নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

১০০ টাকা ঋণ নাও! ৭৫ টাকা খরচ করতে হবে আমার দোকানেই!পরে সুদ সহ আসলতো ফিরত দিতেই হবে!!! কি মহান বন্ধু্তা! নয়?

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

হ্যা!

ঠিক এইরকমই বন্ধুত্বের জালে ফেসেছি আমরা!

সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে ভারত বাংলাদেশকে ২০০ কোটি ডলার ঋণ প্রদানের ঘোষণা দেয়। তবে ভারত যে ঋণ দিতে চাচ্ছে, কঠিন শর্তের বেড়াজালে তার সিংহভাগই আবার ফিরে যাবে ভারতে। এছাড়া এই ঋণের আওতায় গৃহীত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করবে ভারতীয় কোম্পানি, নিয়োগ করা হবে ভারতীয় জনবল। !!

বিস্তারিত খবরটি পড়ুন!

কঠিন শর্ত: ঋণের ৭৫ শতাংশই যাবে ভারতে

২০০ কোটি ডলারের এই ঋণ প্রস্তাবে রয়েছে শর্তের বেড়াজাল। এ ঋণে যে প্রকল্পই নেওয়া হবে, ওই প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ অর্থ খরচ করতে হবে ভারত থেকে মালামাল এনে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতের এ শর্ত পূরণ করতে হলে নির্মাণকাজের সামগ্রী থেকে শুরু করে পরামর্শকও ভারত থেকে আনতে হবে।
এর আগেও ভারতের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই চুক্তির অর্থ ব্যবহারের শর্ত কিছুটা নমনীয় ছিল। তাতে ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে ৬৫ শতাংশ এবং অন্য প্রকল্পে ৭৫ শতাংশ কেনাকাটা ভারত থেকে করার শর্ত ছিল।

সমঝোতা চুক্তির সময় বলা হয়েছিল, দ্বিতীয় পর্যায়ের এই সহায়তার শর্ত আগের মতোই থাকবে। তবে ভারতীয় পক্ষ থেকে এখন জানানো হয়েছে, এবারের ঋণের আওতায় নেওয়া যে কোনো প্রকল্পে ৭৫ শতাংশ কেনাকাটাই ভারত থেকে করতে হবে। আর প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিতে হবে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো দেশের প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নিতে পারবে না।

এদিকে প্রথমবারের ঋণের আওতায় এ ধরনের শর্তের কারণে বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

এ ঋণ প্রস্তাব সম্পর্কে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রথম এলওসিতে কেনাকাটার শর্তের কারণে বেশ কিছু কাক্সিক্ষত প্রকল্প নেওয়া সম্ভব হয়নি। গতবার প্রথমে শর্ত ছিল যে ৮০ শতাংশ কেনাকাটা ভারত থেকে করতে হবে, পরে তা কমিয়ে ৬৫ শতাংশ করা হয়।

এমতাবস্থায় নতুন ২০০ কোটি ডলার ভারতীয় ঋণের আওতায় গৃহীত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় অনকেটাই থেকে যাচ্ছে। -

====
অথচ বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ ছাড়াও অন্যান্য দাতা দেশে এরচে অনেক কম সুদে ঋণ দিতে আগ্রহী হলেও এইরকম শর্তে এভং তাদের চেয়ে বেশি সুদে ঋণ নেয়ার মানে কি হতে পারে?
যে কোন শর্ত চুক্তিতে এটলিষ্ট নিজের পুরো লাভ না হলেও দুই পক্ষেরই উইন উইন সিচুয়েশন থাকতে হয়! অথচ এখানে কেবলই দিয়ে যাওয়া! এইরকম অসম লাভের চুক্তি দেশের এবং জনতার জন্য ক্ষতিকর! কারণ দিন শেষে আমজনতাকেই রক্ত পানি করা পয়সা দিয়ে পাই পাই করে ঋণ শোধ করতে হবে!

এইরকম দেশ এবং জনস্বার্থ বিরোধী চুক্তি বাস্তবায়নের আগে শতবার চিন্তা করা উচিত!

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা তেমন কিছু না হলে, এই শর্তযুক্ত ঋণ-ও তেমন কিছু না!

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাদের আচরণেতো তাই মনে হচ্ছে!!!

আর ঋণ আর লুটপাটের কমিশের ভাগ খেয়ে তারাতো চলে যাবে- যেমন আগে পড়ে গেছে- আমজনতার কপালে রয়ে যাবে সুদ সমেত!

হায়! এই লুটপাট আর কিছু সুবিধাভোগী শ্রেণীর জন্যই কি তবে স্বাধীনতা!
পাকি ২২ পরিবারের শোষনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ছিল অর্থনৈতিক শোষন মুক্তির.. আশা ছিল আমজনতার সকলের উন্নতির স্বপ্নে!!
আজ ২২ হাজারের পরিবারের ( মূলত - ২পরিবারের) শোষনে চাপা পড়ে আছে ১৬ কোটির ভাগ্য!!!!!!

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:

দেখেন, আর কোন বন্ধু ২ বিলিয়ন ডলার কোন শর্তে বাংলাদেশকে ঋণ দেয়।

আপনাদের গুরু পাকিস্তান তো জালটাকা পাঠায় বাংলাদেশে।

আজকালকার ফাইন্যান্স বুঝতে পারবেন না; ভারত নিজেই টাকা খুঁজে বেড়াচ্ছে; বিদেশে ১ কোটী কাজ করে বছরে ১৬ বিলয়ন ডলার "নিজেদের পরিবারের" কাছে পাঠায়।

২ বিলিয়ন ডালর বড় ধরণের টাকা, বিনাশর্তে "বাংলাদেশ"কে কেহ দিতে পারবে না।
এগুলো যাকাত নয়।

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি শুরুতেই অন্ধ ভারতপ্রীতি দেখালেন। আপনার সাথে তর্ক করা যায়- আলোচনা নয়। আইএমএফ জাইকা সহ বহু দাতা সংস্থার রেট .৫০ বা ০.০৫০ ১ টাকা যেখানে সেকানে ভারতের ঋণের সুদের হার অবগত আছেন কি?

আবার ৭৫% তারই কাছ থেকে বাধ্যতামূলক ক্রয় মান যাই হোকনা কেন!!! এটাকি গ্রহণযোগ্য শর্ত?
লোকবল পরামর্শক আমার দেশের কাজে আমার লোক নয়- থাকবে তাদের লোক!! তাদের লোকতো নিশ্চয়ই আমার স্বার্থ দেখবে না। দেখবে তাদের দেশের তাদের কোম্পানীর স্বার্থ!

এটা বুঝতে কি বিশেষজ্ঞ হওয়া লাগে নাকি! শুধু এক চোখা হলে অন্য কথা!
এটা যাকাত কোথাও বলা হয় নি! হয়েছে কি? গুড ফর নাথিং কিছু বলে কু-তর্ক বাড়াল তাতে জ্ঞানের প্রকাশ থাকে না।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩১

এই আমি সেই আমি বলেছেন: আপনি কিন্তু আপনার পকেটের টাকা দিয়েও ভারত থেকেই জিনিষ কিনেন।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেটা আমার চাহিদা এবং প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে। এটা আর ব্যাক্তিগত কেনা কি এক হল?

যেখানে আন্তর্জাতিন ঋন বাজারে এরচে কম সুদে ঋন পাওয়া যায় সেখানে এইরকম নাকখত দেয়া ঋণের কি প্রয়োজন????????
?

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধান্দা, পার গান্দা হ্যায় ইয়ে... ;)

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বহুই গান্ধা!!!! . ;)

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আইএমএফ, জাইকা, বিশ্ব ব্যাংক টাকা দেয় সুনিদিস্ট প্রজেক্টের অধীনে, এবং সেইগুলো ওদের সাথে করা প্রজেক্ট।

ভারতের সাথে ইনফ্রাস্ট্রাকচারের জন্য বিশ্ব ব্যাংক টাকা দেবে না। আইএমএফ কি ধরণের প্রজেক্টে টাকা দেয়, মোটামুটি টাকা দেয় ঘাটতি কমায়ে, টাকার মান ঠিক রাখতে; ফলে, সুদের কথা বলে লাভ নেই; যেখানে এ ধরণের প্রজেক্টের জন্য ওরা টাকাই দেবে না। জাইকা দেবে ভারতের সাথে রেল যোগাযোগে?

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভারতের সাথৈ রেল যোগাযোগ ভারতের স্বার্থে তাদের প্রয়োজন। আমাদের তো নয়। আর এখানেইতো বার্গেনিং পয়েন্ট! তোমার দরকারে তুমি ট্রানজিট নিবা আমার সর্বোচ্চ সুবিধা এবং স্বার্থ আদায়ের এইতো সুযোগ!

কিন্তু কে করবে? দেশপ্রেমিক কই? সব দালালেরা সুর তুলেছিল ট্রানজিট দিলে লাভের টাকায় দেশ সিঙগাপুর হয়ে যাবে! অথচ ২/৩ বছর পর যখন দেখা গেল উল্টো এই দেশের নদী মরে গেছে , রাস্তা ভেঙ্গে গেছে লাভের ঘরতো বাদই- তারা বলা শুরু করলো ট্রানজিট ফি চাওয়া নাকি অসভ্যতা!!!!
এতটা দেশদ্রোহীতা! এতটা দালালী! এতটা বেঈমানী দেশের বিরুদ্ধে!!!!!!!!!!!!!!!!!

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: শুধু ভারতের উপরে ক্ষেপে কাজ কি? আমাদের যেসব আত্মমর্যাদাহীন, দাস মনোবৃত্তির দেশপ্রেমহীন, অদক্ষ মন্ত্রী, সচিবেরা চুক্তিগুলো স্বাক্ষর করেছে তাদেরতো আমরা কিছু বলার স্পর্ধা রাখি না! জড়বুদ্ধি জনগণের জন্য বিটকেলে সরকারই কপাল...

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভারতের উপরে ক্ষেপি না। ক্ষেপি আমাদের যেসব আত্মমর্যাদাহীন, দাস মনোবৃত্তির দেশপ্রেমহীন, অদক্ষ মন্ত্রী, সচিবেরা চুক্তিগুলো স্বাক্ষর করেছে তাদের উপর। আর যেসব মিডিয়া বিজ্ঞাপনে দেশপ্রেমের গলাবাজি করে অথচ দেশের এইরকম স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিয়ষগুলো নিয়ে কোন জনমত গঠনের সংবাদ করে না- তাদের উপর!!!
আমরা কিছু বলার স্পর্ধা রাখি না! সত্য। কিন্তু প্রতিবাদে তথ্যটাতো জানাতে এবং আলোচনা করতে পারি!!! নাকি?

জড়বুদ্ধি জনগণের জন্য বিটকেলে সরকারই কপাল... +++

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০৯

গরু গুরু বলেছেন: না না কিযে বলেন ভাই। বন্ধু বলে কথা।।।।।।।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেইতো দেকচি!!!

বন্দ্বতার ঋণ শোধ করতে গিয়ে পারলে বুঝি দেশটাই দিয়ে দেয়!

এমন অসম চুক্তি আর দাসত্ব চুক্তি বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো হয়নি! খোদ বঙ্গবন্ধুও করেন নি!

অথচ এখন স্রেফ চেয়ারের জন্য সবই করছে!!!!!

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

গরু গুরু বলেছেন: ছি ছি,, অসব বলতে নাই। বন্ধুর মনে আঘাত দিলে ভগবান (ভারত মাতা) মাইণ্ড করবেন।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ত বটে তা বটে!!!

ওত্ত বছর গো মাতা বেইচে দেশের রাজ্স্ব আয় রফতানি আয় বাড়িয়েছে!! ইদানিং আবার রফতানি বন্ধ করছে! মুসলমানদের ইবাদতের, কোরবানীর মৌলিক বিষয়গুলোতে ক্রমেই বাঁধা প্রাকশ্যে দৃশ্যমান হচ্ছে ঐ দেশে! দেখা যাক সামনে কি হয়!!!!

আত্ম পরিচয় ভুলে তাদের হাজার চেষ্টা করলেও তারা তুষ্ঠ হবে না। আল।লাহতো বলেছেনই- তারা ততক্ষন সন্তুষ্ঠা হবে না যতক্ষননা তোমরা বিশ্বাস বদলে তাদের মতো হয়ে যাও!!
সুতরাং সুশীলীয় প্রচেষ্ঠা অর্থহীন বৈতো নয়! আত্ম পরিচয়ে বলীয়ান হয়েই চলতে হবে।

৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯

গরু গুরু বলেছেন: ভাইরে চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী...

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেকি আর বলতে!

ধন্যবাদ !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.