নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশের এক মফস্বল শহরের ছেলে আমি। ব্লগে সোনা মানিক নামে লেখলে ও আমার নাম গাউছুর রাহমান। নিন্মবিত্ত হবার কারনে সমাজের অনেক নির্যাতন নিপীড়ন এর মধ্যে বড় হয়েছি তাই সাধারন মানুষের কষ্ট কিছুটা হলে ও বুঝি তাই শোষিত মানুষের হয়ে লেখার পথ বেছে নিয়েছি।

সোনা মানিক

কথা কম বলেন বাচবেন বেশিদিন...পারলে লিখা যান...

সোনা মানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

০২ রা এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন জ্বিহাদী হিজাব নিকাবের নিশ্চয়তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এদের নেতৃত্ব আরবি বিভাগ বা উর্দু বিভাগ বা ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ বা বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের কেউ দেন নি বরং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মাস্টার্সের একজন, আইন বিভাগের মাস্টার্সের একজন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দুজন দিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি তোলার কথা- অনলাইনে গ্রন্থাগারের সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত করা, গ্রন্থাগারে নতুন বই যুক্ত করা, বই ও রিপোর্ট এবং জার্নাল ডাউনলোডের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করা, সৃজনশীল-বুদ্ধিভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা, প্রতিটি বিভাগে ও ছাত্রাবাসে ওয়াই ফাইয়ের ব্যবস্থা করা, ল্যাবে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্ক্যানারের সংখ্যা বৃদ্ধি করা, বিনামূল্যে ফটোকপির সুযোগ দেওয়া প্রভৃতি, কিন্তু, এই মহান শিক্ষার্থীরা দাবি তোলে পর্যাপ্ত পরিমাণে নামাজের জায়গার ব্যবস্থা করার!

মূলত, এই ধরণের মস্তিষ্কের শিক্ষার্থীদের কাছে জ্ঞানের কোনো মূল্য নেই, আদতে পুরুষের সেবাদাসী হওয়াই এদের জীবনের লক্ষ্য। আর এই সকল নারীরা শুধুমাত্র ধর্মান্ধ ও ধার্মিকদের কাছেই আদর্শ নারী নয়, বরং সমাজের অধিকাংশ পুরুষের মধ্যমণি। কারণ এইসকল নারীদের দিয়ে ওঠবস করানো যায়।

এবং এদের জীবনের উদ্দেশ্যেই হল পুরুষের মধ্যমণি হওয়া; বাচ্চা প্রসব করা, ঘরবাড়িতে অবস্থান করা, চাকুরী ছেড়ে দেওয়া, শ্বশুর শাশুড়ির গোলামী করা, স্বামীর মস্তিষ্ককে নিজের মস্তিষ্কে ধারণ করা, স্বামীর প্রহার সহ্য করা, কুটনামি করা, অন্য নারীর দোষারোপ করা অর্থাৎ এমন চিন্তাধারার নারীরা ভিন্ন চিন্তাধারা ও মতাদর্শের নারীদের জন্যই বেশি ক্ষতিকর।

ধর্মীয় বিশ্বাস এবং অনুশীলনগুলি উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা ও বোধ আচ্ছন্ন করে রাখার মতো ব্যাধিগুলির বিকাশে অবদান রাখে। নামাজ পড়লেই যদি ডিপ্রেশনসহ সকল সমস্যা গায়েব হয়ে যেতো তাহলে আর মুসলিমদের বিজ্ঞানের কাছে শরণাপন্ন হতে হত না। এদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করে যে তাদের হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে, অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে, ভিন্ন বিশ্বাসী-মতাদর্শের দ্বারা নির্যাতন করা হচ্ছে, তাদের তিরস্কার করা হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে পুরুষেরা পরিচয় লাভ করে ধূর্তের আর নারীরা হয় অসহায়ত্বকে স্বীকার করে নেওয়া দুর্বল চিত্তের একজন পুরুষের সেবাদাসী বা সেবিকা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:১২

তানভীর রাতুল বলেছেন: উপরোক্ত জামাতী ধরনের মন্তব্যে নিরাশ বা ভীত হওয়ার দরকার নাই। এরকম মৌলবাদী দিয়েই দেশটা ভরপুর।

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:২৫

গরল বলেছেন: তারা জ্ঞান অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যায় নাই, পড়তে গেছে উপযুক্ত পাত্রী হওয়ার জন্য। এরকম পাত্রীই খুজছিল কিছুদিন আগে এক লোক ব্লগে তার ছেলের জন্য।

৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৩৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ে নামাজের স্থান চাওয়াতে আপনি এক বাক্যে বলে দিলেন এরা পুরুষের সেবাদাসী হতে চায় কথাটা অযৌক্তিক । নামাজের মাঝে যদি কেউ শান্তি খুজে পায় তবে তাতে আপনার সমস্যা হওয়ার কারণটা ঠিক বুঝতে পারছিনা। এই দেশে যারা নামাজ পড়তে ও হিজাব পড়তে ভালোবাসে তারা তাদের মতো থাকুক না। সবাই সবার মতো করে ভালো থাকুক । যে যেটা করে শান্তি পায় সে সেটা করুক।

৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে নামাজের স্থান চাওয়ার কিছু নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব মসজিদ আছে, নতুবা প্রেয়ার রুম আছে। সেখানে মহিলাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করুক।

আরবেও মহিলাদের আলাদা কোন মসজিদ নেই। একই মসজিদে নারী পুরুষ নামাজ পরে। উন্নত দেশেও মুসলিমদের তৈরি মসজিদে নারী পুরুষ একই ইমামে নামাজ পরে। নামমাত্র একটি কাপড়ের পার্টিশন দিয়ে
খোদ মক্কায় নারী পুরুষ এক কাতারে নামাজ পরে, কোন পার্টিশন বাদেই।

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৪৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: garbage

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২২

তানভীর রাতুল বলেছেন: দেশটাতে এখনো কেন যেন 'বাংলাবান্ধব সর্বধর্মীয় উপাসনালয়' জিনিসটা একটা ফ্যাশনে পরিণত হলো না.... আফসোস!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.