![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। জ্বি হ্যাঁ, আজকে আমি আমার বুয়েট জীবনের কথাই বলব। বুয়েটে আমি সর্বমোট ৬ বছর অতিক্রম করেছি (স্নাতক ৫ বছর আর স্নাতকোত্তর ১ বছর)। ৬ বছরের এই স্মৃতিময় বুয়েটকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্যই আমার আজকের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
সাধারণত "বুয়েট" বলতেই সবার সামনে ভেসে ওঠে একদল ছেলে-মেয়ে সারাদিন পড়ালেখা করছে (যাদেরকে আমরা আঁতেল বলে থাকি).....তাদের কাজ হলো শুধু পড়া আর পড়া......দুনিয়ায় যেন পড়ালেখা ছাড়া আর কোন কাজই নাই। বুয়েটের বাইরের সবার এইরমই ধারণা......বুয়েটে ঢোকার আগে আমারও তাই ধারণা ছিল.....কিন্তু আসলে কথাগুলা সম্পূর্ণই ভুল। প্রকৃতপক্ষে এইরূপ আতেলদের পরিমাণ বুয়েটে শতকরা ২০ ভাগ। এইবার আসা যাক প্রকৃত বুয়েটিয়ানদের কথায় (বাকি ৮০ ভাগ)...........তবে প্রথমেই বলে রাখি, এই স্মৃতিচারণমূলক লেখার প্রতিটা মন্তব্য আর কাহিনীই একান্তই আমার ব্যক্তিগত, আমার নিজের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লেখা......অনিচ্ছাকৃত কোন নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠিকে আঘাত করে থাকলে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি......
বহু চড়াই-উতরাই পার হয়ে ২০০৩ সালে আমার বুয়েটে আগমন.....বুয়েটে শুভাগমনের কাহিনী আজকে আর নাই বা বললাম.....সে এক মহাকাব্য হয়ে যাবে। প্রথম বর্ষের বেশির ভাগ দিনই ক্লাস শুরু হত সকাল ৮ ঘটিকার সময়......আর আমার কাজ ছিল পিছনের বেঞ্চে আরোও কিছু পোলাপাইনদের সাথে লাইন দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা......সেই ঘুম ভাঙত সকাল ১১ টায়, এর মাঝে উপস্থিতির কাগজ আসলে তাতে স্বাক্ষর করে আবার ঘুম। তো ঘুম নিয়ে অনেক মজার অভিজ্ঞতা আছে.......
শীতের সকাল......মনিরুজ্জামান স্যারের ক্লাস....আমরা পিছনে গভীর ঘুমে মত্ত.......হঠাৎ স্যার বলে উঠলেন, "তোমরা সাথে লেপ-কাথা আর বালিশ নিয়ে আসলেও পারতে, তাহলে ঘুমটা আরো ভাল হত"......সাথে সাথে সারা ক্লাস হো হো হাসিতে ভরে উঠলো। আরেক দিনের কাহিনী, মনিরুজ্জামান স্যার ক্লাস টেস্টের খাতা দিচ্ছেন......আমার ডাক পড়ল....গেলাম খাতা আনতে.....স্যার বললেন, "ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তো দেখি ভালো নম্বরই পেয়েছ".......আমি একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে খাতাটা নিয়ে ফিরে এলাম......
এরপর ১১ টার ক্লাস শেষে, বন্ধুরা (বন্ধু বলতে ছেলে-মেয়ে সবাই, কোন লিঙ্গ-বৈষম্য নাই) মিলে শিক্ষক ক্যান্টিন যাওয়া.....সেইখানে সিড়িতে বসে খাওয়া হত সস্তা দরের জিলাপি, সিংগারা, আলুর চপ আর চা......আবার বুয়েট ক্যাফেতেও যাওয়া হত। এইভাবে সকাল পেরিয়ে দুপুর হলেই মধ্যাহ্নভোজের সন্ধানে বের হতাম.....প্রধান ধান্দা ছিল, কিভাবে কম খরচে অধিক খাবার খাওয়া যায়......সমাধান ছিল একটাই.....আর তা হলো, নজরুল ইসলাম হলের ডাইনিং-এ অবৈধভাবে প্রবেশ করা.......সামনে আর পিছনে আমার দুই বন্ধু (তারা আবাসিক ছাত্র), আর মাঝখানে আমি....কঠিন ভাবের সহিত আমি নজরুল ইসলাম হলের ডাইনিং-এ ঢুকে পড়লাম.......অপেক্ষামান পাহারাদার ভাবলেন, আমি বুঝি এই হলেরই আবাসিক ছাত্র.......শুরু হয়ে গেল, মাগনা খাওয়া..........ভাত আর পানি ডাল যত্ত পারো খাও.......এর পর থেকে একাই ঢুকতাম, দারওয়ান মামা ভেবেই নিয়েছিলেন যে আমি একজন বৈধ কাস্টমার........এই নজরুল ইসলাম হলের কাছে তাই আমি আজও কৃতজ্ঞ...........
মাঝে মাঝে যাওয়া হত নীলক্ষেতের ঐতিহাসিক গরুর তেহারি খেতে.....আসলে ঐটা যে গরু না মহিষ না কিসের মাংস ছিল, তা আজও আমার কাছে রহস্য......মধ্যাহ্নভোজের পর দুপুর ২ টা থেকে বিকাল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত চলত ব্যবহারিক/ প্রায়োগিক ক্লাস......বিকালে আবার সবাই মিলে ক্যাফেতে অথবা পলাশীতে খেতে যাওয়া.......সন্ধ্যার পর ২/৩ টা টিউশনি করানো.........রাতে সবাই মিলে গ্রুপ-প্রজেক্ট করতে বসা........আবার সকাল..........আবার ক্লাসের মাঝে ঘুম................চলছে...........
__________________________________________________________________________________________
রাত্রে সবাই মিলে শেরে-বাংলা হলে সিনেমা দেখছি......হঠাৎ খবর আসল নজরুল হলে বিদ্যুৎ চলে গেছে আর এইটাই সুযোগ..........সবাই মিলে চলে গেলাম নজরুল হলের ছাদে......গিয়ে দেখি আরো অনেকেই আছেন......পাশের ঢাকা মেডিকেলের কলেজের ছাত্রাবাসের উপর চলছে বাচনিক আক্রমন.......আমার প্রস্তুতির দরকার নাই, শুরু করে দিলাম মনের মাধুরী মিশিয়ে বাক-যুদ্ধ.......মেডিকেলের ছাত্ররাও থেমে নেই (যদিও তাদের হলে বিদ্যুৎ আছে), তারাও কম যায় না......হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই চলছে......হঠাৎ আমাদের দল হালকা লাগছে......কাহিনী কি.....নজরুল হলে কারেন্ট চলে এসেছে, ওহহহহ............হতাশ চিত্তে ফিরে গেলাম নিজ হলে......
মাঝে মাঝে পোলাপাইন নিয়ে, তিতুমীর হলের নিজ রুমের বাইরে রাত ঠিক ১১:৫৯ মিনিটে দাঁড়িয়ে থাকতাম......কখন বাজবে ১২ টা.....কেননা, ঠিক ১২ টায় ১ মিনিটের জন্য সমগ্র বুয়েটে কারেন্ট চলে যায়....আর এই ১ মিনিটের মহা-মূল্যবান সময়টাকেই কাজে লাগাতে হবে......আমাদের কঠোর প্রতিদ্বন্দী ছিল সামনের ব্লকের পোলাপাইনরা.....সে কি আনন্দের সময়, আহা.........
বুয়েটে পড়াকালীন, আমাদের নগর পরিকল্পনা বিভাগের ছাত্রদের ক্রিকেট খেলার প্রতি ছিল একটা আশ্চর্যরকম ঝোঁক......আমাদের ক্রিকেট টিমটার সুনামও ছিল অনেক.....ক্যাফেতে টেপ-টেনিস ক্রিকেটে, আর কাউকে না পাওয়া গেলেও আমাদেরকে পাওয়া যাবেই......প্রতি সপ্তাহেই একাধিক ক্রিকেট ম্যাচ থাকবেই কোন না কোন দলের সাথে.......এরই সুবাদে অনেক বড় আর ছোট ভাইদের সাথে পরিচয়.....আর নিজেদের ব্যাচমেট তো আছেই.....মহান তুহিন ভাইয়ের সাথে প্রথম পরিচয় ঘটে আর্কিটেকচার অনুষদের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়ে.....আরোও ছিল শাকিল ভাই, মাজহার ভাই, শুভ ভাই, রাজিব ভাই, পলাশ ভাই, মাসুম ভাই, টুটুল ভাই, সৈকত দা, এস্রাজ মামা, এমিন ভাই.........
এই রকম বহু বহু বড় ভাইদের কথা মনে পড়ছে আজ......একসাথে আড্ডা, গল্প, ক্রিকেট, খেতে যাওয়া.......উনারা আমাদের সাথে ঠিক নিজেদের বন্ধুর মত করেই আচরণ করতেন, কখনো কিছু চেয়ে উনাদের কাছ থেকে খালি হাতে ফিরে আসিনি........মাঝে মাঝে মনে হত যেন উনারা আমার আপন ভাইদের চেয়েও অনেক বেশি.......উনাদের কাছ থেকে শিখেছিলাম কিভাবে মানুষ হয়ে মানুষের সাথে আচরণ করতে হয়......শিখেছি কিভাবে সবাই একই পরিবারের মত বেড়ে উঠতে পারি........কিন্তু আজ যখন দেখি, সিনিয়র আর জুনিয়র সংঘর্ষে বুয়েট বন্ধ......তখন নিজেকে একজন বুয়েটিয়ান হিসাবে পরিচয় দিতেও লজ্জায় মাথা নত হয়ে যায়...........!!
এমনিভাবে ঘুম, ক্লাস প্রজেক্ট, ক্রিকেট, গল্প, আড্ডা আর টিউশনি করাইতে করাইতে দেখি সামনে বাঁশময় "টার্ম ফাইনাল" পরীক্ষা হাজির........২ সপ্তাহ ছুটির পর থেকে পরীক্ষা শুরু হবে.......এখন কি করা যায়.....পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতেই হবে, যার জন্য দরকার পর্যাপ্ত সময়........কিন্তু এই স্বল্প সময়ে পরীক্ষা দিয়ে তো ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব না......অধিকাংশ বুয়েটিয়ানদেরই একই হাল.....এমতাবস্থায় সমাধান একটাই, আবার জিগায়...........শুরু হলো পরীক্ষা পিছানোর আন্দোলন.......প্রতি রাতে সকল হলের ছাত্ররা মিলে এই মিছিল পরিচালনা করত.......রাত ১২ টার পর বিকট আওয়াজ উঠত......"জ্বালো, জ্বালো.......আগুন জ্বালো........ভিসির গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে"........এই মুহুর্তে আমাদের দাবি একটাই.........পরীক্ষা আরোও ২ সপ্তাহ পিছাইতে হবে আর ২ টি পরীক্ষার মাঝে ছুটি বাড়াতে হবে.........পর দিন সকালে আতেল-গ্রুপ ভিসির কাছে স্বারকলিপি দিলেন......আতেলরা চান পরীক্ষা যথাসময়ে হবে........আর কৈ যাবে.......আজকের রাতের মিছিলে নতুন একটা লাইন যুক্ত হলো......."আতেলের চামড়া, তুলে নিব আমরা"......আতেল তোরা মানুষ হ.............এইভাবেই সংখ্যালঘু আতেলদের পরাজয় ঘটল........জয়ী হল মেধাবী সাধারণ বুয়েটিয়ানরা.......এখন প্রতিটা পরীক্ষার আগে ১ সপ্তাহ ছুটি......এইভাবে বুয়েট আমাদেরকে শিখিয়েছে কিভাবে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হতে হয়.......!
এইবার পড়তে বসার সময়......খুঁজে দেখি কোন ক্লাস লেকচারই তুলি নাই.......চিন্তা নাই, আছে তোফায়েলের ঐতিহাসিক খাতা (সুন্দর হস্ত-লেখনীতে লেখা বিস্তারিত ক্লাস নোট).....সবাই মিলে তোফায়েলের সকল খাতা পলাশীতে মনির মামার দোকান থেকে ফটোকপি করাইলাম.....এইবার নতুন একটা সমস্যা এসে হাজির হল..........."এত্ত বিশাল ছুটিতে কি করা যায় ??".......নো চিন্তা, শুরু হল দুপুর বেলা টিউশনি করানো........সারারাত সিনেমা দেখা, এরপর রাতে পলাশীতে ডিম ভাজা আর পরাটা খাওয়া, সবাই মিলে মাঝরাতে জগন্নাথ হলের পুকুর পাড়ে গিয়ে আড্ডা.....আর গভীর-রাত্রে পুরান ঢাকার কোন একটা রেস্টুরেন্টে বসে খাসির পায়া দিয়ে নান রুটি খাওয়া......অথবা ঠাটারী বাজারের স্টার হোটেলের কাচ্চি বিরিয়ানি, লাচ্ছি আর রুই/রুঁপচাদা মাছের ঝোল......পেটপুরে খেয়ে এসে বুয়েট শহীদ মিনারের সিড়িতে বসে আবারও সুখ-দুঃখের গল্প.......তারপর ঘুম.....ঘুম থেকে উঠে টিউশনি............ভালই কাটছে মিছিলের মাধ্যমে কষ্টার্জিত ছুটির দিনগুলা.......
হঠাৎ দেখি, আর মাত্র ৪ দিন পর পরীক্ষা.......এইবার আসলেই পড়ালেখা শুরু করলাম......সে যে কি কষ্ট ভাইরে, অন্যের চোঁথা আর খাতা দেখে পড়ার.......বুঝতে বুঝতেই অর্ধেক সময় শেষ........আমার হলের বিছানায় আমি একা কখনো ছিলাম বলে খুব একটা মনে পড়ছে না.....কেউ না কেউ থাকতই আমার সাথে........সারারাত পড়ার পর দুপুরে ঘুম থেকে উঠে ডাইনিং-এর সাদা ভাত, পানি-সদৃশ অমৃত ডাল আর এক টুকরা মুরগি/গরুর মাংস দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ.....এরপর বিকালে হলের ক্যান্টিনে "যা খুশি খাও, কিন্তু ৭ টাকা দাও" স্টাইলে খাইতাম.......মাঝে মাঝে আলম মামার উপরেও বাটপারি করতাম.......রুমে একটু পর পরই একটা পিচ্চি এসে ১ টাকা মূল্যের লেবু চা দিয়ে যেত........রাতে ঘুমানোর সময় রাকিব বিছানার তিন-চতুর্থাংশ জায়গা জুড়ে ঘুমাইত.......আর সাথে আছে 'ছার পোকা'র অদৃশ্য কামড়.....শেষ দিন না ঘুমিয়ে একটানা পড়ে পরীক্ষা দিতে যাইতাম......পরীক্ষা শেষে ক্লান্ত শরীরে বুয়েট ক্যাফেতে ক্রিকেট........আবার আড্ডা.........এইভাবেই শেষ হয়ে যায় টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাগুলা...........শুরু হয় নতুন আরেকটা টার্মের............
__________________________________________________________________________________________
এরই মাঝে শুরু হয় "লেভেল কমপ্লিশন" ..........ব্যাপকভাবে পরিচয় ঘটতে থাকে অন্যান্য বিভাগের নতুন বন্ধুদের সাথে.....আরেকটা নতুন জগতের সাথে যেন মিলন ঘটে.......লেভেল কমপ্লিশন উপলক্ষ্যে ফুটবল, ক্রিকেট, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান, নাচ, কনসার্ট, পিকনিক....সে এক মহা-উৎসব.......আরো আছে আমাদের বিভাগের নবী-বরণ, প্রবীন বিদায়.......এই উপলক্ষেও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিকনিক.....কোনটা থুয়ে কোনটা করব.....তারুণ্যের জয়-জয়কার যেন চারপাশে....এর মাঝে আছে আফতাব স্যারের এক ঝুড়ি চোথা মুখস্থ করা......সেই দুঃখে আমরা উনার ক্লাস বয়কট করলাম.....একদিন উঁকি দিয়ে দেখি ক্লাসে কেউই নাই, কিন্তু স্যার ক্লাস নিচ্ছেন........আমরা বিভাগীয় প্রধানের কাছে উনার ক্লাস করার পদ্ধতি নিয়ে নালিশ করলাম......কোন লাভ হল না, আফতাব স্যার এসে বললেন পরীক্ষা হবে......আমরা বললাম, আমরা তো জানি না সিলেবাস কি আর ক্লাসে তো কেউই ছিল না.........স্যার বললেন, "আমি ক্লাসের সময়ে ঠিকই ক্লাস নিয়েছি, তোমরা ছিলেনা তো কি হয়েছে, আমি বেঞ্চ আর টেবিলদের ক্লাস নিয়েছি....আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি".......আমাদের মাথায় যেন বাজ ভেঙ্গে পড়ল......অতঃপর ওই পরীক্ষা কোন-রকমে পাশ করলাম......
এমনিকরে কোন এক টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার সময় পড়ে গেল "বিশ্বকাপ ফুটবল".......শুরু হল প্রবল মিছিল.....এইবারের মিছিলের সুরের রাগিনী হল........."দেখব এইবার বিশ্বকাপ, ভিসি বলে বাপরে বাপ"............আবার অপামর বুয়েটিয়ানদের জয়-জয়কার.....বুয়েট বন্ধ হয়ে গেল ১ মাসের জন্য.......এই এক মাসের বন্ধে পড়ালেখা যাও বা পারতাম, সব ভুলে গেলাম.......নতুন পরীক্ষার রুটিনকে তাই কেউই মেনে নিলাম না, নতুন করে আবার আন্দোলন শুরু হল.......এইবারের বিষয়বস্তু হল, "আতেল হটাও, বুয়েট বাঁচাও"........কিন্তু পরিস্তিতি অন্যদিকে মোড় নিল.......মাননীয় ভিসির নির্দেশে পুলিশ চড়াও হল বিক্ষোভকারী ছাত্রদের উপরে.......ছাত্ররাও এর পাল্টা জবাব দিল প্রত্যেকটি হল প্রায় ভেঙ্গে-চুরমার করে......ফলাফল বুয়েট ৩ মাসের জন্য বন্ধ........এর পর থেকে বুয়েটে পরীক্ষা পিছানোর মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হল........
__________________________________________________________________________________________
দেখতে দেখতে চতুর্থ বর্ষের শেষ টার্মে এসে পৌঁছুলাম........শুরু হল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি উপলক্ষ্যে আনন্দ-উৎসব..........বুয়েট ক্যাফের দখল এইবার আমাদের হাতে আসল......ক্লাস শেষে ক্যাফের সামনে গিয়ে আড্ডা আর গান-বাজনা......বিদায় উপলক্ষে আমাদের বিভাগ থেকে দেয়া হল বিদায় সম্ভাষণ.......জুনিয়র আর শিক্ষকদের স্নেহ আর ভালবাসায় পরিপূর্ণ ছিল সেই দিনটা...........নিজেরা আয়োজন করলাম রং খেলা উৎসব, বিশাল মিছিল আর ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে রথ-যাত্রা, এর আগে সমগ্র ব্যাচ মিলে গিয়েছিলাম গাজীপুরে পিকনিকে.....আরো আছে ফুটবল/ক্রিকেট টুর্নামেন্ট.....৩ দিন ব্যাপী আনন্দ-উৎসব....সিনেমা প্রদর্শনী....সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান....বন্ধুরা সবাই মিলে আমাকে "সেরা লুইস" পদক তুলে দিল.....হল থেকে বিদায়......হলের উইং থেকে জুনিয়ররা দিল প্রাণঢালা বিদায়....এরপর সমগ্র ব্যাচ মিলে এক বৃষ্টি-ভেজা রাতে অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় জানালাম আমাদের প্রিয় বুয়েটকে..............!
এরপর বুয়েটে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তি হলাম.....কিন্তু ১ বছরের মাথায় বিদেশে পাড়ি জমালাম উচ্চ-শিক্ষার আশায়.......আসার আগে ২০০৯ সালে আবার আমরা আয়োজন করলাম হেয়ালি' ২০০২ ব্যাচের পুনর্মিলনী......এইত গত '৩ রা ফেব্রুয়ারী' হয়ে গেল বুয়েটের ১০ম সমাবর্তন......এর মাধ্যমে বুয়েটের সাথে আমার সকল আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেল......আসলে ছিন্ন হয়ে গেল বললে ভুল হবে, আমি স্বপ্ন দেখি আবারও ফিরে আসব এই বুয়েটে.......এইবার হয়তবা 'বুয়েট এলামনাই' সংগঠনের কোন অনুষ্ঠানের সূত্র ধরে অথবা অতীত-স্মৃতি রোমন্থনের জন্য একাকী ঘুরে-ফিরব.......তবুও বার বার ফিরতে চাই আমি বুয়েটের মায়াবী ক্যাম্পাসে.......!!
__________________________________________________________________________________________
কিছুদিন পূর্বে ফেইসবুকে, বর্তমানে বিদেশে শিক্ষারত একজন বুয়েটিয়ানের কাছ থেকে একটি মন্তব্য পেলাম.........."ছিঃ ছিঃ, বুয়েটের হলে একজন মানুষ থাকতে পারে কিভাবে?".......[সে হলের বাথরুম আর সাধারণ রুমের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল].......আমি নির্বাক হয়ে পড়লাম......আরোও এক গ্রুপকে দেখতে পাই, যারা কটুক্তি করছেন.......বাংলাদেশে চাকরি/কাজ করার সুযোগ অথবা বুয়েটের শিক্ষা-ব্যবস্থার অথবা বুয়েটের শিক্ষকদের শিক্ষাদান পদ্ধতি অথবা সামগ্রিক বুয়েট/ বাংলাদেশকে নিয়ে.......আমি বুঝতে পারছি, বহির্বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অথবা সুযোগ-সুবিধার তুলনায় বাংলাদেশ অথবা বুয়েট অনেক পিছিয়ে.........তাই বলে কি, নিজের দেশ আর নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে তুচ্ছ করা মানে কি একর্থে নিজেকেই অপমাণিত করা নয়?
নিজের মা কালো হলে কি সেই মাকে আপনি বলতে পারবেন, 'মা তুই পঁচা'.....তেমনি নিজের দেশ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিন্দা করার কোন অধিকার কি আমাদের আছে? আমাদের আজ ভুলে গেলে চলবেনা যে, এই দেশ আর এই গরিব দেশের মানুষের কষ্টার্জিত টাকা দিয়েই আমরা বুয়েটে পড়েছি......আমার জানা মতে, একজন স্নাতক পর্যায়ের বুয়েটিয়ানের পিছনে বাংলাদেশ সরকার গড়ে ৮/১০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন.....আর এই টাকার উৎস হল বাংলাদেশের সাধারণ গরিব মানুষ।
তাই আপনাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ থাকবে, আপনারা যে যেখানেই আছেন (দেশ অথবা বিদেশ)........দয়া করে আপনারা নিজের স্বার্থ-সিদ্ধির জন্য বাংলাদেশের অপমান করবেন না........আপনারা দরকার হলে বাকি জীবন আমেরিকা বা কানাডা বা ইউরোপে কাটিয়ে দেন, এতে আমার কোনই আপত্তি নেই.......কিন্তু দয়া করে বুয়েট তথা বাংলাদেশের অপমান করবেন না........মনে রাখবেন, এই বুয়েটেই পড়ালেখা করে আপনি আজ এত্ত বড় কোন অবস্থানে আছেন......নিজের শেকড়কেই যদি আপনি হেও করেন, তাহলে আপনার ডালপালার ভবিষ্যত অনুজ্জল বলেই আমি মনে করি.......!
_____________________________________________
পাস করার অনেক দিন পর, আমার মোবাইলে অচেনা একটি নাম্বার থেকে কল আসল......ওপাশ থেকে একটি কন্ঠস্বর ভেসে উঠলো, "বায়েস ভাই, আমি আহাদ.....আপনার নাম্বার কালেক্ট করে ফোন দিলাম, আপনি কেমন আছেন?".........[আহাদ হলের ক্যান্টিনে কাজ করত......অতিরিক্ত হিসাবে, সে আমার জামা-কাপড় আর আমার হলের রুম পরিষ্কার করত].........আমি খুবই অবাক হয়ে পড়লাম.....কোন রকমে জবাব দিলাম, "আমি ভালো আছি, তোমার খবর কি?"........এইরকম একটা অশিক্ষিত ছেলে হয়েও, কোন কারণ ছাড়াই আমাকে কল দিল......আর আমি একজন বুয়েটের ডিগ্রিধারী হয়েও তার কথা ভুলে গেলাম, একবারও খবর নিলাম না....সে কেমন আছে ?? আহাদ আমাকে বুঝিয়ে দিল, কিভাবে মানুষকে ভালবাসতে হয়......শুধু স্বার্থ না থাকলেও যে মানুষ পর হয়ে যায় না, তা এই গরিব ছেলেটা আমাকে শিখিয়ে দিল......ওর মোবাইল নাম্বার এখনো আমার আমার কাছে সংরক্ষিত আছে......কিন্তু লজ্জায় আমি ওকে আর কোনদিনও ফোন দেই নাই......যেদিন মানুষ হব, সেইদিন আমি ওকে ফোন দিব.......প্রকৃত মানুষ হবার অপেক্ষায় রইলাম...............
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:১৪
বায়েস আহমেদ বলেছেন: "ডিজুস সংস্কৃতির আগ্রাসন" এইটা একান্তই কারো ব্যাক্তিগত ব্যাপার.....এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৫৪
১১স্টার বলেছেন: অসম্ভব ভালো লেগেছে যদিও আমি বুয়েটের ছাত্র না তবুও মনে হচ্ছিল ঐ সকল দুষ্টমির সাথে আমি আছি। ভাই চালিয়ে যান।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:১৫
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার কথা শুনে আমার খুবই ভাল লাগলো....আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৫৭
বিষন্ন পথিক বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। সব ভার্সিটি, যেখানে হল আছে, সেখানে এভাবেই মজা হয়। ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:১৫
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:০১
সাজ্জাদ আহাদ বলেছেন: প্রকৃত মানুষ হবার অপেক্ষায় রইলাম...............
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:২০
বায়েস আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:১০
বিলুপ্ত বৃশ্চিক বলেছেন: ভালো লাগলো ? ভাইয়া কোন হলে ছিলেন ? আমি ০৭ ব্যাচের।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:২৮
বায়েস আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
আমি তিতুমীর হলে ছিলাম
৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:১১
বিলুপ্ত বৃশ্চিক বলেছেন: ++
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:২৯
বায়েস আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:১৬
অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ বলেছেন: চমৎকার লাগল ভাইয়া,
অনেক কিছু মনে করায়ে দিলেন।
ভাইয়া আপনি আমাদের ক্যাফের আনারসের জ্যুস মিস করছেন,
আর বিকালের চাপ লুচি??
পলাশীর নুডুলস অথবা ফ্রাইড রাইস?
নীরব আর বি এফ সি?
র্যাগ?
লেভেল কমপ্লিশনের কনসার্ট?আর তুহিন ভাইয়ের গান?
" আকাশ টাকে রাখিস খেয়াল
"তুমি যে আছো তাই"
"যখন একচোখে ঘুম ঘুম"
আর পরীক্ষার সময়ের চোথাবাজি?
ভাইয়ারা কি বই কিনতেন আদৌ?
আর আমাদের প্রত্যেক পরীক্ষার আগে পিছানোটা আসলেই জোস!বুয়েটের ভিসি রা আসলেই লক্ষ্মী
স্বরসতী পূজা?
আপনার স্মৃতিচারণ দেখে আমারও আরেকটা লিখে ফেলতে ইচ্ছা করতেছে!!
দেশের বাইরে আছি,কিন্তু ঐসময়ের চেয়ে ভাল কিছু আর কি হতে পারে আমি জানিনা। নতুনকরে নিজেকে চেনা,বা জীবনকে উপলব্ধি করা তো এই কয়দিনেই হয়েছিল বোধহয়,
খুব খুব খুব ভাল লাগল!!!একশোটা প্লাস!!!!
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৪৪
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনার লিস্টের সব কিছুই করেছি.....তা না হলে বুয়েটিয়ান হলাম কিভাবে
আসলে এই ৬ বছরের কাহিনী এইরকম একটা নোটে লিখে শেষ করা সম্ভব না.......আরোও অনেক কিছুই ছিল.....কিন্তু সংক্ষিপ্ত রাখতে হলো পাঠের সুবিধার্থে
আপনি না হয় আরেকটা লিখে ফেলুন........
৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:২৬
ইলুসন বলেছেন: ভালো লিখেছেন। আমিও আপনার সাথে একমত, যতই খারাপ হোক না কেন নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করা ঠিক না। অনেকে আছে বিদেশে গিয়ে নিজের দেশের বদনাম করে মজা পায়। কোন দেশ তো নিজে নিজে পারফেক্ট হয় না, তাকে পারফেক্ট বানাতে হয়। আমরা যদি দেশের জন্য না করি তাহলে কে করবে আমাদের দেশের জন্য?
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৪৮
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনাকে মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আমি আপনার কথার সাথে একমত পোষণ করছি
৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৩৬
বিলুপ্ত বৃশ্চিক বলেছেন: বলেন কি ? আমিও তো
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৪৬
বায়েস আহমেদ বলেছেন: হাহাহা.........তাহলে তো ভাল..........
১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৪১
িমবন বলেছেন: জোশ লাগল মামা,সুখ দুঃখের সংমিশ্রনটা খুব ভালো হইছে।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৪৭
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনাকে মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
১১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৪৩
মোকাম্মেল ওয়াহিদ বলেছেন: একটু লম্বা লেখা, তবে অনেক ভাল লাগল। প্লাস!
১। সারা দেশ বেছে মেধাবীদের নেয়া হয় বলে শিক্ষকদের পাঠদান পদ্ধতি এখানে মেধার বিকাশ বাধাগ্রস্ত করেনা।
২। কিছু বস্তু বুয়েটে পড়ে তার বাথরুম নিয়ে সমালোচনা করে, তাদের নিয়ে কোন মন্তব্য নেই!
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৪৯
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনাকে মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
১২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৫৭
ইঞিঃ মশিউর রহমান বলেছেন: +++ ভাল লাগল।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:০৯
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
১৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:২৮
কালীদাস বলেছেন: অনেক ভাল লাগল লেখাটা! আমিও আপনার ব্যাচের (ঢাবি), বুয়েটে না পড়ে মনে হচ্ছে খুবই মিস করেছি লাইফটা।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:১৩
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনাকে মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
জীবনকে উপভোগ করার জন্য যে শুধুই বুয়েটে পড়তে হবে....এর কোনো মানে নেই
১৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:০৬
বাঙলাওয়াশ বলেছেন: অনেক ভাল লাগল
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:১৪
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
১৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:১০
আশরাফুজ্জামান বলেছেন: বায়েস ভাই, চমৎকার লিখছেন।
হল লাইফ আসলেই খুব মিস করি। দেশে আসবেন কবে।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:১৫
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
দেশে আর কিছুদিন পরেই ফিরব
১৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৪৭
ইভা লুসি সেন বলেছেন: বুয়েটের পড়ার সৌভাগ্য হয়নি
তার পরও লেখাটি পড়ে কিছুক্ষনের জন্য আপনাদের একজন হয়ে গিয়েছিলাম ।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৫৮
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
১৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:১৭
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভালো লাগলো.......
এই ধরনের অভিজ্ঞতা আরো লিখুন।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৫৯
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
১৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৩৩
আসিফ মুভি পাগলা বলেছেন: লেখার আকার হয় হয়ত বড় কিন্তু বুয়েটিয়ানের অভিজ্ঞতার কাহিনী এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম । আমিও তিতুমীর । ইইই ০৮ । হলে থাকা হয় না । শুধু গত বছর আরেফিন ভাইদের সাথে হল টিমে বাস্কেটবল খেলেছিলাম ।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:০৪
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
১৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৪৬
টিভি পাগলা বলেছেন: ভালো লাগলো, অনেক ভালো লাগলো লিখাটা পড়ে।
যাক, একজনকে পাওয়া গেল, যে আমার হলে থাকতো, মুভি পাগলা ও দেখি আমার হলেরই। পাগলা কোন রুমে থাকো? কখনো গেলে দেখা করে আসবো।
আমি হাজার (ভিতরেরটা) ব্লকের ৪ তলাতে থাকতাম।২০০১ এর আগস্ট থেকে টানা ৫ বছর হলে ছিলাম।হল ছেড়েছি ২০০৬ এর ডিসেম্বরে। ৩ফেব্রুয়ারী কনভোকেসনের দিন হলে গেলাম। কত আপন মনে হচ্ছিলো সবকিছু।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:১৬
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
২০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:০৫
অাগন্তুক বলেছেন: প্যালাস দোস্তো
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:১৭
বায়েস আহমেদ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ
২১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:২৩
পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেল , আমিও সম্প্রতি গ্রাজুয়েশন শেষ করলাম, ইদানীং আমার নিজের ভার্সিটি টাকে খুব মিস করি
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:১৮
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
২২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৩৯
সান্তু বলেছেন: vhi portea potre chok a pani chola aslo.. Jodio ami BUET ar na , TArpor o CUET life ta khub khub miss kori. Akon bidesha bosa achi sei adda, tution, class off kora, hasi, moja , friend sob kisu miss kori.
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:১৯
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
২৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৮
আসিফ মুভি পাগলা বলেছেন: @টিভি পাগলা ভাই । আমি হলে অ্যাটাচড । সিট পাই নাই । ঢাকায় বাসা । তবে ক্যাম্পাসে আসলে আওয়াজ দিয়েন । দেখা দিয়ে যাব ।
২৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫১
লগারিদম বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগল,বুয়েটে পড়ার আভিজ্ঞতা(!!) মাত্র ৬ মাসের হলেও বুঝতে পারলাম যে ভবিষ্যতে এই লাইফটাকে অনেক মিস করব।শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:২১
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
২৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:১৪
স্বপ্ন_বিলাস বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে মনে হল,নিজের বুয়েট লাইফ টা চোখের সামনে চলে আসল।আসলে সব বুয়েটিয়ানের গল্পই মনে হয় একই।
খুবই ভালো লাগলো পড়ে......
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:২২
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
২৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:৪৭
কালীদাস বলেছেন: হা হা হা, লাইফ এনজয় করার জন্য না, আমার আআসলে প্যাশন্সই ছিল বুয়েটে পড়ার। কিন্তু যে সাবজেক্ট পেয়েছিলাম সেটা পছন্দ না হওয়ায় ভর্তি হইনি বুয়েটে; ভর্তি হয়েছিলাম ঢাকা ভার্সিটিতে। আপনার পোস্ট পড়ে আসলে বুয়েটের প্রতি পুরান সেই আকর্যণটাই আবার মনে পড়ে গিয়েছিল আরকি।
এনিওয়ে, ভাল থাকবেন।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪০
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
২৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:৩০
নীল্ মেঘ বলেছেন: ভাইয়া অনেক ভাল লাগল। সমাবর্তনে কেমন মজা করলেন?
@ কালীদাস: কার্জন হলে গেলে আমারও মনে হয় কেন যে এখানে পড়লাম না।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৩
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
সমাবর্তনে আসতে পারি নাই, আমি বাইরে আছি......এই জন্য মনের দুঃখে এই নোটটা লিখা
২৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:৫০
ঝটিকা বলেছেন: "যা খুশি খাও, কিন্তু ৭ টাকা দাও"
এইটার কি মানে ভাই?
আপনার লেখাটা অসম্ভব ভালো হয়েছে। আমিও ক্যাম্পাস জীবন ভিষণ ভিষণ মিস করি।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৯
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
*** আমরা এক দল বন্ধু ছিলাম, বাফেট স্টাইলে খাইতাম.....কিন্তু খাওয়া শেষে বিল দিতাম ৭ টাকা
২৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৩২
একাকী সিন্দাবাদ বলেছেন: ভাইয়া, আমি ০৯ ব্যাচের! তড়িতকৌশল বিভাগে আছি!
বিশেষ করে আঁতেল সমাজের প্রতি দৃকপাত করে প্রকৃত বুয়েটিয়ানের পরিচয় তুলে আনার জন্য আমি আপনার প্রতি সত্যিই কৃতজ্ঞ বোধ করছি!
@কালিদাস ভাই- মাস দেড়েক আগে এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের পুস্টে আপনার মন্তব্য আমার মুখে পুরা চুন-কালি ঢেলে দিয়েছিলো। ঐ ভদ্রলোক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া "ক্ষ্যাত" ছাত্রের গোষ্ঠী উদ্ধার করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন- "তার ভার্সিটির টিচাররা আমেরিকা ফেরত, পাবলিক ভার্সিটির পোলাপান ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত পড়ালেখা করে বাকি লাইফ ভাবের উপর চালায়, তাদের প্রজেক্ট সব চুরি করা"। এসব অবান্তর কথার ফুলঝুরি। আর আপনি তার সাথে সহমত হয়েছিলেন।
বুয়েটে বন্ধুরা একসাথে ওই পুস্ট পড়ছিলাম, আপনার মন্তব্য দেখে আমি উৎসাহী হয়ে -"এই লোক বস পাবলিক। দেখি কি কমেন্ট দিলো" এবং কমেন্ট পড়ার পর শুনলাম বন্ধুদের একগাদা গালিগালাজ। এখন আপনার বুয়েট প্রীতি দেখে অবাক হলাম বৈকি! যাইহোক পুরান ক্যাচাল এখানে পেড়ে বড় ভাইয়ের এত সুন্দর পোস্টটার শ্রী নষ্ট করবোনা অবশ্যই।
একজন গানপাগল মানুষ এবং ন্যু মেটাল ভক্ত হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে আপনার খুব ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম আপনার স্লিপনট, আভেঞ্জ সেভেনফোল্ড এবং অন্যন্য পোস্ট পড়ে। এখন আর ঐ শ্রদ্ধাবোধ নেই। আমি দুঃখিত।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৩
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
৩০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:০৫
কালীদাস বলেছেন:
@একাকী সিন্দাবাদ: যে পোস্টের কমেন্ট পড়ে আমার উপর থেকে আপনার শ্রদ্ধাবোধ চলে গেছে লিংকটা দিলে হয়ত আমার কমেন্টের ব্যাখ্যা করতে পারতাম। অনেক জায়গায় আমি হেয়ালি করে অনেক টেম্পলেট কমেন্ট ইউজ করি এটা নিয়ে অনেকেই কনফিউজড হয়েছে অনেকবার, যারা দীর্ঘদিন আমাকে দেখেছে তারা জানে এই টেম্পলেটগুলোর মানে। আমার ধারণা এখানে কোন ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে আমার ব্যাপারে।
আমি পারসোনালি পাবলিক/প্রাইভেট নিয়ে ব্লগের কাদা ছোড়াছুড়ি অনেক দেখেছি ব্লগে। যদি সত্যিকার অর্থে আমাকে জাজ করতে চান, আমার মেন্টালিটি কি এই প্রসংগে জানতে চান, তাহলে কষ্ট করে আমার এই পোস্ট-টা একবার দেখলে আমি ভীষণ খুশি হব! বুয়েটের প্রতি আমার একটা টান আমি আজো ভুলতে পারিনা সেজন্যই কমেন্ট করি বুয়েটের কোন পোস্ট দেখলে। বুয়েটের কোন স্টুডেন্ট আমাকে কখনো এভাবে বলবে আমি সত্যিই কখনো চিন্তাও করিনি। আপনার নিচের দুইটা লাইনে আমি কষ্ট পেয়েছি-
এখন আপনার বুয়েট প্রীতি দেখে অবাক হলাম বৈকি! যাইহোক পুরান ক্যাচাল এখানে পেড়ে বড় ভাইয়ের এত সুন্দর পোস্টটার শ্রী নষ্ট করবোনা অবশ্যই।
আর আমি আসল বস পাবলিক না, আমি খুবই সাধারণ একজন মানুষ। তবু আমার কোন কমেন্ট বা পোস্টে যদি কখনো আপনি আহত হয়ে থাকেন সেটার জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।
@লেখক: আপনার পোস্টে এরকম রিপ্লাই দেয়ার জন্য আমি দুঃখিত! আমার খুব সাধারণ কোন ফিলিংসের এরকম আন্সার আসতে পারে আমি চিন্তাও করিনি। আমি এই পোস্টে আর কমেন্ট ব্যাক করবনা।
ভাল থাকবেন।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৭
বায়েস আহমেদ বলেছেন: কালিদাস ভাই, আপনি দয়া করে মন খারাপ করবেন না
ব্যাক্তিগতভাবে আমার পাবলিক অথবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কারোও প্রতি কোনো ক্ষোভ বা অভিযোগ নাই
আমার কাছে সবাই সমান.....যে যোগ্যতা দিয়ে প্রমাণ করতে পারবে, তার জন্য এইসব কোনো ব্যাপার না
নিছক এইসব নিয়ে ঝগড়া অথবা মনক্ষুন্ন না করাই ভাল
৩১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:২৫
একাকী সিন্দাবাদ বলেছেন: আমি আমার পূর্ববর্তী মন্তব্যে অবিবেচকের মত আচরণ করেছি, এজন্য আমিও ক্ষমাপ্রার্থী।
৩২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:২৮
নাফিজ আমিন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ,আজকে মনটা খারাপ ছিলো ,আপনার লেখা পড়ে মনটা ভালো হয়ে গেল ।
@একাকী সিন্দাবাদ ঃতুমি কে গো মামু ??আমিও তো ইইই ০৯ !!!আসল নামটা কও ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:০৯
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৩৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:২২
রিক্তন বলেছেন: ভাইয়া আমি ০৫ ব্যাচ...মেকানিকাল..আমরাও এবার বের হয়ে যাচ্ছি....আমাদের রেজ়াল্ট দিবে মে বি পরশু দিন...এরপর বুয়েটের সাথে আমাদের সম্পর্কটাও আপনাদের মতো স্মৃতি হয়ে যাবে...১৪ তারিখ থিসিস প্রেজেন্টেশেনের পর থেকে ভাবতেছি কোথায় বাসা ভাড়া নিবো কি করবো...আজকে আপনার লেখাটা পড়ে মনটা আরো খারাপ হয়ে গেলো...৪-৫ বছর পর হয়তো আমিও এরকম একটা লিখা লিখবো...তবে আপনার লেখাটা অনেক অনেক ভালো লাগলো...সব বুয়েট ত্যাগিদের মনের কথার সারমর্ম...ভালো থাকবেন ভাই...
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:১১
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
আপনিও ভাল থাকবেন
৩৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:১৩
সাদাকালোরঙিন বলেছেন: বুয়েট ও নজরুল ইসলাম হলে কাটিয়েছি ৫ বছর। আমি বলতে পারি বুয়েটের হলগুলোর চেয়ে ভালো পরিবেশ বাংলাদেশের কোন পাবলিক ভার্সিটিতে নেই।
যাই হোক , নজরুল হল ও মেডিকেলের হলের মধ্যে গালাগালির একটা অম্লমধুর সম্পর্ক ছিল সব সময়ই। এমনও হয়েছে মেডিকেলের বন্ধুদের সাথে পরিচিত হতে গিয়ে জানতে পেরেছি আগের দিনেই এই ছেলের সাথে কঠিন গালাগালি বিনিময় করেছি
একটা মজার গল্প বলি। নজরুল ইসলাম হলে এক ভাই ছিলেন । তার বড় ভাই আবার মেডিকেলের হলেই থাকতেন । একরাতে কারেন্ট চলে গেলে শুরু হলো গালাগালি । দেখা গেল সেই ভাই সেদিন চরম ফর্মে। মেডিকেলের ওপাশ থেকেও বেশ লাগসই উত্তর আসছে। গালাগালির চরম মুহুর্তে বাবা-মা, পাড়া প্রতিবেশি চৌদ্দ গোষ্ঠীর কেউই রক্ষা পাচ্ছে না দুপক্ষ থেকেই । নজরুল হল থেকে সেই ভাই আর ওপাশ থেকে একজনের গলাই বেশি ঝাঁঝালো শোনাচ্ছে। একসময় বাকি ছেলেরা ক্লান্ত হয়ে পড়লেও ওরা দুইজন চালিয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষন পরে আবিষ্কার হলো প্রতিপক্ষ আর কেউ না , ওরা দুই ভাই ই। দুজনেই গত ১৫ মিনিট ধরে একে অপরের বাপ মা চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করছিল।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৫২
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা বলার জন্য ধন্যবাদ......ভাল থাকবেন
৩৫| ০৩ রা মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫০
নষ্টছেলে বলেছেন: বন্ধু অনেক দুঃখিত।
তোমার এতো জোস লেখাটা মিস করে ফেলসি।
সামনাসামনি প্রতিক্রিয়া জানাবো।এখানে কেনো লিখতে পারলাম না জানি না তবে অসম্ভব ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:২৬
বায়েস আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাল থাকিস
৩৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৩৩
নিশি কথক বলেছেন: ঢাবিতেও আমরা এমন কিংবা এর চেয়েও বেশী মজা করি। হয়ত আপনারা আমাদের চেয়েও বেশী করতেন। কিংবা আমরা হয়ত আরো বেশী করি। সত্যিই এই লাইফের তুলনা হয়না।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২২
বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
৩৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৪
ইমন১২ বলেছেন: ভাই, আমি বুয়েট ০৬, তিতুমির হল এ থাকতাম। আপনার লেখাগুলো পড়ে ভালো লাগছে। নতুন ব্লগ এ। আপনার সাথে থাকলাম।
১৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
বায়েস আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ!
৩৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৫
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম।
১৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
বায়েস আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ!
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৫৩
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আশংকার কথা শুনি, আপনাদের আতেল পাড়ায় ডিজুস সংস্কৃতির আগ্রাসন । সরকারি অর্থ লালিত দেশের মেধাবীদের মাঝ হতে ডিজুস মনষ্কতা বিতাড়ন জরুরি মনে করি। অতিরিক্ত সুবিধা, মর্যাদা, অর্থ পেয়ে নিজেদের মেধা আর সময় নষ্ট করতে তাদের অনেকেই তুলনা হয়না।