নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর শিরোনামের কিছু নাই। সুন্দর মানুষের সুন্দর শিরোনাম থাকে। আমারে আমি একটা কুকুরের থেকে বেশী কিছু ভাবি না। যেদিন মানুষ বলে ভাববো নিজেকে সেদিন বরুণাকে নিয়ে কিছু লিখবো।

ঠেলাগাড়ির পাইলট

অশ্বডিম্ব

ঠেলাগাড়ির পাইলট › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার সেনাবাহিনী নামা

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

২০০৭/২০০৮ মৌসুম। সারা দেশ সেনাবাহিনীদের নিয়ন্ত্রনে। হ্মমতায় তখন গভর্নর ফখরুদ্দিন আহমেদ।

যাই হোক। বাসার পাশেই সেনাবাহিনীর ক্যাম্প। এমন অবস্থা ঘুম থেকে উঠে জানালা দিয়ে তাকাই দেখি সেনাবাহিনী। ঘুমুতে যাবার আগে জানালা দিয়ে তাকাই দেখি সেনাবাহিনী।

তারা ছিলো সত্যিকারের অর্থেই সেনাবাহিনী। দলের কথা না ভেবে তারা দেশের কথাই ভাবতো।

আমাদের এলাকা পুরো ঠান্ডা ছিলো সেসময়। সবাই নিরাপদেই থাকতো।

প্রায় এলাকাই পাতিমাস্তান টাইপ কিছু মানুষ থাকে। তখন তাদের খোজই ছিলো না। 3:)

সেই সময় আমার বয়স ১২/১৩।

পোলাপাইন আছিলাম। =D

বন্ধুগো লগে বিকেল হইলেই ব্যাডমিন্টন খেলতাম।

ঢাকায় তো আর খেলার মাঠ নাই। তাই এলাকাতে বালুর মাঠ নামক একটা রাস্তা আছে। বেশ চউড়া রাস্তা। তো সেখানেই খেলতাম।

তার ১০ হাত দুরেই আর্মিদের ক্যাম্প। তো বিকেলে দেখতাম তারাও ব্যাডমিন্টন খেলতো। তাদের থাকার এরিয়াটা পুরোটা ছিলো কাটাতার দিয়ে বাউন্ডারি দেয়া। তাই তাদের ফেদার বাহিরে গেলে তাদের অনেক ঘুরে আনতে হতো।

তাদের ফেদার পড়তো আবার আমরা যেখানে খেলি সেইখানে। তাদের ফেদার আমাদের কাছে এলেই তারা আমাদের ডেকে বলতো ফেদার দিতে।

প্রায়ই দিতাম।

তাদের দেখলে অনেকে ভয়ে হিশু কইরা দিতো। মাগার আমি মজা পাইতাম। B|

কারন আমার আম্মুর এক মামা আর্মির মেজর ছিলেন ইনি জাতিসংঘের শান্তিরহ্মা মিশনেও গিয়েছিলো। আর আরেক মামা ছিলেন সাধারণ সেনাবাহিনীই। তাই ছোট বেলা থেকেই ভয় পাই না ।

এভাবে ফেদার দিতাম। তারা মাঝে মাঝে আমাদের বন্ধুদের বিস্কুট,কমলা খাইতে দিতো ঘুষ হিসেবে। =D

তো আর্মিদের সাথে আমার একটা বন্ধুত্ব হইয়া যায় সেই সময়।

একদিন খেলতাছিলাম। এমন সময় আর্মিদের গাড়ী যাইতাছিলো পাশ দিয়া। আমার ফেদার পড়ে তাদের গাড়ীর চাকার নীচে। ফেদার নস্ট হওয়া দেখুম কিন্তু দেখলাম গাড়ীটি যে চালাচ্ছিলো সেই গাড়ী বন্ধ করে দিলো। গাড়ীতে ছিলো আর্মির এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সে বললো,গাড়ী থামালে কেনো?

ড্রাইভার (সেও আর্মিই ছিলো) বলল,আমার বন্ধুর ফেদার পড়েছে চাকার নীচে। :)

তো সেই কর্মকর্তা আমাকে ফেদার দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো। :)

তখন পিচ্চি ছিলাম কিছুই বুঝতাম না। বুঝতাম না তাদের মায়া মমতা। :)

ফখরুদ্দিন হ্মমতা থেকে চলে গেলো। সেই সাথে চলে গেলো আর্মিরাও।

যেদিন তারা ক্যাম্প ছাড়ছিলো আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে মন খারাপ করে তাদের চলে যাওয়া দেখছিলাম।

হঠাত করে দেখলাম,আমার সেই বন্ধুটি আমাকে ডাকছে। ডেকে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে গেলো তারপর আমাকে জিজ্ঞেস করলো,বড় হয়ে তুমি কি হতে চাও?

আমি বললাম,জানিনা।

সে বলল,আমি চাই তুমি সেনাবাহিনী তে যোগদান করো । কথাটা মনে রেখো।

এই বলে তারা চলে গেলো। :(



*************************





ধীরে ধীরে বড় হলাম। এখন আমি কৈশোর পেরিয়ে তরুনে পদার্পণ করছি। সেনাবাহিনিতে যাবার ইচ্ছে আছে আগের মতই। নিজেকে সেনাবাহিনী হিসেবে চিন্তা করতে ভালোই লাগে। কল্পনা করি, শান্তিরহ্মা মিশনে গিয়েছি। :)

কিন্তু মানুষের কি আর সকল আশা পুরন হয়?

আব্বুর নিষেধ সেনাবাহিনীতে যাবি না।

যদিও আমার পুরো পরিবার চায় আমি সেনাবাহিনিতে যাই। আমার নিজেরও প্রবল ইচ্ছে। কিন্তু বাবার কথা উপেহ্মা করার সাহস এখনও পাই নি।

পত্রিকাতে যখন সেনাবাহিনী লোক নেবার সার্কুলার দেয় তখন গভির মনযোগ দিয়ে সেই সকল বৈশিষ্টের সাথে নিজেকে মিলিয়ে দেখি।

যেমনঃ সৈনিক পদে যোগ দিতে প্রার্থীর উচ্চতা হতে হবে নুন্যতম পাচ ফিট ছয়। আমার উচ্চতা পাচ ফিট সাত।

ওজন হতে হবে নুন্যতম ৪৯.৯০ কেজি আমি আছি ৫৫ কেজি।



প্রায় দিক দিয়েই নিজেকে মেলাই। স্বপ্ন দেখি। স্বপ্নটা সপ্নই থেকে যায়। :)

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩১

শান্ত কুটির বলেছেন: তোমার স্বপ্ন সফল হোক এই দোআ করি।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

ঠেলাগাড়ির পাইলট বলেছেন: :-)

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

হেডস্যার বলেছেন:
আহারে কই আপনের আইজ কর্নেল/ব্রিগেডিয়ার হইয়া দাপাইয়া বেড়ানের কথা, আর হইলেন "ঠেলাগাড়ির পাইলট" :D

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১২

ঠেলাগাড়ির পাইলট বলেছেন: হুর মিয়া -_-

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

সাইফুল আজীম বলেছেন: ২০০৯ সালের নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে খুলনা শহরের জিআইএস ম্যাপ তৈরি করে দিয়েছিলাম। ৩ দিন তাদের সাথে কাজ করেছিলাম। আমার জীবনের ঐ ৩টি দিন ভুলবার নয়। সেনাবাহিনী মানেই অন্যরকম কিছু!!

শুভকামনা রইল।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৫

ঠেলাগাড়ির পাইলট বলেছেন: দোয়া করবেন।

৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

মুনেম আহমেদ বলেছেন: বাবাকে বুঝিয়ে রাজী করে ফেলুন। স্বপ্ন সফল করার সামর্থ্য যেহেতু আছে তাহলে ছেড়ে দিবেন কেন? :)

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৫

ঠেলাগাড়ির পাইলট বলেছেন: বোঝেনা তারা বোঝেনা। :(

৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: Click This Link
আসমান-জমীনে সবাই বলে
আজকে সবচেয়ে খুশির(ঈদের) দিন ,
এই ধরাতে তাশরীফ এনেছেন
যিনি রহ্‌মাতুল্লিল আ'লামিন ।।

৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: শুভকামনা রইল

৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

রাখালছেলে বলেছেন: শুভ কামনা থাকল । চেষ্টা করুন বার বার । আর্মির লাইফ আমার কাছেও ভাল লাগে ।

৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪

রাজীব বলেছেন: সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া, দেশে জন্য কাজ করার একটি বিরাট সুযোগ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.