নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশের এক মফস্বল শহরের ছেলে আমি। ব্লগে সোনা মানিক নামে লেখলে ও আমার নাম গাউছুর রাহমান। নিন্মবিত্ত হবার কারনে সমাজের অনেক নির্যাতন নিপীড়ন এর মধ্যে বড় হয়েছি তাই সাধারন মানুষের কষ্ট কিছুটা হলে ও বুঝি তাই শোষিত মানুষের হয়ে লেখার পথ বেছে নিয়েছি।

সোনা মানিক

কথা কম বলেন বাচবেন বেশিদিন...পারলে লিখা যান...

সোনা মানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরান আর বাইবেল

২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:২৬

আচ্ছা বলুন তো, কোরান আর বাইবেল কি কোনো বিজ্ঞানের বই? কাল্পনিক, বানোয়াট, আজগুবি আর এলোমেলো দেড়/দুই হাজার বছরের আদিম চিন্তার এই দুটি বইয়ে কি আপনি এক সেন্টিমিটার পরিমাণ বিজ্ঞানের ছোঁয়া পাবেন?

জীববিজ্ঞানের মতো আধুনিক বিজ্ঞানের পরীক্ষা নিরীক্ষা, গবেষণা আর পর্যবেক্ষণলব্দ বিষয়ে একটা বই লিখার সময় কি আপনি কোরান আর বাইবেল থেকে তথ্য নেবেন?
কোরান আর বাইবেলের সঙ্গে মিলে গেলো না সাংঘর্ষিক হলো, আপনার কি তা বিবেচনা করা জরুরি?
একটা জীববিজ্ঞানের বইয়ে কোরান আর বাইবেল- এই বই দুটির নাম উল্লেখ করাই কি হাস্যকর নয়?

অথচ অবাক করা কান্ড হচ্ছে, বাংলাদেশের একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির জীববিজ্ঞান বইয়ের একটা অংশে চার্লস ডারউইনের বিবর্তনকে বাতিল করে দিয়েছেন বাংলাদেশের এক ধর্মান্ধ বিজ্ঞান লেখক মুহম্মদ আবুল হাসান। এই ভদ্রলোকের নামের আগে আবার 'ডঃ' টাইটেলও আছে। আমি জানিনা তিনি কোন্ বিষয়ে এবং কোথা থেকে এই 'ডঃ' ডিগ্রীটা জোগাড় করেছেন।

বইয়ের বিবর্তন বিষয়ক এই ছোট্ট অংশটা পড়লে দেখবেন, এই লেখক ডারউইনের বিবর্তনকে বাতিল এবং অগ্রহণযোগ্য ঘোষনা করেছেন বিবর্তনকে মিথ্যা বা ভুল প্রমাণ করে- এমন কোনো রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা বা গবেষণা ছাড়াই। ওনার মূল যুক্তি একটাই, তা হচ্ছে বিবর্তন কোরান আর বাইবেলে উল্লেখিত আদম-হাওয়ার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে-

১. আদম-হাওয়া রুপকথা কি বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত কোনো বিষয়, বা এর বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি আছে যে একজন লেখক আদম-হাওয়ার আদিম রুপকথাকে একটা আধুনিক সময়ের জীববিজ্ঞান বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন?

২. আদম-হাওয়া রুপকথায় বিশ্বাসী একজন ধর্মান্ধ ব্যক্তি কিভাবে আধুনিক পাঠ্যক্রমের জীববিজ্ঞানের বই এবং বিবর্তন এর মতো বিষয়ে লেখালেখি করার দায়িত্ব পান?

৩. ডারউইনের বিবর্তন কি স্বপ্নে পাওয়া বানোয়াট বিজ্ঞান দিয়ে চ্যালেন্ঞ্জ করার মতো এতো সহজ বিষয়?

৪. কোনো লেখক বা বিজ্ঞানী যখন একটি বৈজ্ঞানিক বিষয়কে ভুল দাবী করেন, সেই দাবীর পক্ষে সুনির্দিষ্ট গবেষণার এবং বিজ্ঞানীর নামও উল্লেখ করতে হয়, এটা কি বাংলাদেশের এই বিজ্ঞান লেখক জানেন না?

৫. বাংলাদেশের আলেম ওলামা শ্রেণীর বিজ্ঞানীরা কথায় কথা দাবী করেন, বিবর্তনকে অসংখ্য বিজ্ঞানী ভুল প্রমাণ করেছেন, বা অনেক দেশ বিবর্তনকে পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দিয়েছে।
খেয়াল করে দেখবেন, এই আলেমরা কখনোই বিবর্তনকে ভুল প্রমাণ করা সেই বিজ্ঞানীদের নাম উচ্চারণ করতে পারেন না, এবং কোন্ কোন্ দেশ বিবর্তনকে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বাদ দিয়েছে, তারা কি বিবর্তনকে ভুল প্রমাণ করে বাদ দিয়েছে, নাকি তাদের ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বাদ দিয়েছে, তার পক্ষেও প্রমাণ দেন না।

৬. সবশেষে বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে বলতে চাই,-
চার্লস ডারউইনের বিবর্তন এখন আর বিবর্তনবাদ তত্ত্ব নয়, বিবর্তন একটা প্রমাণিত বিষয়। বিশ্বের সকল আধুনিক দেশগুলো এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান আর শিক্ষায় প্রথম সারির দেশগুলোতে বিবর্তন একটা প্রমাণিত এবং ১০০% গ্রহণযোগ্য বিষয় হিসেবেই পাঠ্য। এই বিজ্ঞানের যুগে ধর্মান্ধ আর আদিম আদম-হাওয়ার রুপকথায় বিশ্বাসী লোকেরা ছাড়া বিবর্তনকে কেউ অস্বীকার করে না।

বাংলাদেশের মৌলবাদী মোল্লারা যখন গায়ের জোরে আর তাদের স্বপ্ন পাওয়া হাস্যকর বিজ্ঞান দিয়ে বিবর্তনকে ভুল দাবী করেন, তখন শিক্ষিতরা তার প্রতিবাদ করেন না বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায় আর অনন্ত বিজয়ের মতো নিজের কল্লা হারানোর ভয়ে। আর দেশের শিক্ষক শ্রেণির বা বিজ্ঞানমনস্ক বুদ্ধিজীবিরাও এ বিষয়ে মুখ খুলে কথা বলেন না নাস্তিক ট্যাগ খাওয়ার এবং রাজনৈতিক সুবিধা হারানোর ভয়ে।
তাই বিবর্তন সম্পর্কে জানার, নিজেকে আদিম ৬০ হাত লম্বা আদম-হাওয়ার রুপকথা থেকে বের করে আনার, আর নিজেকে একজন আধুনিক এবং বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার একমাত্র উপায়- প্লিজ তোমরা বিজ্ঞান লেখকদের বিজ্ঞান বই পড়, ধর্মান্ধদের স্বপ্নে পাওয়া বিজ্ঞান নয়।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫

সাসুম বলেছেন: @জাদিদ ভাই- এই পোস্টের রেস্পন্স গুলোই ধরেন আমি পাইতাম যদি পোস্ট খানা এই ব্লগে শেয়ার দিতাম। এরপর আমার কেমন লাগত?

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮

সাসুম বলেছেন: ব্লগার সোনা মানিক-

ধর্ম আর বিজ্ঞান কে এক করার মত এতটা বোকামি দুনিয়াতে আর কোন সভ্য দেশ করেনা । এটা করে একমাত্র কিছু অসভ্য জাতি।

ধর্ম থাকবে ধর্ম বইয়ে, ঈমান থাকবে মোমিনের অন্তরে আর বিজ্ঞান থাকবে বিজ্ঞানের বইয়ে।


যখনি বিজ্ঞান কে ধর্মের আলোকে বিচার করতে চায় অশিক্ষিত মূর্খ গুলো তখনি আসল ক্যাচাল লেগে বসে। না ঘরকা , না ঘাটকা

জ্ঞান হোক উন্মুক্ত।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫

জ্যাকেল বলেছেন: আপনি কেন বিজ্ঞানকে ধর্মের বিরুদ্ধ হিসাবে জানতে চাইছেন? উপরের আবুল না কে তার জন্য আপনি সরকারের নিযুক্ত লোকদের উদ্দেশ্যে কেন কিছু বলতে পারছেন না। শুধু ক্যাচাল করার মত চাম খুজছেন কেন?

ডারউইন পথ দেখিয়ে গেছেন, তার পথ ধরে বিজ্ঞান খুঁজে পেয়েছে বৈচিত্রময় প্রাণি ও উদ্ভিদ জগতের আসল কারন। ইভ্যুলুশন। এখানে আদম হাওয়া বাতিল হইবার কারন কি?

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭

রেজাউল৯৭ বলেছেন: সোনায়- সোনায় মিল্যা গেছে!

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:



মহাজগতের যোক্তিক বিবরণ

কোন কোন বিজ্ঞানী বললেন, সব কিছু এমনি এমনি ও বিবর্তন প্রক্রিয়ায় হয়েছে, সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছুই নাই।এমনি এমনি ও বিবর্তন প্রক্রিয়ায় সব কিছু হলে সৃষ্টিকর্তা কেন হবেন না? তো এমনি এমনি ও বিবর্তন প্রক্রিয়ায় সৃষ্টিকর্তাও যদি হয়ে থাকেন তাহলে সৃষ্টিকর্তা নেই এটা কেমন করে বলা যায়? সুতরাং সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছু নেই কোন কোন বিজ্ঞানীর এমন কথা অযোক্তিক।

হওয়ার মধ্যে আগ-পর আছে। সুতরাং এমনি এমনি ও বিবর্তন প্রক্রিয়ায় আগে শক্তি হয়েছে। কারণ বস্তু থেকে শক্তির গতি অনেক বেশী। সুতরাং আগে শক্তি হয়ে, ক্ষুদ্র শক্তি থেকে বিবর্তন প্রক্রিয়ায় বৃহৎ শক্তি হয়ে সর্বশক্তিমান হয়ে তিনি অসীম হয়েছেন।সর্বশক্তিমান অসীম হলেন কারণ তাঁর সীমা দাতা ছিল না। সুতরাং যখন সীমা দাতা ছিল না তখন এমনি এমনি ও বিবর্তন প্রক্রিয়ায় যা হয়েছে সব অসীম হয়েছে।কিন্তু তখন কোন অসীম কোন অসীম থেকে আলাদা হতে পারেনি। কারণ অসীম একাধীক হয় না। কারণ অসীমকে একাধীক করতে হলে তাদেরকে সীমা দিতে হবে, আর সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকে না। সুতরাং এমনি এমনি ও বিবর্তন প্রক্রিয়ায় একজন অসীম সর্বশক্তিমান ছাড়া কিছুই হয়নি।

সসীমের পূর্বে এর সীমা দাতা থাকা বাধ্যতা মূলক। সুতরাং এমনি এমনি ও বিবর্তন প্রক্রিয়ায় অসীম সর্বশক্তিমান হওয়ায় তিনি সসীমের সীমাদাতা হলেন। সুতরাং তিনি সকল সসীমের সীমা দিয়ে তাতে প্রয়োজনীয় উপাদান যোগ করে প্রয়োজনীয় শক্তি তাড়িত করে সকল সসীমকে সৃষ্টি করলেন।

অসীম সর্বশক্তিমান এমনি এমনি হওয়ার সময় তাঁর সত্তায় তাঁর সৃষ্টির যাতীয় উপাদান এমনি এমনি অসীম মাত্রায় স্থান লাভ করেছে এবং তিনি সর্বশক্তিমান হওয়ায় তাঁর সৃষ্টি জগৎ নির্মাণে প্রয়োজনীয় সকল শক্তি তাঁর মধ্যে এমনি এমনি অসীম মাত্রায় বিদ্যমাণ রয়েছে। আর এটাই হলো মহাজগতের যোক্তিক বিবরণ।

কোন সসীম এমনি এমনি ও বিবর্তন প্রক্রিয়ায় হওয়া সম্ভব নয়। এমন দাবী কোন বিজ্ঞানী করলেও তা’ সঠিক নয়। বিবর্তন সংক্রান্ত যে সব আলামত বিজ্ঞানীগণ পেয়েছেন তা’ অসীম সর্বশক্তিমাণের কাজ নয় এমন দাবী যোক্তিক নয় বিধায় মানব সমাজ কর্তৃক তা’ গৃহিত হয়নি।

সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস যোক্তিক বিধায় মানব ধর্ম সমূহ বিবর্তিত হচ্ছে সৃষ্টিকর্তাকে ঘিরে। মানুষ যে যার মত করে তার মঙ্গলের জন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করে। কিন্তু ধর্ম সমূহে এমন কিছু বিষয় আছে যা যোক্তিক নয়। এর জন্য আবার কিছু মানুষ অযোক্তিক সৃষ্টিকর্তার অবিশ্বাসে আক্রান্ত হয়। কিন্তু সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাস এতটাই অযোক্তিক যে কোন কোন ধর্মে কিছু কিছু উদ্ভট বিশ্বাস থাকলেও মানুষ সেসব ধর্ম ছেড়েও সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসের ধর্মহীনতায় সম্পৃক্ত হতে পারে না। মহাজগৎ ও সৃষ্টিকর্তার সম্পূর্ণ যোক্তিক বিবরণ ইসলামে থাকায় মানুষ ক্রমাম্বয়ে ইসলামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কিন্তু যারা ইসলাম বিষয়ে অজ্ঞ অথবা ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ না হলেও ইসলাম বুঝেনি তারা ইসলামে সম্পৃক্ত হয় না।

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কোনোদিন কোরআন বাইবেল পড়েছেন?

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:০৬

অধীতি বলেছেন: বিবর্তন বিষয়ক বাংলা কিছু বইয়ের নাম বলুন। সহজবোধ্য এমন।

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৯

সোবুজ বলেছেন: @চিন্তা,সময় এবং স্থানের শুরু মহা বিস্ফোরণের পরে।এর আগে সময় এবং স্থান বলে কিছু ছিল না।এখনো আলোর গতিতে সম্প্রসারণ হয়।আপনি আগে পরে কোথায় পাচ্ছেন।একথা ঠিক যে বিষয়টা অনেক ঝটিল কিন্তু প্রমানিত।
বিষয়টা ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক বলে ধার্মীকরা মানে না,বিজ্ঞানীরা প্রমান করেছে বলে বিজ্ঞান মনস্করা মানে।

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭

আশিকি ৪ বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে মনে হইল আপনি একজন মগজহীন।

১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:



এমনি এমনি সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কিছুই হয়নি

সীমা দাতা না থাকায় এমনি এমনি সব কিছু হতে গিয়ে সব কিছু অসীম হয়েছে। সীমাদাতা না থাকায় কোন অসীম কোন অসীম থেকে আলাদা হতে পারেনি। সুতরাং সীমাদাতা না থাকায় সকল অসীম একত্রে মিলেমিসে একজন অসীম হয়েছেন। তাঁর সত্ত্বায় সকল অসীম শক্তি থাকায় তিনি অসীম সর্বশক্তিমান হয়েছেন। তাঁর সত্ত্বায় জগতের সকল উপাদান অসীম মাত্রায় থাকায় তিনি সকল কিছু থেকে অমুখাপেক্ষি হয়েছেন। অসীম সর্বশক্তিমান দেখেছেন তিনি ছাড়া আর কিছু এমনি হচ্ছে না। অবশেষে তিনি সব কিছুর সীমা দিয়ে তাতে প্রয়োজনীয় উপাদান যোগ করে তাতে প্রয়োজনীয় শক্তি তাড়িত করে সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি একটি আকৃতির কাছাকাছি অন্য আকৃতি সৃষ্টি করায় কতিপয় বিজ্ঞানীর মনজগতে বিবর্তন বাদের ভুল ধারণা সঞ্চারিত হয়েছে।

১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: @ সোবুজ, মহা বিস্ফোরণ কোথায় ঘটিল? কে ঘটাল? কিভাবে ঘটাল?

১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:০৭

সোবুজ বলেছেন: আপনার জ্ঞান হলো আশমানী জ্ঞান।আমার জ্ঞান হলো পার্থিব।দুই রকম হবেই।

১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:২০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: @ সোবুজ, আপনার জ্ঞান কাল্পনিক!

১৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৫১

তানভির জুমার বলেছেন: আপনারা কল্পিত মহা বিস্ফোরণ বিশ্বাস করেন যা কেউ দেখেনি, শুনেনি, অনুভব করেনি। আর মানুষের স্ব-চক্ষে দেখা নবী রাসূল ,
তাদের কাছ থেকে শুনা কথা, অনুভব করা অলৌকিক ঘটনা কিতাব এইগুলো বিশ্বাস করেন না। এটা কত বড় হিপ্রোক্রেসি জানেন? আপনারাই বলেন কোন কিছুই এমনি এমনি হতে পারে না, তাহলে মহা বিস্ফোরণ এমনি এমনি হলো কিভাবে?। কমন সেন্স বলে একটা কথা আছ ঐটা নিজে অর্জন করার চেষ্টা করেন।

১৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:০২

আরইউ বলেছেন:



"আশিকি ৪ বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে মনে হইল আপনি একজন মগজহীন।"

আমরা কোথায় এসে পৌছেছি। কারো বক্তব্য পছন্দ না হলে আমরা তাকে "মগজহীন" বলছি কী অবলীলায়। এটা কিন্তু একদিনে হয়নি; আমরা এমন মন্তব্যকে নরমালাইজ করেছি এই ব্লগে। অন্যায়কে আস্কারা দিয়ে দিয়ে আজ এমন একটা অবস্থায় আমরা এসেছি যে আমরা এমন করে মানুষকে কথা বলতে পারি। ব্লগ কতৃপক্ষ যদি ঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নিতেন হয়ত আজ এমন মন্তব্য আমদের দেখতে হতোনা।


পোস্ট বিষয়েঃ বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ বিবর্তনবাদ কী বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখেনা। তাদের ধারণা বিবর্তনবাদ মানে হচ্ছে বানর থেকে মানুষ এসেছে। হোয়াট এন এবস্যুলুট বুল ক্র্যাপ!

১৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:২৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বিবর্তন তত্ত্ব বাতিলের আবেদন বিশ্বে বহু স্থানে করা হযেছে। আমেরিকায় আদারতে এ নিয়ে আই ডি এবং ইভ্যুলেশনবাদীদের দন্দে মামলা চলে দীর্ঘদিন ধরে। আইডি হিসেবে মামলায় জিতে যায় বক্তব্যে প্রমানে আইডি যে ব্যপক ঝড় উঠিছয়েছিলো তাতে ইভ্যুলিশন বাদীরা কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলো। কিন্তু এখানে বাধ সাধলো আমেরিকান প্রশাসন তারা অনুভব করলো যদি আইডিকে যদি জয়ি করা যায় তাহলে বিশ্ব জুড়ে জঙ্গিবাদ জেগে উঠবে। ধর্মবাদীরা ধর্মসন্ত্রাসীরা বাড়াবাড়ি করতে পারে অতএব আইডিবাদীদের থামিযে দাও। রায় হলো বিবর্তনের পক্ষে।

আপনিই বলুন কি আছে আপনাদের বিবর্তনবাদে? এখনও অবধি একটি হাইপোথিসিস বলে স্বিকৃত। থিউরি বলেও অেনেকে মানে না। “ইন্টেলেকচুয়েল ডিজাইন” বাদীরা স্পষ্টতই বলছে মানুষ ডিজাইন করা একটি সৃষ্টি। এটি সৃষ্টি করবার পুর্বে একটি পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। এর কোডিং ব্যবস্থা বা গঠন কাঠামোর পরিবর্ধন আপনা আপনি হতে পারে না।

আইডি বাদীদের থামিয়ে দিয়ে লাভ হয় নাই। কারন বিবর্তনবাদে কিছু নেই আছে শুধু বিবর্তন। এই বিবর্তন দিয়ে আমার মতো এক মানুষ থেকে অন্যরকম মানুষেই পরিবর্তন সম্ভব কিন্তু ফানুষ নামের নতুন প্রজাতির সৃষ্টি সম্ভব না। জিনেটিক বিজ্ঞান এটার স্বিকৃতি দেয় না। এই পরিবর্তন আনতে গেলে জ্বিন গবেষনা করে পরিবর্তন করতে হবে। প্রকুতির সহায়তা থাকতে হবে এককথায় ঈশ্বরের হাত।

জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করে ধর্মবাদীদের দমিয়ে রাখার রাজনীতি কতদিন চালাবেন? কারন জঙ্গীবাদ বা খারাপ বাদের চেয়ে ধর্মে
ভালো বাদটা ব্যপক বিকশিত হবে। বেশিদিন দমিয়ে রাখতে পারবেন না।

বিবর্তনবাদ থাকবে না। মিউজিয়ামে যেতে সময় লাগবে না। ইনশাল্রাহ।

১৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:২৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আগেকার যুগে রুপকথার গল্প বলে দাদা দাদীরা শিশুদের মনোযোগ আকর্ষনের চেষ্টা করতো। আর এখন আপনারা অনুমানের গালগল্প দিয়ে কিছু নীতিভ্রষ্টা মানুষ এর স্নেহা ভাজন হওয়ার তাগিদে একটা গল্প ফেদেছেন আর সেই গল্প যারা শুনতে চাইবে না তাদেরকে নিয়ে উপহাস করবে।

“এককোষী জীব থেকে শুরু করে উদ্ভিদজগত, কীটপতঙ্গ থেকে শুরু করে সামুদ্রিক প্রাণী, এবং পাখী থেকে শুরু করে মানুষ—পৃথিবী পূর্ণ হয়ে আছে অগুনতি জীবন দ্বারা। একমুঠো মাটি নিয়ে গভীরভাবে তাকান, দেখবেন, বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কতো বিচিত্র প্রাণের ছড়াছড়ি সেখানেও! ওই একই কথা খাটে বাতাসের ক্ষেত্রেও। জীবন ধারনের জন্য যে-বাতাস বুকের মধ্যে টেনে নেয়া ছাড়া আপনার কোনো গত্যন্তর নেই—সেই বাতাসেও ভেসে বেড়াচ্ছে কতো বিচিত্র সব প্রাণ!! আপনার ত্বকের কথাই ধরুন। কতো অসংখ্য জীবিত সৃষ্টিই না সেখানে দিব্যি বেঁচে-বর্তে আছে। ওদের নামও আপনি জানেন না, না আপনি ওদের খালি চোখে দেখতে পারেন। সকল জীবিত প্রাণীর অন্ত্রে (intestines) বাস করে লক্ষ লক্ষ ব্যাকটেরিয়া বা এককোষী জীব। এরা হজমে সাহায্য করে। পৃথিবীতে যতো মানুষ আছে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি আছে পশু-পাখি। যদি আমরা উদ্ভিদজগতের কথাও বিবেচনা করি, তখন দেখি যে, পৃথিবীর সর্বত্র জীবনের ছড়াছড়ি। এই যে বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ বর্গকিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কোটি কোটি জীব—এদের প্রত্যেকের আছে আলাদা আলাদা বডি-সিস্টেম; এদের জীবনধারণ-পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন এবং পৃথিবীর প্রতিবেশগত ভারসাম্য (ecological balance) রক্ষায় প্রতিনিয়ত এরা পালন করে যাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এহেন কোটি কোটি জীব দৈবক্রমে সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং এ-সৃষ্টির পেছনে কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ক্রিয়াশীল নেই—এমনটি দাবী করা কি নিতান্তই অযৌক্তিক নয়? বস্তুত, কোনো জীব নিজেকে নিজে সৃষ্টি করেনি বা নিজের প্রচেষ্টার ফলে অস্তিত্বে আসেনি। জীবনের মতো একটি জটিল জিনিস দৈবক্রমে সৃষ্টি হয়েছে বলে ভাবাও অসম্ভব। তাহলে? ”

১৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:১১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি মুসলিম আমার ধর্মগ্রন্থ কোরান। আল কোরানের দৃষ্টিভঙ্গি বিবর্তণবাদকে মেনে নিতে অস্বীকার করছে না আবার স্বীকারও করছে না। তবে আপনি যেভাবে বিবর্তণবাদের পক্ষে যেভাবে গাইছেন তাতে মনে হচ্ছ-- এ যেমন বিশাল এক ঝড়ে দুনিয়ার সব লোহা লক্কর সব এক হয়ে একটি বোয়িং বিমান তৈরী হয়ে গেলো আর অপনি সে বিমানে কমিউনিষ্ট অধ্যূষিত রাষ্ট্রে বেড়াতে গেলেন।

আল্লাহর সৃষ্টি বিষয়টি নিয়ে আপনার কৌতুহল থাকতে পারে আমরা কৌতুহল দেখাচ্ছি না। বিবর্তণবাদ আপনার কাছে বেদবাক্য মনে হলেও আমরা সেটা মনে করি না। আমরা আপনার অপছন্দনী মুহাম্মদ আবুল হাসানের পক্ষে। কারন তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপনি তার ডক্টরেট ডিাগ্রী নিয়ে উপহাস করতে পারেন। কিন্তু আমরা তার যোগ্যতার মুল্য দিয়ে থাকি। আপনি একটু আই ডি (ইনটেলিজেন্ট ডিজাইন) বাদীদের লেখা পড়ুন। একটু জানুন।

আপনিতো ধর্ম মানেন না। তাই বলতে পারছি না। আত্মা বোঝেন? বোঝেন না! আত্মা হলো মানব দেহের সফটওয়্যার। অর্থাৎ মানবদেহকে চালানোর একটি ব্যবস্থা। আল কোরআন বলে “ হে মুহাম্মদ উহারা তোমাকে আত্মা সম্পর্কে প্রশ্ন করে তুমি উহাদের বল আত্মা একটি আদেশ ঘটিত ব্যাপার। এ সম্পর্কে তোমাদের সামান্যই জ্ঞান দেওয়া হয়েছে”। আদেশঘটিত ব্যাপার বলতে বোঝেন। নির্দেশনামা বা সফটওয়অ্যর। চালানোর পদ্ধতি। এ বিষয়টি অদৃশ্য যা শুধুমাত্র জ্বিনকেই নির্দেশ করতে পারে।

কমান্ডিং প্রক্রিয়া বোঝেন। আপনার দেহের ভিতর যে আাপনি আছেন সে কমান্ড করে আপনার হাতকে যে আপনার পিটে মশা। আর আপনার হাত গিয়ে মশাটি মারে। কমান্ড এ ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর। সৃষ্টি সকল বিষয় প্রোগ্রামিং কৃত। সুত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আর প্রোগ্রামিং বিষয়টি প্রানি উতপাদন করেছে পৃথিবীতে। আর প্রান উতপাদন করতে মহাবিশ্নের যা কিছু দরকার ছিলো সেটাও তিনি নির্ধারন করে দিয়েছেন। সৃষ্টির প্রচেষ্টার লক্ষ্য ছিলো মানুষ। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রানির সফটওয়্যারকে তাদের আত্মা বলে। সকল প্রানীর আত্মা এক্যবদ্ধ অবস্থায় তাকে পরম আত্মা বলে।

এগুলো আপনি ল্যাবে প্রমান করতে পারবেন না। ত্রি মাত্রার মানুষ আপনি। উধ্ব মাত্রার সম্পর্কে আপনি কতটুকুই বার বোঝেন?

১৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: “আত্মা হলো মানবদেহের অপারেটিং সিস্টেম” । যে অপারেটিং সিস্টেম এর কারনে মানবদেহের জিনেটিক কোডিং স্পস্ট হয় বা রাইট হয় এবং মানবদেহের নাভার্স সিষ্টেম পরিচালিত হয়। শুধুমাত্র মানবদেহের বডি সিষ্টেম নিয়ে পড়ে থেকে একটি হাইপোথিসিস মানব সৃষ্টির একটি চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। শুধুমাত্র অনুমান করা যায়।

এ কারনে আর কোরআনে বলে “ উহারাতো শুধুমাত্র অনুমানে বিশ্বাস করে”।

মানবদেহের বডি সিস্টেম যে সর্বোাত্তম ও সুন্দর। এটা আপনারা এখন স্বিকার করতে না পারেন কিন্তু জীববিজ্ঞানের জ্ঞান যে ভাবে বাড়ছে তাতে একটা সময় পরে হয়তো অস্বিকার করতেও পারবেন না।

২০| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: "আশিকি ৪ বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে মনে হইল আপনি একজন মগজহীন।"
`আমরা কোথায় এসে পৌছেছি। কারো বক্তব্য পছন্দ না হলে আমরা তাকে "মগজহীন" বলছি কী অবলীলায়। এটা কিন্তু একদিনে হয়নি; আমরা এমন মন্তব্যকে নরমালাইজ করেছি এই ব্লগে। অন্যায়কে আস্কারা দিয়ে দিয়ে আজ এমন একটা অবস্থায় আমরা এসেছি যে আমরা এমন করে মানুষকে কথা বলতে পারি। ব্লগ কতৃপক্ষ যদি ঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নিতেন হয়ত আজ এমন মন্তব্য আমদের দেখতে হতোনা।'


@আরইউ , আমার মনে হয় আপনার সম্ভবত বিবেক নাই। লেখকের মগজ নাই আপনার বিবেক নাই। কারন কোটি কোটি মানুষের বিশ্বাস আল কোরআন নিয়ে লেখক যে মন্তব্য করেছেন তা মগজহীন মানুষের দ্বারাই সম্ভব। আপনার বিবেক নাই বললাম এই কারনেই যে ধর্মগ্রন্থ নিয়ে লেখকের নোংরা আলোচনা আপনার চোখে পড়লো না।

২১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার জ্ঞান বুদ্ধি কোন প্রাচীন কালে রয়ে গেছে সেটা এই পোস্ট পড়েই বুঝ যাচ্ছে।
ডারউইনের মতবাদ আধুনিক বিজ্ঞানীরা অনেক আগেই আস্তাকূঁড়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
আমার কথা বিশ্বাস না হলে ইন্টারনেটে সার্চ দিন।
আর আপনি এসেছেন সেই বস্তাপঁচা মতবাদ নিয়ে ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলতে?
নির্বোধের মতো এইসব আজেবাজে পোস্ট না দিয়ে ভেবে দেখেছেন কখনো প্রতিটা ধর্মের মূল ভিত্তিক কি? সেটা হচ্ছে বিশ্বাস।
বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে বিচার করা নির্বুদ্ধিতার লক্ষন, কারণ বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল। কিন্তু ধর্ম হচ্ছে শ্বাশত সত্য।
নিজের ভিতরে বিশ্বাস না থাকলে শুধু ধর্ম কেন, সবকিছু নিয়েই সন্দেহ হবে।

এইসব শর্টকাট লাইন বাদ দিন, আপনার মতো এর আগে বহু এইসব ফাউল প্যাচাল ব্লগে করে গেছে অনেকে।
তারপর যা হবার তাই হয়েছে। কিছু দিন পরে আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
আপনি এর থেকে ব্যতিক্রম যে কিছু হবেন না এই পোস্ট পড়েই বুঝা যাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.