নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

হায় রামপাল! হায় সুন্দরবন!প্রতিবাদের মাঝই সুন্দরবনের, সুশীল চেতনার আর দেশপ্রেম ও প্রেমিকের- সুশীল মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর হয়েই গেল!!!!

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

রামপাল নিয়ে কত বাদ-প্রতিবাদ।

কত লেখনি রামপাল নিয়ে যত পোষ্ট.... আপডেটেড..

উত্তপ্ত রাজপথ।

সভা-সেমিনার-সিম্পোজিয়াম!

সব জল্পনার অবসান ঘটলো- বিতর্কিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি সই-এর মাধ্যমে!

কি করবে দেশবাসী? সুন্দরবনের বৃক্ষদেরতো নিরবে আত্মদান ছাড়া অন্য পথ খোলা নেই! দুর্লভ রয়েল বেঙ্গল টাইগারার জীবন বাঁচাতেই বিনা ভিসায় বিনা পাসপোর্টই ওপারের সুন্দরবন অংশে মাইগ্রেট করবে-সারভাইবাল কোশ্চেন! কয়লা খনির যে সমস্যা সারা বিশ্ব একে ব্যাকফুটে রেখেছে বাঙালীরা মিলেনিয়ামে এসে সেই সব রোগে ভুগে উন্নয়নের মাশূল দেবে! ফসলী জমি উর্বরতা হারিয়ে, নদী, জীব প্রকৃতি ধ্বংস হয়ে মূল্য চুকাবে রাজনৈতিক অবিমৃশ্যকারীতার।

আর আমরা চেতনায় বিভক্ত হয়ে একে অন্য দোষারুপ করতে করতেই পক্ষে-বিপক্ষের টকশো করবো! টেবিল চাপড়ে ভেঙ্গে ফলবো! দেশের জন্য, দেশের স্বার্থে এক হবো না!!!!!!!!!!!
দিনমজুর ভাইয়ের পোষ্টের সুন্দরবন এতদিন আমাদের বাচিয়েছে কিন্তু এখন সুন্দরবনকে কে বাচাবে?পিক পয়েন্ট গুলো আবারো তুলে ধরার প্রয়োজন বোধ করছি-আমাদের গোল্ডফিস মেমোরি যদি তাজা হয়!

যে ভারতীয় কোম্পানি এই বিদুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনা করবে, নিজ দেশ ভারতে হলে কিন্তু এইভাবে সুন্দরবনের এত কাছে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে পারতো না। ভারতের ওয়াল্ড লাইফ প্রটেকশান এক্ট অনুসারে কোন সংরক্ষতিত বনাঞ্চলের ১৫ কিমি এর মধ্যে কোন বিদুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা নিষেধ। ১ কিমি কিন্তু কম না, সুন্দরবন ধ্বংস করার জন্য এই ১ কিমিই যথেষ্ট। মালয়েশিয়ায় এই দূরত্ব ২০ কিমি। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এইসবের কোন বালাই নাই। ভারতের মধ্য প্রদেশে এনটিপিসি কোম্পানিরই একই আকারের অর্থাৎ ১৩২০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে দেয় নাই ভারত সরকার কারণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আবাসিক এলাকার কাছে, দুই ফসলী জমির উপর অবস্থিত এবং যে নদীর পানি ব্যাবহার করবে সেই নদীতে পানির সংকট। অথচ বাংলাদেশে সুন্দরবনের পাশে বিদুৎ কেন্দ্রটি নিয়ে আপত্তি এর চেয়ে অনেক অনেক বেশি সিরিয়াস। যেমন:

১) কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাইঅক্সাইড(SO2) ও ৮৫ টন বিষাক্ত নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড(NO2) নির্গত হবে যার ফলে পরিবেশ আইনে বেধে দেয়া পরিবেশগত স্পর্শকাতর এলাকার সীমার(প্রতি ঘনমিটারে ৩০ মাইক্রোগ্রাম) তুলনায় এইসব বিষাক্ত গ্যাসের মাত্রা অনেক বেশি হবে(প্রতি ঘনমিটারে ৫৩ মাইক্রোগ্রামের বেশি) যার ফলে এসিড বৃষ্টি, শ্বাসতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি সহ গাছপালা জীবজন্তুর জীবন বিপন্ন হবে। অথচ জালিয়াতি করে সুন্দরবনকে পরিবেশগত স্পর্শকাতর এলাকার বদলে ‘আবাসিক ও গ্রাম্য এলাকা’ হিসেবে দেখিয়ে বিষাক্ত গ্যাসের পরিমাণ নিরাপদ মাত্রার মধ্যেই থাকবে বলে প্রতারণা করা হচ্ছে।

২) সাড়ে চার বছর ধরে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কালে নির্মাণের মালামাল ও যন্ত্রপাতি সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নদী পথে পরিবহন করার সময় বাড়তি নৌযান চলাচল, তেল নি:সরণ, শব্দদূষণ, আলো, বর্জ্য নি:সরণ, ড্রেজিং ইত্যাদির মাধ্যমে সুন্দরবনের ইকো সিস্টেম বিশেষ করে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, ডলফিন, ম্যানগ্রোভ বন ইত্যাদির উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।

৩) কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বছরে ৪ ৭ লক্ষ ২০ হাজার টন কয়লা পুড়িয়ে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টন ফ্লাই অ্যাশ ও ২ লক্ষ টন বটম অ্যাশ উৎপাদিত হবে। এই ফ্লাই অ্যাশ, বটম অ্যাশ, তরল ঘনীভূতি ছাই বা স্লারি ইত্যাদি ব্যাপক মাত্রায় পরিবেশ দূষণ করে কারণ এতে বিভিন্ন ভারী ধাতু যেমন আর্সেনিক, পারদ, সীসা, নিকেল, ভ্যানাডিয়াম, বেরিলিয়াম, ব্যারিয়াম, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়াম, রেডিয়াম মিশে থাকে। এই দূষণকারী ছাই দিয়ে ১৪১৪ একর জমি ৬ মিটর উচু করা হবে। ফলে এই ছাই উড়ে, ছাই ধোয়া পানি চুইয়ে আশপাশের নদী খাল এবং আন্ডারগ্রউন্ড ওয়াটার টেবিল দূষিত করবে।

৪) কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের টারবাইন, জেনারেটর, কম্প্রেসার, পাম্প, কুলিং টাওয়ার, কয়লা উঠানো নামানো, পরিবহন ইত্যাদির কাজে ব্যাবহ্রত যন্ত্রপাতি ও যানবাহন থেকে ভয়াবহ শব্দ দূষণ হয়। বলা হয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারপাশে সবুজ বেষ্টনি তৈরী করে সুন্দরবনকে রক্ষা করা হবে। কিন্তু সবুজ বেষ্টনি বেড়ে উঠতে তো সময় লাগবে। ঐ কয় বছর শব্দ দুষণ প্রতিহত করা হবে কি ভাবে কিংবা সবুজ বেষ্টনির বাইরে যন্ত্রপাতি ওমালামাল পরিবহন, ড্রেজিং ইত্যাদি কাজের সময় যে শব্দ দূষণ হবে তার ক্ষতিকর প্রভাবে কিভাবে মোকাবিল করা হবে।

৫) প্ল্যান্ট পরিচালনার জন্য পশুর নদী থেকে ঘন্টায় ৯১৫০ ঘনমিটার পানি সংগ্রহ করা হবে এবং পরিশোধন করার পর পানি পশুর নদীতে ঘন্টায় ৫১৫০ ঘনমিটার হারে নির্গমন করা হবে। পরিশোধন করার কথা বলা হলেও বাস্তবে পরিশোধনের পরও পানিতে নানান রাসায়নিক ও অন্যন্যা দূষিত উপাদান থেকে যাওয়ার ঝুকি থাকেই। তাছাড়া নদী থেকে এই হারে পানি প্রত্যাহার, তারপর বিপুল বেগে পানি আবার নদীতে নির্গমন, নির্গমনকৃত পানির তাপমাত্রা ইত্যাদি নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ, পানির প্লবতা, পলি বহন ক্ষমতা, মৎস ও অন্যান্য প্রানী ও উদ্ভিদের জীবন চক্র ইত্যাদির উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বেই যা নদী নালা খাল বিলের মাধ্যমে গোটা সুন্দরবনের জলজ বাস্তুসংস্থানের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।

৬) কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিমনী থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসের তাপমাত্রা হবে ১২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা চারপাশের পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।

৭) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আমদানী করা কয়লা সুন্দরবনের মধ্য দিয়েই পরিবহন করা হবে। এ জন্য বছরে ৫৯ দিন কয়লা বড় জাহাজ এবং ২৩৬ দিন লাইটারেজ জাহাজ সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে কয়লার মতো দূষণ কারি কার্গো নিয়ে চলাচল করবে। ফলে কয়লা পরিবহন, উঠানো –নামানো, জাহাজের ঢেউ, নাব্যতা রক্ষার জন্য ড্রেজিং, জাহাজ থেকে নির্গত তরল কঠিন বিষাক্ত বর্জ্য, জাহাজ নি:সৃত তেল, দিন রাত জাহাজ চলাচলের শব্দ, জাহাজের সার্চ লাইট ইত্যাদি সুন্দরবনের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ও জীব বৈচিত্র বিনাশ করবে।

এগুলো আমাদের নিজেদের বানানো কথা না, প্রকল্পের কাজ শুরু করে দিয়ে তারপর প্রকল্প জায়েজ করার জন্য যে পরিবেশ সমীক্ষা বা ইআএ করা হয়েছে, শত জালিয়াতি করেও এইরকম ভয়ংকর ফলাফলগুলোকে ঢেকে রাখা যায় নি। অর্থনৈতিক বিবেচনাতেও বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জাতীয় স্বার্থ বিরোধী। বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ না করেই চুক্তি করা হয়েছে। ইআইএ সমীক্ষাতে প্রাথমিক ভাবে যে দামের কথা বলা হয়েছে তা প্রায় ৯ টাকা প্রতি ইউনিট যা অনেক কুইক রেন্টালের চেয়ে বেশি। তাছাড়া ৫০:৫০ জয়েন্ট ভেঞ্চার চুক্তি বলা হলেও ৭০ ভাগ পুজি আসবে ভারতের এক্সিম ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে, বাকি ৩০ ভাগ এনটিপিসি ও পিডিবি সমান দুই ভাগ করে দেবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনাও এনটিপিসি করবে। এমনকি মুনাফার উপর থেকে করও মওকুফ করে দেয়া হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিবেচনাতেও জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রটি সুফল বয়ে আনবে না।

যে সুন্দরবন আমাদেরকে আইলা সিডরের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করেছে, কাঠ দিয়ে মাছ দিয়ে খাদ্য দিয়ে আমাদের বাচিয়ে রেখেছে, সে সুন্দরবন যে নিজেই এখন বিপন্ন, সেটা স্পষ্ট। সুন্দরবনকে ভালোবেসে অষ্টমাশ্চার্য বানানোর জন্য আমরা লাখ লাখ ভোট দিয়েছি, রাস্তায় নেমে ক্যাম্পেইন করেছি। আজ যখন আমাদের প্রিয় সেই সুন্দরবনের অস্তিত্বটাই বিপন্ন তখন কি আমরা সুন্দরবন বাচানোর জন্য প্রতিবাদ করব না? সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, বানর, ইরাবতি ডলফিন থেকে শুরু করে সুন্দরী বৃক্ষদের মিছিল সমাবেশ করার ক্ষমতা থাকলে এতদিনে তারা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসত, সব কিছু অচল করে দিত। এদের হয়ে সুন্দরবন রক্ষার দ্বায়িত্ব এখন আমাদেরই বন্ধুগণ, চুক্তি কিন্তু হয়ে গেছে, সরকার কিন্তু কাজ শুরু করে দিয়েছে:

'বাগানের চারা গাছ রে, ডেকে ডেকে বলি, ডেকে ডেকে বলি, রাস্তায় নেমে আয়।' ফেসবুকে, ব্লগে, টুইটে.. প্রতিবাদের প্রতিটি পথে, পথের মোড়ে...অস্তিত্বের প্রয়োজনে। সময়ের প্রয়োজনে!

বাঁচাতে নিজেরে, বাঁচাতে রামপাল, বাঁচাতে সুন্দরবন! বাঁচাতে রয়েল বেঙ্গল! বাঁচাতে পরিবেশ প্রতিবেশ! বাঁচাতে দেশ!!!

হায় রামপাল! হায় সুন্দরবন! সুন্দরবনের, সুশীল চেতনার আর দেশপ্রেম ও প্রেমিকের!!! সুশীল মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর হয়েই গেল!!!!

আপডেট:

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি বাতিল করতেই হবে: সুলতানা কামাল

জেগে উঠো বাঙালী। রুখে দাও দেশের, সুন্দরবনের, আমজনতার, ফসলী জমির. নদীর প্রকৃতির বিরোধী এই আত্মঘাতি চুক্তি!


মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯

সোহানী বলেছেন: ভাইরে দেশটাইতো বিক্রি সই হয়েগেছে শুধু রামপালের কথা বলে লাভ কি..... তারপরও প্রতিবাদ করে যাবো আজ না হয় কাল এর ঢেউ ছড়িয়ে পড়বেই..... সাথে আছি....

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কথা সেটাই- আমাদের নূন্যতম প্রতিবাদ করে যাবো আজ না হয় কাল এর ঢেউ ছড়িয়ে পড়বেই. .. নইলে যে বিবেকর কাছে পীড়িত হতে হয়!

ধন্যবাদ সুন্দরবন, দেশ আর দেশপ্রেমের সাথ থাকায়!

২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

জুন বলেছেন: কয়েকবারের দেখা সুন্দরবনের জন্য বড্ড কষ্ট হচ্ছে ভৃগু। মামুষ চেয়েও পায়না এমন প্রকৃতি আর আমরা কি অবহেলায় তা হারাই। ওদের ভাগের সুন্দরবনটা ঠিকই থাকবে। সেখানে একটা বাশও গাড়তে পারবেন না আপনি। ওদের কত সংরক্ষিত বন যা চেয়ে দেখার মত। আমাদের তো বন বলতে বর্তমানে কিছুই নেই। আমাদের অংশের সুন্দরবনের মৃত্যু দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। তবে আমাদের খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না মনে হয়।

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাইতো মনে হচ্ছে!!!!!

এই কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প তারা নিজ দেশে প্রত্যাখাত হয়েছে!

অথচ আমাদের একি আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত!!!!!!!!!!!!!!!!

ওদের অংশের সুন্দরবন হবে প্রথিবীর একমাত্র ম্যানগ্রো ফরেষ্ট। আমরা উন্নয়নের বাড়তি টাকা দিয়ে ঐ দেশে গিয় সন্দরবন দেখার সাধ মেটাব! বন্ধুত্বের! ঋণ শোধ করব- সুন্দর বন রয়েল বেঙ্গল বিলুপ্ত করে!!!!!!!!!!!!!!!!!

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১২

কল্লোল পথিক বলেছেন:



হায় রামপাল! হায় সুন্দরবন! সুন্দরবনের, সুশীল চেতনার আর দেশপ্রেম ও প্রেমিকের!!! সুশীল মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর হয়েই গেল!!!!

সহমত।

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।

অবস্থাতো এমন মৃত্যুতে মাতম করতেওনা লোক ভাড়া করে আনতে হয় ঐ গানের মতো

" ভাড়া কইরা আনবি মানুষ কান্দিতে মোর লাশের পাশে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
চারিদিকে রাখবি নজর সে না যেন দেখতে পারে........

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

প্রামানিক বলেছেন: হায় রামপাল! হায় সুন্দরবন! সুন্দরবনের, সুশীল চেতনার আর দেশপ্রেম ও প্রেমিকের!!! সুশীল মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর হয়েই গেল!!!!

লেখার সাথে সহমত।

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই

রামপাল সুন্দরবন নিয়ে ছড়া চাই :)

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

ইকরাম উল হক বলেছেন:




লেখক প্রামানিককে বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই

রামপাল সুন্দরবন নিয়ে ছড়া চাই :)


কঠিন আবদার । সম্ভব হবেনা :) :) :)

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার কি প্রমানিক ভাইর উপর আস্থা নাই? ;)

নাকি ভাবেন উনার দেশপ্রেম নাই!!!

নিশ্চয়ই তিনি আমাদের একটা সমৃদ্ধ ছড়া উপহার দিয়েই এর অবসান ঘটাবেন। :)

৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপডেট:

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি বাতিল করতেই হবে: সুলতানা কামাল

জেগে উঠো বাঙালী। রুখে দাও দেশের, সুন্দরবনের, আমজনতার, ফসলী জমির. নদীর প্রকৃতির বিরোধী এই আত্মঘাতি ছুক্তি!

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুন্দরবনের রামপালে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা কামাল।

বুধবার দুপুরে তিনি এ দাবি জানান।

৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: নেটে সুলতানা কামালের বক্তব্যটা পড়েই আপনার পোস্টে মন্তব্য করতে আসলাম ভৃগু ভাই! আমি সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বুদ্ধিতার ব্যাপারে একটা জিনিস বুঝি না। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করতে গিয়ে যে আমাদের একটা জাতীয় ঐতিহ্য ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে, সেটা কি তারা বুঝতে পারছে না?

আমি একটা কথা সব সময় প্রায় বলে থাকি, সুন্দরবন এখন আর শুধু আমাদের সম্পদ নয়! ওটা এখন গোটা পৃথিবীর সম্পদ। কিন্তু সেই সম্পদ যেহেতু আমাদের আওতাধীন, সেহেতু তার সুষ্ঠ রক্ষনাবেক্ষন করার দ্বায়িত্বও আমাদের! তাছাড়া একটা দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে যে ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার প্রয়োজন, আমাদের তার আছেই বা কয় ভাগ।

যাও আছে তার মেজরিটি পারসেন্টইতো আসে ঐ সুন্দরবন থেকে। অথচ সেই সুন্দরবন ধ্বংশ হয়ে গেলে আমাদের কি অবস্থা হবে (?) এটা কি ঐসব মাথা মোটারা বুঝতে পারছে না? অবশ্য বুঝবে, যেদিন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মরবে সেদিন! তবে সমস্যাটা হলো সেদিন আর কিছু করার থাকবে না! :(

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুন্দরবন এখন আর শুধু আমাদের সম্পদ নয়! ওটা এখন গোটা পৃথিবীর সম্পদ।

অনলাইনে বিষয়টা নিয়ে গোটা প্রথিবী ইউনেস্কো সহ সবাইকে ধাক্কা মেরে জাগানো উচিত..

এইটা ভাল বলছেন- ঐসব মাথা মোটারা বুঝতে পারছে না? অবশ্য বুঝবে, যেদিন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মরবে সেদিন!

মাথামোটারা সব মরুক। কিন্তু সুন্দরবন বেঁচে থাক

ধন্যবাদ মন্তব্যে।

৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

বিপ্লব06 বলেছেন: এই ডিসিশন সরকারের অনেক উপ্রের মহল থেকে আসা। সরকারি কর্মকর্তাদের এইখানে কিচ্ছুটি করার নাই। এই কর্মচারীরা বরং রিপোর্ট বানাইয়া দিবে যে, এই প্লান্টটা না হইলে বাংলাদেশের ইকোনমিতে ধ্বস নাইমা আসবে।

সুন্দরবনের কি হইল এইটা তেনাদের দেখার টাইম নাই। তেনারা পাঁচ টাকার খরচরে একশ টাকা দেখাইয়া বিদেশ থেইকা একশ টাকার লোন লইয়া আসবেন। তারপর সেই পঁচানব্বই টাকা সবাই মিলে ভাগ কইরা নিবেন (বিদেশি কন্সাল্টিং ফার্মগুলাও এইগুলাতে জড়িত)। আর লোনের টাকা আমরা-আম পাবলিকরা আগামী একশ বছরেও ফেরত দিয়া শেষ করতে পারবো না।

সুন্দরবনেরে বলি দিয়া হইলে তেনাদের নিজেদের পকেট ভরার ব্যাবস্থা করা জরুরি। তেনাদেরকে তো লুটপাটের জন্যই আমরা জাতীয় সংসদে পাঠাই। কথাগুলা গতানুগতিক মনে হইলেও তীব্রভাবে সত্য। পাওয়ার প্লান্টটা হবেই, খালি আমরা একটু দেরী করাইয়া দিতে পারি। দরকার হইলে তেনারা হাজারখানেক আন্দোলনকারীরে বলিও দিয়া দিবে।

ভারতীয় এক্সিম ব্যাঙ্কের লোন চুক্তির সাথে কিছু ক্লজ যুক্ত থাকবে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হইলঃ
১। সিংহভাগ কন্সট্রাকশন ভারতীয় কোম্পানি দিয়া করানো লাগবে।
২। ডে-টু-ডে অপারেশনের কন্ট্রোল ভারতীয়দের হাতে থাকবে।
৩। ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার দিয়া অধিকাংশ কাজ করান লাগবে। সাথে আরও কিছু শর্ত থাকবে।


ভারতপ্রেমিদের/বিদ্বেষীদের জন্যে বলতেছি, এইটা খালি ভারত না, জাপানের জাইকা লোন দিলে তারাও সেইম কামটা করে। জঙ্গি হামলায় মারা যাওয়া এতগুলা জাপানিজ ঠিক তাই করতেছিল।

সব দেইখা শুইনা রাগে চুপ মাইরা গেছি। নিজেরে খুব অসহায় মনে হয়। কিচ্ছু কই না।

পোষ্টটা করার জন্য ধন্যবাদ আপনারে। ভালো থাকবেন।

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সব দেইখা শুইনা রাগে চুপ মাইরা গেছি। নিজেরে খুব অসহায় মনে হয়। কিচ্ছু কই না।

সবার একই দশা! কিন্তু এই নিরবতাযে বুমেরাং হয়ে আমাদেরই ধ্বংস করবে। মৌনতা সম্মতির লক্ষন ধরে!

তাই মরেন নাই এইটা বুঝানোর জন্য যে লড়াচড়া দিছেন তাতেই ধন্যবাদ ;)

৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

অদৃশ্য বলেছেন:




বাঙ্গালি তার উপযুক্ত শাস্তি এখনো পায় নি বলেই আমার মনে হয়... সামনে আরও অনেক কিছুই সম্ভবত অপেক্ষা করিতেছে... আমরা এসব ভোগের জন্য প্রস্তুত হইয়া থাকি... ভোগ করিতেই হইবে বা ভোগ করায়াই ছাড়বে, কোন উপায় নাই...

শুভকামনা...

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবিমৃশ্যকারী হলেতো তা জুটবেই।

বরং ভুল হয়েছে তার জন্য না কেঁদে ভূলকে বদলে সঠিক পথে হাটাই হবে ৭্১রএর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রকাশ, তাদের ঋণ শোধ এবং ভবিস্যত প্রজন্মের কাছে সম্মানের মিনিমাম আশা জিউয়ে রাখা।

স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন যেন পদে পদে বুঝিয়ে দিচ্ছে সময়!!!!

ধণ্যবাদ...

১০| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জেগে উঠো বাঙালী। রুখে দাও দেশের, সুন্দরবনের, আমজনতার, ফসলী জমির. নদীর প্রকৃতির বিরোধী এই আত্মঘাতি ছুক্তি! আসলেই জেগে উঠার সময় হয়েছে

কত কত দু:সংবাদ ভাল্লাগে না

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জেগে উঠো বাঙালী। রুখে দাও দেশের, সুন্দরবনের, আমজনতার, ফসলী জমির. নদীর প্রকৃতির বিরোধী এই আত্মঘাতি চুক্তি!


এমন মাৎসানায় বাঙালি দেখেনি বিগত ৪০ বছরে!!!!!!!!!!!!!!

কেটে যাক অমানিশা- আলোয় ভরুক সোনার স্বদেশ

১১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

জুন বলেছেন: সুলতানা কামালের ঘোষনায় কি কোন কাজ হয়েছে ভৃগু? মালয়েশিয়ায় ছোট্ট এক ফালি নদীর দুপাশে কিছু জোনাকী পোকার কলোনী তাই তারা কি ভাবে সংরক্ষন করছে দেখে বিস্মিত হতে হয়। পরিবেশ বান্ধব পর্যটন ট্যুর আর আমাদের দেশে কি অবস্থা :(

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কাজ হয়না জানি- তবু সব তোষামুদের দেশে কেউ একজন তো আওয়াজ তুলল..
আর উনি সভাপতি হিসাবে দায়সারা বললেও তাওতো বলল! অনেকেতো ন্যায্য কথাটাও বলতে ভুলে যায়!!!ভয় পায়!!!

মালয়েশিয়ার যে কথা বরলে তার সাথে রামপালকে নিয়ে তুলনামুলক দুলাইন কি লিখবেন? এটলিষ্ট ক'জান জানতেতো পারব! ভবিষ্যতের প্রজন্মে জানবে এমন আলোচনাও হতো! যদিও তারা সক্ষম ছিলনা কিন্তু তাদের ভাবনায় ছিল।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ..............

১২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
জনগণের সরকার এদেশে কখনও ছিলো না। কবে যে সেটি আসবে... কে জানে!

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সোনার পাথর বটি!!!!!!!!!!!!!!!!!!

তবুও আশায়... হয়তো কোনএকদিন........হযতো থাকবনা আমি আপনি.. থাকবেনা আমাদের জিয়ন্ত অনুভব..

তবু অনাগত প্রজন্ম যেন সেই সুদিনের দেখা পায় তার প্রার্থনা রইল

১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: জনগনের সরকার এদেশে অন্তত এই শতাব্দীতে আসবে না মইনুল ভাই!

ক্ষমতাই সব কিছু। ক্ষমতায় থাকলে সকল অন্যায় কাজ করা যায়। এত এত প্রতিবাদের পরো কিছুই হল না। এই সিদ্ধান্তের জন্য সরকার মহোদয়কে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে গালি দিয়ে গেলাম।

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চলমান বাস্তবতা এমনই!

তবে ঐযে শিশির কণা প্রতিদিন ঝড়ে ঝড়ে যেমন পাথর ক্ষয়ে যায়...........তেমনি আমজনতার শিশির স্বপ্ন নিশ্চয়ই একদিন পূর্ন হবে।

অন্তরের আবেগটুকু জন্য ধন্যবাদ :)

১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,



কিচ্ছুটি বলার নেই । যতোই হা-হুতাশ করিনে কেন, আমাদেরই ভুলের মাশুল আমাদেরকেই গুনতে হবে ।
হয়তো আমার এই লেখাটি পড়েছেন তবুও আমার এই মন্তব্যের সূত্র ধরে আবারো তার লিংকটি দিলুম - ভোট , না ভোট : একটি সত্যের মতো বদমাশ ।।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন বিশ্লেষনী লেখা। নিংড়ে নির্যাস টুকু তুলে ধরেছেন।

ভুলেম মাশুল গুনতে হবে সত্যি- তা যেন স্বাধীনতা সার্বভোমত্বকে বিপন্ন না করে!

অনেক শুভেচ্ছা

১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২৮

শাহ আজিজ বলেছেন: sunসুন্দরবনের কাছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হবে আমি এতে দ্বিমত নই । সুন্দরবন শেষ হয়ে যাবে , পানির ক্ষতি হবে এবং আরও অনেক বিষয় নিয়ে বেশ কিছু মানুষ আন্দোলন করছে । আমি এর বিপক্ষে । একেবারে রে রে করে দাও কুড়াল নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বেন না।
সুন্দরবন এমনিতেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে । আশার কথা যে সুন্দরবনের আওতা বাড়ছে । সুন্দরবনের ভিতরে যে লুটপাট হয় তা স্বচক্ষে না দেখলে বোঝা মুশকিল। বিদ্যুৎ প্রকল্পের আশে পাশে দীর্ঘ ক্ষতি হবে কিন্তু সুন্দরবনের উত্তর কোন থেকে কেন্দ্র ৯ কিলোমিটার এবং জয়মুনি থেকে ১৪ কিলোমিটার । ৯ মাস দখিনা হাওয়া বয় আর ৩ মাস উত্তুরে হাওয়া। আমার ব্যাক্তিগত পর্যবেক্ষণ বিদ্যুৎ কেন্দ্র জঙ্গলের ক্ষতি করবেনা। আশেপাশের গ্রামের সার্বিক ক্ষতি করবে ধীরলয়ে। ব্রিটিশদের সময় থেকে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে বড় জাহাজ মংলা বন্দরে আসা যাওয়া করত কাজেই জঙ্গলের ক্ষতি জাহাজের কারনে হবে এটা হাস্যকর। এখন পলির কারনে মংলায় জাহাজ আসেনা। ২০/২৫ কিলো দূর থেকে তাও বনের মধ্যে জাহাজ থেকে ছোট জাহাজ /বার্যে দেশের মধ্যে মালামাল আনা নেওয়া হয়। জঙ্গলের মধ্য দিয়ে কয়লা,তেল সবই আসছে সে পাকিস্তানের গোঁড়ার দিক থেকে । এই এলাকার জোয়ার ভাটা সম্পর্কে জ্ঞাত না থাকলে পানি কমে যাবে এই কথাটি আর বলবেন না।
৭০ দশকের পর থেকে মিঠা পানির অভাবে সাগরের লোনা পানির প্রভাবে বনে top dyeing deaseas এর জন্য গাছের ক্ষতি হচ্ছে। ১৮০০ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়েছে । এপর্যন্ত কোন বড় আন্দোলন গড়ে উঠতে দেখিনি এই কারনের জন্য। assistant conservetor of forest এর সাথে তাদের কাজ দেখতে গেলাম । জঙ্গলে উঠে হা হয়ে গেলাম, মাঝে ফাকা রেখে চারিদিকের গাছ বৈধপথে কেটে নেওয়া হয় । পুরো সুন্দরবন চারটি জোনে বিভক্ত করে সাতক্ষীরা , খুলনা, বাগেরহাট আর পিরোজপুরের গদ ফাদাররা লুটে খাচ্ছে এই বন । এক হাড় ব্যাবসায়ির সঙ্গে কথা বলে জানলাম কিভাবে তারা গরুর হাড়ের মধ্যে বাঘের হাড় চীন ,তাইওয়ান ,কোরিয়া পাঠায়। হরিনের মাংস চান ? নো ম্যাটার , মাল দিলে পেয়ে যাবেন। আমি রামপালের লোক অর্থাৎ আদিতে আমাদের বংশধরেরা ভাগায় জঙ্গল কেটে আবাদি করেছিল। সুন্দরবন , সাগর, পোর্ট সবকিছুর ওপর একটা স্টাডি প্রবাস থেকে ফিরে করেছিলাম।
উপরের আলাপ কিন্তু কোন আনু , সুলতানারা করেনা। মহিসোপানে জাগ্রত বাংলাদেশ সমান দুইটির বেশি চর জেগে গেছে।খামোখাই ভারত ,মায়ানমার মহিসোপানের দুদিক দখল করে আছে? ওখানে প্রাকৃতিকভাবেই জঙ্গল গজিয়ে উঠবে যেমন গোটা পশুর থেকে পিরোজপুর, পটুয়াখালী ও ভোলা সংলগ্ন চরে এই বন বিস্তার করেছে। কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হয়।
মাঠে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করুন এবং পারলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঠেকান । বন ও প্রাণী মানুষের হাতে মরছে , পারলে ঠেকান। প্রতিটি গদফাদারের ডাকাত দল আছে , এই দলকে টাকা দিয়ে নিষিদ্ধ গাছ কেটে গোলপাতার নিচে চালান হচ্ছে এতো আমার সামনেই র্যা নডম চেকআপে ধরা পড়া ।
জানি অনেক কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনা , কারা যেন দেশটাকে শেষ করে দিতে চায়। বনরক্ষক বলে কিছু নেই আছে বনভক্ষক।
অকারনে আমায় গালাগাল করবেন না।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একি বল্লেন! গালাগাল করতে যাব কোন দু:খে।

ভিন্নমত থাকবেই। আমিতো আর সরকার নই ;) ভিন্নমত সহ্যই করবো না =p~ =p~

আপনার তুলে ধরা বাস্তবটাও যেমন প্রতিবাদ অবশ্য করণীয়, আর চলমান এই প্রকল্পও সম-পারিমানই প্রতিবাদ যোগ্য বিষয়।
একটা চোভের আড়ালে তিলে তিলে ঘটছে- আরেকটা প্রত্যক্ষ্য চোখের আড়ালে দীর্ঘকালে ক্ষতি করতেই থাকবে।
আমি গরীব বলে যেমন সুন্দরী বউকে অবৈধ পথে ব্রবহার করবো না তেমনি সারা বিশ।বে বিকল্পজ্বালানী এবং পথ থাকতে প্রায় বাতিল এই প্রকল্প নিয়েইবা এত তাড়াহুরো কেন?
খোদ ভারতে কয়লা ভীত্তক প্রকল্প অনুেমাদিত হয়নি তথ্যটুকু নিশ্চয়ই এড়িয়ে যাননি- তবে তা আমাদের ঘাড়ে চাপানো কেন?

আর তারা চাপাতে চাইলে আমরাই বা তা গ্রহণ করবো কেন?

কুইক রেন্টাল প্রহসনের লুটপাটের কাহিনীতো জাতি দেখেছে.. সরকারী বিদ্যুত েন্দ্রগুলোকে বসিয়ে রেখে বেসরকারী কুইক উৎপাদনের নামে একটা জাতির প্রধান খাত জ্বালানীকে পরনির্ভরশীল করার ফল!

আপনি জ্ঞানী মানুষ। সংকলনে ক্লিক করে দেখূন তত্ত্ব আর তত্যের বিশাল সমাহার। প্রতিটা পয়েন্টে বাই পয়েন্ট দেখানো হয়েছে কেন এটা ক্ষতিকর! তারপরও এই আত্মঘাতি চুক্তি দেশের এই ক্রান্তিকালেই বা কেন তাড়াহুরো করে করা মানুষকে ভাবিত করছে।

আপনিও আরেকটুকু ঘেটে দেকূনতো। দেশকে ভালবেসে েকান টা বেশি কার্যকর??

১৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

শাহ আজিজ বলেছেন: জঙ্গলে উঠে হা হয়ে গেলাম, মাঝে ফাকা রেখে চারিদিকের গাছ বৈধপথে কেটে নেওয়া হয়

আসলে ওটা হবে চারিদিকে গাছ রেখে মাঝের বন পুরো কেটে নেওয়া হয়।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ - বোঝা গেছে। তবুও সংশোধণীর জন্য শুভেচ্ছা :)

১৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:০৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:

দায় ভার টা আমাদের ই নিতে হবে ....

আমরা ই ব্যর্থ

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শতভাগ!

বিরোধী দলও ইতিহােসর কাঠগড়ায় এ দায় এড়াতে পারবেনা।

ইতিহাস স্বাক্ষী ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা কোন দাবী বিনা রক্তপাতে আদায় হয়নি! পাকি জুলুম যদি প্রতিরোধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা গেছে - স্বাধীন দেশের স্ভৈরাচারীতার প্রতিবাদ কেন করা যাবে না! ক্ষতার লোভের দ্বন্ধে নয়- এই রকম জাতীয় দেশ জনতার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে দরকার ছিল দুর্বার গণ সম্পৃক্ত আন্দোলন! বামদের একা একা রাজপথের লড়াই তাই ন্যায্য হয়েও শক্তি পায়নি- ফলও দিতে পারেনি।
বামরাও দায়ী। সকল ইজম চেতনা যেমন একাত্তরে এক চেতনার রং ধরে ছিল- জাতীয স্বার্থে তাদেরও সকলকে সাথৈ নিয়েই আন্দোলন করা উচিত ছিল! কারণ ইস্যুটা কারো ব্যক্তিগত নয়- জাতীয় এবং আমজনগণের।

১৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১৫

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: হায় সুন্দরবন :(

এমন সম্পদ আমরা কিনা হেলায় হারাই!!!

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ বলা ছাড়া আমজনতার আর কিইবা করার আছে।

বিলাপেই খেদ মিটানো.. অসহায় আকুতিতে কার দেশের রাজনীতি যখন কেবলই চেয়ারমূখি!

স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব জনগণের অধিকার যখন কেবলই শব্দমাত্র....

ব্যাপক গণজাগরণ নেই। কথিত গণজাগরন মঞ্চেরওতো দেখি সুশীল দশা! কুত্তায় লেজ নাড়ে না লেজে কুকুর বোঝার উপায় নেই!
দেশের এতবড় ইস্যুতে তাদের নিরবতা! সন্দহজনকতো বটেই!!!

১৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২১

জেন রসি বলেছেন: ক্ষমতা আর মুনাফার খেলা। এই আধুনিক বিশ্বে যখন গ্রিন বিজনেসের কনসেপ্ট নিয়ে ভাবা হচ্ছে, আমাদের দেশকে তখন প্রকল্প আর ব্যবসার নামে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তবে আমরা এটা বন্ধ করতে পারিনি এটা আমাদেরও ব্যর্থতা। লং মার্চ, মিছিল, মিটিং মানববন্ধন, কিছুই কাজে লাগে নাই। অন্য ভাবে অন্য কিছু করার কথা ভেবে দেখার সময় এসেছে।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম দারুন বলেছেন..

সকল উদ্ভাবন যখন গ্রীন বেউজড.. তখন আমরা প্রাকৃতি গ্রীনকে ডেষ্ট্রয়ের খেলায় মেতেছি!!!
হে পথিক তুমি ভুবনে ভুবনে -কাজ করে যাও গোপনে গোপনে! প্রকৃতি তার রক্ষার ভার নিজের হাতেই রেখেছে! হাজার প্রযুক্তির পরো দেখেন না যখন পাগলী মেয়ে ক্ষেপে উঠে কেমন তছনছ করে দেয়- কি বাঙলার অরক্ষিত কূল কি ফ্লোরিডার প্রযুক্তিময় কিনারা!

২০| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৩৭

শেয়াল বলেছেন: পরিবেশ নষ্ট হইবে এইটা জানার পরেও সরকার এটা করছে । বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য অন্য জায়গা বেছে নেয়া দরকার । জনসাধারণের মতামত অগ্রাহ্য করে এই কাজটা করছে সরকার । এর প্রতিফল একদিন দিতে হবে কড়ায় গন্ডায় । এই সকল লোভী শয়তানদেরকেই ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমম।

কিন্তু শয়তাদের ফলে আগেই যে প্রকৃতি পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। ভয়টা সেখানেই।
জনসাধারণের মতামত অগ্রাহ্য করে এই কাজটা করছে সরকার । এর প্রতিফল একদিন দিতে হবে কড়ায় গন্ডায় .. প্রকৃতির নিত্যতা কেউ এড়াতে পারেনা।

ধন্যবাদ

২১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:০৫

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: যে বনটা আমাদের সকল প্রকার ঝড় ঝাপটা থেকে বুক আগলিয়ে বাঁচিয়ে রাখে, আজ সেই বন ধ্বংসের মুখে। সবার উচিত তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাওয়া।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রুহী।

দারুন বলেছেন-
যে বনটা আমাদের সকল প্রকার ঝড় ঝাপটা থেকে বুক আগলিয়ে বাঁচিয়ে রাখে, আজ সেই বন ধ্বংসের মুখে। সবার উচিত তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাওয়া।

সকলৈই যদি বুঝত- বিশেষ করে যারা চুক্তি সই করে। তারাতো একপা দেশে আরেক পা প্রথম বিশ্বের কোন দেশে-তাই তাদের দরদ নেই বনের জন্য যতটা আছে কমিশনের জণ্য!

২২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:২৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: জেগে উঠো বাঙালী। রুখে দাও দেশের, সুন্দরবনের, আমজনতার, ফসলী জমির. নদীর প্রকৃতির বিরোধী এই আত্মঘাতি চুক্তি!
বিদূৎ প্লান্ট হবে
এগুবে বাংলাদেশ;
প্লান্টের আশপাশ জমি
বহু আগে বেচা শেষ।

প্লান্ট হবে,মিল হবে
বাড়বে জমির দাম;
আগেভাগে কিনে রাখা
বুদ্ধিমানের কাম।

সভাসদ উজিরেরা
আগেই দিয়েছে বুক;
চুক্তির বহু আগে
স্বপ্ন বিভোরে সুখ।

রাজাদের সুখ দেখে
তোমা ক্যান ঘাম ছুটে?
আজকে প্রমান হলো
তুমি বড় হিংসুটে।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
বেড়ে বলেছে ভায়া
সাথে আছে লাইক এক
সবে যদি এমন ভাবি
থাকবে কি আদৌ স্ব-দেশ!

কমিশন পেলেই
মা মাটি বেঁচা যায়
যারা বেঁচে মানুষ নয়
অমানুষ হয়ে যায়!

উন্নয়েনর ধোঁকা
আর কত খাওয়াবে
কুইক লুটপাটেতো
পানামায় নাম লেখালে!

চৌত্রিশ লাখ কোটি
হয়ে গেছে পাচার
কবে হবে হুশ আর
কত খেলে আছাড়!

হলাম না হয় হিংসুটে
দেশকে ভালবেসে
এমন হিংসুকে ভরুক দেশ
দেশ উঠবে হেসে :)





২৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:২৯

তারেক৭০৭ বলেছেন: সুন্দরবন ভক্ষন করছে বনভক্ষকরো(বনরক্ষক নয়) এবং তাদের দোসরা সাথে আছে রামপালরে লোকেরা । আ েগ তাদেরকে নিবৃত করুন ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এটা কেমন হলো???

চোরে চুরি করে বলে ঘরই বেঁচে দেব?????

চোর দমন অবশ্যই জরুরী। তাই বলে ওয়াল্র্ড হেরিটেজ সুন্দরবনকে ধ্বংসের প্রকল্প অনুমোদন দিতে হবে! অবিমৃশ্যকারী ভাবনা। নয়?

২৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৩৪

মাদিহা মৌ বলেছেন: চেষ্টা তো কম করা হয়নি। সরকার কানেই তুলল না। আমরা আমাদের প্রজন্মের জন্য জঘন্য বাংলাদের রেখে যাওয়ার পায়তারা করছি।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্বেচ্ছাচারী, অনির্বাচিত স্বৈরাচারী সরকারের ধরনই এমন হয়। জনমতের তোয়াক্কা করেনা।

আমরা যদি প্রতিবাদ না করি- পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের ঘৃনাই করবে অসীম ব্যর্থতার দায়ে!

এই অমানিশা কেটে যাক।

২৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৪১

SwornoLota বলেছেন: এত এত তথ্যের সমাহার, বড়ই চমৎকৃত হই দেখে। কিন্তু এসব কার জন্য? কাদের জন্য?
এলিটদের এসব জানার দরকার নেই।
আর আমাদের কিছুই করার নেই।
এই সব পরিকল্পনা আমরা জানতে পারি কেবল বাস্তবায়ন হবার সময়, যখন আর চুক্তি থেকে সরে আসার উপায় এলিট ডাকাতদেরও থাকে না।

আজ এই মুহূর্তে ঠিক কই কই আমাদের আরো ১০ বার বেচে দেওয়া হচ্ছে সেই তথ্যও কিন্তু আমরা আজ জানবো না। বেঁচে থাকলে হয়ত ভবিষ্যতের কোন এক দিন.....।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জনবিচ্ছিন, জনগণের প্রতি দায়হীন ম্বৈরাচারিতা ১০ না শ'বার বেঁচে দেবে সুমীলপনার নামে কাপুরুষতা, নিরবতা আর চেতনায় অন্ধ হয়ে তাদের অপকর্মরেও সাফাই গাইলে!

মীরজাফর যেমন চির ঘৃনিত- এইরকম অপকর্মকারীরাও তেমনি ঘৃনিত হয়েই ঠাই নেবে ইতিহাসের পাতায়!

২৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:০৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আগেকার দিনের রাজারাজরাদের কাছে জনগণ ভিড়তে পারতনা, মন্ত্রী-উজির পরিবেষ্টিত হয়ে রাজা মহাসুখে জনবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করত।

সংবাদ ও তথ্য প্রবাহের এই যুগেও প্রাচীন সেই সংস্কৃতি থেকে আমাদের উত্তরণ হলোনা।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বলেছেন!

বত্কব্যেই ডিজি- টাল হয়েছি!
পদ্ধতিতে স্বেচ্ছাচারী স্বৈরাচারী রাজার প্রাচীন পদ্ধতিই নমস্য!

মাৎসানায়ে যতটুকু ভাল থাকা যায়!
শুভেচ্ছা আপনার জন্যে

২৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০১

শায়মা বলেছেন: এমনিতেই অরণ্য আমার অনেক প্রিয়। এই মনুষ্য বসতি ছেড়ে সেখানে গিয়েই অনেক অনেকবারই আমার থাকতে ইচ্ছে হয়েছে। আর প্রিয় সুন্দরবন বা আমাদের অমূল্য সুন্দরবনকে বাঁচাতেই হবে।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হে অরন্যপ্রিয়ে, তবে তাই হোক
গর্জে উঠক কি-বোর্ড, ফেবু ইভেন্ট, অনলাইন এক্টিভিট স্ব-দেশী এবং আন্তর্জাতিক নাগরিক সচেতনাতায়!

ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ রক্ষায় একটা "ওয়ান মিলিয়ন সাইন- সাইন টু সেভ সুন্দরবন" আপ এপ্লিকেশনের উদ্যোগ নেয়া যায় কিনা ভেবে দেখতে পারেন।
জাতিসংঘ সহ ইউনেস্কোকে সেই ১ মিলিয়ন সাইন আপ এপ্লিকেশন দিলে আশা করি পিজিটিভ কিছূ হতে পারে।

২৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

তারেক৭০৭ বলেছেন: এটা ভালো উদ্যোগ । জাতিসংঘ সহ ইউনেস্কোকে সেই ১ মিলিয়ন সাইন আপ এপ্লিকেশন দিলে যদি কিছু হয় চেষ্টা করতে তো দোষ নাই ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

দেখুন করা যায় কিনা।

অনলাইনের শক্তিটা অন্তত আমাদের কাজে লাগানো উচিত।

২৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রাজা নিজে যেখানে রাষ্ট্রদ্রোহী , সেখানে প্রজাদের কি করার আছে ?
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র চুক্তি অনুমোদন আর কোটি মানুষের মৃত্যু পরোয়ানা সাক্ষরের মাঝে আমি কোন পার্থক্য দেখি না ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শতভাগ সহমত । অমতের কোন সুযোগই নাই। :)

অনেক ধন্যবাদ

৩০| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: লেখাটির জন্য আনেক ধন্যবাদ ভীগু ভাই। রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঠেকানো যাবে কিনা জানিনা তবে এটা নিশ্চিত যে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানবে আমরা চুপ করে থাকিনি, প্রতিবাদ করেছি। এই প্রতিবাদ উপেক্ষা করে যারা সুন্দরবন ধ্বংস করছে তারাই বাংলাদেশের জৈব বৈচিত্র্য ধ্বংসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিনতির জন্য দায়ী থাকবে।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদা আপনাকেও।

এই নূন্যতম প্রতিবাদ টুকু বিবেকের নূন্যতম দায়। যদিও প্রয়োজন ৫২ একাত্তরের মতো গর্জ ওঠা। কারণ পৃথিবীতে কোন ভাল কাজ আপোষে কেউ করেনি। প্রয়োজন হয়েছে ত্যাগের রক্ত, জীবন এবং স্বার্থ ত্যাগ।

চেষ্টা অব্যহত থাকুক যে যার স্থান থেকে।

৩১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১৩

তারেক৭০৭ বলেছেন: সুলতানা আপাকে উদ্যোগাটা নেওয়ার অনুরোধ করছি । আমরা আছি সাথে ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমম সেটা অনেক কার্যকর হবে।

সাথে অনলাইনে সকলের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহন! ব্যাস.. সুন্দরবনের জন্য আমাদের ভালবাসা প্রকাশিত প্রমাণীত হোক

৩২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:৫৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: হলাম না হয় হিংসুটে
দেশকে ভালবেসে
এমন হিংসুকে ভরুক দেশ
দেশ উঠবে হেসে


বাহ,বেশ ক'লেতো ছন্দছড়ায়
শুনেই জুড়ায় মন;
হিংসুটে আজ আমিও হবো
বাঁচাও সুন্দরবন।

কথায় কি গভীরতা
কয়ে দিলে সবি;
শ্রদ্ধায় নুয়ে গেনু
তুমি প্রকৃতই কবি। :)

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ,বেশ ক'লেতো ছন্দছড়ায়
শুনেই জুড়ায় মন;
হিংসুটে আজ আমিও হবো
বাঁচাও সুন্দরবন।

++++++

সবাই হোক হিংসুটে আজ
সবাই হোক এক- সারা বিশ্ব চেয়ে দেখ...

সুন্দরবন শুধু বন নয়
এ যে বাংলাদেশের প্রাণ।

৩৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২০

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: লাই দিয়েছি,সব সয়েছি
উঠলো এবার ঘাড়ে;
গায়ের জোড়ে মারবো আছাড়
মরবে এবার ভারে। X(( X(

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
বাহ বেশ বেশ
আমজনতার মনের কথা
ঝড়লে নিয়ে আয়েশ
অনাচারের হোক এভাবেই শেষ ; X(( X(

৩৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

নীলপরি বলেছেন: শুভ বুদ্ধি জাগ্রত হোক ।

১৬ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

জেগে উঠো বাঙালী। রুখে দাও দেশের, সুন্দরবনের, আমজনতার, ফসলী জমির. নদীর প্রকৃতির বিরোধী এই আত্মঘাতি চুক্তি!

৩৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

আহম কামাল বলেছেন: রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী '

:) যদি কয়লার দাম প্রতি টন ১০৫ ডলার হয় তবে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম হবে ৫ টাকা ৯০ পয়সা এবং প্রতিটন ১৪৫ ডলার হলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৮ টাকা ৮৫ পয়সা। অথচ দেশীয় ওরিয়ন গ্রুপের সঙ্গে মাওয়া, খুলনার লবণচরা এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারায় তিনটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের যে চুক্তি হয়েছে পিডিবির সঙ্গে, সেখানে সরকার মাওয়া থেকে ৪ টাকায় প্রতি ইউনিট এবং আনোয়ারা ও লবণচড়া থেকে ৩ টাকা ৮০ পয়সা দরে বিদ্যুৎ কিনবে। সরকার এর মধ্যেই ১৪৫ ডলার করে রামপালের জন্য কয়লা আমদানি চূড়ান্ত করে ফেলেছে। তার মানে পিডিবি এখান থেকে ৮ টাকা ৮৫ পয়সা দরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনবে সেটা নিশ্চিত।

:) এবার আসুন মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়। ১৮৩০ একর ধানী জমি অধিগ্রহণের ফলে ৮ হাজার পরিবার উচ্ছেদ হবে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মসংস্থান হতে পারে সর্বোচ্চ ৬০০ জনের, ফলে উদ্বাস্তু এবং কর্মহীন হয়ে যাবে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ পরিবার। শুধু তাই নয়, আমরা প্রতি বছর হারাব কয়েক কোটি টাকার কৃষিজ উৎপাদন।
বিস্তারিতঃ Click This Link
-----------------------------------
' সুন্দরবনের কাছে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিবেশগত প্রভাব নিরুপন বা ইআইএ বিশ্লেষণ '

:) প্রকল্পের স্থান চূড়ান্ত করণ ও জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর ইত্যাদি যাবতীয় কাজ শেষ হওয়ার পর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব নিরুপন বা এনভাইরনমেন্টাল ইমপেক্ট অ্যাসেসমেন্ট(ইআইএ) করা ও তার জন্য জনসাধারণের কাছে মতামত চাওয়াটা তামাশাই বটে! সরকার জনগণের সাথে এই ভয়ংকর তামাশাটি করলো তাও আবার এমন একটি স্থানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে যা শুধু বাংলাদেশ নয় সারা দুনিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক সম্পদ সুন্দরবনের খুব কাছেই, একেবারে বিপদজনক সীমার মধ্যে অবস্থিত। রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জমি অধিগ্রহণের আদেশ জারি হয় ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর, ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসির সাথে বাংলাদেশের পিডিবির জয়েন্ট ভেঞ্চার বা যৌথ বিনিয়োগ চুক্তি হয় ২৯ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে আর ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে “Final Report on Environmental Impact Assessment (EIA) of 2 × (500-660) MW Coal Based Power Plant to be constructed at the location of Khulna” নামে সেই কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইআইএটি পিডিবির ওয়েবাসাইটে ঝুলানো হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ এর মধ্যে মতামত চাওয়া হয়েছে। এভাবে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই প্রকল্পের স্থান চূড়ান্ত করণ থেকে শুরু করে বিনিয়োগ চুক্তি সম্পন্ন করে ফেলার পর পরিবেশ ছাড়পত্রের জন্য তৈরী এই ইআইএর উদ্দেশ্য ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রথমেই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।

:) বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পর্যায়ে কৃষি ও পরিবেশের উপর প্রভাব:-
কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ৬৬০ মেগাওয়াটের দুইটি বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট থাকবে। প্রথম ইউনিটটি নির্মাণের জন্য ৪৮ মাস বা চার বছর এবং দ্বিতীয় ইউনিটটি শেষ হতে আরো ৬ মাস বাড়তি অর্থাৎ মোট সাড়ে ৪ বছর সময় লাগবে। এই সাড়ে চার বছর সময় জুড়ে গোটা এলাকার পরিবেশ, কৃষি, মৎস ও পানি সম্পদের উপর নিম্ন লিখিত প্রভাব সমূহ পড়বে:............

বিস্তারিতঃ Click This Link

২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

কিন্তু আমাদের নিস্পৃহতা! মিডিয়ার নিরবতা! কেবলই পরাজয়ের বার্তা দেয়- যদিনা কোন বিপ্লবী তাকে জয়ে বদলে দেয়!

৩৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার এই পোস্টটির জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাই। কয়েকজন বিদগ্ধ পাঠকের মূল্যবান মতামতও ভালো লেগেছে।
আমার কাছে কেন যেন মনে হয়, সুলতানা আপার বিবৃতিটা অনেকটাই লোক দেখানো। প্রতিবাদের ভাষা তেমন জোরালো নয়, যেমনটা তার অন্যান্য বক্তব্যে আমরা দেখতে পাই।
দেশের আপামোর জনসাধারণের ইচ্ছা অনিচ্ছাকে তোয়াক্কা না করে তড়িঘড়ি করে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনেক সন্দেহের জন্ম দেয়। সরকারের উচিত তাদের বক্তব্য জনগণের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা আর জনগণের উচিত এ চুক্তির বিরোধিতায় তারা যে অনড় এবং একতাবদ্ধ, তা সরকারকে বুঝিয়ে দেয়া, তারা যে ভাষা সহজে বুঝবে, সে ভাষায়।

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।

এক উদ্ভট সময় পার করছি। কেউ সত্য বলছে না। কেউ পরিস্কার করে অবস্থান জানাচ্ছে না। ঘোলাটে, কথার ফুলঝুগি, মিথ্যা, চালাকি, প্রতরণায় ভরে আছে বিবৃতি, বক্তৃতা।
এবং এমন এক সেনসিটিভ ঘটনার আড়ালে তা করা হল বি্সময়কর। হলিআর্টিজানের শকটাও সামলে উঠতে পারেনি জাতি.. অথচ এতবড় একটা চুক্তি সই হয়ে গেল!
দায়হীন সংসদ (১৫৪জন বিনা ভোটে- ১৫১ জনে সকার গঠিত হয়!!!) কে নেব দায় দেশের মাটির, আমজনতার স্বার্তের চিন্তা কার মাথায়
তারেক চোরার ২০ হাজার কোটি টাকার পাচারে আমরা কত চিৎকার কত বিবৃতি কত মিছিল পথসভা দেখেছি

হায় আজ জাতি ৩০ লক্ষকোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে!
সবাই স্পকটি নট! কি মিডিয়া! কি টিভি চ্যানেল! কি সুশীল সমাজ! কি বিরোধী দল!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
হায়- আইজুদ্দিন, বিচিত্র এই বাংলাদেশ!

৩৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

মুসাফির নামা বলেছেন: এখনও সুযোগ আছে,এই মরণ প্রজেক্ট বন্ধ করার।লেখা চালিয়ে যান।

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

অন লাইন পিটিশন একটা সহজ অথচ জোরালো প্রতিবাদ। এক্সপার্টরা কি নজর দেবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.