|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 
 
প্রাচীন আর সমৃদ্ধশালী জেলাগুলোর নাম বললে কুমিল্লার নামটা একদম উপরের দিকেই আসে , আর এ কারণে কুমিল্লা জেলাকে নিয়ে দেশের মানুষের একটা আলাদা আগ্রহ আছে । কুমিল্লা জেলাতে ঘুরে দেখার কি আছে এ নিয়ে হরহামেশাই প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হয় ,কিভাবে আসবো কুমিল্লা ? ঘুরে দেখার জায়গাগুলোতে কিভাবে যাবো ? খাবো কোথায় ?
প্রথমেই আসি কুমিল্লাতে দেখার মতো কি আছে যার টানে আপনি কুমিল্লা আসবেন ? অনেক জায়গা আছে যা দেখার জন্য আপনি রসমলাই এর জন্য বিখ্যাত কুমিল্লা জেলায় ঘুরে আসতে পারেন। তাহলে শুরু করা যাক ? আজকে প্রথম পর্বে আপনাদের সাথে আলোচনা করব কুমিল্লা ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি বা কমনওয়েলথ সমাধি ক্ষেত্র নিয়ে।
স্থানীয় লোকদের কাছে এটা ইংরেজদের কবরস্থান হিসেবে পরিচিত। এখানে চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৭৩৭ সৈন্য।
এখানে সমাধির সংখ্যা ছিল ৭৩৮টি। ১৯৬২ সালে এ সমাধিস্থল থেকে একজন সৈনিকের আত্মীয়স্বজন তার দেহাবশেষ যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যান। বর্তমানে এ সমাধি সংখ্যা ৭৩৭টি। এরমধ্যে ১৪জন সৈনিকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এখানে যাদের সমাহিত করা হয়েছে তাদের লাশ আনা হয়েছে ঢাকা, ফরিদপুর, সৈয়দপুর ও সিরাজগঞ্জ থেকে। আর্মি গ্যারিসন ইঞ্জিনিয়ারগণ এ সমাধি ক্ষেত্রটি তৈরী করেন।
এ সমাধি ক্ষেত্রে রয়েছে- বৃটেনের ৩৫০ জন, কানাডার ১২ জন, অস্ট্রেলিয়ার ১২ জন, নিউজিল্যান্ডের ৪ জন, দক্ষিণ আফ্রিকার ১ জন, ভারতের ১৭২ জন, পূর্ব আাফ্রিকার ৫৬ জন, পশ্চিম আফ্রিকার ৮৬ জন, বার্মার ১ জন, দক্ষিণ রোডেশিয়ার ৩ জন, বেলজিয়ামের ১ জন, পোলান্ডের ১ জন এবং জাপানের ২৪ জনের কবর। 
কুমিল্লা কমনওয়েলথ সমাধির পাহাড়ের প্রথম ধাপে রয়েছে ইউরোপিয়ানদের কবর। উপরের ধাপে রয়েছে এ উপমহাদেশের যোদ্ধাদের কবর। সমাধিগুলো সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে। ১৪টি বাদে প্রত্যেক সমাধিতে লেখা আছে নিহত সৈনিকের নাম, বয়স, পদবী, নিহত হবার তারিখ ও ঠিকানা।
সমাধিক্ষেত্রের আগে সেখানে ছিল বৌদ্ধ বিহার মন্দির। সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে শ্বেত পাথরের একটি ক্রশ। বর্গাকার এ সমাধি ক্ষেত্রের প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য প্রায় আড়াইশ ফুট। সমাধি ক্ষেত্রের মোট আয়তন সাড়ে ৪ একর। সমাধি ক্ষেত্রের চারদিক বাউন্ডারি দেওয়া।
যেভাবে যেতে হবেঃ কুমিল্লা শহর থেকে ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের টিপরা বাজার। টিপরা বাজার ও ময়নামতি সাহেবের বাজারের মাঝামাঝি কুমিল্লা-সিলেট সড়কের বাম পাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাড়ে চার একর পাহাড়ি ভূমি জুড়ে বাংলাদেশে অবস্থিত দ্বিতীয় এ কমনওয়েলথ সমাধি ক্ষেত্র। কুমিল্লা শহর হতে বাস অথবা সিএনজি যোগে যাওয়া যায়।
ঈদের দুদিন ছাড়া বছরের প্রতিদিনই সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা এবং দুপুর ১টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ যুদ্ধ সমাধিস্থল সর্ব সাধারণের জন্য উম্মুক্ত থাকে। এ সমাধি ক্ষেত্র দেখতে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের শত শত দর্শনার্থী ভিড় করে। প্রতিবছরের ৫ নভেম্বর কমনওয়েলথভুক্ত দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা এই সিমেট্রিতে উপস্থিত হয়ে নিজ নিজ দেশের পক্ষে স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।
কোথায় থাকবেনঃ কুমিল্লা শহরে অনেকগুলো ভাল মানের হোটেল আছে। সেখানে থাকতে পারেন। বার্ড খুব কাছে। বার্ডে যোগাযোগ করলে সেখানেও থাকতে পারেন।
তথ সুত্রঃ http://www.dailycomillanews.com
 ২ টি
    	২ টি    	 +১/-০
    	+১/-০২|  ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫  দুপুর ১:৪৯
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫  দুপুর ১:৪৯
Shadman Al বলেছেন: 
কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি থেকে স্থানান্তর হচ্ছে ২৪ জাপানি সেনার দেহাবশেষ
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫  সকাল ৯:৫৬
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫  সকাল ৯:৫৬
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: বেশ ভালো একটি লেখা , কারো চোখে পড়ছে না কেন ?