নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেরিওয়ালা

মেয়ে ঝালমুড়ি খেতে গিয়ে পেঁয়াজ পাই নাই, কাঁচামরিচ পাই নাই। এত্ত এত্ত শূন্যতা ভাল্লাগে না। মেয়ে কাছে এসো, পেঁয়াজ এনে দাও, ঝালমুড়ি মেখে দাও। মেয়ে এইভাবে আর চলে না। আসো কাছে আসো, পাশে বস, নইলে ওই শামিম কাক্কুকে দিয়ে আমায় গুম করে দাও।

বিভ্রান্তিকর ইকুয়েশন

ভাইরে আমি সেলেব্রিটিও না, ইভটিজারও না, নারীর বিশেষ সুবিধা গ্রহনকারীও না, চেতনা ব্যাবসায়িও না, বুদ্ধিজীবীও না। আমি ইস্টুডেন্ট মানুষ, বিদ্যা বেঁচে খাই আর হুমায়ুনের গল্পের হিমুগিরি করি।

বিভ্রান্তিকর ইকুয়েশন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শালিকের সংসার পুড়িয়া করিল অঙ্গার

২৪ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:১০

মুনা আপা,

আমার শালিক পাখিটা কেমন আছে?

পাখিটার সাথে আমার দিবারাতের বসত ছিল,

সুখদুঃখের কতকথা ছিল,

কেন তোমরা ওই সংসার ভেঙে দিলে?



আমার কিশোরী জীবন গাছের ডালে চড়ে বেরিয়েছি অনিয়ত,

আম কাঁঠালের বাগানে আমার অবাধ বিচরণ ছিল,

পুকুরে উদ্যাম সাতার ছিল,

খোলা চুলে ধানের ক্ষেতে উদাসী সংসার ছিল,

অসীম আকাশে উড়ন্ত ঘুড়ি ছিল,

মনের কোণে একটুকরো অলিখিত ভালোবাসা ছিল,

নকশীকাঁথায় লিখা স্বপ্ন ছিল।



কেন তোমরা ওই সংসার ভেঙে দিলে?

আমার শালিক পাখিটা কি আজকাল ভালো আছে?

মুনা আপা,আমি না ভালো নেই,

আমার এক জনমের দুঃখ জেনো,

আমার সংসার ভেঙে দিলে,আমি অনেক সুখি হবো বলে,

সুখ আমার হল না,

সুখ আমার শালিক পাখির কাছে রয়ে গেল,

তোমরা বুঝলে না।



আমার এই নিয়মের সংসার ভাল্লাগে না,

রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘর উঠোন সাজানো,

এতগুলো মানুষের রুটি মাখানো,

হাসিমুখে সব কিছুতেই সম্মতি আমার আমি মেনে নেয় না,

অজানা পুরুষের হুকুম তামিল আমার মন সয়ে না,

আমার ভাল্লাগে না অতশত সংবিধান।



এতো এতো নিয়মের খাঁচা আমার ভাল্লাগে না,

এই চার দেয়ালের শীতাতপের নিয়ন্ত্রণে আমার মন অনিয়ন্ত্রিত হয় নিয়মিত,

মন রক্ষার ধর্ম টানতে গিয়ে আমার মন পচে গেছে,আপা।



আমার এক টুকরো ভালোলাগা ছিল,তুই তো জানতি?

তবুও,কেন তোমরা ওই সংসার ভেঙে দিলে?



প্রতি রাতে ব্লাউজের হুক খুলতে খুলতে বড় বেশী ক্লান্ত আমি,

রাতের আঁধারে অজানা হাতের নিয়মিত আক্রোশে আমি বড় বেশী অনুভূতিহীন,

আজকাল গা গিনগিন করে,ঘিন্যে হয়,ঘিন্যে।



মুনা আপা,কেন তোমরা আমার সংসার ভেঙে দিলে?

আমিতো এতো আলিশান সংসার চাই নি।

চেয়েছিলাম শালিক পাখির সাথে নিয়ত বসত,

গাঁয়ের মাঝে উচ্ছ্বসিত সকাল,দুপুর,বিকেল,

ক্লান্ত,শ্রান্ত এক পুরুষের বুকে জড়িয়ে গল্প শুনতে চেয়েছিলাম,

আমার এক টুকরো ভালোলাগা,

এক রাতের দুঃখগাথার শ্রোতা।



এই সংসারে আমি আর থাকবো না,

নিয়মের যাঁতাকলে আমি পিষ্ট,

পুরুষের লোলুপে আমি অতিষ্ঠ,

আমার দেহে কালশিরে পড়ে গেছে,

আমার এক শালিক দেখে রেখো,

বিদায়, সুখে থেকো,সংসারী হইয়ো না কখনও,

সংসারীরা বড় বেশী দুঃখী।



ইতি

পরিচয় মুছে গেছে

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বেদনাদায়ক ।

২| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮

বাংলার পাই বলেছেন: এতো এতো নিয়মের খাঁচা আমার ভাল্লাগে না,
এই চার দেয়ালের শীতাতপের নিয়ন্ত্রণে আমার মন অনিয়ন্ত্রিত হয় নিয়মিত,
মন রক্ষার ধর্ম টানতে গিয়ে আমার মন পচে গেছে,
----------অনেক অনেক ভালো লাগার মত কবিতা। তবে অনেক করুণ।

৩| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: নিদারুণ কবিতা।

ধন্যবাদ্।++++

৪| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:২৯

বকুল০৮ বলেছেন: ভালো লাগলো- বেশ!

৫| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ২:০৩

নাহিদ শামস্‌ ইমু বলেছেন: খুবই অর্থবহ একটা কবিতা।
কষ্টের কবিতা।
গল্পের নায়িকা অল্পবয়সী একটি মেয়ে, যার হুট করেই বিয়ে হয়ে গেছে। সে তার শালিক পাখির সংসার ফেলে সম্পূর্ণ নতুন একটি সংসারে নিজেকে আবিষ্কার করেছে।
এখনো এদেশে শিশু-কিশোরীদের বিয়ে হয়ে যায়। গ্রামদেশে অনেক বেশি ঘটে। বাল্যবিবাহ রোধে সেখানে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয় না। কোন গ্রামবাসী পুলিশে খবর দেয় না। যে বয়সে এভাবে শালিক পাখির সাথে সখ্য গড়ে তোলার কথা, কানা-মাছি খেলার কথা, পাড়াময় ছুটোছুটি করবার কথা- সে বয়সে তাদেরকে অচেনা একটা সংসার গোছাতে হয়, রুটি বানাতে হয়, স্বামী-শ্বশুরের দেখভাল করতে হয়!
বিচিত্র সমাজ! বিচিত্র তার আচার-প্রথা! এ সমাজে বন্ধ ঘরে কিশোরীদের চাপা কান্না কেউ কখনো শুনতে পায় না।

২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:০৩

বিভ্রান্তিকর ইকুয়েশন বলেছেন: আপনি আমার লিখা পুরাই বলে ফেললেন।ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.