![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কথা কম বলেন বাচবেন বেশিদিন...পারলে লিখা যান...
গত ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সকালে রাজধানীতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ইমাম সম্মেলনে হাচিনা আপার কিছু বক্তব্য আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে।
হাচিনা আপার বক্তব্য সমুহঃ
১ মানুষ যত শিক্ষাই নিক না কেন, ধর্মীয় শিক্ষা না পেলে তা পূর্ণাঙ্গ হয় না
২ দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একটি করে মসজিদভিত্তিক ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করা হবে। চালু করা হবে মসজিদভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষা। জেলা পর্যায়ে চালু হবে আরবি শিক্ষা কার্যক্রম। আলেম-ওলামাদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল
৩ আমরা যে শিক্ষানীতিমালা করেছি, সেখানে কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছি। সেই সঙ্গে আমরা আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি
৪ পবিত্র কোরআনকে ডিজিটাল করার উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন ডিজিটাল যুগ, মানুষ বইও পরে প্রযুক্তির মাধ্যমে। এ জন্য পবিত্র কোরআন শরিফকে ইংরেজি, বাংলা এবং আরবি ভাষায় ডিজিটাল কোরআনে রূপান্তর করা হয়েছে।
৫ বাংলাদেশে দারুল আহকাম নামে মসজিদভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালুরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘প্রতিটি জেলায় একটি করে আরবি ভাষায় শিক্ষা কোর্স চালুও আমাদের বিবেচনায় আছে।’
এইবার আমার কথা হল এই যে,
ধর্মনিরপেক্ষতার মতবাদ অনুযায়ী, সরকার কোনরূপ ধর্মীয় হস্তক্ষেপ করবে না, কোন ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী হবে না এবং কোন ধর্মকে কোন প্রকার অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করবে না। ধর্মনরপেক্ষতাবাদ সেই বিশ্বাসকে ধারণ করে যাতে বলা হয় মানুষের কর্মকাণ্ড এবং সিদ্ধান্তগুলো, বিশেষত রাজনীতিক সিদ্ধান্তগুলো, তথ্য এবং প্রমাণের উপর নির্ভর করবে, কোনো ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর নয়। অর্থাৎ বলা যায়, “ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার”।
সরকার এর এই সব কার্যক্রম দেশে সাম্প্রদায়িকতা এবং মৌলবাদ ২ টাই ছড়াচ্ছে তাই আমি প্রধান মন্ত্রীর এইসব পদক্ষেপ এর নিন্দা জানাচ্ছি।
আমরা কক্সবাজারের রামু দেখেছি, নাসির নগর দেখেছি, লেখকদের লাশ দেখেছি, এই সব গুলো বিষয়ে সরকার এর বিচার হীনতা দেখেছি,
বাংলাদেশের ৯০% মুসলমানকে এইসব কিছুতে সমর্থন করতে দেখেছি, জামায়াত- হেফাজত কে অন্যান্য ধরমালম্বি এবং মুক্ত চিন্তার লেখকদের প্রকাশে হত্যার হুমকি দিতে দেখেছি এবং এই সব কিছুতে সরকার এর সমর্থন দেখেছি।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১১
মানবী বলেছেন: বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ না মুসলিম দেশ?
স্কুল কলেজে সারি বদ্ধ করিয়ে নামাজ আদায় হয়না, রবিবার খ্রিস্টানদের জন্য বিশেষ প্রার্থণার ব্যবস্থা হয়না অথচ সরস্বতী পূজার আয়োজন হয় বলে শুনেছি, এ বিষয়টি কি ধর্ম নিরপেক্ষতা বিরুদ্ধ নয়?
আমরা যে শিক্ষানীতিমালা করেছি, সেখানে কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছি
- প্রধানমন্ত্রী এধরনের বক্তব্য এবং উদ্যোগ নিয়ে থাকলে আমি তাঁকে সমর্থন এবং সাধুবাদ জানাই।
আমরা বাধ্যতামূলক ধর্মশিক্ষার মাঝে পড়াশুনা করে এসেছি, মুসলিমরা ইসলাম শিখেছে, হিনদউ বৌদ্ধরা নিজ নিজ ধর্ম। এস এস সিতে তা অপশনাল হলেও প্রায় ৫০% ধর্মশিক্ষা গ্রহন করেছিলো আমার ব্যাচে, তার মাঝে মুসলিম অমুসলিম সবাই ছিলো।
ধর্মশিক্ষা মানেই সাম্প্রদায়িকতা নয়।
বাংলাদেশের ৯০% মুসলমানকে এইসব কিছুতে সমর্থন করতে দেখেছি
- আপনার এই বক্তব্য সত্য নয়।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৪
মকবুল হুসেন বলেছেন: তুই বেশি দিন বাঁচবি না রে মইনা তর দিন শেষ অইয়া আইতাসে। সময় থাকতে বালা অইয়া যা।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ হাসিনা আমাদের স্বাধীনতার কারণ, ও স্বপ্নকে বুঝার অবস্হানে কোন সময় ছিলো না; উনার বাবার ভুলের কারণে, সিআইএ আমাদিগকে ২য় পাকিস্তান বানায়েছে।