নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশের এক মফস্বল শহরের ছেলে আমি। ব্লগে সোনা মানিক নামে লেখলে ও আমার নাম গাউছুর রাহমান। নিন্মবিত্ত হবার কারনে সমাজের অনেক নির্যাতন নিপীড়ন এর মধ্যে বড় হয়েছি তাই সাধারন মানুষের কষ্ট কিছুটা হলে ও বুঝি তাই শোষিত মানুষের হয়ে লেখার পথ বেছে নিয়েছি।

সোনা মানিক

কথা কম বলেন বাচবেন বেশিদিন...পারলে লিখা যান...

সোনা মানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ এর সাতান্ন (৫৭) ধারা

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩১



তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬’র ৫৭-ধারা জনগণের মতপ্রকাশ, বাকস্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর গুরুতর হুমকি বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। ধারাটির অস্পষ্টতার কারণে এর অপপ্রয়োগের আশংকা প্রকাশ করে তারা বলেন, সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকর্মীরা এর ফলে হেনস্তার শিকার হবেন। মানবাধিকার কর্মীরা শুরু থেকেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬’র ৫৭-ধারাটির তীব্র সমালোচনা এবং বিরোধিতা করে এলেও সম্প্রতি এ ধারায় সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের গ্রেফতারের পর তা বাতিলের দাবি নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে। ৫৭-ধারায় বলা আছে, ‘মিথ্যা, অশ্লীল অথবা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ’-সংক্রান্ত। এতে বলা আছে, ‘কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়লে, দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন অথবা যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে বা এ ধরনের তথ্যের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়া হয়, তাহলে তার এ কাজ অপরাধ বলে গণ্য হবে। এর দায়ে অনধিক চৌদ্দ বছর এবং ন্যূনতম সাত বছর কারাদ-ে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদ-ে দ-িত হবেন’। প্রখ্যাত মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেন, আইনের এ ধারাটিতে এতটাই অস্পষ্টতা রয়েছে যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এর অধীনে খেয়াল খুশিমত যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারে। ৫৭-ধারা বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ধারাটি যেহেতু আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেয় তাই এটি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। আইনের এ ধারাটি যদি সরকার বহাল রাখতে চায় তবে তাকে অবশ্যই স্পষ্টভাবে এর প্রয়োগের সীমারেখা নির্ধারণ করে দিতে হবে। এটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৫৭-ধারার প্রয়োগ বন্ধ রাখার আবেদন জানান সুলতানা কামাল। সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদও একইভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬’র ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগের আশংকা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ধারাটি প্রয়োগের সঠিক বিধি আরোপিত না হওয়া পর্যন্ত এটি প্রয়োগে সর্বোচ্চ সতকর্তা অবলম্বন করা উচিৎ। প্রবীর সিকদারের ঘটনায় আইনটি ভুলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবি। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি জ্যোতির্ময় বড়–য়া বলেন, ধারাটিতে ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বিনষ্টের কথা বলা হলেও এর কোথাও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তির সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, সামাজিক মর্যাদা অনুযায়ী ব্যক্তিভেদে ভাবমূর্তির সংজ্ঞাও ভিন্ন। আর ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রের ভাবমূর্তির বিষয়টি কি করে একসাথে আসে সে প্রশ্নও করেন এ আইনজীবি। বাংলাদেশের পরে ভারত তার আইনে ৫৭ ধারার মতো বিধান (বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম ক্ষতিকর) ৬৬ক হিসেবে যুক্ত করেছিল। তবে শাস্তি ছিল মাত্র তিন বছরের। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি ৬৬ক ধারা সংবিধান পরিপন্থী বলে বাতিল করেন। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, ৬৬ক ধারা তথ্যের অধিকারের ওপর বিরাট হুমকি। বাংলাদেশ তার ৫৭ ধারার মধ্যে ‘ধর্মীয় অনুভূতি, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ও আইনশৃঙ্খলা, নীতিভ্রষ্ট হওয়া’ ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছে। ভারতের ৬৬ক-তে এসব ছিল না। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এ রায়ের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিস্টার তানজীব-উল আলম বলেন, তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাটি অসাংবিধানিক এবং অবশ্যই এটা বাতিল করা উচিৎ। আইন বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক বলেন, সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের ঘটনাটিই আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় কিভাবে আইনের এ ধারাটির অপপ্রয়োগ হতে পারে।(সংগৃহীত)


সুত্রঃ http://bdtodays.com/news/13595

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:২২

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: তূঘলকী কারবার !

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:২৯

সোনা মানিক বলেছেন: সাবধান এ লেখালেখি করেন নইলে ভইরা দিব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.