নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"তোমার জীবনের একটা বিরাট অংশ জুড়ে থাকবে তোমার কাজ, তাই জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে চমৎকার কোনো কাজ করা। আর কোনো কাজ তখনি চমৎকার হবে যখন তুমি তোমার কাজকে ভালোবাসবে। যদি এখনো তোমার ভালোবাসার কাজ খুঁজে না পাও তাহলে খুঁজতে থাকো। অন্য কোথ

সাকিব-আল-নাহিয়ান

হারিয়ে গিয়েছি এটাই শেষ খবর...

সাকিব-আল-নাহিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি লজ্জিত! আপনি?

১৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৫৩

আমাদের দেশে ক্রিকেট খেলা হয়। খেলা তো নয় যেন যুদ্ধ হয়। আমরা আমাদের সৈনিকদের আগলে রাখি। ময়দানে হাজার দিনের শক্তিসাধনার শেষ সঞ্চয়টুকু তারা অতিক্রম করে। আমরা তাদের অনুপ্রেরণার উৎস থেকে যাই। ব্যাট-বলের ধ্বংসযজ্ঞে তারা লিপ্ত। বিজিত অথবা পরাজিত। দিনশেষে আমরাও একাত্ম। উল্লাসিত,উন্মাদিত অথবা দুঃখিত,অপমানিত।



সেনাশিবিরের শ্রেষ্ঠ আগ্নেয়াস্ত্রটির নাম হাসান, সাকিব-আল-হাসান। বারুদঘরের একমুখী বিক্রিয়ায় তার আস্থা নাই। উভমুখী তার রসায়ন। ব্যাট, বল, অথবা ব্যাট-বলের দ্বিমুখী তান্ডবে তিনি প্রতিদিন প্রজ্জ্বলিত,প্রমাণিত। প্রবল প্রতিপক্ষের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তার ব্যাটের আগুনে পুড়ে নিষ্ক্রিয় হয়।ঝর্ণার মত তারা ময়দানের যত্রতত্র উড়তে থাকে। আগুনের আঁচ আমরা ঠিকই অনুভব করি। আমাদের লক্ষ কোটি চোখের তারায় আগুনগুলো প্রতিহিংসার দাবানল হয়ে জ্বলতে থাকে। আমরা কেঁপে উঠি। হুংকার দিয়ে উঠি। আমাদের বুক চিরে আজন্ম লালিত অথচ আহত স্বপ্নগুলো মুক্তি পেতে থাকে। স্বপ্নসম্ভারের প্রাচুর্যে আমাদের গলার রগচটা রগগুলো স্ফীত থেকে স্ফীততর হতে থাকে।



সময় গড়াতে থাকে। মধ্যাহ্ন শেষে গোধুলী। অতঃপর খন্ডকালীন যুদ্ধবিরতি। যুদ্ধের আঘাতে পাল্টা যুদ্ধ শুরু হয়। প্রতিপক্ষের রানের বন্যা বয়ে যায়। সেই বন্যায় সমুদ্র রচিত হয়। সমুদ্রের ঘূর্ণিতে তিনি রুখে দাঁড়ান। তার বলের ঘূর্নি,সমুদ্রের ঘূর্ণিকেও ছাপিয়ে যায়। পানিতে টুপটাপ শব্দ তুলে একে একে দানবগুলো ঝরে পরে। সাগর শান্ত হয়। আমাদের ভিতরের তোলপাড়ও শান্ত হতে থাকে। তার ব্যাট বলের বিশ্বাসে আমরা গর্বিত হই। যুদ্ধবিদ্ধস্ত এই আমরা পরাজিত হলেও প্রায়শই তার একক গৌরবে নতুনদিনের স্বপ্ন সাজাই।



ময়দানে আমাদের পাশে তার পরিবারও বসে থাকেন। আমাদের চাইতে কয়েকগুণ বেশি আশা বুকে বেঁধেই হয়তো তিনি তার প্রবাদপুরুষের ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকেন। আমাদের মাঝের কিছু বীর (!) সন্তান তখন ইতিহাস রচনা করে। যে নায়কের বলিষ্ঠ বাহুতে সমগ্র জাতি শক্তি খোঁজে, তার অর্ধাঙ্গিনীর আত্মসম্মান আকারে ইঙ্গিতে তারা ভূলুন্ঠিত করে। অশ্লীল মন্তব্য, অশ্রাব্য ভাষায় সমগ্র বিশ্বদরবারের উপস্থিতিতে নজিরবিহীন এক ঘটনার জন্ম দেয়।



প্রকৃত নায়ক, সবকিছুতেই নায়ক। প্রতিকূলতাকে সে রুখবেই। সাকিবও রুখে দাঁড়ায়। তাদের যথেচ্ছ শিক্ষাও দেয়া হয়।



সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এই ঘটনা প্রকাশ পায়। এই আমাদেরই কিছু অংশ জন্তুগুলোর সাথে একাত্ম হয়। ধর্মীয় মূল্যবোধ দিয়ে এর যৌক্তিকতা প্রমানে ব্যস্ত হয়। আমরা তাকিয়ে দেখি। আমাদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি হয়। বিচ্ছিন্ন ফাটলের দুইপার্শ্বে দাঁড়িয়ে কেউ গালি দেয়, কেউ বা দানবীয় সমর্থন যুগিয়ে যায়। কেউ অবাক হয়, কেউবা লজ্জা পায়। দিনশেষে আমাদের মাঝের নির্লজ্জ এই আমরাই কিন্তু খেলার মাঠে আবার সেই সাকিবের সমর্থনেই আকাশ পাতাল দাঁপিয়ে বেড়ায়!



দুঃখিত সাকিব-আল-হাসান।

তুমি হয়ত হবে এই বাংলাদেশের জান।

তুমিই হয়ত হবে এই বাংলাদেশের প্রাণ।

কিন্তু আমি এবং আমরা নিষ্প্রাণ।

জানহীন,প্রাণহীন...

তবুও কেন জানি গাই নতুন দিনের গান!!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.