![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কথা কম বলেন বাচবেন বেশিদিন...পারলে লিখা যান...
মার্কিন সেনা সরে যাচ্ছে আফগানিস্থান থেকে। সাথে তালিবান দখল নিচ্ছে আফগানিস্থান, একটু একটু করে। সরকারী সেনার মনোবল তলানিতে। কদিন আগেই খবর দেখলাম তালিবানের তাড়ায় ১০০০ আফগান সেনা পাশের দেশে পালিয়ে গেছে। তাঁদের প্রপার ট্রেনিং নেই, নেই সামান্য মনোবল। এমনকি অস্ত্রশস্ত্রেও ঘাটতি। আমেরিকার আফগান অ্যাডভেঞ্চার শেষ, তারা সাধারণ আফগানদের তালিবানদের হাতে তুলে দিল বলা যায়। আফগান সরকারের পতন এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। এই মুহূর্তে হিংস্র বর্বর মধ্যযুগীয় তালিবান শাসনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আফগানিস্থান। অসহায় আফগান সরকার সাধারণ মানুষের কাছে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে। এদিকে আফগানিস্থানের পাসপোর্ট অফিসে লম্বা লাইন। মানুষ পালাচ্ছে দেশ ছেড়ে, বর্বর তালিবান শাসনের হাত থেকে বাঁচতে।
এখানে শুধু একটা কিন্তু আছে। সরকারী আহ্বানে সাড়া দিয়ে আফগান মেয়েরা মাঠে নামছেন। নিচ্ছেন অস্ত্র প্রশিক্ষণ, তালিবানদের মোকাবিলা করতে। তাঁদের শিক্ষার অধিকার, মানুষের মত বেঁচে থাকার অধিকার বাঁচাতে। সিরিয়া ইরাক উদাহরণ, আইসিসকে মাটিতে মিশিয়ে দেবার পিছনে নারী শক্তির বিপুল অবদান অনস্বীকার্য। এবার আফগানিস্থান। জানি না, তাঁরা সংগঠিত হতে পারবেন কিনা। যদি পারেন, তালিবান ভবিষ্যতে আর কোনদিন মাথা তুলতে পারবে না আফগানিস্থানে। দেশটায় নতুন ইতিহাস রচনা হবে, ঘুরে যাবে ইতিহাসের মোড়। আর যদি না পারেন, উদাহরণ হয়ে থাকবেন আগামী দিনের মানুষের সামনে। যা একদিন ফের বিদ্রোহের স্ফুলিঙ্গ জ্বালাবে, কবর দেবে তালিবানি ধর্মীয় রাজনীতিকে।
সারা দুনিয়ায় ধর্মের কাছে সব থেকে নির্যাতিত মহিলারা, তা সে যে ধর্মই হোক না কেন। আগামী বিশ্বে এই নারী শক্তিই নির্ণায়ক ভুমিকা নিতে চলেছে। মানুষের মত বাঁচা, সম অধিকার নিয়ে পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে যাওয়া, নিজের জীবনের সব সিদ্ধান্ত নিজের হাতে নেওয়া; ধর্ম সমাজ সহ সব বাধা দূরে সরিয়ে। এই পরিবর্তন আসবে মহিলাদের হাত ধরেই। এই অধিকার মহিলারাই ছিনিয়ে নেবেন পুরুষের মুখাপেক্ষী না থেকেই। আর এটাই ভবিষ্যৎ পৃথিবী।
- গৌতম চক্রবর্তী
২| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৩৮
অক্পটে বলেছেন: আফগানিস্তানে কি আমেরিকার পতন হলো নাকি অন্যকিছু। তো এতদিন আমেরিকা ওখানে কি করেছে। একটা নড়বড়ে সরকার ও সেনাবাহিনী সৃষ্টি করে রেখে যাওয়ার মানে কি? তালেবানরা অস্র পায় কোথায়, তাদের সমূলে ধ্বংস করা গেলনা কেন। সোভিয়েট পতন এখন আমেরিকার পতন। আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণের আসলে মুক্তি এলনা।
৩| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:০২
রানার ব্লগ বলেছেন: পৃথিবী কে অস্থিতিশীল করার জন্য একা আমেরিকায় যথেষ্ট। এরা টম এন্ড জেরি খেলছে।
৪| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:১০
শাহ আজিজ বলেছেন: চোখ কান খোলা রেখে দেখছি কি হতে যাচ্ছে আফগান-পাকিস্তান-কাশ্মির- চীন -ভারতে । আমারতো মনে হয় পাকিস্তানের কিয়দংশ হাতছাড়া হয়ে যাবে পাক তালিবানের হাতে ।
৫| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমেরিকা এতদিন আফগানিস্তানকে নিয়ে খেলেছে। এখন তাদের খেলা শেষ। কোন রকমের দায় দায়িত্ব স্বীকার না করে এবং আফগানিদের বিপদে ফেলে এরা এখন চলে যাচ্ছে। এটা কতটা নৈতিক এই প্রশ্ন অনেকের মনেই আসবে। এত ধ্বংস আর মৃত্যুর পর আমেরিকা কি পরাজিত না জয়ীর বেশে আফগানিস্তান ছাড়ছে এটাও একটা বড় প্রশ্ন। এত বছর ধরে তারা যে যুদ্ধ করলো এটা কি তাহলে অর্থহীন ছিল।
৬| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪৭
সাসুম বলেছেন: তালেবান দের কে যারা সন্ত্রাসী বলে তারাই আসল সন্ত্রাসী। তালেবান রাই আসল বাকিরা নকল।
বিলিভ না অইলে, আমাদের দেশের ফেসবুকের আফগানিস্তগান রিলেটেড কোন পোস্টের কমেন্ট বক্স চেক করেন। আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান।
আমীন।
৭| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:১১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অক্পটে বলেছেন: আমেরিকা ওখানে কি করেছে। তালেবানরা অস্র পায় কোথায়? তাদের সমূলে ধ্বংস করা গেলনা কেন?
আমেরিকা ইচ্ছে করলে তালেবান সম্পুর্ন নিচিহ্ন করতে পারতো।
কিন্তু তালেবান থাকে, হামাসের মতই নারী-শিশুদের চিপায়, একটা শয়তান মারতে গেলে ২৫টা নিরিহ মারা যায়।
যেমন মামুনুলরা শিশুদের মিছিলের সামনে দাংগাকারি হিটার দলের সামনে রাখতো (শিশু সহ সে সময় ২১ জন মারা গেছিল, যদিও বাংলাদেশে কেউ চোখের পানি ফেলেনি)
আমেরিকা বোমা মারলে বহু নিরিহ মারা যায়।
তাই অনেক ব্যায়বহুল ড্রন মারফত সিলেক্টিভ ছোট মিসাইল ব্যাবহার করতে বাধ্য হচ্ছিল, এতে তেমন কাজ হোতনা।
আমেরিকা অন্যান্ন বড় ধনী দেশের সহায়তা পাচ্ছিলনা, একা আর কত ব্যয় করবে? আর কতো গণহত্যার দায় একা নিবে?
তালেবানদের অস্ত্র সর্বরাহকারি হচ্ছে পাকিস্তান।
অস্ত্র কেনার টাকা?
আর তালেবানদের টাকার কোন অভাব নেই, ৩ গুন ৫ গুন বেশী দামে সর্বাধুনিক অস্ত্র কিনছে তালেবান।
অস্ত্র গোলাবারুদ বেচাকেনা করে ৩ গুন ৫ গুন লাভবান হচ্ছে পাকিস্তান।
কুয়েত শ সব মধ্যপ্রাচ্যের দেশইগুলো অকাতরে টাকা দিচ্ছে। সরকার দিচ্ছে না, ধনী শেখরা দিচ্ছে
আর সবচেয়ে বেশী অর্থ আসছে আমেরিকা কানাডা ইউকে ইয়োরোপের হাজার হাজার মসজিদে রহিঙ্গাদের নামে আফ্রিকার অভুক্তদের নামে, আফিকায় মসজিদ তৈরির নামে অকাতরে টাকা উঠায়। নিউইয়র্কে এক মসজিদে এক শুক্রবারেই মিলিয়ন ডলারের উপর চাঁদা উঠতে আমি নিজের চোখে দেখেছি। (অবাক হওয়ার কিছু নেই আমাদের মত গবিব দেশেই মামুনুল বাবুনগরীদের একাউন্টে হাজার কোটি টাকা, বাট্টু মাওলানারও কম নাই, হেলিকপ্টারে চড়ে)।
৮| ১২ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০২
গফুর ভাই বলেছেন: আমি যত রাজনীতির বই পড়ছি সব শেষে দেখা যায় ব্যাক্তিগত সার্থ চলে আসে।যেমন জিন্নাহ এর জীবনে দেখা যায়। ৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগ না হলে জিন্নাহ শুধুমাত্র তার সন্তানের পিতা হত।
৯| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৮
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: িছুতেই কিছু হবে না, এরা সরকার গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে বলেই মনে হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:৪৭
কামাল১৮ বলেছেন: এ কাজটি আরো অনেক আগে করা যেতো।আফগানদেরই তালেবানের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।তালেবান ক্ষমতা নিলে দেশে আবের কেয়ামত নেমে আসবে।