিকার বাসিন্দারা বরাদ্দ থেকে প্রায় কিছুই পায়নি। তাই সংকট আরো বেড়ে গেছে পরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা গবেষণা করে দেখিয়েছেন ৭০০ কোটি রুপীর মধ্যে মাত্র ২২ কোটি রুপী খরাক্রান্ত অজন্তাদহবাসী পেয়েছিল। বাকিটা মন্ত্রী, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও আমলারা ভাগ করে নিয়েছেন। অথচ প্রকল্পে শুধু কনসাল্টেন্সি ফি বাবদ ২৭০ কোটি রুপি পরিশোধ করা হয়েছিল যা নিয়েছেন মন্ত্রী ও আমলারা।
পরিশেষে আমাদের ৯০০ কোটি টাকায় জাল পোড়ানো প্রকল্প নিয়ে কী বা আর বলা চলে! লুটে দাও! চুষে যাও!! লেটেপুটে খাও বলা ছাড়া!!!
©somewhere in net ltd.