নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশের এক মফস্বল শহরের ছেলে আমি। ব্লগে সোনা মানিক নামে লেখলে ও আমার নাম গাউছুর রাহমান। নিন্মবিত্ত হবার কারনে সমাজের অনেক নির্যাতন নিপীড়ন এর মধ্যে বড় হয়েছি তাই সাধারন মানুষের কষ্ট কিছুটা হলে ও বুঝি তাই শোষিত মানুষের হয়ে লেখার পথ বেছে নিয়েছি।

সোনা মানিক

কথা কম বলেন বাচবেন বেশিদিন...পারলে লিখা যান...

সোনা মানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মনিরপেক্ষতা

০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:১৭

বাংলাদেশ সংবিধানের প্রথম ভাগ (প্রজাতন্ত্র) এর ২ক ধারায় থাকা “প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” বিষয়ে করা আদালতের দুটি রিটের শুনানিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ইসলামপন্থীরা দেশের পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করার চেস্টা করছে। ইতিমধ্যেই হেফাজত ইসলাম রাজধানী ঢাকা, তাদের আস্তানা শহর চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সভা সমাবেশ করছে, অন্যান্য ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোও সমান তৎপর। হেফাজত নেতারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাতিলের (অনেক সময়ই তারা এটাকে সংক্ষেপে বলে থাকেন- ইসলামকে দেশ থেকে বাতিলের, তুলে দেয়ার চক্রান্ত) সিদ্ধান্ত হলে- সারাদেশে জিহাদ শুরু হবে, কোটি মুসলিম বুকের রক্ত ঢেলে দিবে। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, “যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়া হয়, তাহলে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে কঠিন, কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা প্রয়োজনে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেব”।

তিনি বলেন, “সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম যদি বাতিল হয় তাহলে রাষ্ট্রীয়ভাবে, সাংগঠনিকভাবে কোনো মুসলমান তার মুসলমান পরিচয় নিয়ে থাকতে পারবে না। কোনো মুসলমান মুসলমান থাকতে পারবে না”। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষদেরও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রক্ষার আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ইসলাম শান্তির ধর্ম। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকলে সবার জন্য শান্তি আসবে। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সব সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য শান্তি হবে”। এমনই শান্তির ধর্ম যে, তারা জিহাদের হুমকি দেয়, ইসলাম রক্ষায় কোটি তৌহিদি জনতার বুকের তাজা রক্ত ঢেকে দেয়ার কথা বলে। যে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে আহবান জানাচ্ছেন তিনি- রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকার পরেও যদি তারা থাকতে পারে, তাহলে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে কোন বিশেষ ধর্ম না থাকলে- কেন কোন মুসলমান মুসলমান থাকতে পারবে না- সেই ব্যাখ্যা বাবুনগরীর কাছ থেকে জানা দরকার। মুসলমানের একমাত্র সংবিধান কোরআন, যে কোরআন না থাকলে মুসলমানও থাকবে না- এই কথা সারাজীবন শুনে এসে- আজ বাবুনগরীর বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে- কোরআন, কালেমা, নবীর শিক্ষা তথা সুন্নাহর চাইতেও তাদের কাছে যেনবা একটা রাষ্ট্রের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে ইসলামের থাকা না থাকাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ! দুনিয়ার অধিকাংশ দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নয়- সেইখানে কি ইসলাম নেই, এমন প্রশ্নও খুব স্বাভাবিকভাবে আসে

খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন প্রভৃতি নানা ইসলামিক দলগুলোও মিছিল সমাবেশ থেকে একই রকম হুশিয়ারি উচ্চারণ করছেন। তাদের অধিকাংশের মূল বক্তব্যই হচ্ছে- বাংলাদেশের ৯০%, ৯২% মুসলমান হওয়ার পরেও কেন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হবে না। এই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ক্ষমতার বলে অন্যদের – দুর্বল, ক্ষমতাহীনদের উপরে জোর-জবরদস্তিমূলক নিজেদের ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়া মোটেও ন্যায়সঙ্গত ও ন্যায্য নয়, সেটা তাদের কে বুঝাবে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.