নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত : আত্মঘাতী নীতির কারণে হাজারো কোটি টাকা লোপাট

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪১


বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। সরকার দেশের অভ্যন্তরে তেলের দাম কমায়নি। ফলে জনগণকে বেশি দামেই তেল কিনতে হচ্ছে। তেলের দামের সঙ্গে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতেও বাধ্য করছে সরকার। ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো (রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল) চালু রাখতে সরকার রাষ্ট্রীয় অর্থ লোকসান দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে সরকারের প্রভাবশালী লোকজন জড়িত। তাদের খুশি করতেই এসব করা হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে। তাদের মতে, রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের স্বার্থে ক্যাপটিভ পাওয়ার প্লান্ট বন্ধের ষড়যন্ত্র চলছে। যে কারণে ক্যাপটিভ পাওয়ারে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করা হয়েছে। অথচ রেন্টালগুলোকে হাজার হাজার কোটি টাকা গচ্চা দিয়ে জ্বালানি তেল সরবরাহ করে যাচ্ছে সরকার।

শুল্ক ও ভ্যাট এবং ৯ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ মওকুফ করায় সরকার ২ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৪ সালে ৬৪৮ কোটি ৮৫ লাখ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করেছে। সরকার গড়ে ১২ টাকা ৯৬ পয়সা দামে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনে নিয়েছে। সরকার জনগণের কাছে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৫ টাকা ৬১ পয়সা হারে বিক্রি করেছে। এতে সরকারের কথিত ক্ষতি হয়েছে ৫ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা।



ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে সরকার শুল্ক ও ভ্যাটমুক্ত জ্বালানি তেল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। শুল্ক ও ভ্যাটের পাশাপাশি ৯ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ ও রেয়াত (সার্ভিস চার্জ) পাচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান। ফলে এদের এক লিটার ফার্নেস অয়েলের (বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি) দাম পড়ছে ৩০ টাকা। অন্যদিকে সরকার সব ধরনের শুল্ক এবং ভ্যাট দিয়ে ফার্নেস অয়েল আমদানি করায় এক লিটারের দাম পড়ছে ৬২ টাকা। অর্থাৎ এক লিটার ফার্নেস অয়েলে সরকার ৩২ টাকা গচ্চা দিচ্ছে। রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বছরে ৯ লাখ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল আমদানি করছে। শুল্ক ও ভ্যাট এবং ৯ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ মওকুফ করায় সরকার ২ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৪ সালে ৬৪৮ কোটি ৮৫ লাখ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করেছে। সরকার গড়ে ১২ টাকা ৯৬ পয়সা দামে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনে নিয়েছে। সরকার জনগণের কাছে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৫ টাকা ৬১ পয়সা হারে বিক্রি করেছে। এতে সরকারের কথিত ক্ষতি হয়েছে ৫ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে কম দামে ফার্নেস অয়েল আমদানির সুযোগ দেয়া, তাদের কাছ থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনায় এক বছরেই ৮ হাজার ৮৩১ কোটি টাকা গচ্চা গেছে। সরকার নির্ধারিত দামে বিপিসি’র কাছ থেকে তেল নিয়ে যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আছে, তাদের ক্ষেত্রে প্রতি লিটার তেলের দাম পড়ছে ৬২ টাকা। অথচ তাদের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়ছে ১৬-১৭ টাকা। এ হিসাবে ভাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতি ইউনিটের দাম পড়ার কথা ৮ টাকার কম। কিন্তু সরকার তাদের কাছ থেকে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনছে ১২ টাকা ৯৬ পয়সায়। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো আরো কম মূল্যে আমদানি করছে। এতে তাদের উৎপাদন ব্যয় কমেছে অনেক। এক্ষেত্রে সরকার চাইলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কমমূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমন কিছু হচ্ছে না। উল্টো জনগণের পকেট কাটার জন্যই বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে।

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) আশ্রয় নিয়েছে অনিয়ম-দুর্নীতির। অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) তেলের দাম সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য দিয়েছিল খোদ বিদ্যুৎ খাতের সবচেয়ে বড় সংস্থা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।

রেন্টাল ও কুইক রেন্টালগুলো কম দামে জ্বালানি তেল কিনে বেশি দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করলেও বিইআরসি’কে দেয়া পিডিবি’র তথ্যে তা উল্লেখ করা হয়নি। উল্টো রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের জ্বালানি তেলের দাম দেখানো হয়েছিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) রেট। সেই দামের ভিত্তিতে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিইআরসি।

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি খাতের ভাড়াভিত্তিক যেসব রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কোম্পানি পিডিবি’র কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে তারা শুরু থেকেই নিজেরা ফার্নেস অয়েল আমদানি করছে। আমদানির জন্য তাদের কোনো ধরনের ট্যাক্স ও ভ্যাট দিতে হয় না। ৯ শতাংশ সার্ভিস চার্জও মওকুফ করা হয়েছে। এ কারণে তাদের আমদানি করা জ্বালানির দাম বিপিসি’র তেলের দামের অর্ধেকেরও কম পড়ে। বিশেষজ্ঞরা হিসাব কষে বলেছে, পিডিবি যদি এক্ষেত্রে ওই তেলের দাম রেন্টাল-কুইক রেন্টালের আমদানি করা রেটে দেখাতো তাহলে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো প্রয়োজনই হতো না। একইসঙ্গে ক্যাপটিভ পাওয়ার প্লান্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো প্রয়োজন ছিল না।

অভিজ্ঞমহল মনে করে যে, বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ায় পিডিবি’কে কমপক্ষে আরো ৬ বছর রেন্টাল, কুইক রেন্টালের বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল থাকতে হবে। আর বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে এই ৬ বছর লুটপাট চালাতে পারবে সংশ্লিষ্টরা। এ কারণেই ইতিমধ্যে অনেক কেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সেগুলোর চুক্তির মেয়াদ নবায়ন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার গত মেয়াদের শেষদিকে এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এ অবস্থান পরিবর্তন করেছে সরকার।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রতি মিলিয়ন কিলো-ওয়াট-আওয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে সামষ্টিক অর্থনীতিতে উৎপাদন বৃদ্ধি পায় ৪৬ মিলিয়ন থেকে ১০৭ মিলিয়ন টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছরে জিডিপি’তে কুইক রেন্টালের মাধ্যমে উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুতের অবদান ছিল প্রায় ২৩,৩১২ কোটি টাকা থেকে ১২১,১৬৮ কোটি টাকা। এখন তা বেড়ে আরো অনেক বেশি হয়েছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদন রেন্টাল-কুইক রেন্টালের হাতে ছেড়ে দেয়ায় বিদ্যুৎ মূল্যের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন। নির্ধারিত সময়ে যদি সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে চলে আসত তাহলে পিডিবি’কে এই লোকসান গুনতে হতো না। মূলত, রেন্টাল-কুইক রেন্টালগুলো জিইয়ে রাখতে এবং হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করতে সরকারি কেন্দ্রগুলো নির্ধারিত সময়ে উৎপাদনে আনা হচ্ছে না।

বিদেশি ষড়যন্ত্রে সরকারের আত্মঘাতী নীতির কারণে একদিকে কুইক রেন্টালের নামে এ পর্যন্ত লাখ লাখ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। সরকারের এসব যুলুমবাজী ও শোষণের বিরুদ্ধে জনগণকেই নিজেদের হক আদায়ে সোচ্চার হতে হবে। প্রতিবাদী হতে হবে। প্রতিহত করতে হবে।

জাতীয় স্বার্থ জনগুরুত্বপূর্ন এবং ভূক্তভূগি সকল আমজনতার জানা উচিত বিধায় শেয়ার করা হলো।
মূল লেখক: মনিরুল ইসলাম
সংবাদ সূত্র

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

প্রামানিক বলেছেন: ভয়াবহ কারবার

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আর সেই বোঝা বেলা শেষে আমরাই বহন করছি- বাড়তি বিল দিয়ে, ভ্যাট দিয়ে, দ্রব্যমূল্যের নাভিশ্বাস উঠানো জীবন যাপন করে!!!!!!!!!!!!!!
ছেলে-মেয়ের অপূর্ণ স্বপ্নের দীর্ঘশ্বাসে!
স্ত্রীর অব্যক্ত দৃষ্টির অপূর্ণতার কস্টে!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বিদেশি ষড়যন্ত্রে সরকারের আত্মঘাতী নীতির কারণে একদিকে কুইক রেন্টালের নামে এ পর্যন্ত লাখ লাখ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। সরকারের এসব যুলুমবাজী ও শোষণের বিরুদ্ধে জনগণকেই নিজেদের হক আদায়ে সোচ্চার হতে হবে। প্রতিবাদী হতে হবে। প্রতিহত করতে হবে।

জোরালো সহমত ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অথচ বিস্ময়কর সত্য হলো আমাদের মেইন ষ্ট্রীম মিডিয়া যেন এইসব জনস্বার্থ বিষয়ে কথা বলতেই আগ্রহী নয়!

তারা হাবিজাবি দিয়ে পাতার পার পাতা ভরে দিচ্ছে! কি অনলাইন কি অফলাইন!

দু'চারজন যারা বলার চেষ্টা করছে- তাদেরও অনেকটা অচ্ছুৎ ঘরানার কথা প্রবণাতও দেখায় কেউ কেউ!!!

দায়হীন ঐ সকল মিডিয়া দেশদ্রোহী! জনগণের বিপরীতে দাড়িয়ে সুবিধাবাদীতায় ব্যস্ত! ধিক তাদের।

দেশ, জনতা, দেশের উন্নয়, অগ্রগতি এবং সামগ্রিক কারণেই এ বিষয়গুলো ইগনোর করার মতো নয়।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫১

ঢাকাবাসী বলেছেন: কুইক রেন্টাল আর ইনডেমনিটি আইনেই বোঝা যায় টাকা কোথায় যায়! প্রতিবাদ করবেন কোথায় কার কাছে? কিছুই হবেনা, উপদেস্টাটি আছেনা!

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ এক অভূতপূর্ব স্বৈরশাসন দেখছে বাংলা জনতা!
অনির্বাচিত ১৫৪ জন নিয়ে কি দম্ভ আর অহংকারে, জুলুম আর অত্যাচারে শাসন চালিয়ে যাচ্ছে! কলংকিত করছে নিজেদের, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার!!! ক্ষতি করছে দেশ জাতি আপামর জনগণের।

ঐ নিরুপায় অবস্থায় আল্লাহর কাছেই হাত তোলে মানুষ!

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

রাশেদ মহাচিন্তিত বলেছেন: শত শত কোটি টাকা ঘুষের বিনিময়ে যে কুইক রেন্টাল নামক, যে সাদা হাতি বাংলাদেশ সরকার পালছে, তার খেসারত জনগণকে দিতেই হবে। আরও দুঃখজনক হচ্ছে সাধারণ জনতার এসব নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। তারা বিদ্যুত চায়। কিন্তু সরকার শুধু মাত্র স্বল্পকালীন জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে গিয়ে যে ক্ষতি টা দেশের করল, এর দায় এই আমজনতাই দেবে। সেদিন বুঝবে ঠিকই, তবে আজ নয়।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অলরেডি বুঝতেছে! কিন্তু নিরুপায়!

আর জনসচেতনতা সৃষ্টির যে দায় মিডিয়ার- তারা হয় ভয়ে, নয় স্বার্থে কিছূ সরকারী বিজ্ঞাপন বা তথাকথিন আনুগত্যের পরাকাষ্ট দেখাতে গিয়ে দেশ জনতার মৌলিক স্বার্থ সংশ্লিষট বিষয়গুলোও ইগনোর করে যাচ্ছে!!!!!!!!!!!!!!!!

ফলে দিনাজপুরে ইয়ামিন ধর্ষন যে ভাবে দেশ কাঁপিয়ে ছিল মিডিয়া সাপোর্টে- আজ তারচে হাজারগুন বেশি সোনার ছেলেদের ধর্ষনেও পত্রিকার পাতাও কাঁপেনা!!!!

আর বিদ্যুৎ জ্বালানী খাততো নাকি টাকার মহাসমুদ্র! এখানে কলম ধরবে যে সত্যিকারের দেশকে ভালবাসে! বাকীরা সুবিধা লুটেপুটে চেটে মোসাহেবীতেই ব্যস্ত!
এই ফাকে দেশের অর্থনীতির বারটা থেকে তেরটা বেজে রয়েছে বহুদিন ধরেই!

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

নাম হীন মানুষ বলেছেন: vi ki blbo vasa harai felsi
ai dusto mohiler teky mukti cai

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পুরা জাতিই ভাষাহীন নির্ভাক হয়ে গেছে!

আর তারা এই মৌণতাকেই সম্মতি হিসাবে প্রচার করছে, সুবিধা নিচ্ছে!

তাই শুরু হোক গুঞ্জন! উঠুক আওয়াজ - এক, দুই তিন, শ, হাজার লাখ কোটি কন্ঠে!

রাজা তুই ণ্যাংটো! রাজা তুই ণ্যাংটো!! রাজা তুই ণ্যাংটো! রাজা তুই ণ্যাংটো!!!!!
এটা অণ্যায়। এটা দূর্ণীতি
এটা শোষন!
এটা গণতন্ত্রকে হত্যা করা!!

সকলেই এটার প্রতিবাদ করছি।

৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:


প্রতিবাদ করে কোন লাভ নাই রে ভাই। আমরা ফাটা বাঁশের চিপায় আছি তাই চুপ করে থাকা ছাড়া কি করার নাই।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কথা সত্য।

কিন্তু চিৎকারটুকু না করলেতো সারাজীবনই ফাটা বাঁশের চিপায়ই থাকতে হবে! তাকি আমরা চাই।
একটু একটু করে প্রথামতো ছোট্ট ছোট্ট উদ্যোগ কি আমরা নিতে পারি না।
তথ্য প্রবাহের এই যুগে যতই নিয়ন্ত্রন করা হোক- সত্য কি কখনো চাপা থেকেছে না থাকে।

আসুন নিজের জন্য না হোক পরের প্রজন্মের বাসযোগ্য এক দেশ গড়তেই ছোট্ ছোট চেষ্টা টুকু চালিয়ে যাই। তথ্য শেয়ারিংই হোক বা জানাজানি টুকু নিদের পক্ষে!

৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৯

চন্দ্রদ্বীপবাসী বলেছেন: কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায় ও ভাইরে ও ভাই...হীরক রাজার দেশে আছি ঠিক কিনা?

আমি অবাক হই যখন দেখি আমাদেরই গ্যাস 'কনকোফিলিপস' সহ বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানি উত্তোলন করে আমাদেরই কাছে বিক্রি করছে। যখন তখন দাম বৃদ্ধি করছে। আর আমরা এটাকেই স্বাভাবিক মনে করছি। আজব নীতি!

'প্রাকৃতিক সম্পদ' উত্তোলন বিষয়ক বিষয় খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়ানো হয়। কারণ নাহলে যে বড় ভাইয়ারা রাগ করবেন।

ও হ্যাঁ! গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট দেয়ায় ধন্যবাদ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ...হীরক রাজার দেশে আছি ঠিক কিনা?
যায় যদি যাক প্রাণ ...
বেঠিক বলে ধরে ক'টা প্রাণ!

তবে হিরক রাজাও চলমান সত্য দেখলে বুঝলে শরম পাইতে পারে ! ;)

এইরকম উজবুকি মুভিতে দেখলে হয়তো কর্তাদের ুন্ডু চিবাতাম.. দেখ দেখ কি বোকা বলে! কিন্তু বাস্তবে আমাদের তো তাই হচ্ছে আমরা খবরইবা রাখছি ক'জন!

ধন্যবাদ এই শেয়ারে অংশগ্রহণ করায়।

৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৩

বিপরীত বাক বলেছেন: যাইহোক।। লোডশেডিং থেকে মুক্তি পেয়েছি।।।




চন্দ্রদ্বীপবাসী বলেছেন:
.............................................................................
আমি অবাক হই যখন দেখি আমাদেরই
গ্যাস 'কনকোফিলিপস' সহ বিভিন্ন
বিদেশী কোম্পানি উত্তোলন করে
আমাদেরই কাছে বিক্রি করছে। যখন
তখন দাম বৃদ্ধি করছে। আর আমরা
এটাকেই স্বাভাবিক মনে করছি। আজব
নীতি!..............................

কনকোফিলিপস তুলছে বলেই তো আমরা গ্যাস পাচ্ছি।।। এ গ্যাস তোলার যোগ্যতা আমাদের নেই।।।।
আর যাওবা একটুস যোগ্যতা আছে তা চুরি চামারি তে সুদে আসলে টোটাল লস।।।
চোর-চাট্টা বাঙালা রা যদি ওই গ্যাস তুলতো না তাহলে ওখানেই মানে গ্যাসক্ষেত্রেই আলগা পাইপ, বোতল, ড্রাম, শিশি লাগিয়ে রাখতো গ্যাস ওঠার সাথে সাথেই ৬০% গ্যাস ব্লাক মার্কেটে বেইচ্যা টাকা সব ইঞ্জিনিয়ার আর সচিবদের পকটোত যাইতো।।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আইডি বিপরীত বাক বলেই কি সব কথঅয় বিপরীতেই বলতে হবে?

আর স্ব-জাতির হাজার ব্যর্থতার পরও এতটা সাধারনীকরণ সঠিক নয়!
পেট্রোবাংলার বহু আবিস্কারের বৃক্ষের ফসলই বিদেশীরা শুধূ ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছে! তার মানে প্রটোবাংলা যথেষ্ট পারংগম

যা কিছু দূর্নিতী কমিশনখোর নীতিহীন রাজনীতিবিদ নামের বিষফল আর সুবিধাবাদী আমলা বুরোক্রেটের গোস্ঠি!র

অন্ধজনে দেহ আলো বহু পুরানো শ্লোগান! ;) :)

৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩

চন্দ্রদ্বীপবাসী বলেছেন: @বিপরীত বাকঃ আমি যখন দেখি বাংলার মানুষ এইরকম কথা বলে তখন অত্যন্ত লজ্জিত হই। ভাবতে খারাপ লাগে আমরা স্বাধীন হয়ে গেছি। আমাদের যদি গ্যাস তোলারই যোগ্যতা না থাকে তাহলে আমাদের এরকম আরও অনেক যোগ্যতাই নেই। যেমন আমাদের সরকার এখনও দুর্নীতিমুক্ত হতে পারেনি। আপনার মতে তাহলে কি আমরা মার্কিন সরকার কিংবা ব্রিটিশ সরকার দ্বারা শাসিত হব?

এটা হলে অবশ্য একদিক থেকে ভালোই হবে। তাহলে অন্তত তারা আমাদের সরাসরি শাসন করতে পারবে। CIA, MI6 কিংবা Mossad'র আর কষ্ট করা লাগবে না।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @চন্দ্রদ্বীপবাসী .. ধন্যবাদ। এবং সহমত।

আমরাই যদি আমাদের মূল্যায়ন না করে, সংশোধন না করে, বদলে না গিয়ে কেবলই কু-সমালোচনায় আর পর নির্ভরতার বৃত্তে আটকে ফেলি- আামাদের বাঁচাবে কে?
কেউনা..
লোকে বলে না- যে যার বেনিফিসিয়ারী সে নাকি তার পক্ষ নেয়? ;)

১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪

আনু মোল্লাহ বলেছেন: তথ্য উপাত্তসহ জনগুরুত্বসম্মপ্নন বিশ্লেষণ। আপনার জন্য রইল, শুভেচ্ছা।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।

আমাদের জাতীয় সিদ্ধান্তগুলো কেন যেন বারবার জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধেই যাচ্ছে!
অসহায় আমজনতা বুঝতে বুঝতেই কারো পৌষমাস পেরিয়ে যাচ্ছে- আখেরে সর্বনাশটুকু কেবলই আমজনতার!!!!!

১১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

রমিত বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

আমি আবুলের বাপ বলেছেন: কুইক রেন্টাল করা হয়েছিলো কুইক টাকা কামানোর জন্য।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খালি ওখানেইতো শেষ না এটা কন্টিনিউ করছে! জরুরী হিসাবে যা সাময়িক হিসাবে ধারনা দেয়া হয়েছিল তা স্থয়ী রুপ নিতে যাচ্ছে!!

আর পৃথিবীর কোন দেশে যা কল্পনাও করা যায় না- জ্বালানী বিধ্যুত খাতকে অন্য দেশের উপর নির্ভলশীল করে তোলা- আমাদের বি-জ্ঞ আত্মঘাতি রাজনীতিবিদের তাই করার ষোলকলা পূর্ন করছেন- এই খাতে!!!

এই ভয়াবহতার আলটিমেট ভোগান্তিও আসছে ভবিস্যতের আমজনতার ভাগ্যে!

১৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

আমিই মিসির আলী বলেছেন: জটিল হিসাব নিকাশ!!!

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আত্মঘাতি, স্বার্থপরতা, ব্যক্তি গত লুটপাটের জন্য রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান কুক্ষিগত করে অবাধ যথেচ্ছ অপব্যবহারের চূড়ান্ত নজির!!!
মিথ্যা, প্রতারণা, জালিয়াতির এক ভাগার হয়ে আছে কুইক রেন্টাল জড়িত সকল ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান সহয়োগী সবাই!!!!

অচিন্তনীয়! অবিশ্বাস্য!!

১৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৯

কিরমানী লিটন বলেছেন: "আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে"...
আমাদের ভবিষ্যৎ আমাদেরই গড়ার অপেক্ষায় ...
অনেক ধন্যবাদ সত্যকে চোখের সামনে তুলে এনে-সবাইকে জানার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ...
শুভকামনা সতত ...

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: "আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে"... ..

আমরাতো ভুলতেই বসেছি বুঝি! এখন সকাল হয় একা একা কৃষকের লঙ্গলের সাথেই শুধু! নতুন প্রজন্মের ভোর বেলা ১১ টা ১২টা!

ধন্যবাদ দারুন ভাবে অনুভব করায়। আমরা বুঝি বড্ড উদাসীন আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে- শুধুই বর্তমানের তাও আংশিক স্বার্থবাদী চেতনায় ভবিষ্যত যেন ঘোলাটে ধোঁয়াশা!
কেটে যাক অমানিশা। সচেতন হোক তরুন প্রজন্ম নিজের অধিকার আর ভবিষ্যতের পরিস্কার স্বপ্নে!

আবারও ধন্যবাদ অংশগ্রহন করায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.