নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"তোমার জীবনের একটা বিরাট অংশ জুড়ে থাকবে তোমার কাজ, তাই জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে চমৎকার কোনো কাজ করা। আর কোনো কাজ তখনি চমৎকার হবে যখন তুমি তোমার কাজকে ভালোবাসবে। যদি এখনো তোমার ভালোবাসার কাজ খুঁজে না পাও তাহলে খুঁজতে থাকো। অন্য কোথ

সাকিব-আল-নাহিয়ান

হারিয়ে গিয়েছি এটাই শেষ খবর...

সাকিব-আল-নাহিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসা...

২২ শে মে, ২০১৩ ভোর ৬:৫৪

অনেকদিন ধরেই আমার খুব কাছের এক প্রেমময় ছোট ভাই ও ততধিক ছোট্ট এক প্রেমময়ী ছোটি বোনের মধ্যে মন কষাকষি চলছে।ঘটনাচক্রে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রেমময় এবং প্রেমময়ী দুইজনই আমার ফেইসবুক ফ্রেন্ড।কতশত পাহাড়-পর্বত ইতিহাসের শতশত যুদ্ধবিগ্রহের নীরব সাক্ষী হয়ে আজও কি সরল সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।অথচ আমি কয়েকদিনের ওই কষাকষির সরব সাক্ষী হতে গিয়ে নীরবেই ঝুলে গেলাম।



প্রেমময় আমাকে নক করে বলে,



"ভাই জানেন?ও আজকে অমুক কাজটা করছে।এইখানে আমার দোষটা কোনখানে আপনে আমারে বোঝান।আমি কি করছি?এখন আমি কি করব?"



আমি মনে মনে বলি,আরে বেকুব আমিও তো কোনদিন আমার কোন দোষ পাইলামনা।তাই বলে কি আমি সাধু নাকি?মুখে অবশ্য ভালো ভালো কথা বলি।অভিজ্ঞতা মাসাল্লাহ কম না,তাই কথায় কথায় অভিজ্ঞতা ঢালি।"



প্রেমময়ী আমাকে নক করে বলে,



"ভাই!শুনেন,ও না অমুক কাজটা করেছিল দেখেই না আমি তমুক কাজটা করেছি।আপনিই বলেন,এইখানে কি আমার কোন দোষ আছে?বলেন না ভাই,কি করব?"



মনে মনে বলি,না না কিযে বল?মেয়েদের আবার দোষ থাকে নাকি।মুখে অবশ্য আবারও অভিজ্ঞতা ঢালি।"



ভালোবাসার ক্ষেত্রে বড় বড় সমস্যা যে হয়না তা না।তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছোটখাট ব্যাপারগুলোই অনেক বড় হয়ে দেখা দেয়।একদিন ঠিক এমনই একটা ঘটনা ঘটল।আমি আবারও নতুন করে অভিজ্ঞ হওয়ার সুযোগ পেয়ে গেলাম।



প্রেমময়ঃ



"ভাই!আমি শেষ,সব শেষ।জানেন ও না.......ও না অমুক কাজটা করছে!!!আমি আর নাই ভাই।আমি আসলেই আর নাই ভাই।ওরে আমি একলা ছিলাম,ছিলাম ভালো।আজকে আমার কি যে হল।"



প্রেমময়ীঃ



"ভাইয়া,আমার আসলে এবার অনেক দোষ হয়ে গেছে।ভুল করে ফেলেছি ভাইয়া।ও না ফিরলে আমি সাদা পাড়ের লালশাড়ি পরা অবস্থাতেই আত্মহত্যা করব।ও কি ফিরবেনা ভাইয়া?"



মহাসমস্যায় পরলাম।চিন্তা করতে বসলাম আসলে এমন হচ্ছে কেন?কাহিনীটা কি?চিন্তাভাবনা করে একটা মর্মার্থ আবিষ্কার করলাম।



আসলে দোষটা দুইজনের একজনেরও না।আল্লাহ দুই জাতিকেই অনেকটা এভাবেই তৈরি করেছেন।মেয়েজাতি মায়ের জাতি।তারা যখন কাউকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসে,অনেকটা সন্তানের মতই ভালোবাসে।



"এই তোমার চুল এভাবে কাটসো ক্যান?শার্টের হাতা গুটাইসো ক্যান?শার্টের বোতাম খোলা ক্যান?না বলে ওইখানে গেস ক্যান?সিগারেট খাও ক্যান?তাস খেলতেস ক্যান?পড়তে না বসে আড্ডা মারতেস ক্যান?এত রাত পর্যন্ত বাইরে কেন?কেন কেন কেন?সব শেষ হয়ে যাবে,দাঁত সব শেষ হয়ে যাবে...ঢিসুম,ঢিসুম..."





আর ছেলেরা?ছোটকাল থেকে এইসব অতিরিক্ত আদরে জর্জরিত বেশিরভাগ ছেলেই তাই কখনই বেশি ভালোবাসা সহ্য করতে পারেনা।মেয়েদের ভালোবাসা যখন সীমা ছাড়িয়ে যায়,ছেলেদের ভালোবাসা ঠিক তখনই সীমানা ছেড়ে দূরে পালায়।



"কেন?কেন আমার তোমার কথায় উঠতে বসতে হবে?Why you are so dominating?আরে আজব তো।তুমি এভাবে চিন্তা করতেছ কেন?তোমার আসলে মাথা খারাপ।ফোন ওয়েটিং তো কি হইছে?বাসা থেকে তোমার জন্য কলও দিতে পারবেনা?Really,You are a psycho!"





হায় ভালোবাসা।দুঃখজনক হলেও বেশিরভাগের ঘটনাটা অনেকটা এমনই।অথচ ভালোবাসার কোথাও কমতি ছিলনা।অতিরিক্ত সবকিছুই খারাপ।অতিরিক্ত ভালোবাসা আরও বেশি খারাপ।



Now coming to the point.



হে প্রেমময়ী।একটু কম করে ভালোবাসা যায়না?তাইলেই তো প্রবলেইম সল্ভড।বিয়েশাদি কর,বাচ্চাকাচ্চা হোক।তারপর বাচ্চারে ইচ্ছামত সিস্টেম কর।মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত কন্ট্রোল কর।তোমার সন্তানসুলভ ভালোবাসা মাতৃত্ব খুঁজে পাবে,স্বামী বেচারাও মাতৃত্বের মাঝে কাঙ্খিত ভালোবাসাটুকু খুঁজে নিবে।



হে প্রেমময়।তোরে কিছু বলবনা।তুই একটা আস্ত বেয়াদপ।পৃথিবীর সবচাইতে কঠিন বস্তু নাকি মেয়েদের মন।মেয়েদের তুই হয়ত সবই পাবি,কিন্তু যেদিন মন পাবি ভাববি তুই পৃথিবীর স্বল্পসংখ্যক ছেলেদের কোন এক দুর্লভ গ্যালারিতে নাম লিখিয়ে ফেলছিস।সুস্থ মেয়েদের কাছে মনটা অনেক বেশি দামি,যতই আমরা ভাবি না কেন কচু পাতার পানি।

এই লেখা দেখে এখন আবার আমাকে ম্যাসেজ দিস না,ভাই ডিপজল জানি এই সম্বন্ধে কি বলছিল?মু হু হা হা সুন্দরীর কোনটা যেন চাই? :D



রুপকথামাত্রই রাজারানির বিয়ে হল,অতঃপর তারা সুখে শান্তিতে দিন কাটাতে লাগল।বাস্তব অতি নির্মম।বাস্তব মূলত শুরুই হয় রুপকথার শেষ থেকে।তোদের ইতিহাস বাস্তবভিন্ন হোক।তোদের রুপকথার শুরুতেই বাস্তবের সমাপ্তিতে নিত্যনতুন ইতিহাস রচিত হোক।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:০১

বাংলার হাসান বলেছেন: দারুন হইছে। খুব চমৎকার করে সহজ ভাবে সমস্যা গুলো তুলে ধরেছেন। ও ভাল কথা চা খাইলে আসেন।

২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:০৩

সাকিব-আল-নাহিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ।একটু পরে যাব।ফোন দিব।

২| ২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:৫৫

মায়াবী ছায়া বলেছেন: অভিজ্ঞতা নেই ।তবে পড়ে অনেক মজা পেলাম ।।

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

সাকিব-আল-নাহিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ...

৩| ২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮

"চিরকুট" বলেছেন: ভালৈছে

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

সাকিব-আল-নাহিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ...

৪| ২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব সমস্যায় আছেন না?? ;) :)

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

সাকিব-আল-নাহিয়ান বলেছেন: সমস্যা ভাবলেই সমস্যা...... ;)

৫| ২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: :D :D

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৫০

সাকিব-আল-নাহিয়ান বলেছেন: :!>

৬| ২৪ শে মে, ২০১৩ ভোর ৪:৪১

খেয়া ঘাট বলেছেন: তুই পৃথিবীর স্বল্পসংখ্যক ছেলেদের কোন এক দুর্লভ গ্যালারিতে নাম লিখিয়ে ফেলছিস - বাহঃ চমৎকারতো।

২৫ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

সাকিব-আল-নাহিয়ান বলেছেন: খুবই চমৎকার...

৭| ৩১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

মায়াবতী নীলকন্ঠি বলেছেন: আপনি গ্যালারিতে নাম লিখাইসেন তো?? :-B

০৮ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৫:১১

সাকিব-আল-নাহিয়ান বলেছেন: আরে কই থেকে,আমার কি সেই যোগ্যতা আছে নাকি? :((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.