নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই আইডিটা অ্যানোনিমাস, মানুষটা না।

এই আইডিটা অ্যানোনিমাস, মানুষটা না।

দ্য অ্যানোনিমাস

পিছনে থেকে খালি লেখালেখি করি, অন্যের ক্ষতি করি না।

দ্য অ্যানোনিমাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেডিকেল নাকি ইঞ্জিনিয়ারিং: কোন পেশায় যাচ্ছেন অথবা যেতে চান?

২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৭

কিছুদিন আগে ইন্টার পরীক্ষা শেষ হল। শুরু হচ্ছে ভর্তি কোচিং। ঢাকার ফার্মগেট হঠাৎ করেই জনবহুল এলাকায় পরিণত হয়েছে। যারা সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডে তাদের প্রায় সবার মধ্যে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন। কিন্তু অনেকেই কনফিউজড থাকে এই দুই প্রফেশনের ফিউচার নিয়ে। বিশেষ করে দেশে এখন চাকুরি নাই, অবস্থা খারাপ এইসব হুজুগ একটু বেশী বিচলিত করছে সবাইকে। এইসব ব্যাপারে আসলে কান না দিয়ে নিজের টার্গেটে লেগে থাকা উচিত।



মেডিকেল কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং এ যারা পড়ছ কিংবা পড়তে চাও তাদের জন্য অল্প কিছু লিখলাম। যদিও অনেক কিছু লিখার ছিল, তবু যেহেতু প্রথম লেখা তাই সংক্ষিপ্ত করে কিছু লিখলাম। আশা করি ভাল লাগবে।



ইঞ্জিনিয়ারিং পেশার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অনেক কম সময়ে এষ্টাবলিশ হওয়ার সুযোগ। তাছাড়া পড়াশোনা তুলনামুলক কম সময়েই শেষ করা যায়। বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে সাধারণত সবাই বুয়েটকেই বুঝে। তবে এখন কুয়েট, আইইউটি কিংবা এমআইএসটি ও অনেক ভাল করছে। তাছাড়া যে যাই বলুক চাকুরির মার্কেটের অবস্থা ও একদম খারাপ না। বরং আস্তে আস্তে মার্কেট ভাল হচ্ছে। সেই সাথে বাইরে যাওয়ার প্রচুর সুযোগ এখন ইঞ্জিনিয়ারিং এ। আমেরিকা, ইউরোপ, অষ্ট্রেলিয়ার প্রতি বছর প্রচুর ইঞ্জিনিয়ার চাকুরি কিংবা উচ্চ শিক্ষার জন্য যাচ্ছে। তবে এ মূহুর্তে জার্মানের অবস্থা সবচেয়ে ভাল। তবে ইঞ্জিনিয়ারদের বেশীরভাগই আগে দেশে ফেরত আসত না। তবে এই অবস্থার আস্তে আস্তে পরিবর্তন হচ্ছে। এখন অনেক প্রকৌশলী শেষ বয়সে দেশে এসে কাজ করছেন। এমনকি একটা বড় অংশ নিজেরাই ফার্ম দিচ্ছেন যা তৈরী করছে আরো নতুন ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মসংস্থান।



ডাক্তারি যুগ যুগ ধরে মহান পেশা হিসেবে গণ্য হলে ও ইদানিং ডাক্তার’রা ভালই কমার্শিয়াল। তাই তুলনামুলকভাবে একটু দেরী করে পড়াশোনা শেষ হলে ও পসার জমাতে খুব বেশী সময় লাগে না। যদিও ডাক্তারদের প্রায় সারাজীবন পড়াশোনা করা লাগে তবু ডাক্তারি পেশাটা মজার। বিশেষ করে যারা মানুষের সাথে থাকতে পছন্দ করেন তারা এ পেশাটা এনজয় করাটাই স্বাভাবিক। আমার পরিচিত এক ডাক্তারকে দেখতা সব সময় তার স্টোথোস্কোপের সাথে খেলনা ফিট করে রাখে। এটা নাকি একজন বৃদ্ধের মধ্যে ও শৈশব জাগিয়ে তুলে। অনেক ডাক্তারকে দেখি সব সময় পকেটে চকোলেট রাখে। রোগীদের চকোলেট দিয়ে খুশি করা নাকি তার চিকিৎসার ৫০ ভাগ। যাহোক, সামাজিক সম্মান কিংবা আয় বিচার করলে ডাক্তারি ইঞ্জিনিয়ারিং এর চেয়েৎ পিছিয়ে নেই।



তবে ফেইসবুক কিংবা ব্লগগুলো পড়লে মনে হয় ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা মেডিকেলের স্টুডেন্টরা তুলনামুলকভাবে বেশী হতাশ। তাই এই পোষ্ট পরে যারা অলরেডী মেডিকেল কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন তারা অনেকে হয়ত ভাববেন কিরে ভাই আমরা আমাদের প্রফেশনের কোনো ফিউচার দেখি না এই অ্যানোনিমাস লোকটা কিভাবে দেখল। আসল কথা হল যারা এই মুহুর্তে ষ্টুডেন্ট তারা বেশীরভাগ’ই বিচার করে সদ্য পাশ করা সিনিয়রদের দেখে। তাই যেরকম বড় কিছুর স্বপ্ন দেখে তারা ভর্তি হয় তার প্রতিফলন না দেখে হতাশার রাজ্যে চলে যায়।



যারা ক্লাস পরীক্ষা আর অ্যাসাইনমেন্টের প্রেসারে হতাশ তাদের বলব কোনো কিছুই আসলে কষ্ট করা ছাড়া অর্জন করা যায় না। তবে অর্জনের আনন্দটা এত বেশী যে তা কষ্টের তীব্রতাকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাই যে যে পথেই আছ লেগে থাকো। সাফল্য আসবেই।



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৭

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অবশ্যই ++++++++++++++++



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.