নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাকযুদ্ধ! সরকারের ত্রিশঙ্কু অবস্থা!!! জাতীয় ইতিহাসের শূন্যস্থান পূরণ!!!!!!!!!!!!!!!!!

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১

অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ, বক্তব্য পাল্টা বক্তব্যে অস্থির ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কথন-অতিকথনে ফের আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে বিতর্কের ঝড় বইছে। শুধু বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থায় নয়, অতীত ইতিহাস টেনে এনেছেন তারা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিজ দলের উপদেষ্টা, এমনকি ১৪-দলীয় জোটের শরিক দল জাসদের সঙ্গেও চলছে তুমুল বিতর্ক। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ক্রসফায়ার ইস্যুতে মন্ত্রী ও নেতারা পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। নেমেছেন বাগ্যুদ্ধে।

চলুন বাক-যুদ্ধগুলো পড়ে নিই আগে...


বঙ্গবন্ধু হত্যা নিয়ে শেখ সেলিম ও কে এম সফিউল্লাহ বাহাস : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ত্রিমুখী বাগ্যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই নেতা পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করেছেন। ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শোক দিবসের এক আলোচনায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কে এম সফিউল্লাহকে ‘ইডিয়েট’ ও ‘বেয়াদব’ বলে আখ্যায়িত করেছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেছেন, ‘ওই যে একটা ইডিয়েট সফিউল্লাহ, মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে। আর্মি চিফ ছিল। মণি ভাই মারা যাওয়ার দেড়-দুই ঘণ্টার পর বঙ্গবন্ধু মারা গেলেন। কেউ বলে ৬টা ৪৭ মিনিট। বঙ্গবন্ধু সবার কাছে ফোন দিয়েছেন। কর্নেল শাফায়াত ছুটে আসছিল। আর উনি (কে এম সফিউল্লাহ) বসে বুড়ো আঙুল চুষছেন?’
শেখ সেলিম বলেন, ‘এটা তো কোনো সেনা অভ্যুত্থান ছিল না। বিপথগামী সেনা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনারা এটা করেছিল। যখন তারা অস্ত্র নেয়, তখনই তাদের কোর্ট মার্শাল হওয়া উচিত ছিল। উনি (সফিউল্লাহ) এগিয়ে আসলেন না। কেন ওই দিন বঙ্গবন্ধুর বাসার দিকে শাফায়াত জামিলকে সঙ্গে নিয়ে পাঁচখানা, দশখানা ট্রাক আসেনি। কিসের জন্য সফিউল্লাহ নীরব ছিলেন?’
কে এম সফিউল্লাহকে উদ্দেশ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘উনি বঙ্গবন্ধুকে বলেছেন, আপনি একটু বাসা থেকে বেরিয়ে যাইতে পারেন না?’ প্রশ্ন রেখে শেখ সেলিম বলেন, ‘ক্যান, তুমি আসতে পারলা না? তখন তো তুমি আর্মি চিফ ছিলা।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ৬টার পরে মারা গেলেন আর সফিউল্লাহ রেডিও স্টেশনে গিয়ে বিপথগামী সৈনিকদের সঙ্গে গেল। সে কেন অর্ডার দিল না, যারা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হয়ে গেছে, তারা আর ঢুকতে পারবে না। এরা ক্যান্টনমেন্টে ঢুকলে এদের অ্যারেস্ট করা হোক। অ্যারেস্ট করা হলো না। ডালিম গেল, নূর গেল, এরা কিন্তু সবাই অবসরপ্রাপ্ত। ওইখানে গিয়ে তাকে (সফিউল্লাহ) নিয়ে আসল। সে বলল, খুনি মোশতাক সরকারের প্রতি সে আনুগত্য স্বীকার করবে। কিন্তু রক্তের সঙ্গে যারা বেইমানি করছে তারা কখনো ভালো থাকতে পারে নাই।’
এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে কে এম সফিউল্লাহ বলেন, ‘খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে শেখ সেলিমের আঁতাত ছিল।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে বঙ্গবন্ধু ফোন করেন নাই। আমি সোয়া ৫টার দিকে জানতে পারি। সঙ্গে সঙ্গেই আমি তাকে ফোন করি। ওই সময় সাধারণত ট্যাঙ্কগুলো মাসে দুবার নাইট ট্রেনিং করত। ঠিক ১৫ তারিখই নাইট ট্রেনিং ছিল। ওই ট্রেনিংয়ের জন্য তারা দেখিয়ে বেরিয়েছে, যাতে কারও মনে কোনো সন্দেহ না আসে। আমি যখন জানতে পেরেছি, তখন আমার করার কিছু ছিল না। সেখানে গিয়ে মৃতদেহ দেখে লাভ কী হতো। আমি যদি সেদিন মারা যেতাম তাহলে লাভ কী হতো!’ তিনি বলেন, ‘সেলিম কী বলে আই ডোন্ট কেয়ার। আমি তো মনে করি খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে শেখ সেলিমেরও আঁতাত ছিল। নইলে সে কেন ১৫ তারিখ আমেরিকান অ্যাম্বাসিতে গিয়েছিল। ১৫ আগস্ট আমার কোনো ভুল ছিল না। সেদিন যা হয়েছে আমার কোনো করণীয় ছিল না। ওই সময় যদি সেনাবাহিনী ধাওয়া করে সেনানিবাসের দিকে ঢুকত, প্রতিরোধ করতে পারত কেউ? কথা ঠিকই বলা যায়, তবে কাজের কাজ কিছুই হতো না।’



ক্রসফায়ার ইস্যুতে তুমুল বিতর্ক : বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ার নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য। হাজারীবাগ ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম আরজুকে ক্রসফায়ার দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। এটিকে ‘হত্যাকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন তিনি। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আরজু নিরীহ-নিরপরাধ ছেলে। তাকে র‌্যাব ধরে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলেছে। ওখানে সেদিন যে ছেলেটা (রাজা) মারা গেছে, তার পরিবারই বলছে সে মাদকাসক্ত। সে চুরি করেছে। তাকে হয়তোবা লোকজন একটু মারধর করেছে। পরে তার (রাজার) আÍীয় শামীমই তাকে বেশি মারধর করেছে। শামীম বুকের ওপর এমনভাবে ছেলেটাকে মেরেছে যে পরে সে মারা গেছে। ওটা একটা দুর্ঘটনা। আমরা এ জন্য দুঃখিত। এখানে আরজুর কোনো অপরাধ থাকলে তার জন্য আইন ছিল। বিচার হতো। কিন্তু এ রকম একটা ছেলে, যার কোনো ব্যাড রেকর্ড নাই, কোনো মামলা-জিডি পর্যন্ত নাই, সেই ছেলেটাকে ধরে নিয়ে গিয়ে সকালবেলায় মেরে দিল। এটা কোনো কথা হতে পারে! এটা তো কোনো যৌক্তিক ঘটনা হতে পারে না।’ এটিকে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হিসেবে র‌্যাব যে দাবি করছে, সে বিষয়ে এমপি তাপস বলেন, ‘এটা (বন্দুকযুদ্ধ) একটা তথাকথিত গৎবাঁধা কথা। এর কোনো মানে হয় না। এটা বিশ্বাসযোগ্যও না। এ রকম একটা নিরীহ ছেলের মৃত্যু আমি কোনোভাবে মেনে নিতে পারছি না। আমি এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। প্রতিবাদ জানিয়েছে সবাই। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি তো মনে করি, এটা নারায়ণগঞ্জে যে রকম একটা ঘটনা (সাত খুন) ঘটেছিল তার পুনরাবৃত্তি ছাড়া কিছু না।’ তবে এ নিয়ে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে ‘কথিত’ বন্দুকযুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতা নিহত হওয়ায় সরকার সমর্থকদের ক্ষোভ প্রকাশের প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় না দেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী আগেই দিয়েছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মেসেজ আগেই দিয়েছেন। অপরাধী যে কেউ হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা কাউকে ছাড় দেব না। সে ছাত্রলীগ করুক, ছাত্রদল করুক বা অন্য দল করুক।’ সাম্প্রতিক ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনাগুলো তারই প্রতিফলন কি না, জানতে চাইলে কামাল বলেন, ‘যেটা দেখছেন এটা তার অ্যাকশন আমি বলব না। কয়েকটা বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। সে বন্দুকযুদ্ধে কয়েকজন মারা গেছে। আমরা কোনো সন্ত্রাসীকে ছাড় দেব না।’ এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এরা ক্রসফায়ারের শিকার হচ্ছে এটা সঠিক না। র‌্যাব বলছে এবং পুলিশ বলছে, এগুলো বন্দুকযুদ্ধ।’ এদিকে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছাত্রলীগের দুই নেতা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনায় বলেন, ‘সমস্ত সংকটের সমাধান ক্রসফায়ারে নয়। ছাত্রলীগকে সাবধান করতে হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শবান করতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে আর ছাত্রলীগকে ক্রসফায়ারে মারবে, এটা কাম্য নয়।’

জাসদ নিয়ে সমালোচনা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে শরিক দল জাসদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে বাগ্যুদ্ধ চলছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পথ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) পরিষ্কার করে দিয়েছিল দাবি করে বলে দাবি করেছেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেদিন মারা যান, সেদিন কর্নেল তাহের রেডিও স্টেশনে যায়। জাসদের গণবাহিনীর প্রধান ছিলেন কর্নেল তাহের। একটা সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে সে গণবাহিনী করেছিল। যাকে বঙ্গবন্ধু সহানুভূতিশীল হয়ে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান বানাইছিল, সেও ওই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল। পরবর্তীতে তো দেখেছিলেন ক্ষমতার ভাগাভাগিতে তাহেরের কী হয়েছিল।’ শেখ সেলিম বলেন, ‘জাসদই বঙ্গবন্ধুর হত্যার পথ পরিষ্কার করে দিয়েছিল। এই মুক্তিযুদ্ধের নামধারী জাসদ। কী বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র, কী বিপ্লব ঘটাবে। যেহেতু জাসদের কর্মীরা জেববাহিনী, মুক্তিবাহিনী, গণবাহিনীতে ছিল। স্বাধীনতাবিরোধীরা কখনো বঙ্গবন্ধুর ওপর আঘাত হানতে পারত না, যদি এই গণবাহিনী, জাসদ বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা করে বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করে, মানুষ হত্যা করে, এমপি মেরে পরিবেশ সৃষ্টি না করত। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর হত্যার মূল রহস্য বের করতে হবে, কারা কারা জড়িত ছিল।’ এ নিয়ে জাসদের পক্ষ থেকে পাল্টা বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈনউদ্দিন খান বাদল ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়ার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন ‘অভিন্ন ভাষায়’ জাসদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। এই ‘অভিন্ন ভাষার’ যোগসূত্র কী সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছে দলটি। জাসদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার দীর্ঘ তদন্ত, তদন্ত শেষে আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্র, সাক্ষীদের জেরা, আদালতের রায় ও পর্যবেক্ষণের কোথাও বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জাসদের সংশ্লিষ্টতার সামান্যতম বিষয় আসেনি। এর পরও শেখ সেলিম যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা শুধু সত্যের অপলাপই নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে জনগণ ও ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর খুনি গোষ্ঠীর ও খুনের সুফলভোগী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম করছে, তখন শেখ সেলিমের এ বক্তব্য ঐক্যের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং শত্রু পক্ষের হাতকে শক্তিশালী করবে।’ এদিকে গতকাল রাজধানীর জিরো পয়েন্টে জাসদ কার্যালয়ের সামনে দলের এক সমাবেশে জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের জঙ্গি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জানবাজি লড়াই চলছে। আমরা সেই লড়াইকে বিজয়ের শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছি; মাঝখানে দলবাজ, দখলবাজদের উৎপাত শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে দলবাজের কোনো স্থান নেই।’ হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘যখন আমরা জঙ্গিবাদ নির্মূল করে যাচ্ছি তখন একটি মহল তা বন্ধ করতে চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তবে আমরা তা বরদাস্ত করব না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা জঙ্গিবাদ দমন করব।’ ‘সন্ত্রাস, নাশকতা, দুর্নীতি, দখলবাজি বন্ধ করো, সুশাসন কায়েম করো’ স্লোগানে এ সমাবেশে ইনু আরও বলেন, ‘সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, এমন কিছু আমরা হতে দেব না। এসব দলবাজ, দখলবাজদের উৎপাত আমরা সহ্য করব না।’ বামরাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল দাবি করে শেখ সেলিমের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ গতকাল আজিমপুর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ছাত্রলীগ আয়োজিত শোকসভায় বলেন, ‘জাসদ-ন্যাপসহ যারা বাম রাজনীতি করত ’৭২-৭৫-এ, তারা বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরোধিতা করেছিল। কেন করেছিল? তারাই ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবে। তাদের ঔদ্ধত্য এমন পর্যায়ে ছিল, একটা সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য যা যা করণীয়, তারা তা-ই করেছিল। জাতির পিতা হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল ওই সময়ের বাম সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা।’ জাসদের নাম উল্লেখ না করে হানিফ বলেন, ‘আজকে আমাদের নেতা শেখ সেলিমের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে বিএনপির বক্তব্যের সঙ্গে সুর মেলানোর যে অভিযোগ করা হচ্ছে, এর কোনো যৌক্তিকতা নেই। ইতিহাস যে যেখান থেকে দেখুক না কেন, ইতিহাস নিয়ে বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।’

জিএসপি সুবিধা ইস্যু : যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা না পাওয়া ইস্যুতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভীর মধ্যে ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। শুধু রাজনৈতিক কারণে জিএসপি সুবিধা পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তবে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল না হলে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হবে না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, বিশেষ দেশের প্রতি বিশেষ নজর না দিয়ে বাজার বহুমুখীকরণের দিকে নজর দেওয়া হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশনা দিয়েছেন। ১১ আগস্ট সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণ ছাড়া, রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে বিবেচনা করা ছাড়া এটা (জিএসপি) না পাওয়ার কোনো কারণ নেই।’ এদিকে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেছেন, ‘শর্ত পূরণ করতে না পারার কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা (জিএসপি) পুনর্বহাল হয়নি।’ রাজধানীর মিরপুরের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। গওহর রিজভী বলেন, ‘শ্রমমানের উন্নয়নে আমরা যেসব অঙ্গীকার করেছি, তা পূরণ করতে হবে। তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমরা জিএসপি ফিরে পাব।’ সুশাসনের অভাব ও প্রক্রিয়াগত দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

আমরা কি দেখার ! কি দেখছি ? আমরা কি শোনার- কি শুনছি ? আমরা কি বলার কি বলছি ????

জাতিরতো ত্রাহি মধূসুদন অবস্থা! তবে এক হিসাবে ভাল- ঐ যে শাস্ত্রে বলে না রেগে গেলে উচিত কথা বাইর হয়!!!
তাদের পারস্পারিক ক্রোধের সিড়ি বেয়ে আমরা ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য, সত্য, না বলা কথা পেয়ে যাচ্ছি! জাতির জন্য যা কল্যানকর! আমাদের ইতিহাসের গোলক ধা-ধা গুলোর পাজল মিলাতে এই উচিত কথাগুলো মূল্রবান তথ্য হয়েই থাকবে।
ত্রিশঙ্কু অবস্থায় সরকার! সবই নিজের লোক! কার কথায় সায় দেবে সরকারী মোহর দেবে? কার কথা ফেলে দেবে! দেখা যাক! অথচ শ্রুতিতেতো আরো কত বায়বীয় কথা বিরাজমান!
দেখা যাক কালের কষ্টিতে চূড়ান্ত সত্য হিসাবে কোনটি টিকে থাকে! তার উপর বেউজ করেই হবে আমাদের ভবিস্যতের সৌধ নির্মান। কারণ মিথ্যর উপর ভিত করে তাসের ঘরও টিকে না! তাই জাতিগত ভাবে সত্য ভিত্তিটা খুব মজবুত এবং সকলেরই ঐক্যমতের হওযা খুবই প্রয়োজন।

আপাতত - বলারাম বলে যাও, খেলা রাম -খেলে যাও, শোনা রাম শুনে যাও.. আমজনতা- দেখে যাও
মহাকালে টিকে থাকবে শুধুই সত্য! মিথ্যাও থাকবে তবে তা চিহ্নিত হয়েই।
জাতীয় স্বার্থে এইরকম বাকযুদ্ধ বড়ই প্রয়োজন

সংবাদ সূত্র ও কৃতজ্ঞতা : Link

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

বেরসিক কথক বলেছেন: হ মিয়া বাই খেলা মনে হয় ভালোই জমছে। চলেন আমরা সাইডে বইসা মজা লই।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চলেন! আপাতত তাই লইতে থাকি!

আবার নতুন কোন ধারা নিয়া মজা লওযা বন করার আগেই ;)

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

এসব চলবে না..... বলেছেন: এই সরকা্রের অবস্থা খুব খারাপ। ২০১৯ সালের আগে ক্ষমতা ছাড়বে না। এর পরে ও ছাড়ে কি না সন্দেহ। ;)
মিয়া বাই, বিএনপি'র যা অবস্থা তাতে পর্ণ ভিডু দেইখা হাত চালানো ছাড়া কি আর করার আছে।
কারন ক্ষমতা তথা মাইয়া মানুষ তো নাই।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি আর করা!

বিএনপি যা করে করুক!! আপনি কিন্তুক আবার ফলোয়ার হইয়েন না :);):):)

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ইতিহাসের নির্মম সত্যগুলো ধীরে ধীরে উঠে আসছে!

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আসলেই!

ইতিহাসের ধামা চাপা দেওয়া সত্য গুলো উঠে আসলেই আমাদের গন্তব্য নির্ধারনে তা সহায়ক হবে। দ্বি-দলিয় ইতিহাসের তলে আমরা হাসফাস করছি!
ধীরে ধীরে উঠে আসুক সত্য!

ধন্যবাদ

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রেগে গেলে উচিত কথা বাইর হয়!
কথা সইত্য !!!

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কথা সইত্য !!!

তারা আরও বেশি বেশি রাগ করুক আর সত্য বলে জাতিকে মিথ্যার গোলক ধা ধা থেকে মুক্ত করুক ;)

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

আমি মিন্টু বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়া ছোট মানুষ হিসেবে একটা কথা বলি সত্য কখনই চাপা থাকে না ।
এবার যদি দেশ রত্ন দেশ নেত্রী মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর চোখ খুলে । আর যদি এখনো না খুলে তাহলে ধরে নিতে হবে
আমাদের জাতির ভিটামিনের বড়ই অভাব । :)

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্য কখনই চাপা থাকে না - এইটাই চূড়ান্ত সত্য!

তা যত রাশ্ট্রীয় শক্তি দিয়েই ধামা পাচা বা মেনিপুলেট করার চেষ্টা করা হোক না কেন? তা আপনাতেই একদিন বেরিয়ে আসে!!!

জাতীয় এত এত ভিটামিন দিবস থাকতে আপনি অভাবে কথা বুল্লেন! আপনি নিগ্গাত ......

৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

ভিটামিন সি বলেছেন: গ্যালারিতে আছি। বিজ্ঞাপন বিরতির আগেই হাত তালি দিমু।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্বাগমত।

আবাহনীর গ্যালারীতে বইসা মোহামেডানের গোলে আবার হাততালী দিয়েন না ;) :):):)

৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: আওয়ামী লীগের বাঘা বাঘা নেতাদের টপকিয়ে জাসদ নেতার সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠায় আওয়ামী লীগের অনেকেই কিঞ্চিত হিংসিত,সে বদৌলতে পাবলিক মাত্র থলের বিড়ালের কালো মোচ দর্শন পেল।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শুধূ কি কাল মোচ!

আরও কত কি বেরয় খালী অপেক্ষা করেন!!!!!!!!!!!!

তবে ক্রোধের কারণে নয়. হিংসা কারনে নয়- এই সত্যোৎঘাটন জাতির জন্যই বড়ই প্রয়োজন। আমাদের সামনের পথ সৃষ্টিতে পিছনের সত্র ইতিহাসইতো ভীত হয়ে থাকবে!

৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০৭

আহমাদ ফিরোজ বলেছেন: পঁচাত্তর পূর্ব পরিস্থিতি আমরা নতুন প্রজন্ম চক্ষে দিখিনি.... আজ মনে হয় সেই চিত্রই সচক্ষে দেখতে পাচ্ছি.......

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নতুন প্রজন্মের অনেকেই ৭২-৭৫ দু:শাসনেনর কথা শূনেও বিশ্বাস করতে চাইত না! তারই ডিজিটাল বার্সন দিয়া লাইভ দেখতেছে এখন!!
সাথৈ পঞ্চব্যাঞ্জন হিসেবে যোগ হয়েছে তাদের নিজ সময়ের মানুষৈর স্বাক্ষ্যের মাধ্যমে তাতে নতুন মাত্রয় ইতিহাসের অমোঘ সত্য উদ্ভাসীত হচ্ছে!!!

সময়ের কল - ধর্মের কল বাতাসে নড়ে!!!

৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: কিস্যু কমু না। ডরাই।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ডরাইলেই ডর!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! ;)

১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৫৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: প্রথমটায় ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।।
দ্বিতীয়টায় প্রভাব-প্রতিপত্তি বিস্তার নিয়ে কলহ
তৃতীয়টায় জাসদ বা ইনু,আম্বীয়াদের পূর্বপাপ স্ক্ষলনের চেষ্টা চলছে।।কারন সেদিনের দুস্বপ্ন আজ ক্ষমতার ডানহাত।।
আর চতুর্থটার বেলায় বলতে হয় যে......।।কোথায় সেইসব বিপ্লবাত্মক কথা আর এ্যাকশন?? সাড়ে তিন বছরে প্রায় ১৪/১৫ হাজার কর্মীর রক্তে ক্ষমতর সোপানর নাগাল!!
কি আর বলার আছে।। শুধু বানরখেলা দেখা ছাড়া।।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপাতত আমজনতার বানর খেলা দেখাই সার! তায় আবার বানর না খামচে দেয় সেই ভয়ও মনে থাকে ;)


ধন্যবাদ দারুন বিশ্লেষনে!!!

১১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

এটা আওয়ামী লীগ, জাতে মাতাল

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হয়তো!

আবার শাস্ত্রে আছে- অতি চালাকের গলায় দড়ি !! ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.