নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ ! রেহাই নেই। তবু এ কথা সকল খুনি ও খুনের প্রশ্রয়দাতাদের জেনে রাখা ভালো, সকলকেই খুব শিগগির একই জায়গায় যেতে হবে!!

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

আমার প্রিয় একজন কবি! শুধূ কবিনা ভাবুক, দার্শনিক যার জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা আমাকে নিত্য বিমোহিত করে..

সাম্প্রতকি নিলয় হত্যাকান্ড নিয়ে তাঁর এফবি ষ্ট্যাটাসটি খুবই মনে ধরল! তাই সকলের জন্য শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না।

জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ

মাত্র তিন মাসের মাথায় নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নামে আরেকজন ব্লগার নিহত হলেন। এর আগের বার পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগে ক্ষোভ ও কষ্টের দু’একটা স্ট্যাটাস চোখে পড়ত; এবার সেটি বন্ধ হয়ে গেছে; তার জায়গা দখল করেছে ওলামালীগ আর বিশ্বহিন্দু পরিষদ; তাদের বক্তব্যের সারমর্ম, এই নাস্তিক হত্যার বৈধতা রয়েছে; কেন্দ্র থেকেও নাস্তিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে; এমনকি পুলিশের পক্ষ থেকেও; অর্থাৎ বলা যায়, কেউ আর এই হত্যার দায়িত্ব নিতে বাধ্য নয়; এটি এখন গণপিটুনির হত্যায় শামিল হতে যাচ্ছে।

এতদিন কোনো ব্লগার খুন হলে বলা হতো, আনসারুল্লাহ না কারা যেন দায় স্বীকার করেছে; এখন প্রকাশ্যেই বেশ কটাগ্রুপের দায় স্বীকার করতে পারবে; কারণ এক আল্লাহর সেবকদের সঙ্গে এখন ভগবানের সেবকরাও যোগ দিয়েছে। ফলে যাদের আল্লাহ বা ভগবান নাই, তারা এখন মালিকবিহীন শিকারি প্রাণিতে পরিণত হয়েছে।

এতকাল এরা রাজাকার নিধনের নামে গড়পড়তা দাড়ি টুপিওয়ালা দমন করেছে; এখন বাকি সেই ব্লগাররা, আর ঠেকাই কে! এই দুই পক্ষই তো কেল্লা আর ব্লগার নামে মুখোমুখী টিকে ছিল। আমাদের কয়েকজন লেখক, সুশীল, বুদ্ধিজীবী এতদিন কেল্লার বিরুদ্ধে তাদের উৎসাহ দিয়ে আসছিলেন, এখন কারো টিকিটি দেখা যাচ্ছে না। অথচ এসব ব্লগারের কীর্তি কি এতদিনে কারো পোয়াবারো করে নাই! কে যে এখন কাকে মারবে, ধোলাই অন্ধকার। অনেকটা আখের খেতে কৃষকের চোর দমনের মতো; কৃষক দেখলো, এক হিন্দু আর এক মুসলমান মিলে তার খেতে আখ চুরি করছে, সে ভাবল সে তো একা, দুজনকে দমন করতে পারবে না; তাই সে কৌশল হিসাবে মুসলমান চোরকে বলল, তুমি মুসলমান তুমি আমার খেতের আখ খেতেই পার, কিন্তু ওই শালা কেন খাবে, চল দুজনে মিলে ওকে শায়েস্তা করি; দুজন মিলে হিন্দুকে শেষ করার পরে, এবার বলল, তুই শালা চোর তোকে আমি একাই শেষ করতে পারব। দীর্ঘদিন জামায়াত বা তথাকথিত উগ্রপন্থীরা মাঠে না থাকায়, বামপন্থীদের একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল; কিন্তু তাদের নেতারা কেউ কেউ এখন টুপি মাথায় দিয়ে মদিনা সনদের ব্যাখ্যা করছেন; আর যে সব সঘোষিত কর্মী রাখালবিহীন ভেড়ার পালের মতো একা একা মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছিল; তাদের একে একে বাঘে ধরে খাচ্ছে; কিন্তু তাদের নেতারা যেন ভুলে না যায়, এতে তাদের শেষরক্ষা হবে!
নীলাদ্রি হত্যাতে বিশ্বহিন্দু পরিষদ নামের একটি সংগঠন সামাজিক যোগাযোগের স্ট্যাটাসে বলেছে, আসুন আমরা এই শয়তানটার আইডির বারোটা বাজায়, কি হিংস্র! বিচার না-হয় না-ই হলো, একজন অপঘাতে নিহত ব্যক্তির প্রতি সাধারণ সম্মান দেখানোর সংস্কৃতিও কি এদেশের হায়েনারা ভুলতে বসেছে। এরাই তো বাবরি মসজিদ ধ্বংস কিংবা গুজরাট হত্যার নেতৃত্ব দেয়; আবার ওলামালীগ যারা নাস্তিকদের ধরে ফাঁসি দিতে চায়, তারাই তো একাত্তরে গণহত্যাতে অংশ নেয়। কারণ তাদের সঙ্গে তো কোনো জনগণ নাই; এমনকি যে দলের নামে সাহায্যকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, তারাও তাদের প্রকাশ্যে স্বীকার করে না; আর ঘাপটি মারা দানবরা তাদের দুধকলা দিয়ে পুষতে থাকে; আবার কেউ প্রকাশ্যে তাদের দায়িত্ব নিতে নারাজ।

তারা জানে আল্লাহর দুনিয়ায় কেউ আস্তিক বা নাস্তিক হলে আল্লাহর বড়ত্ব ও মাহাত্ম্য ক্ষণ্ন হয় না; সবই তার মমতার সৃষ্টি; কিন্তু দুনিয়ায় যারা তাঁর নামে মসনদ দখল করতে চায় তাদের কিছু এসে যায়।
বিশ্বাসীরা ঠিকই জানে, মানুষকে হত্যা করলেও তার চূড়ান্ত অস্তিত্ব মহান প্রভুর সান্নিধ্যে থেকে যায়; তিনি নিঃসন্দেহে দুনিয়ার ধান্দাবাজ নেতাদের মতো খুনিদের পক্ষতলে আশ্রয় দেবেন না; যে খুন হয়েছে আর যে খুন করেছে তাদের উভয়কে আল্লাহর সান্নিধ্যে দাঁড়াতে হবে; সেদিন এই খুনের কৈফিয়ত ঠিকই খুনিকে দিতে হবে; আল্লাহর নামে খুন করলেই আল্লাহ খুশি হন না; বরং যে সব নেতা এই সব খুনের নেপথ্যে থাকে তারা খুশি হতে পারে। আমাদের যদিও জানা হয়ে গেছে, ডাঙায় বাঘ, জলে কুমির; রেহাই নেই। তবু এ কথা সকল খুনি ও খুনের প্রশ্রয়দাতাদের জেনে রাখা ভালো, সকলকেই খুব শিগগির একই জায়গায় যেতে হবে।

সূত্র :মজিদ মাহমুদ

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩

লেখোয়াড়. বলেছেন:
আবার কি হলো বিদ্রোহী?

তবে এ লেখাটি নিয়ে কি বলবো বুঝতে পারছি না।

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হচ্ছেতো কত কিছুই! আমরা কেমন নিস্পৃহতায় আর দলবৃত্তে বসেই মূল্যায়ন করছি সবাই!
সামগ্রীকতায় লোক খুবই কম!

লেখাটা সামগ্রিকতাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছে!

২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪

৩ তারকা বলেছেন: অসাধারন

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।

প্রিয় কবিকে পৌছে দেব!

৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০৯

হোৎকা বলেছেন: আহামরি কিছু না

১২ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তা মনে হেতই পারে।

আমার যেটা মনে হয়েছে- যে সার্বজনিন বোধ মানুষকে উগ্রতা থেকে বিরত রাখে - সেই চিরন্তের কাছে প্রত্যার্বতনের মৌলিক মেসেজটা আছে- "এ কথা সকল খুনি ও খুনের প্রশ্রয়দাতাদের জেনে রাখা ভালো, সকলকেই খুব শিগগির একই জায়গায় যেতে হবে।"
যা ব্যাপক অর্থবোধক বটে।

ধন্যবাদ।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: শেষে যে ম্যাসেজটা দিছেন তবু এ কথা সকল খুনি ও খুনের প্রশ্রয়দাতাদের জেনে রাখা ভালো, সকলকেই খুব শিগগির একই জায়গায় যেতে হবে। এটাই বাস্তবতা আর এই বাস্তবতাতুকই অনেকে বুঝেও যেন না বুঝার অভিনয় করে । ধন্যবাদ

১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ! টিউনটা টাচ করেছেন বলে।

--- আর এই বাস্তবতাতুকই অনেকে বুঝেও যেন না বুঝার অভিনয় করে । সহমত।

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: যাদের আল্লাহ বা ভগবান নাই, তারা এখন মালিকবিহীন শিকারি প্রাণিতে পরিণত হয়েছে। .......... সত্যিই একটি স্বাধীন দেশে এমনটি ভাবতে অবাক লাগে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবাক হলে সত্য। তরেচে বড় সত্য যেই জঙ্গি জঙ্গি নিয়ে এত চিৎকার হৈচৈ...

আগে গোড়াতে দেখেছি- সেই গড ফাদার গংয়ের গোড়া নানকের দুলাভাই!!!!!!!!
এইবারও অপার বিস্ময়ে দেখছি নীল হথ্যার আসামী তালিকায় সেই ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনে সম্পৃক্ত ব্যক্তি মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীদের ভাতিজা!!!

অথচ তারাই তারস্বরে চেচােচ্ছ দেশ জঙ্গি হয়ে গেল.. মাদ্রাস মক্তব পারলে এক ফুয়ে বন্ধ করে দেয়!
অথচ কথিত শত্রু দেখি তাদেরই আঁচল তলে! আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে বেড়ে উঠছে!!!

ঘোলা জরে মাছ শিকারের ব।রেম গেম আর গোয়েবলষীয় গেম বন্ধ না করলে সামনে আরও বড় বিপদই বোধকরি!

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:২৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: লেখাটা ভালো বোধগম্য হলো না। নিজের ভাষায় লিখলেই আপনি ভালো করতেন। ভালো থাকবেন।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দু:খিত।

হয়তো নিজের মতো করে লেখায় তা ভিন্নমাত্রা পেত। মূল মেসেজটাতো বুঝেছেন- নিহত আর হত্যাকারীকেতো একই স্থানে ফিরে যেতে হবে। তবে কেন মিছে হানাহানি! এই আর কি!

৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: সাদা মনের মানুষের সাথে সহমত।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।

সত্যিই ভাবতে অবাক লাগে!!!! ভিন্নমতের দলনের কত ভিন্ন ভিন্ন রুপ!!!
প্রবীর শিকদার, শওকত শাহমুদকেও জেলে যেতে হয়!!!!

এখন এখানে চাই কেবলই তোষামুদি.. কেবলই আনুগত্যের নামে মেরুদন্ডহীন কেঁচোর মতো বেঁচে থাকা!! দু:খজনক!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.