![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কথা কম বলেন বাচবেন বেশিদিন...পারলে লিখা যান...
ভয়ংকর এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সম্পূর্ণ দমন করে ফেলেছে সরকার। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের নেতারা পর্যন্ত এখন অসহায়ের মতো কান্নাকাটি করেন এবং তারপর গিয়ে সরকারের পা ধরে বসে থাকেন। সরকার এখন প্রচন্ড শক্তিশালী। এবসলিউট অথরিটি। এখানে কোন অংশীদারিত্ব নাই, মানুষের কোন অংশগ্রহণ নাই।
রাস্তাঘাটের রাজনৈতিক বিরোধীতাকে শেষ করার পর সেই মহাশক্তিশালী সরকারের পুরো মনযোগ এখন ভার্চুয়াল দুনিয়ার মানুষদের উপর। এদেরকে তারা এখন প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। রাজনীতি করতে হবে না, ভারতের আধিপত্যবাদের বিরোধীতা করা অথবা ইসলামের কথা বলাই যথেষ্ট অপরাধ। আপনি যদি লেখালেখি করেন, তাহলে চেতনার সেবা না করাই যথেষ্ট অপরাধ।
এ অনুভূতিটা অদ্ভুত, বেদনাদায়ক। হঠাৎ দেখা যায় ইফতেখার জামিল আর লিখছে না। হঠাৎ দেখা যায় অপু ভাই আর লিখছে না। এরা যারা লিখছিলো তারা মানুষের জন্য দরদ থেকেই লিখছিলো। কিন্তু সেই মানুষেরা তাদের বাঁচাতে পারছে না। এইসব লেখালেখি বন্ধ করে বাস্তব দুনিয়ার মতো ভার্চুয়াল লেখালেখির দুনিয়াতেও মুজিববাদের ও মুক্তিযুদ্ধের বন্দনা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। কলমের প্রতি স্বৈরাচারীদের এ ভীতি স্বভাবজাত। এটা অনিবার্য ছিলো।
যারা লেখেন, যাদের কিছুটা পরিচিতি আছে তারাই জানেন তারা কতটা চাপের মধ্যে আছেন। দেশেই থাকুন অথবা বিদেশে। লেখার কারণে অনেকে নিজে কিংবা পরিবারের লোকজনে অনেক সমস্যায় আছেন। আপনি মনে করছেন কারো অবস্থা আপনি ভালোই জানেন, আসলে হয়তো কিছুই জানেন না।
অবৈধ সরকারের ঘেরাও এর আওতা দিনে দিনে বিস্তৃত হচ্ছে। আপনার আমার পরিচিত আরো অনেকে যারা কোন রাজনীতির কাছেও আসেন না, তারাও এর শিকার হবে গ্যারান্টি দিচ্ছি। এইসব সমস্যার সমাধান বাস্তব পৃথিবীতে না হলে, ভার্চুয়াল পৃথিবীতে হবে না। বাংলাদেশের এই প্রহসন, এ ফ্যাসিবাদী নির্যাতনের বর্বরতম উদাহরণ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে পশুবৃত্তিক এইসব কার্যক্রম; সবকিছু ধ্বংস হোক।
যাদেরকে এভাবে সরকারী বাহিনী ধরে নিয়ে যাচ্ছে তাদের জায়গায় একবার নিজেকে বসিয়ে চিন্তা করে দেখেন। আপনি একজন বিবেকবান এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনকারী চিন্তাশীল মানুষ, যার পরিবার আছে, মানষের জন্য ভালো কিছু করার ইচ্ছাও আছে সেই আপনাকে হঠাৎ টেনে হিচড়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ এবং অন্যান্য বাহিনী, এরপর অজানা ভবিষ্যত ও পরিবার পরিজনের দুর্ভোগ। একমাত্র কারণ হলো আপনি কিছু কথা বলতে চেয়েছিলেন বা মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে চেয়েছিলেন বা ইসলামকে ভালো মনে করেছিলেন। এরচেয়ে বেশি আর কোন অপরাধ নেই। যার পরিণতি বর্তমান নির্যাতন, বন্দী জীবন। অথবা হারিয়ে যাওয়া। আপনি আমি এদের জন্য যদি কিছু করতে না পাারি, তাহলে অন্তত দোয়া করতে পারি। আল্লাহ এদের ভালো রাখুন। নিরাপদে ফিরিয়ে দিন।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:২৬
সোনা মানিক বলেছেন: আপনি কুনটার কথা বলছেন ভাই? আপনি যদি গুম হউয়ার কথা বলে থাকেন তাহলে আপনার বুদ্ধির বিকাশ হয় নি, আপনি গুম হউয়ার পর আপনার পরিবার এর অবস্থা টা চিন্তা করেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪২
মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: মারামারি কাটাকাটি আগুনে পোড়ানোর চেয়ে এটাই ভালো।