![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের অনেকেরই হয়তো এমন অভিজ্ঞতা আছে যে আমরা একজন মানুষকে মনে মনে ভাবছি আর তখনই সেই লোকটি টেলিফোন করেছে অথবা তার সাথে দেখা হয়েছে। এমন অনেক যমজ ভাই বোন পাবেন যারা একে অপরের মনকে পড়তে পারে। এমনকি যমজ এক ভাই যদি অনেক দূরে কোন বিপদের সম্মুখীন হয় সেক্ষেত্রে অন্য ভাই, কাছে না থাকেও সাথে সাথে তার ভাইয়ের বিপদের ব্যাপারে অনুধাবন করে পারে। অনেক এক্সপার্ট এই ক্ষমতাকে টেলিপ্যাথি বলে থাকে। টেলিপ্যাথি হচ্ছে এমন একটি অভিজ্ঞতা যা কাজে লাগিয়ে আমারা অন্য মানুষের মনের ভাবনা বুঝতে পারি। Society for Psychical Research এর প্রতিষ্ঠাতা Frederic W. H. Myers টেলিপ্যাথি শব্দটি প্রথম ব্যাবহার করেন। যদিও এই বিষয়ের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি এখনও শক্তভাবে তৈরি হয়নি কিন্তু অনেক বিজ্ঞানী এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছে। এখন দেখা যাক এই বিষয়টির কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কেমন হতে পারে?
বিজ্ঞানীরা দুইটি ভিন্ন তত্ত্বের মাধ্যমে টেলিপ্যাথিকে ব্যাখ্যার চেষ্টা করেন। প্রথমটি হল- Radio Wave Theory. এই থেওরি অনুযায়ী চিন্তার কারনে মানুষের মস্তিষ্ক থেকে এক ধরনের Radio wave বের হয়, যে wave অন্য কেউ গ্রহন করতে পারলে, সে প্রথম বাক্তির চিন্তা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে। এই তত্ত্ব যদি সত্য হয় তাহলে মানুষের মস্তিষ্কের তরঙ্গ অনেক দূর থেকেও পরিমাপ করতে পারার কথা ছিল, কিন্তু কোন যন্ত্রের মাধ্যমেই মানুষের মস্তিষ্কের তরঙ্গ স্কাল থেকে কয়েক সেন্টিমিটার দুরেই আর ডিটেক্ট করা যায় না। তাই অনেক বিজ্ঞানীরা এই ব্যাখ্যা মানতে নারাজ।
টেলিপ্যাথি আর একটা তত্ত্ব হচ্ছে, Timeless/ Spaceless Psychic Field theory. এই তত্ত্ব অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের চিন্তা-ভাবনা গুলো একটি Psychic Field এ জমা থকে। যাদের টেলিপ্যাথিক ক্ষমতা আছে তারা ওই Psychic Field থেকে প্রয়োজন মত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। কিন্তু এ ধরনের কোন Psychic Field এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তাছাড়াও মানুষের মস্তিষ্ক কীভাবে বিভিন্ন মানুষের চিন্তাকে পৃথক করতে পারে সে বিষয়েও কোন ব্যাখ্যা নেই।
উপড়ের দুটি তত্ত্ব ছাড়াও কোয়ান্টাম তত্ত্বের মাধ্যমেও টেলিপ্যাথির ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। কোয়ান্টাম তত্ত্ব অনুযায়ী দুইটি একে অপেরের সাথে সম্পৃক্ত মৌলিক কণিকাকে যদি অনেক দূরত্বেও স্থাপন করা হয় তাহলেও তাদের behavior একে অপরের উপর নির্ভর করে। একটি কণিকা অন্য কনিকার behavior তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারে এবং সেই অনুযায়ী behave করে। তাই ধারণা করা হয় কণিকা দুটো নন-লোকাল কোন ডোমেইনের মাধ্যমে যুক্ত থাকে, যা কিনা স্থান এবং সময়ের উরধে। ঠিক একইভাবে আমারা সবাই একে অপরের সাথে নন-লোকাল কোন ডোমেইনের মাধ্যমে যুক্ত। যে কারনে দুইজন মানুষকে যদি পৃথিবীর দুই প্রান্তেও নিয়ে যাওয়া হয় তাহলেও তারা একে অপরের মনের অবস্থা বুঝতে পারার কথা। একজন যদি একটা ছবি দেখে অন্যজন কোন প্রকার হিন্ট ছাড়াই ওই ছবি সম্পর্কে ধারণা করতে পারবে। University of Mexico এর neurophysiologist Jacob Grinberg-Zylberbaum এর একটি পরীক্ষা দুইজন মানুষ যে নন-লোকাল কোন ডোমেইনের মাধমে যুক্ত থাকে তার একটি প্রমান বহন করে। এই পরিক্ষায় দুইজন মানুষকে প্রথমে ৩০ মিনিট একসাথে মেডিটেশন করানো হয় তারপর তাদেরকে দুইটি ভিন্ন কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয় এবং একজনকে একের পর এক কিছু লাইট ফ্ল্যাশ দেখানো হয় এবং তার মস্তিষ্কের
ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক একটিভিটি পরিমাপ করা হয়। একইসাথে অন্য রুম যে আছে তার মস্তিষ্কের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক একটিভিটি পরিমাপ করা হয় কিন্তু তাকে কোন লাইট ফ্ল্যাশ দেখান হয় না এবং দেখা যায় যে তার মস্তিষ্কের একটিভিটি প্রতি ৪ বারে একবার তার পার্টনারের ব্রাইন একটিভিটির মত। অন্যদিকে যে মানুষদেরকে মেডিটেশনের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়নি তাদের এক জনের ব্রেইন একটিভিটী অন্যের সাথে কোন মিল নেই।
View this link
তবে যাই হোক মৌলিক কনিকার মত দুইজন মানুকেও একটা একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত করতে হয়, এক্ষেত্রে মেডিটেশন সম্পর্কযুক্ত করতে সাহায্য করে। কোন ধরনের টেলিপ্যাথিক যোগাযোগের জন্য দুইজন মানুষের মধ্যে সচেতন অভিপ্রায় এবং মতৈক্য প্রয়োজন। কিন্তু egotic অভিপ্রায়, শুধুমাত্র চিন্তা বা মনের ইচ্ছা এই কাজের জন্য পর্যাপ্ত না। দুইজন যদি চেতনার এমন পর্যায়ে যেতে পারে যেখানে কোন ego থাকে না শুধুমাত্র তখনি তাদের মধ্যে টেলিপ্যাথিক যোগাযোগ সম্ভব।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৭
বিপ্লব বিটি বলেছেন: ধন্যবাদ.
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
অনন্যমানুষ বলেছেন: আরে আপনি তো অনেক কিছু জানেন!!
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৯
বিপ্লব বিটি বলেছেন: ধন্যবাদ... আপনি মনে হয় কোয়ান্টাম মেথোড এ আগ্রহী...
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
না পারভীন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ।