![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যাপারনা !!!! জগতে যে যাই বলুক, যে যাই করুক যদি শান্তি চান তবে মনে মনে ভাবুন ব্যাপারনা !!!
গতরাতে ৭১ টিভিতে একাত্তর জার্নালে যোগ দিতে দেখলাম ব্লগার মাহমুদুল হক মুন্সী কে। নানা কথা বলে দিন শেষে তিনি বুঝিয়ে দিলেন শাহবাগের সাথে যোগ না দিলে বিএনপির ভবিষ্যত শেষ, তারা ইতিহাসের রাজনৈতিক দল হয়ে যাবেন। কতটুকু বুঝে আর কতটুকু কামনা করে তিনি এই কথাটা বলেছেন বুঝার চেস্টা করলাম। দলীয় আবেগ ভাল জিনিস তবে তাতে যদি শুধু উচ্চাভিলাস থাকে আর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অভাব থাকে তখন সেটা কেবলই বুলি হয়ে যায় , আর অন্য কিছুর বহিঃপ্রকাশ হয়না। ব্লগিং আর রাজনীতির ময়দান দুটার ফারাক এখন ও যোজন যোজন দূর তেমনি ব্লগারদের রাজনৈতিক শিক্ষা আরো অনেক গ্রহন করতে হবে বলেই মনে হয় ।
মাহমুদুল হক মুন্সী সহ বাকি আয়োজক ব্লগাররা সম্ভবত এখন ভুলে গেছেন শাহবাগ আন্দোলনের জন্মকথা , সেটা না হলে একটা প্রতিস্ঠিত রাজনৈতিক দলের বিনাশ হয়ে যাওয়া এত সহজে তারা উপলব্ধি করার কথা ভাবতে পারতেন বলে মনে হয়না ।রাজনীতি একটা লীগ ম্যাচের টুর্নামেন্ট, মাঝে মাঝে কোন কোন দল রেলিগেশনে পড়ার চান্স তৈরি হলেও ফিরে এসে পরের দফায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবার সম্ভাবনা যারা উড়িয়ে দেয় তারা হয় ফর্মুলায় বুঝেনা না হয় আত্মভরিতে ভোগে ।
গনমানুষের চাওয়ার প্রতিফলন নিয়ে যে আন্দোলন সেটার প্রাপ্তিও কিন্তু কম নয়। শাহবাগের কল্যানেই আইন সংশোধন হয়েছে, নতুন সচেতনতা তৈরি হয়েছে মানুষের মাঝে, মানবতাবিরোধী অপরাধীরা আর সহজে পার পাবে বলে মনে হয়না । দাবী আদায়ের অবিচলতাই একটা আন্দোলনকে সামনে টেনে নিয়ে যায়, সেখানে সবসময় সবার সহযোগীতা না পেলেও সেটা নিজ গতিতেই এগিয়ে যায়, যেমনটা যাচ্ছে শাহবাগ, কিংবা বলা চলে শুরুর দিকে যেমনটা গিয়েছিল শাহবাগ। এখন যদি বলি শাহবাগ তার পথ হারিয়ে ফেলেছে , অবশ্য এই নিয়ে নানা তর্ক হতেই পারে।
শাহবাগের প্রথম কালো দাগ থাবা বাবা ওরফে রাজীব। সব লাশই যে আন্দোলনে গতি নিয়ে আসবে এই ধারনাটা ভুল প্রমান করে দিল রাজীবের লাশ, আফসোস ব্লগার নেতারা সেটা বুঝেও বুঝলেননা। অযথা মিথ্যা গল্প ফেঁদে আর মিডিয়ার সহযোগীতা নিয়ে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ বানাতে উঠে পড়ে লাগলেন। ফলাফল নেতিবাচক, মিথ্যার জয় কখনো হয়না, আর কয়েকটা শয়তানের শাস্তি নিশ্চিত করার আন্দোলনকে দেশ মাতৃকার মুক্তির আন্দোলনের সাথে গুলিয়ে ফেললেন তারা। মুক্তিযুদ্ধ ছিল বুলেটের দিকে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো, মেটাল ডিটেক্টর পেরিয়ে রাস্তায় বসে থাকা নয়। তুলনা সবসময় যে প্রয়োজন তাত নয়, অন্যায় কারীদের সাজা দিতে হবে কথা শেষ, সেটাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে তুলনা করার কোন মানে নেই, আমরা পরাধীন নই বলেই রাজাকরদের শাস্তি দাবী করতে পারছি, এটা হচ্ছে ৩০ লাখ শহীদের প্রতি দায় শোধের একটা প্রকৃয়া মাত্র , সোনার বাংলাদেশ গঠন না করা পর্যন্ত সে দায় শোধের কোন উপায় নেই।
শাহবাগ আন্দোলন এখন কোন পথে ?
রাজনীতি ছাড়া কোন জাতির মুক্তি নেই, ব্লগার নেতারাও কি সে পথে হাঁটছেন ?? শাহবাগ ছেড়ে মিরপুর মতিঝিলে এই শোডাউনের মানে কি ! পরবর্তী কর্মসূচি তে কি দেশ ব্যাপী রোডমার্চ ও উঠে আসবে ? মানবতাবিরোধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য এই শোডাউন কি খুবই ফলপ্রসু কিছু হবে নাকি কারো রাজনৈতিক উচ্চাভিলাসের হাতিয়ার মাত্র । জনসম্পৃক্ততার তো অভাব নেই শাহবাগে,জামাত নিষিদ্ধের পথে সরকারের এত হঠকারীতা কেন ?
ইমরান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রংপুর মেডিক্যালের ,বর্তমান স্বাচিপ নেতা , কেউ কিন্তু এই নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলেনি, কারন সবার লক্ষ্য এক ও অভিন্ন । লক্ষের পথে না হাঁটলে কিন্তু জনগন এক সময় জানতে চাইবেই ছাত্র লীগের সভাপতি সেক্রেটারি কি শুরু করেছিল এই আন্দোলন যে আজকে তাদেরকেই সামনে নিয়ে আসতে হবে, তারা ছাড়া কি এই জাতি অচল।
এই আন্দোলনে বিএনপি যোগ না দেয়ায় অনেকেই দেখি বিএনপির মৃত্যু ঘোষনা করে দিতে ভীষন উতসাহী, বাকশালের পথে যেতে খুব বেশী আর বাঁধা থাকবেনা তাহলে। আহবায়ক নেতারা একবারও চিন্তা করলেননা এই জাগরনে শাহবাগের চত্ত্বরে বশে থাকা মানুষের মাঝে বিএনপির সমর্থক কোন অংশেই কম নয়। বিএনপি যে কৌশলে খেলছে তা হয়ত অনেকের কাছে গ্রহনযোগ্য নাও হতে পারে তাই বলে তার ধ্বংস ঘোষনা করে দেয়া বাতুলতা মাত্র। বিএনপি খেলছে ক্ষমতার জন্য, শাহবাগ নিশ্চয় তা নয় । এই জিনিসটা শাহবাগ থেকে যতদ্রুত উপলব্ধী করা যাবে সবার জন্য তত মঙ্গল। শাহবাগে কোন ক্ষমতার খেলা খেলতে চাইলে আদতে সেটা ভাল কোন ফল আনবে বলে মনে হয়না ।
শাহবাগ থেকে অযথা যে খেলাটা নিয়ে টানাটানি চলছে সেটা হল মাহমুদুর রহমানকে নিয়ে টানাটানি। মিথ্যা বললে তাকে ধরতে সরকারের সমস্যা কি আমি বুঝিনা। শিক্ষকরা স্মারক লিপি দিতে গেলে টিয়ারশ্যাল খায় আর শাহবাগের জন্য মন্ত্রীর অপেক্ষা, তবুও গ্রেফতারের কোন নাম নেই , এটাও কি খেলার কোন অংশ !!!! রাজীব একটা ইসলাম বিদ্বেষী শয়তান, একথা মেনে নিতে সমস্যা কি ??
তাতে আন্দোলনের মূল লক্ষ্যের সাথে কোন সমস্যাত দেখিনা। নেতারা আর মিডিয়ার হলুদ মানুষগুলো যুক্তি দেন রাজীবের এই লেখাগুলো আগেত দেখি নাই। আরে গর্দভের দল ব্লগে কোন দিন ঘুরে দেখছস কি হয়, ব্লগাররা ব্লগের সব বাইরে নিয়ে আসলেত প্রতিদিনই দেশে তোলপাড় হইত । একদিকে রাজীবের মা কে ধরে কান্নাকাটি অন্য দিকে ইসলাম রক্ষার মেসেজ- খুব বেশী সুখকর দৃশ্য নয় দেখার জন্য, বোঝার জন্য ।আসিফ সাহেব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে যে কটুক্তি করেছিলেন, সেটা যদি মঞ্চে থাকা ছাত্রলীগের পোলাপানকে দেখানো হয় তারা ঐখানেই তারে চাপাতি দিয়া কোপ দিবে বাজি ধরে বলতে পারি।
নানা রকম ডায়ালগে ভরপুর ফেসবুক। বিএনপি হালকা ত্যানা পেচানোর চেস্টা করলেও ব্লগাররা সুন্দর জবাব দিয়েছিল আমরা বাংলা পরীক্ষার সময় বাংলা পরীক্ষা দেই, অংক না । আশাকরি ব্লগ নেতারা এই বিষয়ে অবিচল থাকবেন । পরীক্ষা দিচ্ছেন পরীক্ষাই দিন, পিএলে চলে যাবেননা, পিএলে কিন্তু সবাই আবার সব সাবজেক্টই এক আধটু নাড়াচাড়া করে দেখেন, দেখতে হয়। আপাতত রাজনীতি নিয়ে বেশী চিন্তা না করে আসল পরীক্ষা দিন, বাংলা প্রথম পত্র পাশ করা সোজা হলেও দ্বিতীয় পত্র একটু কঠিনই বলা চলে।
যাই হউক অনেকে অনেক রকমের পাখি শিকারে ব্যস্ত । এর মাঝে নতুন করে কেঁদে কেটে অস্হির দেখলাম আমাদের জানা আপাকে। তিনি এত অস্হির কেন বুঝলামনা । শাহবাগ আন্দোলনের তিনিই জননী এই উপাধী পাবার এত সখ তার কেন হল বুঝলামনা, বিএনপি বিলুপ্ত হলে নতুন দল বানাবে কিনা কে জানে । জীবনের হুমকি নিয়া এই দেশের সবাই আছে, এইটা নিয়া তিনি নতুন করে আলোচনা না করলেও পারতেন।
আত্মজিজ্ঞাসা জিনিসটা আমাদের নাই, সব সমস্যার মূলে এই অভাব। তাকে কেন আজকে কান্নাকাটি করতে হয় এই কথা তিনি একবার ও চিন্তা করছেন বলে মনে হয়না । তাকে নিয়ে নোংরা কথা বললে যেমন তার খারাপ লাগে তেমনি পিয়ালের বাচ্চা মেয়েটাকে নিয়ে নোংরা কথা বললে পিয়ালেরও খারাপ না খুন করার ইচ্ছা জাগাটাই স্বাভাবিক । আর এই সব পরিস্হিতির উদ্ভব এর পেছনে নিজের দায় অস্বীকার করার কোন সুযোগ আছে বলে মনে হয়না । ছাগু আর নাস্তিক এই দুই শূয়োরকূলকেই তিনি ইচ্ছামতন কোলে নিয়ে আদর করেছেন।সো এখন তারা এক আধটু খামছি দিবে কি আর করা । নাস্তিকদের যেসব পোস্ট এখনও সামুতে আছে ইসলামকে আঘাত করে সেগুলার অযুহাতে চাইলেই সামুকে বন্ধ করে দিতে পারে সরকার যেকোন সময়। সো জান বাঁচানো ফরয মনে করে সেগুলো সরান।
যে সুন্দর ইচ্ছা নিয়ে বাংলা ভাষায় ব্লগ চালু করেছেন সেটাকে সমুন্নত করুন। মাডারেটরের স্বল্পতার অযুহাত দিয়ে বিদ্বেষী পোস্ট গুলাকে লম্বা সময় ঝুলে থাকার সুযোগ দিলে হিট বাড়লেও আখেরে ফল ভাল হয়না। বাংলা ভাষাকে ভাল বেসে এত টাকা খরচ করতে পারছেন আশাকরি আর দুচারটা মডারেটরের খরচ ও ম্যানেজ করে ফেলতে পারবেন ।
আরেকটা কথা, রেসিডেন্ট পালতেও হিসেব করে পালবেন, এতদিন যেগুলা পালছেন তা এখন খুব একটা কাজে দিচ্ছে বলে মনে হয়না। যখন তখন পোস্ট পয়দা করলেই আর নিজেরে এলিট ভাবলেই নেতা হওয়া যায়না ।
যাই হউক টেনশন নিয়েননা, সামুর কিছু হবেনা, সবার ভালবাসায় সামু টিকে থাকবে, মালি হিসেবে আপনি শুধু ঠিক মত সার দিলেই হবে, ভাল ফসল ফলবেই।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
ব্যাপারনা বলেছেন: সাথেই আচি, লেখা হয়না এই আর কি ।
সমৃদ্ধ আর নতুন বাংলাদেশের জন্য জামাতের না থাকা অতি জরুরি, আমাদের লক্ষ্য ধরে রাখা টাই জরুরি, রাজনীতির ফাঁদে পা না দেয়াটাই সে পথে পৌছে দিবে ।
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০
সজিব তৌহিদ বলেছেন: আপনার লেখায় প্রথম দিকে ভালো বস্তুনিষ্ঠতা ছিলা । শেষের দিকে এসে খেয়াল হারিয়ে ফেলেছেন। মনে হলো মন গড়া লিখেছেন। প্রথম যেভাবে শুরু করেছেন ওই ধাঁচে লিখতে পারলে ১০০ ভাগ মার্কস পেতেন। ধন্যবাদ।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
ব্যাপারনা বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
আমি তুমি আমরা বলেছেন: লেখার কিছু অংশ যৌক্তিক, তবে বিএনপির প্রতি একটা পক্ষপাতিত্ব লেখায় প্রকাশ পেল। তাই লেখার সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
ব্যাপারনা বলেছেন: পুরো সহমত হতে হবে কথা নেই, ধন্যবাদ ।
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
টি_মৃদুল বলেছেন: জামাত শিবিরের ইসলাম!!! দেখুন, জানুন!!!! ধর্ম নিয়ে খেলছে এরা নিজের স্বার্থে
জামাতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আ’লা মওদুদি , যার পরিকল্পনা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জামাতে ইসলামীর জন্ম , যার বই পড়িয়ে গড়ে তোলা হয় জামাত শিবির কর্মীদের , যার ধর্ম ব্যবহার করে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে জামাত ,সেই জামাতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আ’লা মওদুদি ধর্ম সম্পর্কে কি বলেন জানুন। এই লোক কে এই অঞ্চলের ওলামা মাশায়েখ রা অমুসলিম ঘোষনা দিয়েছিলেন। কারন সে তার নিজের রাজৗনতিক ক্ষমতা দখলের জন্য মুল ইসলামের বাইরে নিজের সুবিধা ানুযায়ি মনগড়া ইসলাম প্রচার করেছে, ইসলাম নিয়ে অনেক কটুক্তি করেছে। জানুন, দেখুন জামাত শিবিরের ইসলাম কি বলে -
ইসলাম বলে -দ্বীনের আসল মকছুদ নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত কায়েম করা। (শরহুল আকায়েদ, ৩০৪ পৃষ্ঠা)।
মওদুদী বলে -“দ্বীনের আসল মকছুদ হলো ইসলামী হুকুমত। নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি সমস্ত ইবাদত হলো উক্ত মকছুদ অর্জনের মাধ্যম”। -(আকাবেরে উম্মত কী নজরমে, ৬৪ পৃষ্ঠা)।
সুন্নতে রাসূল সম্পর্কে মওদুদীর ভ্রান্ত মতবাদঃ
মওদুদী বলে -“হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদত, আখলাককে সুন্নত বলা এবং তা অনুসরণে জোর দেয়া আমার মতে সাংঘাতিক ধরনের বিদয়াত ও মারাত্মক ধর্ম বিকৃতি। -(রাছায়েল মাছায়েল, ২৪৮ পৃষ্ঠা)।
মওদুদী বলে -“দাড়ি কাটা ছাঁটা জায়িয। কেটে ছেঁটে এক মুষ্টির কম হলেও ক্ষতি নেই। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে পরিমাণ দাড়ি রেখেছেন সে পরিমাণ দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলা এবং এর অনুসরণে জোর দেয়া আমার মতে মারাত্মক অন্যায়”। -(রাছায়েল মাছায়েল, ১ম খণ্ড, ২৪৭ পৃষ্ঠা)।
পোশাক পরিচ্ছদ, চাল-চলন ইত্যাদি সম্পর্কে মওদুদী বলে -“পোশাক পরিচ্ছদ, চাল-চলন, আকৃতি-প্রকৃতি চুল কার্টিং ইত্যাদির ব্যাপারে বিধর্মীদের অনুকরণ করতে কোন দোষ নেই”। -(তরজুমানুল কুরআন, ছফর সংখ্যা, ১৩৬৯ হিজরী)।
পবিত্র কুরআন শরীফ সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ কোরআন করিম হেদায়েতের জন্য যথেষ্ট, কিন্তু নাজাত বা মুক্তির জন্য নয়।” -(তাফহিমাত, ১ম খণ্ড, ৩১২ পৃষ্ঠা)।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ
“মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানবিক দূর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। অর্থাৎ তিনি মানবিক দূর্বলতার বশীভূত হয়ে গুনাহ করেছিলেন।” - (তরজমানুল কোরআন ৮৫ তম সংখ্যা, ২৩০পৃ. ও তরজমানুস্ সুন্নাহ, ৩য় খণ্ড, ৩০৫ পৃষ্ঠা)।
“মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে মনগড়াকথা বলেছেন এবং নিজের কথায় নিজেই সন্দেহ পোষণ করেছেন।” -(তরজমানুল কোরআন, রবিউল আউয়াল সংখ্যা, ১৩৬৫ হিজরী)।
“হযরত মুহাম্মদ (সা.) রিসালাতের দায়িত্ব পালনে ত্রুটি করেছেন, তাকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।” -(তাফহীমুল কুরআন, সুরায়ে নসর এর তাফসীর)।
মওদুদী বর্ণিত ইসলামে নবীদের সম্পর্কে মওদুদীর ভ্রান্ত আক্বীদাঃ
“নবীগণ মা’ছূম নন। প্রত্যেক নবী গুনাহ করেছেন।” (নাঊযুবিল্লাহ)। - (তাফহীমাত, ২য় খণ্ড, ৪৩ পৃষ্ঠা)।
“হযরত দাউদ আঃ তার এলাকার ইসরাইলীদের সাধারণ রেওয়াজের বশবর্তী হয়ে উরিয়ার কাছ থেকে তালাকের আবেদন করেন।” (নাউজুবিল্লাহ)। - (তাফহীমাত-২/৪২, দ্বিতীয় প্রকাশ, তাফহিমুল কোরআন (উর্দু):৪র্থ খণ্ড, সুরা সাদ, ৩২৭ পৃ. ১ম সংস্করণ, অক্টোবর ১৯৬৬ইং)।
হযরত দাউদ আঃ যে কাজটি করেছিলেন তাতে প্রবৃত্তির কামনার কিছু দখল ছিল, শাসন ক্ষমতার অসংগত ব্যবহারের সাথেও তার কিছু সম্পর্ক ছিল, এবং তা এমন কোন কাজ ছিল যা কোন ন্যায়নিষ্ঠ শাসকের জন্য শোভনীয় ছিল না। -(তাফহীমুল কুরআন-১৩/৯৫, আধুনিক প্রকাশনী, ১১শ প্রকাশ)
হযরত ইব্রাহীম আলাইহিওয়াস সাল্লাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ
“এখানে আর একটি প্রশ্নের উদ্রেক হয় যে, হযরত ইব্রাহীম আলাইহিওয়াস সাল্লাম সাময়িকভাবে হলেও কি তিনি শিরকে নিপতিত হননি?” - (তাফহিমুল কোরআন ১মখণ্ড, ৫৫৮ পৃ.)।
হযরত ইউসুফ আলাইহিওয়াস সাল্লাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ ‘আমাকে মিসরের রাজকোষের পরিচালক নিয়োগ করুন’- এ কথাটি বলে শুধু অর্থমন্ত্রী হওয়ার জন্যই প্রার্থনা করেননি। কারো কারো ধারনা, বরং তিনি এ বলে ডিকটিটরীই চেয়েছিলেন মৌলিকভাবে। এরই ফলশ্রুতিতে বর্তমান ইতালীর মুসোলিনির যে মর্যাদা তিনিও এর কাছাকাছি মর্যাদার অধিকারী হয়েছিলেন।” - (তাফহীমাত: ২য় খণ্ড, ১২২ পৃ. ৫ম সংস্করন এবং নির্বাচিত রচনাবলী (বাংলা) ২য় খণ্ড, ১৫১ পৃ, আধুনিক প্রকাশনী, ১ম সংস্করন ১৯৯১ইং)।
হযরত ঈসা আলাইহিওয়াস সাল্লাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ “হযরত ঈসা আলাইহিওয়াস সাল্লাম মারা গেছেন একথাও বলা যাবেনা, বরং বুঝতে হবে ব্যাপারটি অস্পষ্ট।” -(তাফহিমুল কোরআন ১মখণ্ড (সুরা নিসা), ৪২১ পৃ.)।
সাহাবায়ে কেরাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ
সাহাবায়ে কেরাম সমলোচনার বাহিরে নন। তাদের দোষ বর্ণনা করা যায়। সাহাবাদের সম্মান করার জন্য যদি ইহা জরুরী মনে করা হয় যে, কোনভাবেই তাদের দোষ বর্ণনা করা যাবে না তবে আমার (মওদুদী) দৃষ্টিতে ইহা সম্মান নয় বরং মূর্তি পূজা। যার মূলোৎপাটন এর লক্ষ্যেই জামাতে ইসলামীর জন্ম”।
-(তরজুমানুল কুরআন ৩৫শ’ সংখ্যা, পৃষ্ঠা ৩২৭)।
হযরত আবু বকর রাযিয়াল্লাহু আনহু খিলাফতের দায়িত্ব পালনে সম্পুর্ণ অযোগ্য ছিলেন”। -(তাজদীদ ও ইয়াহইয়ায়ে দীন: পৃষ্ঠা ২২,)।
“নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওফাতের সময় ব্যাক্তিসম্মানের কু-মনোবৃত্তি হযরত উমর (রঃ)কে পরাভূত করেছিল। -(তরজুমানুল কুরআন, রবিউস সানি ৩৫৭ হিজরী)।
“হযরত উসমান রাযিয়াল্লাহু আনহু এর মাঝে সজন-প্রীতির বদগুণ বিদ্যমান ছিল। -(খেলাফত ও মুলকিয়াত, পৃষ্ঠা ৯৯)।
“হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু স্বীয় খেলাফতকালে এমন কিছু কাজ করেছেন যাকে অন্যায় বলা ছাড়া উপায় নেই।-(খেলাফত ও মুলকিয়াত, পৃষ্ঠা ১৪৬/১৪৩)।
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২১
রাজীব বলেছেন: ল্যান্জা ইজ ভেরী ডিফিকাল্ট টু হাইড!
ব্লগারগন ব্লগ ছেড়ে সবাই টক শো স্পেশিয়ালিস্ট হয়ে গেছেন!!! যারা ১০ টি ও ব্লগ লিখে নি তারা নাকি ব্লগার!!
৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪১
রাসেল ভাই বলেছেন: কঠিন সহমত ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯
লেখোয়াড় বলেছেন:
অনেকদিন পর আপনার লেখা।
আমিও দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি........
আজ হোক আর কাল হোক জামাত থাকবে না, তাদের যারা পালন করছে তারাও নিশ্চিহ্ন হবে।
সে বি এন পি হোক আর যেই হোক।
ইতিহাস তাই বলে।