![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যোগ্য পাত্রে সম্মান দিতে পারলে হৃদয় কোঠায় প্রশান্তির এক শীতল বাতাস বয়ে যায়। নিরবদ্য মানুষেরা তা অনুভব করতে সক্ষম হয়। সাকিব আল হাসান স্বদেশ-বিদেশে তাঁর নিজের ও মাতৃভূমির সম্মানের যে পাহাড় গড়েছে -সেটার সম্মান করতে পারলে অবশ্যই আমাদের মনেও সেরকম প্রশান্তি বয়ে যাবে। তাই তাঁর নৈপুণ্য, অর্জন ও খ্যাতির কাছে মাথা নত করি, কৃতজ্ঞতা জানাই। ক্রিকেট বিশ্বে সাকিব আজ প্রতিষ্ঠিত অলরাউন্ডার। তাই সাকিবের কাছে ভক্তদের প্রত্যাশা একেবারে আকাশসম। বাঙালির হৃদয়াকাশে সাকিব এক উদিত উজ্জ্বল নক্ষত্র। সাকিব আমাদের প্রেরণা, গর্ব ও দৃষ্টান্ত। তাই বাংলার সম্পদ সাকিবের কোন কলংক আমাদের বড় ব্যথা দেয়। কারণ জাতি তাঁকে সর্বাঙ্গসুন্দর দেখতে চায়। ভেবে দুঃখ লাগে, যাকে ঈশ্বর দু-হাত দিয়ে এত মুক্তা দিলো, সে কিনা পায়ে লাথি দিয়ে নিজেকে ফকির বানাতে চায়। অহমিকায় সাকিব যেন নিজের আচরণে নিজেকে ছাই-ভস্ম দিয়ে কালিমা লেপন করছেন। তাই পরিণতি যা হবার তাই হচ্ছে। বিসিবি এখানে একটি মাধ্যম মাত্র, আসলে যা করার বিধাতাই করছেন। কেহ, কেহ বলছেন এমন শাস্তির ফলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের বর্তমান গতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ধরে নেওয়া যায় ধারনাটি সঠিক, তবে কি খ্যাতিমানের বাহানা দিয়ে অন্যায়কে সমর্থন দিয়ে অগ্নিতে ঘৃত সংযোগ ঘটাতে হবে ? তাহলে কি সাকিবকে বলতে হবে, ভয় নেই ..চালিয়ে যাও খ্যাতিমান..তুমিতো বিচারের ঊর্দ্বে..! এমন ভাবার কারণ নেই যে, শূন্যতা পূরণ হয় না।
পেলে কিংবা ম্যারাডোনা সবাইতো গেল,
চেয়ে দেখ তদ্স্থলে, মেসি নেইমার এলো।
আকরাম সুজন গেল বটে, সাকিব ফিরে এলো,
সত্যি করে বলো বন্ধু, শূন্যতা কি রলো ?
সুতরাং কারো জন্য কিছুই ঠেকে থাকে না। বিসিবি বিতর্কের ঊর্দ্ধে নয়। তাই বলে কি, সাকিবের আচরণের ভদ্রতা, নম্রতা, সভ্যতা নিয়ে কোন কথা বলা যাবে না ? মনে রাখতে হবে, সাকিবরা এদেশকে যেমনি দিয়েছে , তেমনি দেশ কি তাদের কম দিয়েছে ? তাহলে এত দেমাক কিসের ? চিন্তা করা দরকার , সাকিবদের বিশ্ব খ্যাতি অর্জনের ক্ষেত্রে তাঁদের নিজস্ব যোগ্যতার পাশাপাশি রাষ্ট্রের ভূমিকাকে ছোট করে দেখার সুযোগ আছে কী ? বৃক্ষ হতে কতই না সবুজ পাতাও নানা কারণে ঝরে পড়ে, শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে যায়, যা কেউ খোঁজও রাখে না। এক্ষেত্রে সাকিবরা ভাগ্যবান যে, তাদের নিজেদের যোগ্যতা আর এ গরিব দেশের পৃষ্ঠপোষকতায় চির সবুজই রয়েছে, বিবর্ণ হয়নি। সব কিছুকেই ভাবাবেগে কান্নাকাটি কিংবা রাজনৈতিক কূট কৌশলে বিচার করলে চলবে কেন ? গরম-গরম আবেগে শাস্তির পরিমাণটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। আমি বলি এমন একটা চাপের প্রয়োজন ছিল। এত কিছুর পরেও সাকিব কি আত্মগ্লানির নরক অনলে দাহিত হয়ে প্রকাশ্যে কোথাও বলেছে যে, আমি লজ্জ্বিত, অনুতপ্ত কিংবা দুঃখিত ? এমনটা হলে বলা যেত বিসিবি বি-মাতৃসুলভ আচরণ করেছে। আমরা সাকিব ভক্তরা চাই , সে বিনীত ভাবে অকপটে দুঃখ প্রকাশ করুক। তবেই না, আমরাও বিসিবি কিংবা সরকারকে বিভিন্ন ভাবে জানাতে পারব যে, সাকিবের বিচারের পরিমাণটি যৌক্তিক হয়নি। দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে এত শাস্তি প্রত্যাহার করুন....ইত্যাদি। আশা করি সাকিবের বোধোদয়ে পাষাণ বিসিবির কঠিন পাথর গলবে। আর আমরাও প্রীতি আর প্রেমের পুন্য বাঁধনে মনের হরষে ক্রিকেটে সাকিবকে ফিরে পেয়ে আলিঙ্গনে আবারো মেতে উঠতে পারব।
©somewhere in net ltd.