১| ২২ শে মে, ২০১২ রাত ১২:০৫

আেলা আধােরর েখলা বলেছেন: AIUB has no Textile department..

২| ২২ শে মে, ২০১২ রাত ১২:০৫

হাসান৭৭৭ বলেছেন: ভাই আমি একটা সাজেশন দেই । আপনার পক্ষে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া কেন সম্ভব নয় ? আমি বলব অবশ্যই সম্ভব । এখানে শুধু আপনার সদিচ্ছাটা দরকার । সদিচ্ছা থাকলে যে কোন কাজ ৫০% এগিয়ে যায় । আর বাকিটা আপনার প্রচেষ্টা ।

আজকাল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি হয়ে খুব বেশি লাভ নেই , জব মার্কেটে এসবের ভ্যালু কেমন সেটা আমি কিছুটা বুঝি কারন আমিও একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছি কিছুদিন আগে ।

আমিও ভেবেছিলাম আমাকে দিয়ে কিছু হবে না তাই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এম বি এ করতে চেয়েছিলাম । কিন্তু পরে যখন দেখলাম হাতে গোনা দু একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্যগুলা থেকে পাস করা ছাত্র ছাত্রী দের সি ভি কেউ খুলেও দেখে না তখন সিদ্ধান্ত নিলাম অন্তত প্রাইভেট থেকে অবশ্যই এম বি এ করব না।

পরে তিনমাস প্রস্তুতি নিলাম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এম বি এ ভর্তির জন্য । গত মাসে ভর্তি হলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আই বি এ তে যেখানে ৭০০ জন ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিল , আর শেষ পর্যন্ত চান্স পেয়েছে মাত্র ৬০ জন ।

Opportunity never goes - এটা একটা ধ্রুব সত্যি কথা ।তাই আমার সাজেশন , আপনি পাবলিকে চেষ্টা করুন , অবশ্যই ভালো মত চেষ্টা করুন । চান্স পাবেন ইনশাল্লাহ । আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি ।

৩| ২২ শে মে, ২০১২ রাত ১২:২৩

হাসান৭৭৭ বলেছেন: আমি সিওর না বিজ্ঞানে কত লাগে । ভাল করে খোজ নেন । আর যদি বিভাগ পরিবর্তন করতে চান তাহলে মানবিকে অবশ্যই কম লাগার কথা । মানবিকেও ভাল সাবজেক্ট আছে যেমন অর্থনীতি , আইন , ইংরেজি । পাবলিকে এসবের দাম প্রাইভেটে আপনার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার চেয়ে অনেক ভাল । আমিও এস এস সি আর এইচ এস সি তে বিজ্ঞান বিভাগে ছিলাম ।

৪| ২২ শে মে, ২০১২ রাত ১২:২৪

সিয়াম সারোয়ার জামিল বলেছেন: আপনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন নাকি, টেক্সটাইল রিলেটেড বিষয়ে সেটা পরিস্কার নয়। বস্ত্র প্রকৌশল একটাই বিষয়। এটার শ্রেনীবিভাগ আছে, যেমন
ইয়ার্ন,
ফেব্রিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং,
ওয়েট প্রসেসিং,
গার্মেন্টস টেকনোলজি।

তবে এসব স্পেশালাইজেশন পাবেন অষ্টম সেমিষ্টারের পর। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে তা ভিন্ন হতে পারে। অনেক জায়গায় ষষ্ঠ সেমিষ্টার থেকেই পড়ানো শুরু হয়।

এআইইউবিতে টেক্সটাইল পড়ানো হয়না। আহসানুল্লাহতে পড়ানো হয়, সেখানে প্রায় ছয় লাখ নেয়া হবে। রেজাল্ট ভাল থাকা বাঞ্চনীয়।

এর বাইরে চালু হয়েছে-
১।প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়-মান সবচেয়ে ভাল তবে, স্থায়ী ক্যাম্পাস নেই। বনানীতে কার্যালয়। সোয়া চার লাখ নিবে।
২।বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি),
মান মোটামুটি ভাল, ক্রমসই উন্নতি করছে। মিরপুরে স্থায়ী ক্যাম্পাস রয়েছে।
৩। পিওপলস ইউনিভার্সিটি-নিজস্ব ক্যাম্পাস নেই। উত্তরায় কার্যালয়।
৪। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি-ধানমন্ডিতে অস্থায়ী ক্যাম্পাস।
৫। সাউথইষ্ট ইউনিভার্ষিটি। স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মান হচ্ছে আশুলিয়াতে। পেতে দুবছর সময় লাগবে। সাড়ে চার লাখ খরচ হবে। বনানীতে অস্থায়ী ক্যাম্পাস।
৬। ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি। চার লাখ পচানব্বই হাজার লাগবে। ধানমন্ডিতে ভাড়া বাড়িতে ক্যাম্পাস।

আমার পরামর্শ হলো প্রথম আহসানুল্লাহ দেখবেন। নাহলে যদি কম খরচে মোটামুটি ভাল প্রতিষ্ঠানে পড়তে চান, বিইউবিটির কথা বলব। স্থায়ী ক্যাম্পাস আছ, ভাল প্রতিষ্ঠান। খুব দ্রুত উন্নতি করছে। মানের দিক থেকে সবচেয়ে ভাল হবে আহসানুল্লাহ ও প্রাইমএশিয়া। কিন্তু প্রাইমএশিয়া এখনও স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মান করেনি। বাকি গুলো ততটা নির্ভরযোগ্য না, কমার্শিয়াল চিন্তাভাবনা বেশি।
আরো কোন কিছু জানার প্রয়োজন হলে মেইল করতে পারেন:
siam [email protected]

৫| ২২ শে মে, ২০১২ রাত ১২:৩৬

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: ভাই , aust spring 12 , , double a+ , 5+5 ছাড়া কোন ডিপার্টমেন্ট এ চান্স হয় নাই বিস্তারিত দেখেন

৬| ২২ শে মে, ২০১২ রাত ৩:১৩

পথ যাত্রী বলেছেন: @ হাসান৭৭৭
ভাই আমি আপনার সাথে অনেক ক্ষেত্রেই একমত না। আপনি বলেছেন পাবলিকের মানবিকের বিষয়গুলো প্রাইভেটের ইঞ্জিনিয়ারিং এর চেয়ে ভালো ! জব মার্কেটে আপনার ধারনা খুব একটা ভালো বলে আমার মনে হয় না, জানি না কোথা থেকে পাস করেছেন, ভাল মানের কিছু প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি আছে যেখান থেকে পাস করে আপনি নিজেকে প্রমান করতে পারলে জব পাবেন। আপনি না পেলে আপনার ব্যর্থতা। আর পাবলিকে হবে না বলে প্রাইভেটে পরে ফেলি এই রকম অবস্থা এখন আর নাই, ভালো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি কিছু আছে যেখানে চান্স পাওয়া টা এতো সোজা না ভাই,
হয়া এটা থিক, বুয়েট দেখলে আপনি জানেন ধরেই নিবে, আর প্রাইভেট হলে আপনাকে নিজেকে প্রমান করতে হবে, আপনি নিজেকে প্রমান্ করেই দেখান না । কিছু প্রাইভেট অনেক উঠে গেছে, যেমন আহছানুল্লাহ, নর্থ সাউথ, এ আই ইউ বি, ইষ্ট ওয়েষ্ট ইউনিভার্সিটি।

৭| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১২:২৫

শেখ সাব্বির আহমেদ বলেছেন: টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পাশ করার পর সি.জি.পি.এ কুনো ব্যাপার না। এইখানে আপনার লিংক থাকাটা বেশ জরুরী।

যদি রেটিং করতে বলেন তাইলে আমি বলব-

১। AUST। কারণ তাদের সীট সীমিত ও নিজেদের ক্যাম্পাস। কিন্তু আপানার এখানে হবেনা। আজাইরা ফর্ম তুইলেন না।

২। সাউথইষ্ট ইউনিভার্ষিটি। স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মান হচ্ছে AUST এর পাশে। পেতে দুবছর সময় লাগবে। পাচ লাখ পচিশ হাজার খরচ হবে। বনানীতে অস্থায়ী ক্যাম্পাস।
তবে এদের সবচাইতে বড় শক্তি হইতেছে এদের ফ্যাকাল্টি প্যানেল।

৩ ।বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি)

৪।প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়- এদের সবচাইতে বড় শক্তি হইতেছে এদের ল্যাব। মাগার থাইক্যা লাভ কি???? যদি ঠিকমতন না বুঝেন!!!!!!!

৫। ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি

৬।গ্রীণ ইউনিভার্সিটি

৮| ২২ শে মে, ২০১২ রাত ১০:০২

আকাশ_পাগলা বলেছেন: আমি প্রাইমেশিয়া থেকে বের হইছি। চাকরীর কোন অভাব দেখতেছিনা। কিন্তু সমস্যা হল চাকরী হয় লিংকে। সুতরাং লিংকেই যদি আসেন প্রাইভেট পাবলিকের কোন ডিফারেন্স নাই।

এখন লিংক আপনাকে চাকরি পাইয়ে দিবে, চাকরি করে দিবে না। আপনার চাকরি আপনাকে করতে হবে, আর সেটা করতে হবে আপনি কী জানেন তা দিয়ে।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হলে লাখ লাখ চাকরী। মার্চেন্ডাইজিং থেকে শুরু করে প্রডাকশান এর অলিগলি পর্যন্ত আপনি এপ্লাই করতে পারবেন।
টেক্সটাইলের কিছু ব্যাপার আমি বলি।

১) বেশিরভাগ জায়গায় শিফট ১২ ঘণ্টা। আপনি করতে পারবেন এই চাকরি? প্রচণ্ড দৌড়াদৌড়ি, বসের ঝাড়ি, সারাক্ষণ ম্যাথ, ওয়ার্কার ম্যানেজমেন্ট হাবিজাবি নিয়ে চাকরী।

২) টেক্সটাইলে সাধারণত অনেক উপরে ধুমধাম উঠে যায়। কিন্তু সেটা দিয়ে আপনাকে আমি আশা দেখাবো না। কারণ বাস্তবতা হলো উপরে উঠা কখনই সোজা না।

৩) ৮০% ক্ষেত্রে স্টার্টিং স্যালারি ১০ ০০০। অনেকেই বলে যে দ্রুত বাড়ে। কিন্তু বুঝতেই পারছেন ফাও কেউ টাকা দেয় না। যত বাড়বে, খাটনিও তত।

আপনি আপনাকে কিছু পরামর্শ দেই। আমি নিশ্চিত, এগুলা ফলো করলে আপনি খুব ভালো ডিসিশান নিতে পারবেন। যেই ভুল আমি করেছি, সেখান থেকে আমি কিছু শিখেছিও।

১) কোন সাবজেক্টে পড়বেন, সেটা ঠিক করেন কোথায় আপনার লিংক আছে তার উপর ভিত্তি করে। মনে রাখবেন, প্রতিবেশি চাচা, আব্বুর বন্ধু এগুলা কোন লিংক না। আপন রক্তের সম্পর্কের মামা, চাচা বাবা কোথায় আছে সেটা দেখেন।

২) টেক্সটাইলে যদি আসেন, দেখবেন সব প্রাইভেট পাবলিকে ঘুরে ফিরে একই টিচার আর একই বই পড়ায়। এমনকি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রশ্ন পর্যন্ত সেইম। জেনারেলি পাবলিকে সবচেয়ে ভাল ছাত্র গুলা গেছে। ওদের পড়ার অভ্যাস আগে থেকেই অনেক। কিন্তু ৪ বছর অনেক বড় সময়। এর মধ্যে নিজেকে তৈরি করার সময় পাবেন আপনি। আপনি এখন যেই লক্ষ্য নিবেন ৪ বছরে ভেসে যেতে পারে। আবার ৪ বছরে শিক্ষাও হতে পারে।

৩) সবখানে বই আর স্যার একই হলে -- ভার্সিটির পার্থক্যটা কোথায় বুঝতে পারছেন? পরিবেশ। আহসানুল্লাহতে অবশ্যই প্রথমে ট্রাই করবেন। যদি পড়াশোনে নাও হয় (দুনিয়ার কোথাও গ্যরান্টি নাই) তাও লাইফটা মজায় কাটবে। কিন্তু আপনি অন্যখানে গেলে, পড়াশুনা করলে ভালো, অর্জন করলেন। কিন্তু না হলে জীবনে কিছুই পাইলেন না। কারণ টেক্সটাইলের চাকরী প্রচণ্ড কঠিন।

************ আরেকটা জিনিস। পাবলিকের একটু নিচের দিকের মানবিক সাবজেক্টগুলাকে হেলাফেলা করবেন না। ওখানে আপনি টিকলে জানবেন, সবাই আপনার মেধার কাছাকাছি মেধার মানুষ। অতএব, আপনার স্বভাবের চেয়ে আরেকটু ভাল করে পড়বেন। দেখবেন আপনি সবার উপরে চলে আসছেন। আর এক দুহাত পলিটিক্সে থাকলে টিচার হওয়ার একটা ভালো সম্ভাবনা থাকতে পারে। একটা পাবলিক ইউনির টিচারের দাম কিন্তু কম না কোন দিক থেকেই। অথবা ব্যাংক বিসিএস এর প্রিপারেশন নেয়ার জন্য ৩ বছর সময় দিতে পারবেন। আর টেক্সটাইলে পড়লে অন্য কোন বই হাতে নিলে কান্না পাবে যে নিজের সাবজেক্টই জানা শেষ হল না, আর কারেন্ট ওয়ার্ল্ড পড়ে সময় নষ্ট করে লাভ কী !

নিজেকে জানুন। এখন কী রকম ছাত্র আপনি সেটার উপর ডিসিশান নিন। সামনে পইড়া ফাটায়ালামু, এখন একজায়গায় ঢুকি -- এইটাইপ চিন্তা করলে জন্মের ধরা খাবেন। এর চে ধরেন আপনার পড়াশোনা কমই হবে(যেহেতু পাবলিকে পরীক্ষা দিতে সাহসই পাচ্ছেন না), তাহলে কোথায় ভর্তি হবেন? এই প্লান করেন। আর পড়াশোনা যদি হয় তাহলে ত বোনাস। লাইফে উইনার।

যাই হোক, বেস্ট অব লাক।

৯| ২২ শে মে, ২০১২ রাত ১০:০৮

আকাশ_পাগলা বলেছেন: ওহ বাই দ্যা ওয়ে, মিলে গেলে দেখতে পারবেন প্রাইভেট পাবলিক দলাদলি হয়। কিন্তু বেসিক কোন ডিফারেন্স নাই।
এখন আপনার বস পাবলিকের হলে একটু খোঁচা একটু বেশি লজ্জা পাইতেই হবে। আর ৫০% ক্ষেত্রে সেটাই হয়। উনি নিজের ইউনির পোলাপানদের সামনে আপনাকে একটু খুঁচাবেই।

আর বাকি ৩০% ক্ষেত্রে আপনার বস হবে নন টেকি। মানে অন্য লাইনের থেকে এসে অনেক আগে থেকে এখানে জব করে। তখন তার কাছেও পাবলিক দাম পাবে বেশি, কিন্তু আপনার সুযোগ থাকবে।

মানে মেইন কথা হলো, এমন আহামরি পার্থক্য নাই। নিজেদের মাঝে ক্যাচাল হলে একটু প্রবলেম। এই আর কী ! সবার সাথে খাতির থাকলেই হয়। নইলে যে সমস্যাটার সমাধান জানে, ফ্লোরে তার কথাই সবাই শুনে।