নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সড়ক আইন, বাস্তবতা ও শুভকংরের ফাঁক

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সড়কে প্রায় প্রতিদিনই অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটছে। বুয়েটের এআরআই’র তথ্য অনুযায়ী গত বছর সারা দেশে ৩ হাজার ৫১৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৪ হাজার ৭৬ জন। আহত হয়েছেন ৮ হাজার ৭১৫ জন। জানা গেছে, বুয়েট কেবল সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে দুর্ঘটনার এই তথ্য সংগ্রহ করেছে। বাস্তবে দুর্ঘটনার ঘটনা আরও বেশি। এভাবে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে অসংখ্য দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারানো ছাড়াও বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা পঙ্গুত্ববরণ করছেন। হচ্ছেন বিকলাঙ্গ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ৫৫ ব্যক্তির প্রাণহানি হচ্ছে। আর বাংলাদেশ রিসার্চ ইন্সটিটিউটের গবেষণা বলছে, দেশে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে ১২,০০০ মানুষ নিহত ও ৩৫,০০০ আহত হন। গত ১৮ আগস্ট বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৬ আগস্ট থেকে ১৭ আগস্ট ১২ দিনে ঈদুল আজহা উপলক্ষে যাতায়াতকালে দেশে ২০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২২৪ জন প্রাণ হারায়। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এসব দুর্ঘটনার ৯০ শতাংশের কারণ চালকের বেপরোয়া গাড়িচালনা। এর মধ্যে চালকদের বড় একটি অংশের বৈধ লাইসেন্স নেই।


গত বছরের ২৯ জুলাই দুই বাসের রেষারেষির বলি হয়েছিল ঢাকার শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী মিম ও রাজু।
এ ঘটনার জন্মদাতা দুই বাসচালকেরও ভারি যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না। বাসগুলোরও ছিল না ফিটনেস। তখন সড়কে নিরাপত্তার দাবিতে প্রায় সারা দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠে। আন্দোলনের মুখে তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, পুলিশ এবং পরিবহন মালিক-চালকদের টনক নড়ে। অনুসন্ধানে পরিবহন খাতে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, বেআইনি কর্মকাণ্ডের তথ্য বেরিয়ে আসে।

অবেশেষে বাংলাদেশে চালক ও পথচারী উভয়ের জন্য কঠোর বিধান যুক্ত করে শুক্রবার থেকে কার্যকর করা হয়েছে বহুল আলোচিত 'সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৯।' আন্দোলনের মুখে ১৯শে সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন আইন পাস করে সরকার। ১৪ মাস পর সেটা কার্যকর হল।

নতুন আইনের উল্লেখযোগ্য ১৪টি বিধান:
* সড়কে গাড়ি চালিয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে হত্যা করলে ৩০২ অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
* সড়কে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালালে বা প্রতিযোগিতা করার ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। আদালত অর্থদণ্ডের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেয়ার নির্দেশ দিতে পারবে।
* মোটরযান দুর্ঘটনায় কোন ব্যক্তি গুরুতর আহত বা প্রাণহানি হলে চালকের শাস্তি দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল ও সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা।
* ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরযান বা গণপরিবহন চালানোর দায়ে ছয় মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া হয়েছে।
* নিবন্ধন ছাড়া মোটরযান চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।
* ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার এবং প্রদর্শন করলে ছয় মাস থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
* ফিটনেসবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ মোটরযান চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া হয়েছে।
* ট্রাফিক সংকেত মেনে না চললে এক মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দণ্ডিত করা হবে।
* সঠিক স্থানে মোটর যান পার্কিং না করলে বা নির্ধারিত স্থানে যাত্রী বা পণ্য ওঠানামা না করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
* গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বললে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
* একজন চালক প্রতিবার আইন অমান্য করলে তার পয়েন্ট বিয়োগ হবে এবং এক পর্যায়ে লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।
* গণ পরিবহনে নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে অতিরিক্ত ভাড়া, দাবী বা আদায় করলে এক মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দণ্ডিত করা হবে।
* আইন অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সে পেতে হলে চালককে অষ্টম শ্রেনি পাস এবং চালকের সহকারীকে পঞ্চম শ্রেণি পাস হতে হবে হবে। আগে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন প্রয়োজন ছিল না।
* গাড়ি চালানোর জন্য বয়স অন্তত ১৮ বছর হতে হবে। এই বিধান আগেও ছিল।
* এছাড়া সংরক্ষিত আসনে অন্য কোনও যাত্রী বসলে এক মাসের কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।


আপাত দৃষ্টিতে ভাল এই আইনের বিরুদ্ধে কেন তবে পরিবহন মালিক শ্রমিক আন্দোলনে গেল? বিগত কয়েকদিনের আঞ্চলিক ধর্মঘটের পর নতুন সড়ক আইন কার্যকরের প্রতিবাদে আজ সারা দেশে যান চলাচল বন্ধ আছে।
রাজশাহী জেলার পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, নতুন আইনটি সংস্কারের দাবিতে শ্রমিকেরা ধর্মঘট পালন করছে। তিনি বলেছেন, "নতুন আইনটা সংস্কার করা প্রয়োজন। এই আইনে ড্রাইভারের জন্য যে জরিমানা ধরা হইছে, সেইটা একজন ড্রাইভার কোথা থেকে দেবে? সে বেতন পায় কত টাকা?"

"কিন্তু সব পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘট করছে না। যার কাগজ ঠিক আছে সে চালাইতেছে। যার কাগজ ঠিকঠাক নাই, মানে মেয়াদ শেষ হইছে বা কাগজ হারিয়ে গেছে বা চুরি গেছে, তারা বইসা আছে। কারণ কাগজ হইতে তো সময় লাগে। একদিনে তো আর হয় না।"
নতুন আইনে দুর্ঘটনার জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ও পাঁচ বছরের সাজার ব্যবস্থা রাখা রয়েছে।এই ধর্মঘট কতদিন চলবে, এমন এক প্রশ্নে মিঃ আলম বলেন, পরিবহন শ্রমিকের স্বার্থ নিশ্চিত হওয়ার পর তারা কর্মসূচি তুলে নেবেন।

সরকার কী বলছে?
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সোমবার ঢাকায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, কোন মহলের চাপের মুখে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইন 'অকার্যকর' করা যাবে না। তিনি বলেন, "এই আইন যেন সহনীয় পর্যায়ে কার্যকর করা হয়, তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ আইন কাউকে শাস্তি দিতে নয়, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং দুর্ঘটনা কমাতে ব্যবহার করা হবে।"

বাস্তবতা কি?
তা বিচারের আগে চলুন সমস্যা গুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করি।
ক্যাটাগরি -১
* হেভি লাইসেন্স ছাড়াই হেভি গাড়ী চালানো
* সড়ক অপ্রতুলতা
* পর্যাপ্ত পার্কিং স্পেস না থাকা
* গাড়ীর ফিটনেস না থাকা
* পর্যাপ্ত বাস বে না থাকা
* আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকা
* যাত্রী পথচারিদের আইন অমান্য করার মানসিকতা
* মেইনস্ট্রীম মিডিয়া সহ সকল মাধ্যমে অপ্রতুল প্রচারণা

ক্যাটাগরি -২
* বেপরোয়া চালনা
* চালকের অধৈর্য, অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও
* ক্লান্তি (একজন চালকের দিনে ৮ ঘণ্টা গাড়ি চালানোর নিয়ম থাকলেও চালান ১২-১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত)
* গন্তব্যে তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে বা বেশি যাত্রীর আশায় চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান ও রেষারেষিতে লিপ্ত হন।
* এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালানোর শক্তি ধরে রাখতে অনেক চালক মাদক গ্রহণ
* দিনভিত্তিক গাড়ি ভাড়ায় চালান চালকরা।
* কম সময়ে বেশি যাত্রী পরিবহনে তারা অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন।


ক্যাটাগরি -১
* হেভি লাইসেন্স ছাড়াই হেভি গাড়ী চালানো

আমাদের গাড়ীর লাইসেন্স সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান হলো বিআরটিএ। লাইসেন্স সমস্যার কার দায় কতটুকু একটু চোখ বুলিয়ে নেই।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে, একটি গাড়ির বিপরীতে দেড়জন চালক থাকতে হয়। আমাদের দেশে গাড়ির সমসংখ্যক চালকই নেই। সড়কে দুর্ঘটনা রোধে গাড়ির অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণে দরকার বৈধ চালক।’

নিবন্ধিত গাড়ি ও সরবরাহ করা লাইসেন্সের বিষয়ে বিআরটিএর পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, দেশে পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ১১৬টি গাড়ি বৈধ লাইসেন্স ছাড়া চালানো হচ্ছে। গত জুলাই পর্যন্ত দেশে নিবন্ধিত হয় ৪১ লাখ ছয় হাজার ৯৩৪টি গাড়ি। একই সময়ে লাইসেন্স দেওয়া হয় ৩৫ লাখ ৭৭ হাজার ৮১৮টি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের কাছ থেকে জানা গেছে, ৩৯ শতাংশ ভারী গাড়ির চালকের বৈধ লাইসেন্স নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারী যানবাহনের ক্ষেত্রে গাড়ির তুলনায় আড়াই থেকে তিন গুণ বেশি চালক থাকা জরুরি। বিভিন্ন পরিবহন সমিতি ও ইউনিয়নের হিসাবে বাস, মিনিবাস, ট্রাক, পিকআপ, লরি, অটোরিকশার চালক থাকে একাধিক। বাস্তবে দেশে অবৈধ চালক আছে কমপক্ষে ১৬ লাখ।

বর্তমানে শুধু মুদ্রণের জন্যই কেন্দ্রীয়ভাবে এক লাখ ৭৯ হাজার ৩৯৪টি লাইসেন্স দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আর ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলার আরো অন্তত ছয় লাখ আবেদনকারী লাইসেন্স পেতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় আটকে আছে।

২০১১ সালের নভেম্বর থেকে বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স দিচ্ছে গ্রাহকদের। এর জন্য চুক্তি হয় টাইগার আইটি বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে। প্রথম দফা চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ বছরে ১১ লাখ ৫০ হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহের কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে ওই সংখ্যক লাইসেন্স ছাড়াও অতিরিক্ত এক লাখ ৭২ হাজার লাইসেন্স সরবরাহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর দ্বিতীয় দফা চুক্তিতে ১৫ লাখ লাইসেন্স সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত ১৩ লাখ ৮০ হাজার লাইসেন্স সরবরাহ করেছে।

বিআরটিএর চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান ড্রাইভিং লাইসেন্স সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পাঁচ বছরের মধ্যে যে কার্ড দেওয়ার কথা ছিল তা দেওয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। ৪০ হাজার কার্ড এসেছে, আরো ৪০ হাজার কার্ড আসবে। এ ছাড়া বর্তমান সরবরাহকারীকে ৩০ শতাংশ লাইসেন্স কার্ড সরবরাহের প্রক্রিয়া দ্রুত চূড়ান্ত হবে বলে আশা করছি। সংকটের কারণে অনেক স্থানে লাইসেন্স বিতরণ করতে হচ্ছে ধীরে। আমরা নতুন লাইসেন্স সংগ্রহের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছি। প্রক্রিয়া শেষ হতে ছয় মাস লাগবে। এই সময়ের মধ্যে সংকট মোকাবেলায় সাড়ে চার লাখ লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারব বলে আশা করছি।’


সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সংকট উত্তরণের জন্য চুক্তির অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ লাইসেন্স সরবরাহের জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটিকে চাপ দিলেও প্রস্তাবটি গতকাল পর্যন্ত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে পাঠানো হয়নি। প্রস্তাবটি এক মাসের মধ্যে অনুমোদন হলেও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত লাইসেন্স ছয় মাসের আগে সরবরাহ করতে পারবে না বলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এ ছাড়া প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ বছরের জন্য নতুন ৩৫ লাখ লাইসেন্স সংগ্রহের জন্য বিআরটিএ গত ২১ জুলাই দরপত্র আহ্বান করেছে। এরই মধ্যে দুইবার দরপত্রের সময় বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ সময় বাড়িয়ে করা হয়েছে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর। এই দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগবে অন্তত আট মাস। আট মাসে দরপত্র চূড়ান্ত হওয়ার পর চুক্তি হবে বিআরটিএর সঙ্গে। তারপর লাইসেন্স সরবরাহ করতে লাগবে কমপক্ষে ছয় মাস। অর্থাৎ নতুন করে লাইসেন্স পেতে অপেক্ষা করতে হবে অন্তত ১৪ মাস। লাইসেন্স সরবরাহের হার কমে যাওয়ায় সংকট আরো প্রকট হবে বলে মনে করছেন বিআরটিএর কর্মকর্তারা।

এই বাস্তবতায় আইনের প্রয়োগ করতে গিয়ে চালকদের উচ্চমাত্রার জরিমানা কি যথাযথ হবে? লাইট থেকে হেভি লাইসেন্স গ্রহনের জন্য পরীক্ষা গ্রহণ এবং তার ব্যবস্থা না রেখে এবং তার জন্য বিআরিটএর যে টাইম জট তা সমাধানের ব্যবস্থা না করে শাস্তির বিধান কি সছিক হলো? এমনি লাইসেন্স প্রদানের যে ধীর গতি এবং সময় জট তা নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং আবেদনকারীদের প্রাপ্ত অস্থায়ী রশিদের ভিত্তিতে জরিমানার আওতার বাইরে রাখলে আশা করি তাদের পেরেশানি দূর হবে। আবার যথাযথ লাইসেন্স গ্রহনের বাধ্যবাধকতাও অটুট রবে।

* গাড়ীর ফিটনেস না থাকা
এটা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের যে দফতর গুলো আছে তার ভূত আগে তাড়াতে হবে। এক গাড়ী মালিককে দেখেছি ফটো শপে গড়াীর রংচটা বডি কালার ঠিক করে সেই ছবি দিয়েই ফিটনেস লাইসেন্স নিয়েছে? কিভাবে সম্ভব? এই শুভংকরের ফাঁকি অবশ্যই দূর করতে হবে। আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সেই ভূতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে জেলে দিতে হবে। গাড়ীর কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রনেও তথৈবচ দশা।

* সড়ক অপ্রতুলতা * পর্যাপ্ত পার্কিং স্পেস না থাকা * পর্যাপ্ত বাস বে না থাকা * আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকা
এ সমুদয় সমস্যা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগেই সমাধান করতে হবে। শুধু চালক যা পথচারী বা যাত্রীদের দোষারুপ না করে আমাদের পর্যাপ্ত নূন্যতম
সুষ্ঠু সড়ক ব্যবস্থাপনা আগে নিশ্চিত করতে হবে। আর সীমাবদ্ধতার কথা গোপন না করে বরং পজিটিভলি সম্প্রচারে আনলে মানুষও সহনশীলতার সাথেই সহযোগী মনোভাবে নিজেদের বদলাতে মানসিক প্রস্তুতি নেবে।
* মেইনস্ট্রীম মিডিয়া সহ সকল মাধ্যমে অপ্রতুল প্রচারণা
মিডিয়ার শক্তিশারী ভূমিকা পুরোই অনুপস্থিত। সড়ক ও দূর্ঘটনা, সকল গ্রুপের সচেতনতা নিয়ে প্রচুর ফিলার, নাটিকা, নাটক, সিনেমা সকল ক্ষেত্রই বিনিয়োগ করতে হবে দেশপ্রেমের দায় থেকেই। সেই চার্লি চ্যাপলিন আমলেই দেখেছি তাদের ফানের মাঝেও আইন মানার, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার শিক্ষা হাস্যরসের মাধ্যমেই দেয়া হতো।


ক্যাটাগরি -২
* বেপরোয়া চালনা
* চালকের অধৈর্য, অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও
* ক্লান্তি (একজন চালকের দিনে ৮ ঘণ্টা গাড়ি চালানোর নিয়ম থাকলেও চালান ১২-১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত)
* গন্তব্যে তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে বা বেশি যাত্রীর আশায় চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান ও রেষারেষিতে লিপ্ত হন।
* এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালানোর শক্তি ধরে রাখতে অনেক চালক মাদক গ্রহণ
* দিনভিত্তিক গাড়ি ভাড়ায় চালান চালকরা।
* কম সময়ে বেশি যাত্রী পরিবহনে তারা অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন।

সকল কিছুর মূলে চালকদের প্রতি মালিকদের অসুস্থ শর্তই দায়ী। চুক্তি ভিত্তিক গাড়ী নিয়ে যখন একজন চালক পথে বের হয় তখন মাথায় একটাই চিন্তা থাকে চুক্তির টাকা উঠানোর পরই তার নিজের আয়, হেল্পারের আয়। তাই তাদের প্রতি সম্পূর্ণ দোষের আঙুল তোলার আগে এসবের সমাধানে মালিক পক্ষের সাথে বসতে হবে। তাদের রুট পারমিটের সময় শর্ত যুক্ত করে দিতে হবে। দেশের অন্যন্য সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান, ব্যবাসয়ী প্রতিষ্ঠান যদি নিজেদের কাঁধে ঝুকির দায় নিয়েই কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে কোম্পানী পরিচালনা করতে পারে, ট্রান্সপোর্ট কোম্পানী নয় কেন?
চালকদের চাকুরির নিশ্চয়তা এবং বেতন ভিত্তিক নিয়োগপত্র প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই তাদের মধ্যে যে আগ্রাসী যাত্রী ধরার প্রবণতা কমে আসবে। দিনে নির্দিষ্ট সংখ্যক ট্রিপ দিয়ে নিশ্চিন্তে বাড়ী চলে যাবে। আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের অধিকারের দাবী মানতে হবে। কারণ চালকেরাও মানুষ।
উল্টো তাদের হাতে আরো অসংখ্য মানুষের জীবন মরণ নির্ভর করে। তাই তাদের প্রতি নূন্যতম মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তার বিধান করতে হবে। অবৈধ চাঁদা বা জরিমানা দিয়ে তাদের মনে তা উসুল করার যে প্রচন্ড চাপ থাকে অবৈধ চাঁদা বন্ধের মাধ্যমে তা প্রতিহত করতে হবে। শুধু এটুকু নিশ্চিত করতে পারলে বাকীগুলো আপনাতেই কমে আসবে । কারণ সেগুলো এই একটা অনিশ্চয়তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেই উদ্ভুত।

মালিক পক্ষকে এই মানবিক বিষয়ে সরকার বাধ্য করতে পারলে সমস্যার আশি ভাগই সমাধান হয়ে যায়। আর যে টুকু বাকী থাকে তা আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করা যাবে বলেই আশাবাদী। তখন তারা আর আন্দোলনের কোন যৌক্তিক ইস্যু খুঁজে পাবে না।

একজন অন্যজনকে প্রতিপক্ষ না ভেবে সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হলেই- কোন সমস্যাই সমস্যা থাকে না।
আশা করছি মালিক, শ্রমিক, সরকার সকলেই যার যার অবস্থান থেকে সমস্যা গভীরে গিয়ে তার সমাধানে আন্তরিক হবে।
সীমাবদ্ধাতার মাঝেও আন্তরিকতায় প্রচেষ্টা চালাবে সুস্থ সুন্দর ও সুষ্ঠু সমাধানের।
মানুষ মুক্তি পাক ভোগান্তি থেকে।


তথ্যসূত্র:
কালের কন্ঠ
যুগান্তর
বিবিসি
অন্তর্জাল




মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১১

নুরহোসেন নুর বলেছেন: আপাতত এই আইনটি খারাপের চেয়ে কিছুটা ভাল হয়েছে,
প্রয়োজন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সততার সাথে কাজ করা।
পরিবহন মালিক শ্রমিককে পেদিয়ে সোজা করার দরকার।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মন্দের ভাল বটে!
তবে সুযোগ না দিয়ে আপনি শাস্তির বিধান দিলে কি ঠিক হলো!
আপনি কি পুরোটা পড়েছেন? লাইসেন্সিংয়ের পুরো সিস্টেমের লেজে গোবরে হাল।
যেখানে লাইসেন্স জটে বছর ঘুরে, ঘুষ দূর্ণীতে আটকা পড়ে আছে প্রক্রিয়া
সেখানে বিশাল অংকের শাস্তি মরার উপর খাড়ার ঘা তুল্য নয়?

তাদেরকে আপগ্রেড হয়ে হেভী লাইসেন্সের পরীক্ষা অপশন রাখুন। এবং দ্রুত তা কার্যকর করার ব্যবস্থা করুন।
তারপরো কেউ বিনা লাইসেন্সে চালালে কঠিন জরিমানা করুন।

অনেক ধন্যবাদ।



২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪০

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া! :( :( :(


:((

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি হলো? কি হলো?
কাঁদছে কেন টুম্পা মনি ;)

চলমান সমস্যা নিয়ে ভাবাভাবি আর কি :)

৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৭

জগতারন বলেছেন:
মাদারিপুরের কলঙ্ক ও বদনামি এম পি শাজাহান খাঁনকে ধরে রিমান্ডে নিলেই সকল গোমর ফাঁস হইয়া যাবে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সে তো জ্বরের লক্ষন মাত্র!

জ্বর সারাতে কুইনিন চাই ;)

৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: যারা শ্রমিক ধর্মঘট ঘোষণা দিয়েছে, যারা শ্রমিক নেতা... খুঁজলে দেখা যাবে এরা সরকারী দলের বড় নেতা, নেতার ভাই বন্ধু, স্বজন পরিজন।
এইদেশে যারা ক্ষমতায় আসে তাদের লোকেরা পরিবহণ খাতের কর্তাব্যক্তি হয়ে যায়। বর্তমান সরকারের সেতু মন্ত্রী, সাবেক নৌ মন্ত্রী, উপদেষ্টা, এম্পি... এদের শতশত গাড়ি আছে। এরাই শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করেন। এই অবৈধ শ্রমিক আন্দোলনে এইসব কর্তাব্যক্তিদের মদদ আছে বলেই আমার ধারণা।

পুলিশের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত মিন্নির কথিত বয়ফ্রেন্ডে ভণ্ডের ক্ষমতার উৎস শম্ভু দেবনাথের বাবা পঙ্কজ দেবনাথেরও কয়েকশো গাড়ি আছে।

যারা আন্দোলনের নামে সড়কে মানুষকে হয়রান করছে, মবিল মারছে এরা এইসব গডফাদারদের পালিত গুণ্ডাপাণ্ডা। এদের ব্যবহার করে, আইন বাস্তবায়নে শীতলতার ঘোষণা অলরেডি পেয়ে গেছেন। বাতিল ঘোষণা আসাটা বাকি। এটাও আসবে....

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দু:খজনক।

পরবিহন সেক্টরটা অন্য সবেই মতোই সিন্ডিকেটে আটকে আছে!
ভূগছে আমজনতা! সাধারন শ্রমিকেরা!

সুস্থু স্বাভাবিক একটা সেবা খাত কবে হবে?

৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

শায়মা বলেছেন: ভুই পাচ্ছি!!!!!!!!

জরিমানা দেবার ভয়ে না!


জেইলের ভয়ে একটু একটু!


আর আমাকে ধরলে তো আমি তার আগেই অক্কা পাবো!!!!!!!!!

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধুর!

তোমার কুনু ভয় নাইক্যা!

ধরতেছেতো হেভি লাইসেন্স যাদের নাই তবু হেভি গাড়ী চালায় তাদেরে!

তবে একটু সাবধানতো হতেই হবে!
গান গাইতে গাইতে আর নাচের মুদ্রায় গাড়ী চালালে ধরত্ওে পারে :P =p~ =p~

৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: সব সমস্যার মুলে রয়েছে একজন ব্যক্তি

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একেই মুক্তি ওয়াহদানিয়াতে
একেই যন্ত্রনা শায়তানিয়াতে ;)

৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১২

শায়মা বলেছেন: হা হা সেই তো ভাইয়া মনের আনন্দে আর নেচে গেয়ে গাড়ি চালাতে পারবোনা!!!!!!!!!! :((

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহারে!

তোমার জন্য সু-খবর ভাইয়ু
আগামী বছর ৩০ জন পর্যন্ত সরকার কিস্সু কবেনা বলেছে ;)
কাল রাত একটা পর্যন্ত সরকারের সাথে দুরকষাকষির মল্লযুদ্ধে পরিবহন পক্ষ জিতেছে :-/
হা হা হা
সো আবার শুরু করো মনের আনন্দে গাড় চালানো :)
হ্যাপি ড্রাইভিং! সেফ ড্রাইভিং !

৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: ক্ষমতায় আওয়ামীলীগ?
দেশ চালাচ্ছে আওয়ামীলীগ।
ধর্মঘটও করছে আওয়ামীলীগ।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

নিজেরাই যে বিরোধিদল নির্মুল করেছে

এখন নিজের ঝিয়ের মা নিজেই পুতের মা ;)
সকল মন্দর পরিণতি মন্দই হয়! আমরা মোহাবিষ্টতায় ভুলে যাই, এই যা!

৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ৮ নং মন্তব্য ভুলে করা হয়েছে। দুঃখিত।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উকে! নো প্রব! মুছে দিলাম, দু:খ ভোলাতে ;)

১০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৪৪

সোহানী বলেছেন: আচ্ছা বিগু বলতো, দেশের কোন সমস্যার সমাধান আছে? না নেই, কারন এখানে স্বার্থের দ্বন্ধ বহুমুখী। কোনভাবেই ব্যালেন্স হবার নয়। তাই সেক্রিফাইস করতে হয় আর সে সেক্রিফাইসটা বরাবরেই করে আম জনতা।

আমরা মরছি আর মরছি.... গাড়ির চাপায়, পেয়াজের চাপ, লবনের চাপ, চালের চাপ, বণ্যার চাপ............। এই চাপাচাপিতে আমরা পেরেশান। আইন বলো আর ধর্মঘট বলো সবকিছুর বলি আমরা ম্যাংগো পিপল...........।

যাকগা.......... ওম শান্তি।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ওম শান্তি

দলনে দমনে পীড়নে
গুম খুন আর ধর্ষনে
ভয় আর ত্রাসের মহনগরে
এখন শান্তিই শান্তি বটে!!

নিরবতায় শান্তি!
প্রতিবাদহীনতায় শান্তি
নপুংষকতায় শান্তি!
কবরের নিরবতার শান্তি!!!

এ ভয়ংকর নিস্তব্দতা ভাংবে যেদিন
ঈষানের কাল মেঘে হাসছো বড়
কালবোশেখির তান্ডবে কেঁদোনা যেন
প্রকৃতির নিত্যতায়ই যে ঘটবে -সময়ের ফের কেবলই।

সকল প্রতিবাদ
সকল ক্ষোভ
সকল অবদমন
ফুঁসে উঠবে প্রলয় শক্তি লয়ে!

উড়ে যাবে ক্ষমতা, মসনদ
যে যাতনা, কষ্ট, পীড়ণ
ফিরে আসবে সম বা ততোধিক
প্রকৃতি কারো বকেয়া রাখেনা বলে!

যাকগা.......... ওম শান্তি। ;)

১১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:১৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,

কম্প্রিহেন্সিভ একটা লেখা হয়েছে সড়ক আইন প্রয়োগ আর এই ব্যাপারে বাস্তবতা নিয়ে । ক্যাটাগরি ১ আর ক্যাটাগরি ২ -এর প্রত্যেকটা বিষয়ই খুবই গুরুত্বপূর্ণ নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য । স্বল্প সময়ে এর পুরো সমাধান করা হয়তো সম্ভব না । কিন্তু ক্যাটাগরি ১ আর ক্যাটাগরি ২ -এর অনেকগুলো ফ্যাক্টরই কিন্তু স্বল্প সময়েই সমাধান করা সম্ভব । যেমন ক্যাটাগরি ১ -এর গাড়ীর ফিটনেস না থাকা,আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকা,যাত্রী পথচারিদের আইন অমান্য করার মানসিকতা বা মেইনস্ট্রীম মিডিয়া সহ সকল মাধ্যমে অপ্রতুল প্রচারণার মতো ফ্যাক্টরগুলো সম্পর্কে স্বল্প সময়েই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব । একই ভাবে ক্যাটাগরি ২-এর অধিকাংশ হিউম্যান ফ্যাক্টরগুলোর জন্যও স্বল্প সময়েই ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব । দীর্ঘ মেয়াদে অপ্রতুল সড়কের সমস্যাটার সমাধান করা দরকার । অপ্রতুল সড়ক আর ত্রুটিপূর্ণ সড়ক ডিজাইনের জন্য অনেক দুর্ঘটনা ঘটে । একটা উদাহরণ দেই । আমার বাসা থেকে নিউইয়র্ক কম বেশি ৭০০ মাইল । আসা যাবার এই দীর্ঘ রাস্তা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন । বিপরীত দিকের দুটো গাড়ি কখনোই মুখোমুখি বা সামনে সামনি কখনোই ধাক্কা খাবে না । এভাবেই বেশি দুর্ঘটনা ঘটে । আমাদের দেশেও আন্তঃজেলা রাস্তাগুলো ডিভাইডার দিয়ে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করতে হবে যদি আসা যাওয়ার রাস্তা পুরো আলাদা না করা যায় । ধীরে ধীরে এগুলোর সমাধানে হাত দিতেই হবে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে হলে । কমার্শিয়াল গাড়ি যেমন ট্রাক,বাস চালাবার লাইসেন্স দেবার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে । যদি আসলেই দেশে গাড়ির চেয়ে চালকের সংখ্যা কম হয় তাহলে বাজারের ডিমান্ড সাপ্লাই -এর নিয়মেই মানুষ এগুলোর লাইসেন্স নেবে নিজের খরচে যদি লাইসেন্স নেবার সহজ ঝামেলাবিহীন সুযোগ সৃষ্টি করা হয় ঠিক ভাবে । বিআরটিএ -র অরাজকতা কমাতেই হবে এই ব্যাপারে। সড়ক দুর্ঘটনা কমাবার পুরো ব্যাপারটাই খুব জটিল কাজ হবার কথা না । রাজনৈতিক সদিচ্ছাটা বড় এব্যাপারে যেহেতু আমাদের পরিবহনেই নেতারা সবাই রাজনৈতিক হর্তাকর্তা । এটা ঠিক থাকলে শ্রমিক মালিক পক্ষকে নিয়ে এই সমস্যার একটা সুষ্ঠু সমাধান অসম্ভব কিছু না বলেই আমি মনে করি । ডেটা বেইজ লেখা ও আলোচনা ভালো লাগলো খুব ।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

বিশ্বাস করুন আমার বুঝৈ আসেনা- এত এত কর্মকত্তা! এরা করেটা কি?
পরিকল্পনা কমিশন নামের শ্বেত হস্তির পিছনে হাজার কোটি লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ের আউটপুট কই?
প্রেসক্লাবের সামনে প্রায়ই দেখি যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য বহুবিধ সহজ সমাধঅন নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষনে দাড়িয়ে থাকে!
তাদের মত সামান্য মাথঅয় ঘিলু ওয়ালা কেউ কি নেই??

অবশ্য দুর্জন বলে - ফ্লাই ওভার পাস করালে মধ্যস্বত্তভোগীদের লাভ বেশি! কোটি কোটি টাকা কমিশন নাকি!
প্রকৃত সমাধানের কাজেতো কমিশন নেই! তাইতো চিপায় চাপায় খালি ফ্লাইওভার বাড়ে!
উঠতে আর নামতে যেই ঝ্যাম সেই জ্যাম!

লাইসেন্স আপগ্রেডের জন্য আইন আগামি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে!
কালমধ্যরাত পর্যন্ত পরিবহন নেতাদের সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের ফল!
এই সাধারন বিষয়টার জন্য জনগণকে ৩-৪ দিন ভুগতে হলো! অথচ এটা আইন প্রণেতাদের মাথায় আগেই রাখা উচিত ছিল!
যেহেতু লাইসেন্স প্রদানের বাস্তবতা তারা জানে! তাই বিধানে সেই ফ্লিক্সবিলিটি রেখে আইন করলে এই অনাহুত নাগরিক দুর্ভোগ এড়ানো যেত। হা হতোম্যি!
তিনাদের গদার বাড়ি না দিলে হুম ফিরে না!

ধন্যবাদ আবারো শুভকামনা সহ :)



১২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৩

নতুন বলেছেন: Thank you for this blog. You identified some of the root causes of this problem.

Wgen we are buying cars from foreign countries we have to follow their ways of handling them safely.

Without having proper training and licensing systems, traffic systems we can't dream of a good road safety system.

We need to have a heavier fines so people will think twice breaking them. This law is good but government have to upgrade their system as well.

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া :)

এটাই সত্যি গাড়ী কিনছি, চালানোর পথ না বাড়িয়েই
আইন করছি বাস্তবায়নের ব্যাক লিংক অকার্যকর অবস্থায় রেখেই

পরিবহন সেক্টরটাকে একটা দারুন ব্যাবসা বান্ধব শিল্পক্ষেত্র ভেবেই তার উন্নয়নে পরিকল্পিত
উপায়ে এগুতে হবে। দোষারুপের নোংরা রাজনীতিতে নয়, সমাধানের আন্তরিকতায়
জ্ঞান, প্রজ্ঞা, মেধার সর্বোচ্চ ঢেলে সবচে ভালবাসার সেবা খাত বানাতো উদ্যোগী হতে হবে।

সেবায় কে কত উত্তম তার মানদন্ড ঠিক রাখতে মালীক পক্ষ উদগ্রীব থাকবে।
জনগন সেবে পেয়ে সন্তুষ্ঠ থাকবে - এমনই হোক আগামীর স্বপ্ন


১৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮

মা.হাসান বলেছেন: অত্যন্ত তথ্যবহুল যুক্তি সঙ্গত কিছু কথা। আমরা কেউ কারো প্রতিপক্ষ না। এই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে যারা বাস করে সবারই উচিৎ যৌক্তিক কাজে সহযোগিতা করা।

ভাঙা গাড়ির ছবি ফটোশপে সারাই করে ফিটনেস নেয়া অভিনব টেকনিক। এদেশেই সম্ভব। চালকেরা টানা ১২ ঘন্টার বেশি গাড়ি অহরহ চালান। ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁ স্বাভাবিক ভাবে নয় ঘন্টার মতো লাগে। কিন্তু এই রুটে প্রায় প্রতিদিন জাম থাকে। আমাকে মাঝে মাঝেই রংপুর এবং দিনাজপুর যেতে হয়। দশ ঘন্টার কমে কখনো পারি না। কুড়ি বছর আগে সময় লাগতো সাড়ে ছ ঘন্টা।
কয়েক লক্ষ লোকের আবেদন পত্র নথি বন্দি হয়ে থাকলে দূর্নীতি ভিতরে ঢোকার রাস্তা প্রশস্ত হয়। এত এত কর্মকর্তা করেন কি? উপরের মনোরঞ্জনেই সবাই ব্যস্ত। এটাই এখন জব ডেসক্রিপশনের প্রথম এবং এক মাত্র কাজ।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভায়া

কথা সেটাই শর্ষের ভেতর ভুত রেখে আইনের ওজায় আর কি করবে!

সিস্টেম ডেভেলপ কর। আপগ্রেড করো। দূর্ণীত মুক্ত করো।
শত শেত কোটি টাকার মহা দূর্ণীতর প্রকল্প বাদ দিয়ে মৌলিক অবকােঠামো বাহ্যিক এবং নৈতিক
আগে তা মেরামত করতে হবে।

তাদের মনোরঞ্জনের বিষে পুরা জাতি জর্জর!

১৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৯

নতুন বলেছেন: বিদেশ থেকে এরোপ্লেন কিনে কিন্তু গরু ছাগল চেনে তাদের লাইসেন্স দিয়ে পাইলোট বানাইনা। কারন এটা দামী এবং নিয়ম না মানলে বাইরের দেশের বিমানবন্দর নামতে দেবেনা।

কিন্তু হাজার হাজার গাড়ী রাস্তায় নামিয়ে গরু ছাগল চিনলেই লাইসেন্স দিয়ে রাস্তায় ছেড়ে দিচ্ছি।

বাইরের দেশে লাইসেন্স অথরিটি অনেক মজবুত একটা সংস্থা।

যদি সরকার ড্রাইভারদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্তা না করে তবে কিভাবে চলবে?

আরো বড় জরিমানার দরকার। মানুষ জরিমানের ভয়ে সোজা পথে চলবে।

এখানে ঘন্টায় পাকিং ৪০টাকা ভুল জায়গায় পাক` করলে বা পে না করলে জরিমানা ৪০০০ টাকা ।

ভুল জায়গা দিয়ে রাস্তা পার হলে জরিমানা ৮ হাজার টাকা।

স্পিড লিমিটের বেশি বেগে চালালে ক্যামেরায় ধরা পরলে জরিমানা শুরু হয় ১৩ হাজার টাকা থেকে।

কাউকে মেরে ফেললে যদি পরিবার ব্লাড মানি নিতে রাজি হয় সেটার শুরু হয় ২৫ লক্ষটাকা থেকে।


২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শর্ষের ভেতর ভূত তাড়াতে হবে। বিআরটিএ এবং বিআরটিসি দুটোতেই।

বিশ্বের উন্নত দেশের মডেল অনুসরন করে দেশীয় আঙ্গিকে পরীক্ষা পদ্ধতি প্রণয়ন করতেই পারে
সরকারী চাকুরীজীবীদের জন্য রাজনৈতিক সংঘঠনে যোগদান পুরো নিষিদ্ধ করতে হবে।
জব করলে জব করো, রাজনীতি করলে জব ছেড়ে রাজনীতি করো!
সরকার চাইলে একদিনে যে কোন প্রতিষ্ঠানের অসৎ লোকদের খুঁজে বের করতে পারে।
তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

চাহিদানুপাতে নূন্যতম অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।
পার্কিং এরিয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রযুিক্তগত উৎকর্ষতার মাধ্যমে ধীরে ধীরে অপরাধ নির্নয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
গাড়ীতে মনিটরিং ক্যামেরা থাকলে দূর্ঘটনায় দোষী সনাক্ত করা সহজ হয়ে যাবে।

চাইলে সবই হয়। আন্তরিক ভাবে চাইতে হবে। হুমকি ধামকি ভয় আতংকের মাধ্যমে নয়।

১৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাইরের দেশে লাইসেন্স অথরিটি অনেক মজবুত একটা সংস্থা হলেও চালকের শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চাওয়া হয় না।
ইংরেজি পড়ে বুঝতে পারলেই চলে। আমার বন্ধুর শাশুড়ি প্রায় ৬৫ বছর, অশিক্ষিত সম্ভবত ম্যাট্রিক পাস। লাইসেন্স পেয়ে গাড়ী চালাচ্ছে।
পরিক্ষাও হয় গরু ছাগল চেনার মতই ছবি ভিত্তিক। কম্পিউটারে ভিজুয়াল এমসিকিউ একটি প্রশ্নের ৪ টি উত্তর দেয়া থাকে, যে কোন একটিতে ক্লিক। ৩০-৪০ টি প্রশ্নের ৮০% কারেক্ট হলেই পাস। লার্নার লাইসেন্স।
৩ মাস পর ১৫ মিনিটের ড্রাইভিং টেষ্ট, পুলিশ পাসে বসে থাকে। প্যারালাল পার্কিং, স্ট্রেই্ট ব্যাক, মেইন রোডে লেন চেইঞ্জ। সহজ পরিক্ষা। সবাই পাস করে যায়।

তবে কমার্সিয়াল লাইসেন্স (পেশাদার হেভি ভেহিকেল) লিখিত খুবই কঠিন পরিক্ষা। খুব নিখুত ড্রাইভিং না হলে লাইসেন্স দেয়া হয় না। পাস করার পরও ৬ মাস পর পর একটি ছোট পরিক্ষা (আইনকানুন আপডেট রিভিউ) দিয়ে লাইসেন্স বহাল রাখতে হয়।
অনেকেই পাস করতে না পেরে অন্য পেশায় চলে যায়।

এক্সিডেন্ট হলে চালকের বড় ভুল না থাকলে চালক মাদকাসক্ত না হলে জেল জরিমানা নেই। উভয় চালকের ইন্সুরেন্স কম্পানি তদন্ত করে যার ভুল কম তাকে ক্ষতিপুরন দিবে। বা উভয়কে দিবে
আইন ভংগ করলে পয়েন্ট কর্তন ও জরিমানা বা জরিমানা+ লাইসেন্স স্থগিত(৬ মাস, ১ বছর ২ বছর অপরাধের মাত্রা বুঝে)

কাউকে মেরে ফেললে পরিবার ব্লাড মানির প্রশ্নই আসে না।
চালকের বড় ভুল বা সে মাদকাসক্ত না হলে চালক গ্রেফতারও হবে না। কিছুই হবে না। পরবর্তিতে তার ইনশুরেন্স প্রিমিয়াম দ্বীগুন বা ৩ গুন হবে।
ইনশুরেন্স কম্পানী মৃতের ক্ষতিপুরন দিবে, চালকের ভুল পাওয়া গেলে চালককেও আংশিক দিতে হবে। লাইসেন্স দির্ঘ স্থগিত হবে।

গাড়িতে খালি বোতল খালি বিয়ারক্যান পাওয়া গেলে সে মাদকাসক্ত না হলেও মাতাল হিসেবে গন্য হবে।
মাতাল এক্সিডেন্ট করলে শাস্তি ভয়াবহ কঠিন। মদ অল্প খেয়ে মাতাল না হলেও এক্সিডেন্ট করে মানুষ, এমনকি গাড়ীতে থাকা নিজের পোলা মারা গেলেও তার কমপক্ষে ২৫ বছর জেল হবে।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম
ভাল তথ্য দিয়েছেন
লাইট ড্রাইিভিং যতটা সহজ হেভী তা হবার কথা নয়।

আর আমাদের লাইসেন্সের বাস্তবতাতো পরিসংখ্যানেই দেখলেন!
সিম্পলি একটা কার্ড ইস্যু করার মতো দক্ষতা তারা ৪০ বছরে অর্জন করতে পারেনি!
৬ লাখ আবেদন ফাইর বন্দী?
পৌনে দু লাখ সিরিয়ালে প্রিন্টের অপেক্ষায়! কি হরিবল কন্ডিশন!!!!

মন্ত্রী, সচিব, আমলা কামলাগুলোকে রাজপথে নামিয়ে গাড়িতে িডউটি করানো উচিত!
বাস্তবতার ধোঁয়া খেয়ে যিদ কিছূ আকল হয়!
সমস্যা সমাধানের জ্ঞান গম্যি কিছু মেলে!!!

১৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪

করুণাধারা বলেছেন: তথ্যবহুল দীর্ঘ পোস্টটিতে সড়কের অব্যবস্থাপনায় নানা দিক তুলে ধরেছেন, একই সাথে আইনের যে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে সেটাও দেখিয়েছেন। দারুন পোস্টে লাইক!

আমাদের আমজনতার কিন্তু সড়ক পরিবহন আইনের ধারা না বুঝলেও চলে, শুধু আমরা এটুকু চাই, যেন পরিবারের যারা নানা কাজে ঘর থেকে বেরোয়, তারা সকলে ঠিকমতো ঘরে ফিরে আসে। যেন ঈদ পার্বণে খুশির যাত্রা কান্নায় পর্যবসিত না হয়। দুঃখের কথা এই যে, আমাদের সড়কের অব‍্যবস্থা এতটাই চরম খারাপ যে, আমাদের এইটুকু চাওয়াও পূরণ হবে বলে সন্দেহ হয়...

এই আইনে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলে বা মৃত্যু ঘটলে চালকের জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। অথচ যে মালিক চালককে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালাতে দেন, চালককে দীর্ঘ সময় গাড়ি চালাতে বাধ্য করেন জেনেশুনে মাদকাশক্ত চালককে গাড়ি চালাতে দেন, আর তার ফলে চালক দুর্ঘটনা ঘটায় সেই মালিকের কিন্তু কোন শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়নি!! গাড়ির চালকের যদি ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দেবার মতো সঞ্চয় থাকে, তাহলে সে চালকের চাকরি করে উদয়াস্ত খাটবে কেন?

রাস্তার মাঝখান থেকে যাত্রী উঠানো নামানো চলতেই থাকবে। কোটি কোটি টাকার ফ্লাইওভার হচ্ছে, অথচ কোথাও কোন বাস বেশি নাই। উন্নয়নে ধাই ধাই করে এগিয়ে যাওয়া দেশে বাসের যাত্রীরা রাস্তার মাঝখানে না হয়ে ওঠে নামে!! আবার অবৈধ পার্কিং এর জন্য ৫ হাজার টাকা জরিমানা! ঢাকা শহরে লক্ষ লক্ষ গাড়ি সেগুলোর জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা কোথায় আছে?

সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে এটা নেতাদের সুবিধাজনক অবস্থানে রাখার জন্য তৈরি করা আইন। আমরা আমজনতা যেখানে ছিলাম সেখানেই থাকবো।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুন্দর বলেছেন!

অথচ মন্ত্রী থেকে শুরু করে সো কলড সাংবাদিকদের টিভিতে প্রশ্ন করার ধরন দেখলে গা জ্বেল যায়
যেন যত দোষ নন্দ ঘোষ! সব পাবলিকেরই দায়!

সরকার যে পর্যাপ্ত পার্কিং লট করতে পারে নি, তা কে্ই বলে না
পর্যাপ্ত সড়ক প্রশস্ত করতে পারেনি
যথা সময়ে লাইসেন্স স্বাভাবিক উপায়ে পাবার ব্যবস্থা করতে পারেনি!
পর্যাপ্ত ফুটপাথ নেই,
সড়ক পরিকল্পনা নেই
ফিটনেস বিহিন গাড়ী, কালোধোঁয়া উড়িয়ে চলছে রাজধানীতে বুক ফুলিয় দেখার কেউ নেই
ইচ্ছেমতো ভাড়ার অত্যাচারে জর্জর যাত্রী - বলার কেউ নেই!
রাস্তার মাঝখানে প্রায় ধাক্কা মেরে যাত্রী নামিয়ে দেয় টান- বাস বে আজো করতে পারলো না সরকার
ড্রাইভার রাতো ভিন গ্রহের কেউ না, তাদের জন্য মৌলিক অধিকার হিসেবে নিয়মিত কাউিন্সিলংএর স্থান কই
বছরে মিনিমাম ৩ টা কাউন্সিিলিং আবশ্যিক করা উচিত। তার ভিত্তিত েসনদ এবং লাইসেন্সে গ্রেড যোগ-বিয়োগ অপশন থাকা উচিত!

পার্কিং এর জাায়গা দিতে পারি না জরিমনার বিধান করি হাউ ফনি!

বাংলা প্রবাদ মনে পড়ে গেল- ভাত দেওনের ভাতার নাই, সব কিল দেওনের গোসাই ;)
হা হা হা

১৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,




সমস্ত নষ্টের গোড়া ঐ বাস মালিকেরা।

আইনটি যদি জোড়েসোড়ে কার্যকর করা যেতো তবে ফিটনেস বিহীন ৫/৬ লাখ গাড়ীকে বসিয়ে রাখতে হয়। মালিকরা কি আঙুল চুষবে? তার উপরে বাস মালিকদের নেতা একজন এমপি। পরিবহন শ্রমিকদের নেতাও একজন মারমুখো এমপি এবং সম্ভবত বাস মালিক। এরাই নিজেদের লোকসান, যা অবশ্যম্ভাবী; তা রোধ করতে অশিক্ষিত ও অজ্ঞ শ্রমিকদের মৃত্যুদন্ডের জুজুর ভয়, লাখ টাকা জরিমানার অহেতুক ভয় দেখিয়ে রাস্তায় নামিয়েছে।

আর মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর বলা - চালকদের গাড়ী চালানোর সময় বেঁধে দিতে হবে, নিয়োগ পত্র দিতে হবে, মাসিক বেতন দিতে হবে, গাড়ী প্রতি দুজন চালকের ব্যবস্থা করতে হবে; এই সব মিলিয়ে তাদের যে ত্রাহি অবস্থার সৃষ্টি হবে তা থেকে নিজেদের পকেটের চামড়া বাঁচাতে মূলত মালিকরাই দুই বছর যাবৎ নানা টালবাহানায় সড়ক আইনটি প্রনয়নে বাঁধার সৃষ্টি করেছে।
তার উপরে সমন্বিত গাড়ী ব্যবস্থায় গাড়ী চালানোর যে পরিকল্পনা করার কথা বলা হয়েছিলো তাও মালিক পক্ষ বারেবারে প্রত্যাখ্যান করেছে যাতে পাবলিকের মাথায় বাড়ি মেরে, পরিবহন শ্রমিকদের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে নির্বিঘ্নে চুটিয়ে ব্যবসা করা যায়।
এসব কি পাবলিকে বোঝে ? পাবলিককে বুঝতে হবে, অবশ্যই বুঝতে হবে।

পাশাপাশি এও বলি, আপনার চিহ্নিত বাস্তব সমস্যাগুলো একেবারেই যথার্থ। সরকারকে এদিকে সবচেয়ে আগে নজর দিতে হবে।
যে হাযার হাযার কোটি টাকা রোড ট্যাক্সের নামে নেয়া হয় ফি-বছর তা থেকেই রাস্তার সবকিছু সমস্যার সমাধান বাস্তবায়নের খরচ চলে যাবার কথা।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যথার্থ বলেছেন প্রিয় আহমেদ জিএস।

ফিটনেস বিহীন গাড়ীর সমাধানে সরকারই পারে উইনউইন সিচুয়েশন ক্রিয়েট করতে।
পর্যায়ক্রমে ডম্পিংয়ের পাঠঅনোর ঘোষনার সাথে সাথে বিকল।প নতুন গাড়ীর জন্য সহজ শর্তে লোন দিলে কোন কুতুবই ক্রাচাল করাতে চাইলেও পারবেনা। পরিকল্পনাটা চাই যথাযথ।

বিষ দিয়ে বিষ ক্ষয়ের মতো দারুন সব ইনিশিয়েটীভ দিয়ে মালিক পক্ষের মাঝে বানিজ্যিক প্রতিযোগীতা সৃষ্টি করতে হবে।
কর্মচারীদের প্রশিক্ষন, শিক্ষা এবং ভবিষ্যত স্বপ্ন দিয়ে দলান্ধতার আর নেতান্ধতার ঘেরাটোপ থেকে বের করে আনতে হবে।

আর পাবলীককে অবশ্যই তার নূন্যতম সুবিধার স্বপ্নের নিশ্চয়তা দিয়ে নিজেদের পক্ষে রাখতে হবে।

তবেই খড়কোটার মতো ভেসে যাবে নোংরা মনের কুচক্রীরা।

চুরি আর লুটপাট ঠেকাতে না পারলে অগ্রগতির কেবলই বাক্যে থাকবে বাস্তবে নয়।

১৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৫

জগতারন বলেছেন:
ঝরে তাল গাছ, সুপারি গাছ বা নারিকেল গাছ বাঁকা হইয়া যায়; দেখিয়াছেন ?
তার পর তা শক্ত দড়ি বা কাছি দিয়া মোড়ল দিহা তা সোজা করা হয়; জানেনতো মনে হয়।
সেই ভাবে বাস মালিক সমিতির ও শ্রমিক নেতা শাজাহান খাঁনকে মোড়ল দিয়া সোজা করা দরকার।
২০১৩ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে যেমন শেখ হাছিনা জামাতি ও হে৩পাজিতি'দের সোজা করিয়াছি

(শাজাহান খাঁন; মাদারিপুরের কলঙ্ক ও বদনামি এম, পি।)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কাঁচায় না নুয়ালে বাশ
পাকলে করে ঠাস ঠাস!

সবসময় আগ্রাসী মনোভাব কাজ করে না। আর যেখানে তাদেরই হাত ধরে মধ্যরাতের ভোটে ক্ষমতারোহন, সেকানে তাদের বিরুদ্ধে মারমুখি হতে পারাটা সহজ কথা নয়। থলের বিড়াল বেরিয়ে যেতে পারে ;) এই ভয়েই সে পথে যাবেনা বোধকরি।

নাম যাই হোক কর্মে তারা সবাই একই রসূনের গোড়া!

১৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৭

জগতারন বলেছেন:
হে৩পাজিতি'দের = হেপাজতি'দের।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম বুঝতে পেরেছি।

সংশোধনীতে ধন্যবাদ

২০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,

অত্যন্ত তথ্যবহুল এবং পরিশ্রমী পোস্ট। দেশে ক্রমবর্ধমান সড়ক দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন আইনের বাস্তবতা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু শুধু আইন করলেই নয় প্রয়োজন আইনের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ। নইলে অন্তঃসারশূন্য আইন ফাইলবন্দি হয়ে থাকলে অবস্থার কোনো পরিবর্তন যে হবে না সে কথা বলা বাহুল্য।
দুটো বিষয় একটু প্রশ্ন ছিল-
১-নিবন্ধনকৃত ড্রাইভারদের বয়স 18 বছরের ঊর্ধ্বে হওয়াটা বাঞ্ছনীয়। ভালো কথা কিন্তু পুনর্নবীকরণ এর সময় চালকদের সর্বাধিক বয়স কত হবে সেটা কিন্তু উল্লেখ নেই। তার মানে 780 যেকোনো বয়সের ড্রাইভার প্রণয়ন করতে পারবে?
২-ফিটনেস গাড়ির কথা বলেছেন। খুব ভালো কথা। কিন্তু একটি গাড়ি কত বছর পর্যন্ত ফিট থাকবে বা তার পরিমাপ করা হবেই বা কিভাবে সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকে গেল।
৩-বহন ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তোলা সব সময় গাড়ি শ্রমিকদের উপর দোষ দেওয়াটা বোধহয় ঠিক হবে না। যাত্রীদের সচেতনতার অভাব বহু ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ডেকে আনে।
যে কারণে সরকারের সঠিকভাবে আইনের সুপারভিশনের পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।

শুভকামনা জানবেন।






২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় পদাতিক দাদা

হুম আইনের অসংগতি অনেক রয়েছে।
লাইসেন্স আপগ্রেডের কোন সুযোগ রাখা হয়নি, াথচ বিধান কার্যকরে নেমে পড়েছে। যে জন্য এই ধর্মঘট!
বাস্তবতার সাথে সমন্বয় রেখে এগুলে এ সমস্যা হতো না।

আর লাইসেন্স প্রদানের যে শম্ভুক গতি তার দায়ে চালককে শাস্তি দেওয়া অন্যায়তো বটেই হাস্যকরও।
ফিটনেসের সংগায়নতো আছেই বাস্তবায়ন নাই। এটাকে শক্ত ভাবে বাবস্তবায়ন করতে হবে।
সাধরন ব্যবসায় যেমন নূন্যতম বাধ্যবাধকতা থাকে পরিবহন ব্যবসায় থাকবেনা কেন।
ব্যবসা করতে হলে আইন মেনেই করতে হবে।

শুভেচ্ছা অফূরান

২১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১

রমিত বলেছেন: অত্যন্ত তথ্যবহুল এবং পরিশ্রমী লেখা।

আইন নিয়ে আমার কিছু লেখা ছিলো। আইন থাকা ভালো, তবে 'ড্রাকোনিয়ান ল' ভালো কিছি দিতে পারে না।

সুন্দর লেখার জন্য, আপনাকে ধন্যবাদ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় রমিত স্যার :)

অনেক দিন পর সামুতে ফিরে আসায় প্রীত বোধ করছি।
আপনার দারুন দারুন জ্ঞানগর্ভ লেখা থেকে বঞ্চিত ছিলাম।

শুণ্যতা পূর্ন হলো। :)

অন্তহীন শুভেচ্ছা

২২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দারুন বিশ্লেষনমূলক লেখা ভৃগু দা।

আমাদের দেশে আগে যে আইন ছিল, সেটা পরিবর্তন করা খুবই জরুরী ছিল। এটা ঠিক যে, অনেক কিছু ঠিক না করেই এই আইন পুরাপুরি কার্যকর করা কঠিন, তবুও কিছু তো হলো! আর সবদিক ঠিক করে আইন করা, আর সেই আইনের বাস্তবায়ন করা আমাদের দেশে কখনওই সম্ভব না। এটা করতে গেলে ঠগ বাছতে গা উজাড় হয়ে যাবে। কাজেই এর মধ্যেই যতোটুকু হয়, তাতেই আলহামদুলিল্লাহ। অন্তত: সবাই এখন একটু সাবধানী তো হবে.....সেটাই কম কি!!! :)

নাই মামার চেয়ে আমার মতে কানা মামা ভালো। :P

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভায়া

হা হা হা
সাবধানীর চোটে ধর্মঘটে চলে গেছে ;) কি কান্ড বলেন দিকি?

লাইসেন্স নবায়ন, হালকা থেকে ভারীতে কনভার্টের সুযোগ রাখা দরকার ছিল যা রাখে নি, পরে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আলোচনা যা শিথিল করেছে আগামী বছর জুন পর্যন্ত!
আইনে শুরুতেই যদি অপশনটি থাকতো এই হাস্যকর ব্যাকফুটে যেতে হতো না।
ফিটনেস নিয়েতো কোন কথাই নেই। অথচ যেটা অতি জরুরী!
ইদানিং লক্ষ্য করে থাকবেন সিএনজি কনভার্সনের আগের মতো কালো ধোয়ার রাজত্ব চলছে!
ট্রাফিক পুলিশ, সার্জনদের নাকের ডগা দিয়েই কালো ধোঁয়া উড়িয়ে চলছে বীরদর্পে!
আর যাত্রী সেবা বা ভাল সিট, বসার মতো স্থান, সহ আনুষঙ্গিক সুবিধাতো লটারি লাগার মতো অবস্থায়!

মৌলিক ইনফ্রাষ্ট্রাকচার ঠিক করতেই হবে। এর জন্য আগে দৃঢ় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রয়োজনে ইনসেনটিভ, ট্যাক্স সহজীকরণ, সুবিধা, মান সমূহ সঠিক থাকলে কিছূ রেয়াতের সুবিধা
এমন নানাবিধ উপায়েই তাদের দিনবদলের সাথে এডজাষ্ট করানো যা বলেই মনে করি।

শুভেচ্ছা অফুরান

২৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮

নেক্সাস বলেছেন: সাংবাদিকের লেখা সাংবাদিকের মতোই । দারুন বিশ্লেষন।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সাংবাদিক সংশ্লষ্টি বটে, সাংবাদিক নই !
ফ্রি ল্যান্সার হিসেবে ধরলে চালায়া দিতে পারেন ;)
হা হা হা

অনেক ধন্যবাদ ভায়া
শুভেচ্ছা অফুরান

২৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯

কিরমানী লিটন বলেছেন: সড়কের দানব....সড়কের দানব....

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সব গিলে খাবো
রাস্তা ঘাট
সড়ক কালভার্ট
ব্রীজ ফ্লাইওভার

আস্ত গাড়ি
মানুষ ভর্তি
ট্রাক, লরি!
দূর্ঘটনার খেতা পুরি!

রাক্ষুসে ক্ষুধা
মেটেনা
গণতন্ত্র খেয়ে
রাতের ভোটে

শৈনে শৈনে বাড়ে ক্ষুধা!
দ্বিধা এবং ধাধা
মানচিত্রেই কি
এর সমাপনী বাঁধা!!

২৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই তথ্যবহুল বিশ্লেষনমুলক লেখা ।সরাসরি প্রিয়তে ।
মুল সমস্যা ও প্রতিকারের দিক নির্দেশনা উঠে এসেছে লেখাটিতে। নতুন আইনের পুরাটা পড়ে দেখা হয়নি আগে,কারন ধরেই নিয়েছিলাম পুরানো মদ নতুন বোতলে শুধু লেভেল পরিবর্তন করে পরিবেসিত হবে। আর যতদুর পারা যায় কথার মারপ্যাঁচে আইনগুলির মাঝে বহু ফাক ফোকর রাখা হবে যাতে করে পরিবহন খাতের মালিক ও চালক সহ অন্যরা পার হয়ে যেতে পারে খুবই সহজে । এই পোষ্টে দেয়া নতুন আইনের উল্লেখযোগ্য ধারা ও শাস্তির বিধান দেখে তাই মনে হল। নতুন আইনে যে বিধান রাখা হয়েছে তা যাত্রী সাধারণের কল্যাণের চেয়ে মালিক ও চালকপক্ষকেই বেশী সুরক্ষা দিবে। বিবিধ ধরনের অপরাধের জন্য যে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে তার মধ্যেও শুভংকরের ফাক রয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান যে পুরামাত্রায় প্রয়োগ হবে তার নিশ্চয়তা কি , এটাতো শাস্তি দাতার ডিসক্রশানের উপর অনেকটাই নির্ভর করবে।ভ্রাম্যমান মেজিট্রসির ক্ষেত্রে প্রভাবপ্রতিপত্তি বা রাজনৈতিক বিবেচনাও কাজ করতে পারে। যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি ২৫০০০ টাকা সেখানে নামকা ওআস্তে দুই চার পাচশ টাকা জরিমানা করলে কে যাবে দেখতে । অথচ মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করা হবে আইন ভঙ্গকারীদের নিকট হতে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তাইতো মনে হয়, নতুন আইনের নমনীয় বিধান ও এর বাস্তবায়নের ফাকফোকর থাকার সুবিধার বিষয় দেখে মালিক চালক সমিতি হয়তবা আনন্দিত হয়ে দিন কয়েক বিশ্রাম নিয়ে নিল দেশবাসীকে ভোগান্তিতে ফেলে । তার পরেও অঘোষিত ধর্মঘটে গিয়ে দেন দরবার করে আইনের বিধান ও এর বাস্তবায়ন পন্থা আরো নমনীয় করে নিতে পেরেছে। ধর্মঘট আইওয়াস ব্যতিত অন্য কিছু ছিল কিনা তাই কে জানে ?

নতুন আইনে পরিবহন খাতে ভোগান্তি লালন কারী প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রনকারীদের গাফিলতি ও দুর্নীতির জন্য কি শাস্তির বিধান রয়েছে তা জানতে পারলে ভাল হত । বছরের পর বছর ভাঙ্গাচুরা রাস্তা। দায়িত্ব কার , এটা কি মালিক চালকের ? রাস্তা তৈরী হওয়ার পর মাস না পেরুতেই পুণরায় মেরামতের যোগ্য হয়ে একটি বিশেষ প্রতিষ্টান ও কিছু লোকের জন্য তা 'পারমানেন্ট সোর্স অফ ইনকাম' হয়ে য়ায় । লাইসেন্স দান ও গাড়ীর ফিটনেস দানের জন্য দীর্ঘ সুত্রিতার দায় কার ? রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনের দায় কার, এরকম শত শত অনিয়মের জন্য শাস্তির বিধান কি তা ঐ আইনে থাকলে জনগন বুঝত কতৃপক্ষের সদিচ্ছা আছে কতটুকু। ছয় মাসের বেশী যদি লাগে শুধু লাইসেন্সের কাগজ তৈরীতে এটা শুনে মানুষ হাসবে না কাঁদবে ।

পোষ্টটিতে যেসমস্ত বিষয়ের অবতারনা করা হয়েছে তা কতৃপক্ষ আমলে নিলে ভাল করবে।

শুভেচ্ছা রইল

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ড. এম এ আলী :)

আপনার সুচিন্তিত মতামত সবসময়ই ভাবনার খোরাক যোগায়।

প্রশ্ন সেটাই - অবকাঠামো (বস্তুগত, প্রযুক্তিগত এবং আইনগত) প্রস্তুত না করে শুধু আইনে ভয়ের খড়গ ঝুলিয়ে
কতটুকু কাজ হবে।
মাত্র ১ দিনের সারাদেশের ধর্মঘটে সরকার যেভাবে ব্যাকফুটে গেল বিস্ময়কর!
১ বছরের জন্য শিথিল করা হলো বিধান!

বিধান তৈরীতে কি সব বিশেষ অজ্ঞ রেখেছিল দেখতে বড় সাধ হয়!
মৌলিক সমস্যাগুেলােকে না ধরে না ছুঁয়ে আইনের খড়গ নিয়ে দে ছুট!!!

দুদক দিয়ে তো কৃত অপরাধের পরে অনুসন্ধান হয়! অপরাধ যেন না করে সেই সামাজিক সুস্থতার জন্য
নৈতিকতার বিকাশের জন্য, নাগরিক সচেতনতা এবং দায় বৃদ্ধির চেতনা বিকাশে কাজ `০' ভাগ!
ট্রাফিককে বা সার্জেনকে যখন মুঠোয় কিছু টাকা পুরে দিলে মাফ পাওয়া যায়- তখন আর আইনের বজ্রআটুনিতে লাভ কই?
ফস্কা গেরোতো মুঠোয় পোরা!

আপনার প্রতিটা প্রশ্ন আমজনতার সকলেরই
নতুন আইনে পরিবহন খাতে ভোগান্তি লালন কারী প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রনকারীদের গাফিলতি ও দুর্নীতির জন্য কি শাস্তির বিধান রয়েছে তা জানতে পারলে ভাল হত ।
বছরের পর বছর ভাঙ্গাচুরা রাস্তা। দায়িত্ব কার , এটা কি মালিক চালকের ?
রাস্তা তৈরী হওয়ার পর মাস না পেরুতেই পুণরায় মেরামতের যোগ্য হয়ে একটি বিশেষ প্রতিষ্টান ও কিছু লোকের জন্য তা 'পারমানেন্ট সোর্স অফ ইনকাম' হয়ে য়ায় ।
লাইসেন্স দান ও গাড়ীর ফিটনেস দানের জন্য দীর্ঘ সুত্রিতার দায় কার ?
রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনের দায় কার, এরকম শত শত অনিয়মের জন্য শাস্তির বিধান কি তা ঐ আইনে থাকলে জনগন বুঝত কতৃপক্ষের সদিচ্ছা আছে কতটুকু।
ছয় মাসের বেশী যদি লাগে শুধু লাইসেন্সের কাগজ তৈরীতে এটা শুনে মানুষ হাসবে না কাঁদবে??

গাছের গোড়ায় জল দিতে হবে, আগা এমনিতেই সতেজ হয়ে উঠবে!

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল।


২৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৬

খোলা মনের কথা বলেছেন: মাঝখানে ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেবর মুখে বদনামী লেপন করলো গাড়ি শ্রমিকেরা।
শাহাজান মিয়ার ডিভেন্স খুব বড় ডিফেন্স। ব্রাজিল, জার্মান, বার্সেলোনার থেকে বেশি। ঐ ডিফেন্স ভেঙে গোল দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দেশের রক্ষকরা মাফিয়া ক্যাটাগরি হলে যা হয়। শাহাজান মিয়ার আর্মি ডলা দিলে যদি কাজ হয়...

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।

যদিও সিনেমায় হয়, বাস্তবেও এমন মাফিয়া শায়েস্তা করতে চাই োয়ান ম্যান আর্মি ক্যাটাগরির রেভুলেশনারী!
ধর তক্তা মারো পেরেক টাইপ ;)

আর সাধারণ শ্রমিকরাতো পালের তালে দোলে
এরাই কিন্তু ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবি দেখে শিষ বাজানো শ্রেণী, অথচ নির্বোধ কাহনে আজ তাকেই ভিলেন বানানোর অপচেষ্টা!

সময়ে তারাও বুঝবে তাদের ভুল কিন্তু হযতো বড্ড দেরী হয়ে যাবে ততদিনে।

শুভেচ্ছা রইল

২৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আইন ও প্রশাসনকে গলা চিপে হত্যা করলে যা হয় !

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।

এর শেষ কোথায়?

২৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯

জুন বলেছেন: আমাদের দেশে এই আইন কখনোই প্রতিষ্ঠিত হবে না কারন সত্যিকারের আইন কানুন কখনও ছিল না, থাকবেও না। আমরা জানি শুধু ভেংগে দাও গুড়িয়ে দাও ভৃগু।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই জানাকে বদলাতে হবে।

ভেঙ্গে দা্ও গুড়িয়ে দা্ও বদলে গড়ে দা্ও বানিয়ে দা্ও চেতনার বিকাশ ঘটাতে হবে।

রাজনীতির এত পচন! চেতনার এ দু:খজনক পরিণতি কোন ভাবেই কাম্য ছিল না।
স্বাধীনতা, সার্বভৗমত্ব, মানবাধকিার শব্দগুলো যেন অভিধানের পাতাতেই!!!

তবে বদল আসবেই। প্রকৃতির নিত্যতাতেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.