নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পর্দাথ। কারন আমার নির্দিষ্ট ওজন আছে, নির্দিষ্ট আয়তন আছে আর কেউ আমার উপর বল প্রয়োগ করলে পাল্টা বল প্রয়োগ করি।
রিশাকে কিন্তু বাঁচানো যেতো ! আপনি জানেন কেন বাঁচানো যায় নি? ছুরিকাহত হওয়ার পরও সে বেঁচে ছিল। শুধু একটি গাড়ি যদি স্কুলকর্তৃপক্ষ দিত, তাহলেই রিশাকে হয়ত বাঁচানো যেত। কিন্তু, তারা দেয়নি। পুলিশ কেসের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। শিক্ষক নাকি অভিভাবক! আর সেই অভিভাবকের সামনেই মেয়েটি মৃত্যুযন্ত্রনায় দাপাচ্ছিল। উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার রিশা চিরদিনের জন্য চলে গেল না ফেরার দেশে। আগস্টের ২৪ তারিখে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনের ফুটওভার ব্রিজে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী রিশাকে ছুরিকাঘাত করে বৈশাখী টেইলার্স কাটিং মাস্টার ওবায়দুল।
রিশা ছুরিকাহত হওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও দায়িত্ব নেয়নি। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিলে রিশাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নেওয়া যেত। এমনকি ওইসময় ঘটনাস্থলে স্কুলের গাড়ি থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। এগিয়ে আসেননি কোন শিক্ষক। রিশা ছুরিকাহত হয় স্কুলের সামনের ফুটওভার ব্রিজে। সেখান থেকে সে রক্তাক্ত অবস্থায় এসে দাঁড়ায় স্কুলের ভেতরে, তখন তার পেটের বাম দিক থেকে রক্ত পড়ছিল। স্কুলের গাড়িটা তখন পাশেই ছিল, কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাকে গাড়িটা দেয়নি। কোনও শিক্ষকও এগিয়ে আসেননি।এ অবস্থায় প্রথমে কলেজ সেকশনের দু’জন শিক্ষার্থী এসে ওর ওড়না খুলে পেটে বেঁধে পাশের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখান থেকে গুরুতর আহত বলে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়।
রিকশায় করে এখান থেকে রিশাকে তারা নিয়ে যায়। পুলিশ কেস হবে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসেনি। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অদক্ষ অধ্যক্ষ নাকি বলেছিলেন, মামলা হবে, ধরা যাবে না। এসময় স্কুলের শিক্ষার্থীরা কোলে করে রিশাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে, পেটের ভেতর থেকে নাড়ি বের হয়ে গিয়েছিল। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হলেও তিনি পুলিশ কেস বলে মন্তব্য করে তার রুম থেকেই বের হননি। এ কেমন অধ্যক্ষ? কোনো দায়িত্ববোধ নেই?
রিশা হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধনের ব্যানার শিক্ষকরা কেড়ে নিয়েছেন এর চেয়ে ঘৃণিত কাজ আর কি হতে পারে?স্কুলের একজন শিক্ষিকা নাকি বলেছেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা ও অভিভাবকরা অশিক্ষিত, মূর্খ। শিক্ষার্থীদের মানবন্ধন নিয়েও স্কুল কর্তৃপক্ষ বিরূপ আচরণ করেছেন। ওবায়দুল যেহেতু গ্রেপ্তার হয়েছে তাই আশা করতে পারি রিশা হত্যার দায়ে তার ফাঁসি হবে,পাশাপাশি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং আহত রিশার চিকিৎসায় গাফিলতির জন্য উইলস লিটল ফ্লাওয়ারের অদক্ষ অধ্যক্ষ কে বরখাস্ত করা হোক। তাহলে অন্তত অন্যান্য স্কুলের অধ্যক্ষরা সচেতন হবেন ও তাদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবেন।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮
MD FAISAL HOSSEN বলেছেন: হুম
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই ঘটনা কেউ লেখে নাই। এটা সবার জানা উচিত।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১২
MD FAISAL HOSSEN বলেছেন: হুম
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৫
ধ্রুব নয়ন চৌধুরী বলেছেন: আফসোস
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৮
MD FAISAL HOSSEN বলেছেন: আরো একটু বেশি
৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ঘটনা সত্য নাকি!!!!!!!!!
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২১
MD FAISAL HOSSEN বলেছেন: আপনি কি মনে করেন?
৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের বেশীর শিক্ষকের যোগ্যতা মোটামুটি সাধারণ ইডিয়টের থেকে সামান্য ভালো।
আপনার অবস্হা কি, আপনি সরকারী চাকুরে হলে, আপনি কি একজন আহতের জন্য গাড়ী দিতেন? মনে হয় না, দেশের বেশীর মানুষ ভালো নয়
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৫
MD FAISAL HOSSEN বলেছেন: মহামান্য চাদঁগাজী আপনি কি জানেন বাংলাদেশের ৮০% শিক্ষক ঘুষ দিয়ে শিক্ষকতা করতে ডুকেছে।
আমার স্যার গতকাল আমাদের স্কুলের জন্য শিক্ষক নিয়োগের জন্য ৬ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেন তাদের একজনও ভুটান স্থলবেষ্টিত দেশ এটার ইংরেজি করতে পারে নি। অথচ ২ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
আমি মানবতার খাতিরে সব কাজ করতে রাজি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪
আহলান বলেছেন: ইশ! এরাই আবার রিশা হত্যার বিচার চায়? অমানুষ আর খলনায়কে দেশটা ভরে গেছে ...